কারাদণ্ড
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
১ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলেকে ৬ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া ৭ কিশোর জেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং আটক এক জেলেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকার।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ইউএনবিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন- আমির হোসেন গাজী, হারুন ঢালী, মো. জাহাঙ্গীর, রিয়াদ রাঢ়ি, রমজান ব্যাপারী, হৃদয় মোল্লা, রিপন খান, মো. ফয়সাল, জনি ব্যাপারী, আল-আমীন মোল্লা, বাদশা হাওলাদার. কিরন খান, ওমর ফাটল রাঢ়ি, নাজমুল হাসান।
আর দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ইব্রাহিমের।
মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া কিশোর জেলেরা হলেন- মো. সোহেল, মো. হাবীব, শামীম, কাজল, পারভেজ, ওমর ও মো. হাসিব।
আটক জেলেদের বাড়ি সদরের টিলাবাড়ি, বহরিয়া ও গোবিন্দিয়া গ্রামে।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টা থেকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা পর্যন্ত অভয়াশ্রমে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ২২ জেলেকে আটকসহ ১০ হাজার মিটার কারেন্টজাল ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। জব্দ করা কারেন্টজাল কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে এনে পুড়িয়ে ফেলে এবং ইলিশ মাছ দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ২ জনের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন
গাইবান্ধায় হেরোইন বিক্রির অপরাধে সোহাগ মিয়া নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ফিরোজ কবীর এ রায় দিয়েছেন।
সোহাগ মিয়া গাইবান্ধার শহরের মহুরী পাড়ার রেলওয়ে কলোনীর বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালে ১১০ দশমিক ৫ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করা হয় সোহাকে। পরে একইদিন সোহাগের নামে গাইবান্ধা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করেন উপপরিদর্শক (এসআই) শরীফ হোসেন। দীর্ঘদিন শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:
১ মাস আগে
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান চালিয়ে ৬ দিনে ৯৪ জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ১০ লাখ ৬২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ইলিশ ধরায় ২ জেলেকে কারাদণ্ড
বিভাগীয় মৎস্য অফিস থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৩ অক্টোবর থেকে ১৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে ৭১১টি অভিযান চালানো হয়েছে। ২৩০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ২৫৯টি। আর গত দুই দিনের অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৬৪৯ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ৬০ হাজার ১০০ টাকা মূল্যের ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৭০০ মিটার অবৈধ জাল।
এছাড়া নৌকাসহ জব্দ হওয়া সরঞ্জাম নিলাম করে ১ লাখ ২ হাজার ৬০০ টাকা বিক্রি করা হয়েছে। এসময়ে বরিশাল বিভাগে ১৪১ বার বিভিন্ন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৭০ বার বিভিন্ন মাছঘাট, ১ হাজার ৯৯১ বার বিভিন্ন আড়ত ও ১ হাজার ১৪৯ বার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করেছেন মৎস্য অধিদপ্তরে জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, ১৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২২ দিনের জন্য উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজননস্থলসহ ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণন নিষিদ্ধ।
প্রসঙ্গত, বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৩ হাজার ১৯ হাজার ৮৩০ জন জেলেকে ৭ হাজার ৯৯৬ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
২ মাস আগে
ঝালকাঠিতে ইলিশ ধরায় ২ জেলেকে কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করার অপরাধে দুই জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড ও একইসঙ্গে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিনের ভ্রাম্যমান আদালত জেলে মো. মেহেদী ও জিয়া খানকে এই দণ্ড দেন।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাত থেকে শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল পর্যন্ত জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের দায়ে যুবককের কারাদণ্ড
জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম জানান, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মোবাইল কোর্ট চালিয়ে মো. মেহেদী ও জিয়া খান নামে দুই জেলেকে আটক করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এ সময় ২৫ হাজার মিটার জাল, ১৫ কেজি মাছ ও একটি নৌকা জব্দ করা হয়। মাছগুলো বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। আটক জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করে এবং নৌকা ভেঙে ধ্বংস করা হয়।
ইলিশ সম্পদ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও মৎস বিভাগের এ অভিযান ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে জানান মৎস কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২ মাস আগে
