তারা হলেন নীলফামারীর কালিদাস রায় এবং কুষ্টিয়ার সাথী আক্তার।
সারা দেশের ৪০৬ প্রতিযোগী থেকে নির্বাচিত ১৫ তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে গত ৫ ডিসেম্বর এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জনকারী কালিদাসকে প্রশংসাপত্র, পদক, ক্রেস্ট এবং ৩০ হাজার টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। সপ্তম স্থান অর্জনকারী সাথী পেয়েছেন প্রশংসাপত্র, পদক ও ক্রেস্ট।
আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উপলক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ওয়াটারএইড এবং ইউএনভি বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বেচ্ছাসেবা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এ বছর তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের সাহসী উদ্যোগকে স্বীকৃতি জানাতে ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক’ থিমে পুরস্কার অর্জন করেন ১৫ স্বেচ্ছাসেবী।
নীলফামারীতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে একশনএইড বাংলাদেশ সমর্থিত অগ্রগামী যুব ফাউন্ডেশনের সদস্য কালিদাস অন্য স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে নিয়ে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ও সশরীরে উপস্থিত হয়ে সমাজের মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণ এবং এর অনুশীলন করিয়েছেন।
সাথী এবং তার সহকর্মী স্বেচ্ছাসেবীরা কুষ্টিয়ায় একশনএইড বাংলাদেশ সমর্থিত আইডিয়াল ইয়ুথ ইউনিয়ন থেকে খাদ্য ও সুরক্ষা সরঞ্জাম বিতরণের পাশাপাশি এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে, হ্যান্ডওয়াশ পয়েন্ট স্থাপন ও জনগণের মধ্যে করোনাবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে সুস্বাস্থ্যবিষয়ক অভ্যাসগুলোর অনুশীলন বিষয়ক প্রচার-প্রচারণা চালান।
এছাড়া, কুষ্টিয়া থেকে একশনএইড বাংলাদেশ সমর্থিত দুটি যুব সংগঠন- স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থান এবং আইডিয়াল ইয়ুথ ইউনিয়ন কোভিড-১৯ মোকাবিলায় অসামান্য অবদানের জন্য ‘ভলেন্টিয়ার ফর বাংলাদেশ ২০২০’ পুরস্কার লাভ করে।