কারাদণ্ড
কৃষি জমি থেকে মাটি কাটায় ২ যুবককে কারাদণ্ড, ভেকু মেশিন ও ২টি ট্রাক জব্দ
অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষি জমির মাটি কাটার অপরাধে দুই যুবককে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন এই দণ্ড প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: নকল সরবরাহ করায় মাদরাসা অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
কারাদণ্ড পাওয়া দুই যুবক হলেন- জেলার বিজয়নগর উপজেলার কাশিনগর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে শাহিন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের কাউতলী গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে ইমন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে ড্রেজার দিয়ে জমিতে গভীর গর্ত করে মাটি কেটে অন্যত্র বিক্রি করছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ইমন ও শাহিনকে গ্রেপ্তার করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে ১৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এ সময় একটি ভেকু মেশিন ও দুইটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে পুলিশ ও স্থানীয় ভুমি অফিসের কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নিষেধ অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৪ জেলের কারাদণ্ড
সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
নিষেধ অমান্য করে জাটকা ধরায় ১৪ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে নিষেধ অমান্য করে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকা ধরার ১৪ জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড এবং একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে ছেড়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকারিয়া হোসেন ও মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলাতানা সোমবার দুপুরে কোস্টগার্ড স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
সোমবার বিকালে বিকেলে এ তথ্য জানান চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম।
তিনি জানান, রবিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সদর উপজেলার মেঘনা নদীর মোহনা, রাজরাজেশ্বর, লালপুর ও দাসাদী এলাকায় জেলা মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
তিনি আরও জানান, এ সময় জাটকা ধরার দায়ে দাসাদী এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে আটক করা হয় এসময় ৭৫ হাজার মিটার কারেন্টজাল, জালে জড়ানো ১২০ কেজি জটাকা এবং একটি কাঠের মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়।
জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নকল সরবরাহ করায় মাদরাসা অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
সাংবাদিককে কারাদণ্ডের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে জোর তথ্য প্রতিমন্ত্রীর
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রুপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তে জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টির খোঁজ-খবর নেন। এ সময় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
আরও পড়ুন: চলচ্চিত্র নির্মাণে সরকারি অনুদানে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী ঘটনাটির খোঁজ নিলে প্রধান তথ্য কমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে জানান, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী উক্ত বিষয়ে তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক ১০ মার্চ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাবেন।
সোমবার (১১ মার্চ) তথ্য কমিশনে তার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রীকে অবহিত করেন প্রধান তথ্য কমিশনার।
আরও পড়ুন: ৭ মার্চের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় ‘তথ্য চেয়ে আবেদন করে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক জেলে’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন থেকে তথ্য অধিকার আইনের ২৫(৫) ধারা অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের জন্য তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুককে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানা একই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে তার পরিবার অভিযোগ করেছে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালগুলো স্ট্রিমলাইন করাচ্ছি: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নকল সরবরাহ করায় মাদরাসা অধ্যক্ষের দুই বছরের কারাদণ্ড
এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালে স্মার্টফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করার দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ মার্চ) চাঁদপুরের শাহরাস্তি পৌর এলাকার চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। একইসঙ্গে তাকে এক হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাবাকে মারধর করায় ছেলের ২০ দিনের কারাদণ্ড