হত্যা মামলার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পটুয়াখালীতে মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে হত্যার ১৩ বছর পর ১৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আসামিদের উপস্থিতিতে ওই রায় দেন বিচারিক আদালতের বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম এনামুল করিম।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাসের হেলপার হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
এসময় ১৭ জন আসামিদের মধ্যে একজনের দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়ে ওই রায় দেন একেএম এনামুল করিম।
রাষ্ট্র পক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০১১ সালের ৪ এপ্রিল খুন হন শহিদুল। পরের দিন তার বাবা নুর মোহাম্মদ মৃধা বাদী হয়ে সদর থানায় সোহরাবসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হত্যাকাণ্ডের ২৬ বছর পর ২৬ আসামির যাবজ্জীবন
পুলিশ রিপোর্টে ১৭ জন আসামিকে দোষী করে ৩০২ ধারায় মামলার অভিযোগ দায়ের করা হয় বিচারিক আদালতে। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, এমও, ও এজাহারকারীসহ ১১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর আদালতে শহীদুল ইসলাম মৃধার বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দেন এবং ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম ও মুকুল বলেন, তারা এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৩ মাস আগে
পাবনায় হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
পাবনার আমিনপুরে সিএনজি চালক ইমরান হত্যা মামলায় পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক সিনিয়র জেলা জজ আহসান তারেক এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: ইয়াছিন হত্যাকাণ্ড: এক ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড ও অপরজনের যাবজ্জীবন
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জগনাথপুর গ্রামের আবুল কালাম (৩৫), মোকছেদ আলী (৪৫), মুক্তার হোসেন (৩৫), আপেল মাহমুদ (৪১) ও জাহিদ (৫০)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রাতে ইমরানকে ফোন করে সিএনজি ভাড়া নেয় একই গ্রামের জগন্নাথপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আবুল কালাম। পরে আবুল কালাম কাশিনাথপুর বাজার থেকে তার সহযোগী চারজনকে তুলে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর ১৬ জুলাই আমিনপুর থানা চক কৃষ্ণপুর মুজিব বাঁধের পাশে এলাকাবাসী লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানি হলে নিহত ইমরানের বাবা কালু সরদার তার ছেলে ইমরানের লাশ বলে শনাক্ত করেন।
১৬ জুলাই ইমরানের বাবা আমিনপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে আটক করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়। দীর্ঘ ১০ বছর মামলা পরিচালনা করে বিচারক সাক্ষী শেষে এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সন্তান হত্যার দায়ে মায়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে ২ মাদক ব্যবসায়ীর যাবজ্জীবন
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস, ৮ কর্মকর্তার কারাদণ্ড
চট্টগ্রাম বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ৮ কর্মকর্তার ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা ও অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বুধবার (১০ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের গার্ডার ধস মামলার রায় ১০ জুলাই
মামলার ৮ আসামি হলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আখতার-পারিসার (জেভি) তৎকালীন প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম।
চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশিদ বলেন, ‘বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মোট ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন সাতজন। গত ২৫ জুন দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আটজন আসামিকে পৃথক ধারায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একটি ধারায় প্রত্যেককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও তিন লাখ টাকা জরিমানা, সেইসঙ্গে অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। অপর একটি ধারায় প্রত্যেককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০
৫ মাস আগে
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. জামাল নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. বেগম জেবুন্নেছা এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মো. জামাল কুমিল্লার মুরাদনগর থানার মুসাগারা এলাকার মৃত জোনাব আলীর ছেলে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আব্দুর রশীদ বলেন, ‘মামলায় মোট ১৪ জন সাক্ষীর ভিত্তিতে স্ত্রী পারভিন আক্তারকে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় জামালকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।’
২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি পারভীন আক্তারের বোন বেবি আক্তার বাদী হয়ে জামালকে আসামি করে বাকলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বিচার শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও আসামি পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটো করে পালানো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি রাতেই গ্রেপ্তার
৫ মাস আগে