কুয়েতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপুলকে ১৯ লাখ কুয়েতি রিয়াল জরিমানা করা হয়েছে।
কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল-ওসমান পাপুলের বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করেন।
এমপি পাপুল পরিবারের অর্থপাচার: বাংলাদেশ ব্যাংকের নথি তলব
এর আগে, পাপুলের মামলার শুনানির দিন ২৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করে কুয়েতের ফৌজদারি আদালত। বৃহস্পতিবার পাপুলের ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে সাজা ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক।
গত বছরের ৬ জুন শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে তার বিরুদ্ধে ওই কুয়েতে মানবপাচার ও অর্থপাচারের মামলা দায়ের করা হয়।
স্বতন্ত্র সাংসদ পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১১ নভেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন ঢাকার সমন্বিত অফিস -১ এ এমপি শহিদ ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ১০ নভেম্বর নিয়মিত বৈঠকে কমিশন মামলাটির অনুমোদন দেয়।
দম্পতির কন্যা ওয়াফা ইসলাম, পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন আক্তারকেও ১৪৮ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন এবং প্রায় ২ কোটি ৩১ লাখ টাকার সম্পত্তি গোপন করার অভিযোগে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এমপি পাপুলের স্ত্রী ও মেয়েকে ১০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
সাংসদ পাপুলের স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার আগাম জামিন আবেদন
অর্থপাচার: এমপি পাপুল ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এমপি পাপুল কুয়েতের নাগরিক নন, নিশ্চিত করল দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়