ভোলা
ভোলায় ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলার বোরহানউদ্দিনে মাদক বহনের অভিযোগে আলাউদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসময় তার কাছ থেকে ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবা জব্দের দাবি করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ জুলাই) রাতে উপজেলার টবগী ইউনিয়নের হাকিমুদ্দিন বেড়ীবাঁধ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ভোলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মামুনুর রশীদ জানান, বোরহানউদ্দিন মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা হাকিমুদ্দিন বেড়িবাঁধ এলাকার চৌরাস্তায় চেকপোস্টে একটি যাত্রীবাহী ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে তল্লাশি চালিয়ে ৯ হাজার ৮০০ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে বোরহানউদ্দিন মডেল থানায় মাদকদ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে। এই ইয়াবা ব্যবসা চক্রের মূল হোতাকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁওয়ে ২৩৮৯২ ইয়াবা জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
ভোলায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
ভোলার মনপুরা উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে শামিম নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
নিহত শামিমের স্বজনরা জানান, শামিমকে ঘরে রেখে তার মা ভোট দিতে যান। ভোট দিয়ে এসে শামিমকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে তাদের বাড়ির পুকুরে শামিমকে ভাসতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসা মৃত ঘোষণা করেন।
মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. কবির হোসেন বলেন, পুকুরের পানিতে ডুবে শামিম মারা গেছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে আম কুড়াতে গিয়ে পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
রাজশাহীতে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২০ হাজার মানুষ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সাগর মোহনার দুর্গম ঢাল চর ও চর কুকরি মুকরি ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
এতে করে জোয়ারের অন্তত ৫ ফুট পানিতে প্রায় ২০ হাজার লোক পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। অসংখ্য কাঁচাঘর বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাধ হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'
ঢাল চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম বলেন, তার ইউনিয়নের কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। সেখানে জোয়ারে পানিতে প্রায় ১২ হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। নদী উত্তাল হওয়ায় সেখান থেকে মূল ভূখণ্ডে মানুষকে সরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে কিছু লোক পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার এলাকার বহু কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, চরে অতি জোয়ারের পানিতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
পর্যটন এলাকা কুকরি মুকরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম বলেন, তার এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে চর পাতিলাসহ বিভিন্ন এলাক প্রায় সাত হাজার লোক পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে আসছে। উঁচু স্থানে গবাদি পশু আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সেখানে কাচা ঘর বাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মনপুরার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাটে নিম্ন অঞ্চল, কলাতলি, চর সামসুদ্দিন ও কাজির চর, চর নিজাম চার থেতদকে পাঁচ ফুট পানিতে প্লাবিত।
এদিকে ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সকাল থেকে হালকা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বইছে। পাশাপাশি উত্তাল হয়ে উঠে মেঘনা নদী।
নদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকায় থাকা মাছ ধরা ট্রলারগুলো নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য স্বেচ্ছাসেবক কোস্টগার্ড সতর্ক বার্তা প্রচার করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: খুলনার উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি-জলোচ্ছ্বাস
ভোলায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুনের অভিযোগ
ভোলা সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক ছোট ভাই মজনু।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত আবদুল মালেক (৭০) ও অভিযুক্ত তাজল ইসলাম ওই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণ রতনপুর গ্রামের আবদুল মালেক ও তার ছোট ভাই তাজল ইসলামের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। পূর্ব বিরোধের পাশাপাশি নির্বাচনি ফলাফল নিয়ে বৃস্পতিবার সকালে দুই পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এসময় তাজলের পরিবারের লোকজনের হামলায় আবদুল মালেক মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ও গুরুতর আহত হন তাজলের আরেক ছোট ভাই মজনু।
পরে আহত মজনুকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে ঘটনার পর পর পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার সাংবাদিকদের জানান, জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুল মালেক নিহত হন।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা জানান, জমির বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
ভোলায় সংঘর্ষ: ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৪
দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোলা সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ভোলায় এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এছাড়া প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়।
আটকদের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২ জনের ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যালয়ের কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে ভাইয়ের হাতে ভাই নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর বাজার সংলগ্ন রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আনারস ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ঘটনা ঘটে। এসময় কয়েক ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনায় এলাকার ভোটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ-বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অপরদিকে পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়ায় ভোট কেন্দ্রে আসার সময় ও বাপ্তা ইউনিয়নের চৌদ্দঘর স্কুল এলাকায় মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আহত ৪ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ভোলার চর সামাইয়া শান্তিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণে ঘটনা ঘটে। এসময় প্রভাব বিস্তারের দায়ে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ২ রাউন্ড ফাঁকাগুলি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ২ জনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা বলেন, খবর পেয়ে তারা শিবপুর ছুটে আসেন। শিবপুরসহ অন্যান্য এলাকায় এখন দুই পক্ষ শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পলাশবাড়ীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গৃহবধূ নিহত, আটক ১
শেরপুরে মোটরসাইকেল-ইজিবাইকের সংঘর্ষে ২ কিশোর নিহত
কালবৈশাখী ঝড়ে ভোলায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, নিহত ২
কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টিতে ভোলার মনপুরা ও লালমোহনে পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। এ সময় ঘর চাপা পড়ে হারিস ও বজ্রপাতে বাচ্চু নামে ২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও ৪ থেকে ৫ জন।
রবিবার সকালে লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় এবং চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামে ২ জন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে কালবৈশাখী ঝড় ও শীলা বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ঝড়ে মনপুরা উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঝড়ের সময় লালমোহনে উপজেলায় বদরপুর সাতবাড়িয়া এলাকায় ঘর চাপা পড়ে হারিস নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন এবং লালমোহনের চরভূতা ইউনিয়নের লেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাচ্চু নামে একজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া ৪ থেকে ৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অনেক পরিবার মাথার উপর টিনের চালা পর্যন্ত নেই। রাস্তাঘাটে গাছপালা উপড়ে পড়ে আছে। বিদ্যুতের খুটি ভেঙে গেছে।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে ২ জনের মৃত্যুসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।
মনপুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের পর ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে বাগেরহাটে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু, আহত ৮
কালবৈশাখীতে সুনামগঞ্জে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, আহত ২০
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরায় ১৫ জেলের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার তাদের আটক করে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়,জাটকা সংরক্ষণসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪টি ট্রলার ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি মাছ ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পর বড় বন্দর হতে পারে ভোলা: শিল্পমন্ত্রী
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে আটক জেলেদের দাবি অভাবের কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। এ নিয়ে অভিযানের প্রথম দুই দিনে জেলায় মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
ঢাকার বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভোলার ২ যুবক প্রাণ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে একজন পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের নিয়ে খেতে যান ও অপরজন কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের কর্মচারী হিসেবে কর্মস্থলে যোগ দেন। দুই পরিবারে চলছে স্বজনদের আহাজারি।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকার স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এমদাদুল হক জোনায়েদ আাহমদ (২৪) বৃহস্পতিবার মাস্টার্সের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শেষে ৪ বন্ধু নিয়ে ঢাকার বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান। অগ্নিকাণ্ডে বের হতে না পেরে তার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। শুক্রবার বিকালে তার মৃতদেহ ভোলায় আনা হলে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
তার স্বজনরা জানান, ভোলার বিএভিএস সড়কের অবসরপ্রাপ্ত ভূমি অফিসের জেলা কর্মকর্তা মাইনুল হক হারুনের একমাত্র ছেলে। মা-বাবা ও দুই বোনসহ তারা ঢাকায় বসবাস করতেন। বৃহস্পতিবার বাসা থেকে মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বের হন। পরীক্ষা শেষে ৪ বন্ধু মিলে বেইলি রোডের একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যান।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
