কারাদণ্ড
টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড
টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কবির হোসেন নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতেই এই আদেশ দেন।
পরে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত কবির হোসেন (২০) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের তোমছের আলীর ছেলে।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি এম এ মালেক আদনান বলেন, ‘২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভূঞাপুরের ধুবলিয়া গ্রামে জনৈক লাল মিয়ার বাড়ির পাশে পাকা রাস্তার ওপর হেরোইন বিক্রির সময় কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারুক হত্যাকাণ্ড: ২ জনের যাবজ্জীবন, খান পরিবারের সবাই খালাস
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ১০ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে টাঙ্গাইল ডিবি (উত্তর) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন।
বিচার শেষে আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
১৪ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে নারীকে হত্যা, যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মুন্সীগঞ্জে এক নারীকে হত্যা করে গুম করার চেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান মিজি নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- দ্বিতীয় আদালতের বিচারক ড. মো. আলমগীর এর রায় দেন।
এ সময় আসামি আদালতের উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। আসামি হাবিবুর রহমান মিজি টঙ্গীবাড়ি উপজেলার উত্তর কুরমিরা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মিজির ছেলে।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ী লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিনের মেয়ে মামলার ভিকটিম সালেহা উদ্দিন ওরফে ডলি একজন অবিবাহিতা নারী ছিলেন। তার মানসিক সমস্যা ছিল। ২০১৮ সালের ২ মার্চ দুপুরে কাউকে না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আসামি হাবিবুর রহমান মিজি লৌহজং উপজেলার নওপাড়া গ্রামের হাজী কালাম মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকে।
সেখানে এজন নারীর লাশ গোপন কক্ষে রাখা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ডলির ভাই সেখানে গিয়ে তার বোনের ছবির সঙ্গে লাশের ছবির মিল পায় বলে জানতে পারে।
আরও পড়ুন: চাঞ্চল্যকর লক্ষণ পাল হত্যা মামলায় ৭ জনের যাবজ্জীবন
আসামি হাবিবুর রহমানকে স্থানীয় লোকজন মেয়েটির কথা জিজ্ঞাসা করলে ওই সময় তিনি বলেন, ‘পদ্মা নদীতে ভেসে আসা লাশটি ঘরের ভেতর রেখে দিয়েছে।’
পরে ২০১৮ সালের ৭ মার্চ পুলিশ হাবিবুরের স্বয়ং কক্ষ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ও হাবিবুরকে আটক করে। এ সময় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশটিকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় মৃত নারীর ভাই টঙ্গীবাড়ী উপজেলার লাখারন গ্রামের মৃত শফি উদ্দিন ছেলে নূর মোহাম্মদ দপ্তরি বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২২ মার্চ টঙ্গীবাড়ী থানায় হাবিবুর রহমান মিজিকে আসামি করে মামলা করে। এ ঘটনায় ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাবিবুরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হাছান সারওয়ার্দী।
১৪ দিন আগে
ঘুষ গ্রহণের দায়ে খুলনা জজ আদালতের হিসাব সহকারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড
খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের হিসাব সহকারী কাম ক্যাশিয়ার অলোক কুমার নন্দীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম ঘুষ গ্রহণের দায়ে তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন।
এ সময় অলোক কুমার নন্দী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইয়াসিন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত জানায়, খুলনা বিভাগীয় জজ আদালতে মো. জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ মামলা বিচারাধীন ছিল। মামলার আসামির স্ত্রী হাসিনা আলম খোঁজখবর নিতে আদালতে আসেন। তখন অলোক কুমার নন্দী আসামি জহুর ই আলমকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে খালাস করিয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দেন। ১৯৯৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অলোক কুমার নন্দীকে দেড় লাখ টাকা সিঅ্যান্ডবি কলোনির সামনে দেওয়া হবে বলে হাসিনা আলম আশ্বাস দেন, কিন্তু ওই দিন তিনি কোনো টাকা তাকে দেননি বা দেখাও করেননি। পরে একই বছরের ১৪ মে অলোক কুমার নন্দী মাগুরায় হাসিনা আলমের বাড়িতে যান এবং প্রতারণার আশ্রায় নেন। এরপর জানানো হয়, দেড় লাখ টাকা না দেওয়ায় আদালতের বিচারক আসামি জহুর ই আলমকে বিচারে সাজা দিয়েছেন। হাসিনা আলম তখন নন্দীর কাছে করণীয় জানতে চাইলে তিনি জানান, দেড় লাখ টাকা দিলে মামলার নথি পুড়িয়ে ফেলকেন তিনি।