ছায়েদুল উপজেলার রাজাপুরা আল আমিন ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভদ্রগাছা গ্রামের মৃত সুন্দর আলীর ছেলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ইউএনবিকে জানান, শাহরাস্তি চিশতিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা কেন্দ্রে দাখিল ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা চলাকালে মবোইলের ফোনের মাধ্যমে নকল সরবরাহ করেন অধ্যক্ষ ছায়েদুল ইসলাম। পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রিন্টারে ২৫ থেকে ৩০ কপি নকলের প্রিন্ট বের করেছেন তিনি। ওই শিক্ষককে পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তিনি আরও জানান, তার মোবাইল ফোন তল্লাশি করে হোয়াটসঅ্যাপের নকলের হুছবি পাওয়া যায়। ওই অধ্যক্ষ জানান, তার এক ছাত্র এগুলো সমাধান করে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে। পরে তিনি কেন্দ্রের প্রিন্টারে প্রিন্ট করে রুমে রুমে নকল সরবরাহ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
ভোলায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানের মেঘনা নদী থেকে মাছ ধরায় ১৫ জেলের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শনিবার তাদের আটক করে এ দণ্ড দেওয়া হয়।
মৎস্য বিভাগ জানায়,জাটকা সংরক্ষণসহ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর দ্বিতীয় দিনে দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাফুজুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ১৫ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ। এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে ৪টি ট্রলার ৪০ হাজার মিটার জাল ও ২০ কেজি মাছ ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের পর বড় বন্দর হতে পারে ভোলা: শিল্পমন্ত্রী
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। তবে আটক জেলেদের দাবি অভাবের কারণে তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছেন। এ নিয়ে অভিযানের প্রথম দুই দিনে জেলায় মোট ৩৪ জনকে আটক করা হয়।আরও পড়ুন: ভোলার মেঘনায় ট্রলারডুবি, ৮ দিন পর লাশ উদ্ধার
মেঘনায় জাটকা ধরায় ১৫ জেলের কারাদণ্ড
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকায় নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা ধরার দায়ে ১৫ জেলেকে ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহজাহান।
দণ্ডপ্রাপ্ত সব জেলের বাড়ি মতলব উত্তর থানায়।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
একমাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলে মো. রুবেল সরদার মতলব উত্তর উপজেলার বাসিন্দা।
অপর ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- মতলব উত্তর উপজেলার মো. হুমায়ুন মৃধা, আক্তার হোসেন, ইয়াকুব ব্যাপারী, ইয়াজল চোকদার, সাইদুল রহমান, আরিফুল ইসলাম, লিটন বর্মন, মো. হোসেন, আবুল হোসেন, মনির হোসেন, ছৈয়দ হোসেন, মো. সাদেক, মাদব চন্দ্র বর্মন ও মো. আলী নুর।আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিপ ইয়ার্ড পরিচালনা: ৫ জনকে কারাদণ্ড
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান আরও বলেন, বুধবার বিকাল ৩টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ৩টি হাইস্পিড বোট নিয়ে পদ্মা-মেঘনার মোহনা এলাকা, মিনি কক্সবাজার, রাজরাজেশ্বর, মতলব উত্তরের মোহনপুর এলাকায় পদ্মা ও মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কাচিকাঠা নামক স্থান থেকে জাটকা ধরা অবস্থায় ১৫ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় ১ লাখ মিটার কারেন্টজাল, ৫টি বেহুন্দি জাল, ৫ কেজি জাটকা জব্দ এবং একটি মাছ ধরার নৌকা আটক করা হয়।
অভিযান শেষে রাতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেলেদের কারাদণ্ড এবং জব্দকৃত জালগুলো কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জব্দকৃত জাটকা দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে রয়েছে।আরও পড়ুন: গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ, সহকারী পোস্টমাস্টারসহ ৬ জনের কারাদণ্ড
বাবাকে মারধর করায় ছেলের ২০ দিনের কারাদণ্ড
চাঁদপুর সদর উপজেলায় বাগাদী ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামে বাবা বশিরুল্লাহ পাটোয়ারিকে মারধর করার দায়ে ছেলে ফারুক হোসেনকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগাদী ইউনিয়নের সোবহানপুর গ্রামে বশিরুল্লাহ পাটওয়ারীর বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তার ছেলে ফারুককে এ সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ফারুক অটোরিকশাচালক ছিলেন। তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। এরপর তার স্ত্রী একাধিকবার বাবার বাড়ি চলে যান। মাদকের জন্য টাকা না দেওয়ায় বাবাকে মারধর করেন ফারুক।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাখাওয়াত বলেন, ফারুক হোসেন রবিবার সকালে বাড়িতে তার বাবাকে মারধর করেছেন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। সেখানে ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সচেতনভাবে দোষ স্বীকার করেন। ফলে তার অপরাধ আমলে নিয়ে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শেখ মুহসীন আলমসহ পুলিশ সদস্যরা।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
গাজীপুরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র দায়িত্বরত শিক্ষককে কারাদণ্ড
