কারাদণ্ড
প্লট দুর্নীতি: শেখ হাসিনার ৫, রেহানার ৭, টিউলিপের ২ বছর কারাদণ্ড
পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনাকে ৫ বছর কারাদণ্ড, শেখ রেহানার ৭ বছর কারাদণ্ড এবং টিউলিপ সিদ্দিককে ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, যা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারক।
এ ছাড়াও মামলার অন্য ১৪ আসামির প্রত্যেককে ৫ বছরের কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করেছিল গত ১৩ জানুয়ারি। গত ২৫ নভেম্বর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। সেদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারক রায়ের জন্য আজকের এই দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন: জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে আসামি খুরশীদ আলম কারাগারে আটক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেখ রেহানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালে এই মামলায় ৩২ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারি মাসে পৃথক ৬ মামলা করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়। সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারের সর্বোচ্চ পদে থাকাকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। তারা বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্যে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নং রাস্তার ৬টি প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে
প্লট দুর্নীতির ৩ মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর কারাদণ্ড
রাজধানীর পূর্বাচলে রাজউকের প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকের করা তিন মামলায় ৭ বছর করে মোট ২১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, পাশাপাশি ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তৃতীয় মামলাটিতে মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
পৃথক তিন মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৭। তবে ব্যক্তি হিসেবে আসামির সংখ্যা ২৩। প্রথম মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১২ জন, দ্বিতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৭ জন এবং তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জন।
তিন মামলায় রাজউকের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমকে প্রতিটি মামলায় এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসব মামলায় আত্মসমর্পণ করে কারাগারে থাকা একমাত্র আসামি রাজউকের সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত রবিবার রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত। অপর আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়নি এবং তারা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ পাননি।
প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গত জানুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পৃথক ৬টি মামলা করে। এসব মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকসহ শেখ পরিবারের একাধিক সদস্যকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একাধিক সচিব ও কর্মকর্তা এবং রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য ও কর্মকর্তাদেরও আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত ৩১ জুলাই ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ তিনটি মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন। বাকি তিন মামলায় বিশেষ জজ আদালত-৪ অভিযোগ গঠন করেন।
১৪ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও চারজনকে যুক্ত করে মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। আসামিদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) খুরশীদ আলম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) নাসির উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।
১২ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্তে আরও দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ওই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের বিভিন্ন সাবেক সদস্য ও কর্মকর্তা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা।
১৪ জানুয়ারি সজীব ওয়াজেদ জয়ের নামে প্লট বরাদ্দ-সংক্রান্ত মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে দুজনকে যুক্ত করে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এই মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ, সাবেক সদস্য তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন এবং পরিচালক ও উপপরিচালক পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ক্ষমতায় থাকাকালে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ নেন, যদিও তাদের অনেকেই বরাদ্দ পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না।
৭ দিন আগে
যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী পাপিয়া ও স্বামীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমনকে সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু তাহের এই রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় পাপিয়া ও তার স্বামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। জামিনে থাকা অবস্থায় রায় ঘোষণার পর তাদের জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট সাড়ে ছয় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ মামলাটি দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১২ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। একই বছরের ৩০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল স্যুট ও চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি কক্ষে অবস্থান করে খাবার, মদ, স্পা, লন্ড্রি ও বারের খরচ বাবদ তিন কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা নগদে পরিশোধ করেন পাপিয়া। এছাড়া ওয়েস্টিন হোটেলে প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন, যা বৈধ উৎস প্রমাণ করতে পারেননি।
২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছেন। গাড়ির ব্যবসায় এক কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমা রয়েছে, যা দুদকের অনুসন্ধানে বৈধ উৎসে পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামী ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। অভিযানে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের গাড়ি জব্দ করা হয়, যার মূল্য ২২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: অর্থপাচার মামলা : পাপিয়ার কারাদণ্ড, খালাস পেলেন স্বামীসহ ৪ জন
মামলায় বলা হয়েছে, তাদের নামে ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে, যা তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে র্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে মামলা করা হয়।
এর আগে, অর্থপাচার মামলায় গত ২৫ মে আদালত পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। তবে তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন ওই মামলায় খালাস পান।
১১২ দিন আগে
জিরো রিটার্ন’ দাখিল বেআইনি, শাস্তি সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, ‘জিরো রিটার্ন’ বা শূন্য কর দাখিল করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর ফলে করদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে।
রবিবার (১০ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘জিরো রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে বলা হচ্ছে, একজন করদাতা তার সব আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় ‘শূন্য’ হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: আরও এক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল এনবিআর
তবে আয়কর আইন অনুযায়ী ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। করদাতাদের অবশ্যই তাদের প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সঠিকভাবে রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে। মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদানের অভিযোগে করদাতাকে আয়কর আইনের ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে শাস্তি দেওয়া হয়, যা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
আয়করযোগ্য আয়ের নিচে যারা আছেন, তাদের কর দিতে হয় না, তবে সঠিক তথ্যসহ রিটার্ন দাখিল অবশ্যই করতে হবে। করযোগ্য আয় না থাকলেও ‘শূন্য রিটার্ন’ দাখিল করা যাবে না।
এনবিআর করদাতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রতারণামূলক পরামর্শ এড়িয়ে সঠিক তথ্য দিয়ে রিটার্ন দাখিল করার মাধ্যমে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার এবং আইনগত শাস্তি এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
১১৬ দিন আগে
মেক্সিকোয় ১০ ‘সন্ত্রাসী’র প্রত্যেককে ১৪১ বছরের কারাদণ্ড
মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলের জালিস্কো রাজ্যের একটি খামারে মাদকচক্রের সদস্য নিয়োগসহ হত্যা ও গুম করার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ১০ ব্যক্তিকে ১৪১ বছর ৩ মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এ রায় ঘোষণা করে আদালত। তার আগের দিন (সোমবার) তিন ব্যক্তিকে গুম ও হত্যার অভিযোগে ওই ১০ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আসামিদের প্রত্যেককে ১৪১ বছর ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেগুলোকে ১৩ লাখ পেসো (প্রায় ৬৫ হাজার ডলার) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রসিকিউটরেরর কার্যালয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘ইসাগুইর’ নামক ওই প্রতিষ্ঠানটির খোঁজ মেলে, যেখানে ২০২১ সাল থেকে সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণ চালিয়ে আসছিল জালিস্কো নিউ জেনারেশন কার্টেল (সিজেএনজি)। এ ঘটনায় পুরো অঞ্চলে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ওই স্থানে প্রথম অভিযান চালিয়ে ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুরুতে সেটি যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য সদস্য সংগ্রহ ও তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র, তা অজানা ছিল। তবে গ্রেপ্তারদের জেরা ও আরও তদন্তের পর বেরিয়ে আসে থলের বেড়াল।
আরও পড়ুন: পোষা সিংহ দেওয়াল টপকে রাস্তায়, পাকিস্তানে আহত ৩
এ ঘটনায় আরও পাঁচ আসামির বিচার এখনও শেষ হয়নি। তাদের মধ্যে রয়েছেন তিন পৌর পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন সিজেএনজি সদস্য যিনি নতুন সদস্য সংগ্রহ করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া রয়েছেন তেউচিতলান শহরের মেয়র হোসে মুরগিয়া সান্তিয়াগো। তার প্রসাশনিক অঞ্চলেই ওই প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত।
