বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদ ছবুল্লা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধ ভেঙে গেছে। জোয়ারের পানির চাপে ওই এলাকায় কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জানা যায়, সকাল থেকে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় উত্তাল মেঘনা নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ভোলায় বেড়ি বাঁধের ভিতরে ও বাইরে অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে বন্ধ হয়ে গেছে ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি ও ভোলা-বরিশাল রুটে লঞ্চ চলাচল।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত থেকে ভোলায় মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টি পাত হয়েছে। সকাল পর্যন্ত ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। তার সাথে স্বাভাবিকের চাইতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে মেঘনার পানি প্রবাহিত হতে থাকে। এতে ভোলার বিভিন্ন উপজেলায় অতি জোয়ারের পানি বেড়ি বাঁধের উপর দিয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে ভোলা তীব্র জোয়ারের পানির চাপে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের মুরাদ ছবুল্লা গ্রামে পাউবোর প্রায় ১৫ মিটার বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে যায়। বিকালে ফের জোয়ার এলে ওই ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি হুহু করে কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ করে। এতে ৩/৪ ফুট পানিতে প্লাবিত হয় কয়েক হাজার ঘর বাড়ি। ভাসিয়ে নিয়ে যায় জমির ফসল, পুকুরের মাছ।
এছাড়াও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে বেড়ি বাঁধের বাইরের ভোলার রাজাপুর, ধনিয়া, কাচিয়া, শিবপুর, দৌলতখানের মদরপুর, ভবানিপুরের চর হাজারীসহ ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ড, সৈয়দপুর, চরপাতা, বোরহানউদ্দিন, মনপুরা, তজুমদ্দিনের অন্তত ২০ গ্রাম। পানি বন্দি হয়ে পড়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।
ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান সাংবাদিকদের জানান, ইলিশা মুরাদ ছবুল্লা এলাকায় ভেঙে যাওয়া ১৫ মিটার বাঁধ তারা মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পানির চাপ কমে গেলে দ্রুত তারা মেরামত করবেন।
ভোলা-লক্ষীপুর রুটের ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থাপক কে এম এমরান খান জানান, দুর্যোগপূর্ন আবহাওয়া হওয়ায় কারণে তারা ভোলা লক্ষীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ রেখেণে। আবহাওয়া ভাল হলে ফের চালু হবে।
এদিকে, ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে যাত্রীরা। উভয় পাড়ে আটকা পড়েছে শত শত পরিবহন।
এছাড়া ভোলা বিআইডব্লিউটিএর নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, নদী উত্তাল হওয়ায় ভোলা-বরিশাল রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।