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত শিক্ষক সৈকত হোসেনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় এ কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ইংরেজি পরীক্ষা চলাকালে সৈকত হোসেন ডিউটি শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি তার মোবাইল ফোন দিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি তার ফোনটি জব্দ করেন।
পরে তার ফোনের ভেতরে প্রশ্নপত্রের উত্তর দেখতে পান। ঘটনাস্থলে ওই শিক্ষককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জাকির হোসেন মোল্লা জানান, তার ফোনে ছবি ও উত্তরপত্র পাওয়া যায়। এর দায়ে তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মানবতাবিরোধী অপরাধ: শেরপুরের ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেরপুরের নকলার তিন রাজাকারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার চেয়ারম্যান (হাইকোর্টের বিচারপতি) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এ রায় দেন।
তিন রাজাকার হলেন- এ কে এম আকরাম হোসেন, এস এম. আমিনুজ্জামান ফারুক ও মোখলেছুর রহমান ওরফে তারা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন সাজার রায় হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নকলার মুক্তিযোদ্ধারা।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: আপিলে আমৃত্যু সাজা কমিয়ে শামসুল হকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
তারা বলছেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার ৫২ বছর পর কলঙ্কমুক্ত হলো নকলার মাটি ও মানুষ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারি প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তি-তর্ক শেষে মামলাটি রায়ের অপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় তিন আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে এক নম্বর অভিযোগে নকলার রামেরকান্দি বিবিরচর ও মজিদ বাড়ি গ্রামে গিয়ে সংঘবদ্ধভাবে অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, হত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
আর দুই ও তিন নম্বর অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে নকলার জালালপুর গ্রামের মো. আব্দুল হান্নান ও বাজারদি গ্রামের শাহজাহান আলী ওরফে সাজুসহ নিরস্ত্র গ্রামবাসীদের আপহরণ, আটক, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
তিনটি অভিযোগই ট্রাইব্যুনালে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে প্রসিকিউশন। তবে চার নম্বর অভিযোগে জোর করে শ্রম আদায় বা কাজে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় এ অভিযোগ থেকে তিন আসামিকেই খালাস দেন ট্রাইব্যুনাল।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
প্রসিকিউশনের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর এ মামলার তদন্ত শুরু হয়। ২০১৬ সালের ২২ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয় তদন্ত সংস্থা। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর চার আসামিদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। পরে ১৪ নভেম্বর অভিযোগ আমলে নিয়ে পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগ গঠনের পর ২০১৯ সালের ২ জানুয়ারি জামিনে থাকা অবস্থায় মারা যান আসামি মো. এমদাদুল হক ওরফে খাজা। পরে প্রসিকিউশনের আবেদনে ৩০ জানুয়ারি এ আসামির নাম মামলা থেকে বাদ দেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করা হয়।
তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ১৩ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষের কোনো সাক্ষী ছিল না। সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হলে ২০২২ সালের ৩ জুলাই যুক্তিতর্ক শুরু হয়। শেষ হয় চলতি বছর ২৪ জানুয়ারি।
এ দিনই মামলাটি রায়ের জন্য আপেক্ষায় রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার রায়ে তিন রাজাকারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
কোকেন উদ্ধার: পেরুর নাগরিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার ওয়েস্টার্ন হোটেল থেকে তিন কেজি কোকেন উদ্ধারের ঘটনায় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ান পাবলোররাফেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মামলার আরেক আসামি মোহাম্মদ মোস্তফা আশরাফ নামে এক পাকিস্তানি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় দেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন- মো. মোস্তফা, শামসুল হক, হালিমা খান সাদিয়া, সাবরিনা নাসরিন তানিয়া ও মো. আশরাফ নাসিম।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার সাজার বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ জুন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়েস্টার্ন হোটেলের সপ্তম তলায় ৭০৭ নম্বর রুমে তল্লাশি চালান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এসময় পেরুর নাগরিক গাজাসিটাল ভারাডো জুয়ানের কাছে থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের ভেতর থেকে তিন কেজি কোকেন জব্দ করা হয়।
চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোফাজ্জল হোসেন বাদী মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ওবায়দুল করীম ৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০১৫ সালের ১৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন
আরও পড়ুন: গ্রাহকের টাকা আত্মসাত: ব্যাংক কর্মকর্তার কারাদণ্ড