এরপর ১৯৯৪ সালের ২৫ মে হাসিনা আলম ৬ শতক জমি ও গরু বিক্রি করে দেড় লাখ টাকা যোগাড় করে দুজনের উপস্থিতে নন্দীকে ওই টাকা দেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
পরবর্তীতে খাদ্য অধিদপ্তর থেকে জহুর ই আলমের বিরুদ্ধে আদালতের রায়ের সাজা সংক্রান্ত চিঠি পেয়ে আদালতে আত্মসর্ম্পণ করলে তাকে কারগারে প্রেরণ করা হয়।
পরবর্তীতে জহুর ই আলমের স্ত্রী হাসিনা আলম অলোক কুমার নন্দীর কাছে টাকা ফেরত চান। অলোক কুমার নন্দী বিভিন্ন সময়ে হাসিনা আলমকে ২৩ হাজার টাকা দিলেও আর কোনো টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান।
এ ঘটনায় হাসিনা আলম খুলনা বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে ১৯৯৯ সালের ১৭ জুন একটি নালিশি দরখাস্ত করেন, যার পর বিভাগীয় জজ আদালত থেকে একই বছরের ২২ জুন এ বিষয়ে একটি স্মারক খুলনা দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে প্রেরণ করেন।
২০০০ সালের ৩০ মে যাবতীয় প্রমাণাদি গ্রহণ শেষে জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো পরিদর্শক মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক সুভাষ চন্দ্র দত্ত। সেই মামলায় সাজা পেলেন অলোক কুমার নন্দী।
২২ দিন আগে
চেক জালিয়াতি: সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ভাইয়ের কারাদণ্ড
মেহেরপুরে চেক জালিয়াতির মামলায় সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুরের আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের বিচারক কবির হোসেন এই রায় দেন।
মামলার বাদী দেবাশীষ বাগচির বিবরণ অনুসারে, ২০১৪ সালে ভাই ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেবাশীষ বাগচিকে ব্যবসায়িক অংশীদার করে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন মৃদুল। এতে তিনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠলে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন তাকে। সেই চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে মৃদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়।
তিনি বলেন, ‘মৃদুলও আমার নামে চেক চুরির মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে মানসিক ও শাররিক নির্যাতন করেন। এরপর স্বামী-স্ত্রী বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে অস্ত্র মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তারা আত্মগোপন থেকে ফিরে আসেন বলে জানান দেবাশীষ। তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি। আমি আশা করি, আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা টাকা পাব।’
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন।
সরফরাজ হোসেন মৃদুল, তার ভাই ফরহাদ হোসেন, ভাবি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম ও দুলাভাই আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ইতোমধ্যে মেহেরপুর জেলহাজতে রয়েছেন।
২৪ দিন আগে
ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর দুই বছর করে কারাদণ্ড
প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার এক বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালি বিভিন্ন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। এতে আকৃষ্ট হয়ে তৌফিক মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্যবাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
৩ এপ্রিল তিনি আর ওয়ান ফাইভের আরও দুটি বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্যবাবদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক তিনটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ দুটি চেক প্রদান করে। তবে ব্যাংক হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন। আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি।
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