মেক্সিকোর অ্যাটর্নি জেনারেল আলেহান্দ্রো গের্তস মানেরোর এক ঘোষণার কয়েক দিনের মাথায় মুরগিয়া সান্তিয়াগোকে গ্রেপ্তার করা হয়। গের্তস মানেরো জানান, ২০২১ সাল থেকেই তেউচিতলান কর্তৃপক্ষকে খামারটির বিষয়ে সতর্ক করেছিল জালিস্কো রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন। তবে সেই সতর্কতা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করা হয়।
এ ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। এরই মধ্যে চলতি বছরের ৫ মার্চ ওই প্রতিষ্ঠানে প্রচুর মানুষের পোড়া হাড়, পোশাক ও জুতার খোঁজ পাওয়ার তথ্য জানায় গেরেরোস বুসকাদোরেস দে জালিস্কো। এই দলটি নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ করে থাকে। তাদের দেওয়া তথ্য জানাজানি হলে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
এ ঘটনা মেক্সিকোর ভয়াবহ সহিংসতা, মাদকচক্রের দাপট এবং দেশটির ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি নিখোঁজ ব্যক্তির অনুসন্ধানে চলমান দুর্দশার চিত্রকে আরও একবার সামনে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: জাপানি দ্বীপপুঞ্জে দুই সপ্তাহে ৯ শতাধিক ভূমিকম্প
ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর জানা যায়, প্রথম দফার অভিযানের পর খামারের তদন্ত কয়েক মাস স্থগিত রেখেছিলেন রাজ্য প্রসিকিউটররা। পরে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর হস্তক্ষেপে ওই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে খামার থেকে একটি লাশ এবং পরবর্তীতে দুজনকে উদ্ধার করা হয়।
এরপর রাজ্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও অবহেলার কারণে মামলার দায়িত্ব নেয় কেন্দ্রীয় অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সমালোচনা থামেনি।
চলতি বছরের ওই জায়গাটিতে কোনো সমাধি স্থাপনা নেই বলে দাবি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল গের্তস মানেরো। তার এই বক্তব্যের পর আরও ক্ষোভ ছড়ায়। গেরেরোস বুসকাদোরেস দে জালিস্কো জানায়, তারা ওই খামার থেকে অন্তত ১৭টি মানুষের পোড়া হাড়ের অংশ উদ্ধার করেছে, যেগুলো এখন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের হেফাজতে রয়েছে।
১৪৮ দিন আগে
আদালত অবমাননার দায়ে হাসিনার ছয় মাসের কারাদণ্ড
আদালত অবমাননার একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার অপসারণের পর এটাই প্রথম কোনো আদালতের রায়, যাতে তাকে দণ্ডিত করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) আইসিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
একই মামলায় গাইবান্ধা জেলা ছাত্রলীগের তৎকালীন নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুলকে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই ধরনের মামলায় পলাতক আসামির জন্য আইনজীবী নিয়োগের পূর্ব নজির না থাকলেও ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে একজন আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত বছরের ২৫ অক্টোবর শেখ হাসিনা ছাত্রলীগ নেতা শাকিলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আলিফ হত্যা মামলা: চিন্ময় দাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
সেই অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘২২৬ জনকে মারার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’—যা বিচারব্যবস্থার প্রতি সরাসরি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে আদালত। পরে এই ঘটনায় আইসিটিতে মামলা করেন রাষ্ট্রপক্ষ।
গত ৩০ এপ্রিল এ-সংক্রান্ত শুনানিতে দুই আসামিকে ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তারা হাজির হননি। কিংবা আইনজীবীর মাধ্যমেও ব্যাখ্যা দেননি। সেদিন ট্রাইব্যুনাল দুই আসামিকে সশরীর হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন।
পরদিন দুটি সংবাদপত্রে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে দুজনকে গত ৩ জুন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়। সেদিনও তারা হাজির হননি। পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য ১৯ জুন তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
১৯ জুন এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের আইনি সহায়তাকারী) হিসেবে নিয়োগ দেন ট্রাইব্যুনাল। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয় ২৫ জুন।
২৫ জুন মামলায় প্রস্তুতি নিতে অ্যামিকাস কিউরি মশিউজ্জামানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এক সপ্তাহ সময় দেন ট্রাইব্যুনাল। সেদিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয় ২ জুলাই। আজ দুই আসামিকে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দিলেন ট্রাইব্যুনাল।
১৫৫ দিন আগে
হবিগঞ্জে নিয়োগ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক, কারাদণ্ড
ভুয়া পরিচয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার দায়ে হবিগঞ্জে প্রণব চন্দ্র দেব নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) হবিগঞ্জ শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল কেন্দ্রে এ ঘটনাটি ঘটে।
আটক প্রনব চন্দ্র দেব বানিয়াচং উপজেলার যাত্রাপাশা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সাভারে এসএসসি পরীক্ষায় অনিয়মের দায়ে কেন্দ্র সচিবসহ ৭ শিক্ষক বহিষ্কার
জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় নির্ধারিত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে ভুয়া পরিচয়ে অংশগ্রহণ করেন প্রণব। এ সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
এরপর ভ্রামম্যাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ রাখতে এমন জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত থাকবে।