খাবারের অর্ডার দেওয়ার পর বন্ধুরা গল্প করছিলেন। এর মধ্যে সিয়াম টয়লেটে যান। টয়লেটে গিয়ে ধোঁয়া দেখে তিনি দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে চলে আসেন এবং ফোনে বন্ধুদের দ্রুত নামতে বলেন।
বন্ধুরা সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে সেখানে বিস্ফোরণে আগুন চলে আসলে তারা ৩ বন্ধু আটকা পড়ে আর বের হতে পারেননি।
এ অবস্থায় শেষবারের মতো তার মায়ের সঙ্গে মোবাইলে রাত ১০টার দিকে কথা হয়। জোনায়েদ বলেন, ‘মা আমি বেইলি রোডে আছি। আমি আসতেছি।’
এটাই ছিল তারা শেষ কথা। এরপর তার মোবাইল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই জোনায়েদের মৃত্যু হয়। পরে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আংটি দেখে জোনায়েদকে শনাক্ত করা হয়।
এদিকে ভোলায় খলিফাপট্টি জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাকে কালিবাড়ি রোড বিল্লা মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে সন্ধ্যার দিকে দাফন করা হয়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের চাকরিতে যোগ দেন ভোলা সদর উপজেলা চর কুমারিয়া গ্রামের মো. সিরাজের ছেলে মো. নয়ন।
দরিদ্র কৃষক বাবাকে অর্থের যোগান দিতে কাচ্চি রেস্টুরেন্টে কাজ নেন। আর তার জীবিত ফেরা হয়নি বাড়িতে। অগ্নিকাণ্ডে আদরের ছোট ছেলেকে হারিয়ে শুক্রবার সারাদিন প্রলাপ করেছেন মা। আর নির্বাক বাবা অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন ছেলেকে শেষবার দেখার জন্য।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
দুর্ঘটনার প্রায় ৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর খবর পান নাজমা ও তার পরিবার। সেই থেকেই চলছে তার বিলাপ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করা ১৯ বছর বয়সী নয়ন ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে চাকরির সন্ধানে ঢাকায় যান। বাবুর্চির সহকারী হিসেবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে যোগদান করেন। ওইরাতের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হয় তার।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে শুক্রবার সকালে পরিবারের কাছে মৃত্যুর খবর আসে।
এদিকে নিহতের ভাই দুপুরে ঢাকা মেকিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ চিহ্নিত করেন। নয়নের বাবা-মায়ের দাবি কর্মস্থলে এমনভাবে আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয়। সিরাজ-নাজমা দম্পত্তির ৬ সন্তানের মধ্যে নয়ন সবার ছোট।
নয়নের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক নয়নের বাবা মো. সিরাজ। ছেলের এমন অপ্রত্যাশিত মৃত্যর খবর কোনোভাবেই মানতে পারছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর আসার পর থেকেই নির্বাক বসে আছেন। ছেলের লাশের অপেক্ষায় গ্রহর গুনছিলেন। খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে এসেছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
ভোলার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনার ৮ দিন পর রাজ্জাক সরদারের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে তার ছেলে পারভেজ সরদার এখনো নিখোঁজ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর তুলাতলি পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ভোলা নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, ভোলার ধনিয়া ইউনিয়নের তুলাতুলি এলাকার মেঘনা নদীর তীরে কচুরিপানার মধ্যে একটি লাশ ভাসতে দেখে ৯৯৯ নম্বরে স্থানীয়রা ফোন দিয়ে জানায়। পরে নৌ পুলিশ খবর পেয়ে তুলাতুলি এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করলে ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ রাজ্জাক সরদারের স্বজনরা গিয়ে শনাক্ত করে।
প্রসঙ্গত, মনপুরা থেকে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মালবাহী ট্রলারটি ইলিশার জোরখাল পয়েন্টে প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। ট্রলারটিতে ভাঙারি মালামালসহ ৭ জন শ্রমিক ছিলেন।
ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার সময় ৫ জন শ্রমিক সাঁতরে জেলে ট্রলারের সহায়তায় উপরে উঠে আসতে পারলেও আব্দুল রাজ্জাক ও তার ছেলে পারভেজ সরদার ইঞ্জিনরুমে থাকায় তারা বেরোতে পারেনি। কয়েক মিনিটের মধ্যে ট্রলারটি ডুবে যায়।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ২
বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
ভোলায় মাছ শিকার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে কিশোরের মৃত্যু
ভোলার লালমোহন উপজেলায় মাছ শিকার করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে মো. জিসান নামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহেষখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কিশোর জিসান ওই এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের ছেলে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পানিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানায়, বৈদ্যুতিক শকের মাধ্যমে মাছ শিকারের ফাঁদ তৈরি করে কিশোর জিসান। রবিবার রাতে সবার অগোচরে বাড়ির শরিকদের পুকুরে ওই ফাঁদ নিয়ে মাছ শিকার করতে যায়। এ সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে চিৎকার দেয় জিসান। চিৎকার শুনে তার মা ছুটে গিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর জিসানকে উদ্ধার করে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানের চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই কিশোরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিদ্যুতায়িত হয়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু
জৈন্তাপুরে ঈদগাহে যাওয়ার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে শিশুর মৃত্যু