পরবর্তীতে তৌফিক মাহমুদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি। পরবর্তীতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি।
এ ঘটনায় তৌফিক মাহমুদ ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
৪৯ দিন আগে
অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন গিয়াস উদ্দিন মামুন
অস্ত্র মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার শাহ মো. সাব্বির হামজা।
সাব্বির হামজা মামুনের খালাসের বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি কারাগারে। মামুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান-মামুনের ৭ বছরের দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত
মামুনকে গ্রেপ্তারের পর ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়। একই বছরের ৩ জুলাই বিচারিক আদালত তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করা করেন মামুন। ওই আপিলের শুনানি নিয়ে আজ এই রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
গত বছরের ৬ আগস্ট জামিন পেয়ে কারামুক্ত হন তিনি।
৫৮ দিন আগে
যৌন নিপীড়নের ২০ বছর পর ১০ বছরের কারাদণ্ড
নাটোরে শিশুকে যৌন নিপীড়ন ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার প্রায় ২০ বছর পর কাজেম আলী ও আতিকুর রহমান নামে দুই ব্যক্তিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্থ আত্মসাত: ডেসটিনির রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বিশেষ সরকারি কৌসুঁলি (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে বিচারক প্রায় ২০ বছর পর আজ (রবিবার) এ রায় দেন।’
২০০৫ সালের ১৮ মার্চ নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা শীবপুর গ্রামে ১১ বছর বয়সী রিপা খাতুন শিউলি নামে এক শিশু বাড়ির পাশে ভেড়া চরাতে গেলে প্রতিবেশী আতিকুর ও কাজেম তাকে যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর লজ্জায় বাড়ি ফিরে শিশুটি কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করে।
৫৯ দিন আগে
মাদকসহ গ্রেপ্তার ববি ছাত্রলীগ নেতার কারাদণ্ড
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্রলীগের নেতা আবিদ হাসানকে মাদকসহ (গাঁজা) গ্রেপ্তার শেষে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দিকে নগরীর বিনোদনকেন্দ্র ত্রিশ গোডাউনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আবিদ হাসান আটক হন। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক আবিদকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেন।
মাদকসহ আটকের পর আবিদ বিষয়টি স্বীকার করলে বিচারক তাকে এই দণ্ডাদেশ দেন।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার আবিদ হাসান ববির পঞ্চম ব্যাচের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: আটকে রেখে যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
পুলিশ জানায়, ত্রিশ গোডাউন এলাকায় অবস্থানের সময় সন্দেহজনক মনে হলে তাকে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তার কাছে মাদক পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মাদক বহনের বিষয়টি স্বীকার করেন।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত অভিযানে তিনি আটক হয়েছেন। তারপর উপস্থিত বিচারক তাকে কারাদণ্ড দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।’
৮৪ দিন আগে
পগবাকে অপহরণ মামলায় ভাইয়ের ৩ বছরের জেল
নিজের ভাইকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির দায়ে ফরাসি ফুটবলার পল পগবার ভাই মাথিয়াস পগবাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্যারিসের অপরাধ আদালত মাথিয়াসকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে এ রায় দেয়।
আগে থেকেই জেলে থাকা মাথিয়াসকে অবশ্য তিন বছরই শাস্তি ভোগ করতে হচ্ছে না। দুই বছর তিনি জেল খাটায় বাকি এক বছর এখন তাকে গৃহবন্দি ও ইলেকট্রনিক মাধ্যমে পুলিশি নজরদারিতে থাকতে হবে।
ঘটনাটি ২০২২ সালের। ওই বছরের মার্চে বন্দুকের মুখে পগবাকে তুলে নেয় কয়েক ব্যক্তি। এরপর তার কাছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে তারা।
ফরাসি গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মাথিয়াস এবং পগবার শৈশবের বন্ধুরা মিলে তাকে অপহরণ ও চাঁদাবাজির ষড়যন্ত্র করে। এরপর তিনি তাদের ১ লাখ ইউরো দিলেও তারা আরও টাকার জন্য তাকে চাপ দিতে থাকে।