১৬৬ দিন আগে
পিরোজপুরে মাদক মামলায় ২ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম আসামিদের অনুপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— ঝালকাঠী জেলার রাজাপুর উপজেলার পুটিয়াখালী এলাকার নাজমুল আহসান খসরু তালুকদারের ছেলে আরাফাত আল আহসান ওরফে রিয়াদ তালুকদার (৫২) এবং ইকবাল মল্লিক (৪৫) জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার লক্ষিপুরা এলাকার রুস্তুম মল্লিকের ছেলে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর জেলার ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভান্ডারিয়া শহরের রির্জাভ পুকুর এলাকা থেকে ৩২৯ ইয়াবাসহ আসামিদের আটক করে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, মাসুরা টুনিকে কারাদণ্ড-জরিমানা
পরে ভান্ডারিয়া থানার এসআই নুর আমিন বাদী হয়ে আট জনকে আসামি করে থানায় একটি মাদক মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ভান্ডারিয়া থানার এসআই খন্দকার মো. কামরুল ইসলাম আদালতে ৮৯ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে ৯ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক আরাফাত আল আহসান ওরফে রিয়াদ তালুকদার ও ইকবাল মল্লিকে ১০ বছর করে সাজা দেন। বাকি ছয় আসামিকে বেকুসর খালাস দেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পালতক ছিলেন।
২১০ দিন আগে
সাংবাদিক পরিচয়ে মাদক ব্যবসা, মাসুরা টুনিকে কারাদণ্ড-জরিমানা
সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মাদক সেবন ও ব্যবসার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাসুরা টুনিকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩ মে) দুপুরে জীবননগর পৌর এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাজীপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে কথিত সাংবাদিক মাসুরা টুনিকে আটক করা হয়।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আটক মাসুরা টুনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তেঘরী গ্রামের মো. আব্দুল হালিমের মেয়ে। তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে ‘জনতার ইশতেহার’ ও ‘দৈনিক তুলশীগঙ্গা’ প্রেস কার্ড ব্যবহার করতেন।
স্থানীয়রা জানান, স্থানীয়রা সন্দেহজনক অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঘরে তল্লাশি করে ভারতীয় মদের খালি বোতল ও ইয়াবা সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুরা টুনি দীর্ঘদিন ধরে জীবননগরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন মাদক কারবারির কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা আদায় করতেন।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, ‘স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করা হয়। বাসা থেকে মাদকের আলামত উদ্ধার করা হয়।’
জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দজাদী মাহবুবা মনজুর মৌনা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় মাসুরা টুনিকে সাতদিনের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়ে বলে জানান ওসি।
২১৫ দিন আগে
সিলেটে সাদাপাথর লুট, ৯ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটপাটের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ সময় ১০ জনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যজনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুন নাহার এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
আটকরা হলেন— কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দলইরগাঁও গ্রামের চান মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ আলীম উদ্দিন, নতুন মেঘারগাঁও গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মকবুল হোসেন, দক্ষিণ কলাবাড়ী গ্রামের সনর আলীর ছেলে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কালাইরাগ গ্রামের হাজী আব্দুল মন্নানের ছেলে ফুল মিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলার লাকী গ্রামের আব্দুল রমিধের ছেলে ইকবাল মাহমুদ, মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ কিবরিয়া আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার বাসাকর গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, মৃত আলী হোসেনের ছেলে আলী নূর ও কিশোরগঞ্জ ইটনা উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে মোহাম্মদ জজ মিয়া।
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় যুবকের কারাদণ্ড, ছাত্রী বহিষ্কার
উপজেলা প্রশাসন জানায়, সকাল ৬টায় টাস্কফোর্সের অভিযান চালানোর পর কয়েকশ’ পাথর লুটপাটকারী সংঘবদ্ধ হয়ে তাদের ওপর আক্রমণ করতে চেয়েছিল। এ সময় তারা পাথর দিয়ে ঢিল ছুড়তে থাকে আভিযানিক দলের ওপর। পরে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের সমন্বয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পাথর লুটপাটকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় ২০টি পাথর বহনকারী নৌকা ধ্বংস করা হয় এবং আরও ১৮টি নৌকা জব্দ করে বিজিবির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতের বৃষ্টিতে ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। পরদিন বুধবার সকাল থেকে কালাইরাগ এলাকা দিয়ে নৌকাযোগে পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটপাট শুরু হয়। দিনে ও রাতে বাধাহীনভাবে সহস্রাধিক ইঞ্জিনচালিত ও বারকি নৌকা দিয়ে লুট হচ্ছিল এই পাথর।
ইউএনও আজিজুন নাহার বলেন, ‘বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
২২২ দিন আগে