এমনকি ভাইয়ের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস করে দেবেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে হুমকিও দেন মাথিয়াস। শেষ পর্যন্ত পুলিশের দ্বারস্থ হন ফরাসি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: আমি প্রতারক নই: ডোপ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে পগবা
এ ঘটনায় মাথিয়াস ছাড়া আরও পাঁচজনের নামে মামলা হয়। দুই বছর পর ওই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে থেকে রুশদেন নামের একজনকে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। অন্য চার অভিযুক্তকেও চার থেকে আট বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ওই ঘটনায় পল পগবা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছে বলে জানায় আদালত। আদালতের রায় অনুযায়ী, সে সময় তার মোট ১ লাখ ৯৭ হাজার ইউরো আর্থিক ক্ষতি হয়। এছাড়া যে মানসিক যন্ত্রণার ভেতর দিয়ে তাকে ওই সময় পার করতে হয়েছে, আর্থিক মূল্যে তার পরিমাণ ৫০ হাজার ইউরো নির্ধারণ করেছে আদালত। এই অর্থের মোট অঙ্ক মাথিয়াস ছাড়া বাকি পাঁচজনকে পরিশোধ করারও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার শুনানিতে প্রকাশ পায়, মাথিয়াস ওই ষড়যন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
অবশ্য মাথিয়াসের আইনজীবী এই শাস্তিকে অত্যন্ত কঠোর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তারা রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
আইনজীবীর দাবি, মাথিয়াসকে এই ষড়যন্ত্রে জড়িত হতে প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে ডোপ টেস্টের ফল পজিটিভ আসায় পেশাদার ফুটবলে নিষিদ্ধ হন পল পগবা। তারপর সম্প্রতি তার শাস্তি কমানো হলেও এরই মধ্যে তার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে ইউভেন্তুস।
তবে সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে শিগগিরই মাঠে ফেরার প্রত্যয় ঝরেছে ২০১৮ বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকা ফুটবলারের কণ্ঠে।
৯০ দিন আগে
পুলিশকে মারধরের দায়ে ব্যতিক্রমী কারাদণ্ড
পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে এসআই আবু হানিফ মণ্ডলের করা মামলায় ঠাকুরগাঁওয়ের আদালত ব্যতিক্রমী এক রায় দিয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের সাহাপাড়ার রায়হান অপু, টাঙ্গাইলের কাঞ্চনপুর হালুয়াপাড়ার আহসান হাবীব সৌরভকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাহাপাড়ার এনামুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও দেড় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
তবে কারাগারের পাঠানোর পরিবর্তে দণ্ডপ্রাপ্ত অপু ও হাবীবকে আগামী দুই বছর ও এনামুল হককে দেড় বছর সপ্তাহে দুদিন করে প্রতিদিন ৪ ঘণ্টা ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠ পরিষ্কার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে হেরোইনের মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৮ অক্টোবর এই ব্যতিক্রমী রায় দেন ঠাকুরগাঁওয়ের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ চন্দ্র দাগা। এছাড়া আদালতের প্রবেশন অফিসার এই দণ্ডের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দেবেন।
এই দণ্ড ভোগ শেষ হলে তারা তিনজন মুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
মামলার নথি ও আসামি পক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ৭ জুন শহীদ কিবরিয়া ও জহিরুল ইসলাম নামে দু’জন পুলিশ কনস্টেবল ডিউটি করছিলেন। এসময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে জহুরুলকে আসামিরাসহ কয়েকজন মারধর করেন। পরে পুলিশের অন্য একটি দল অপু ও সৌরভকে আটক করলেও এনামুল ও অন্যান্যরা পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৭ জুন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হানিফ মণ্ডল বাদি হয়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলা চলাকালীন এনামুলের নামে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করা হলে এনামুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মো. শাহীন নামে একজনের নাম ও ঠিকানা সঠিক না থাকায় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি পক্ষের উকিল ছিলেন মো. তোফায়েল হোসেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ইলিশ শিকারের দায়ে ১৪ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
১৩৭ দিন আগে