সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫ মিনিটে লন্ডনে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক বার অ্যাসোসিয়েশনের কনফারেন্সে এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশের জনগণের বিশেষ করে দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যয়বিচার প্রাপ্তির পথে বাধা দূরীকরণ এবং নারী ও শিশুর আইনী অধিকার রক্ষার জন্য অসামান্য অবদানের জন্য আইনজীবী ইশরাত হাসানকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
আন্তর্জাতিক বার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জনস্বার্থে আইনজীবী ইশরাত হাসানের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রেলস্টেশন, বাস স্টেশন, শপিং মল, আদালতসমূহ এবং সকল অফিস সহ জনবহুল স্থানে ব্রেস্টফিডিং রুম এবং শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আদালত রুল জারি করেন। ফলশ্রুতিতে, বাংলাদেশের কিছু কিছু কর্মস্থলে কর্মজীবী মায়েদের শিশুদের জন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনজীবী ইশরাত হাসান এই রিটে তার ৯ মাস বয়সী শিশু উমাইর-বিন-সাদীকে পিটিশনার করেছিলেন।
এ বিষয়ে অনুভুতি জানতে চাওয়া হলে আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ভাবতে খুবই ভালো লাগছে বিশ্বের এতগুলো দেশের আইনজীবীদের মধ্যে আমাকে পুরস্কৃত করা হলো। এটা নিঃসন্দেহে আমার জন্য আমার দেশের জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। এই পুরস্কার আমার একার না, আমাদের দেশের সকল নারী ও শিশুর জন্য এই পুরস্কার। আরও ভালো লাগছে, প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আমি এই পুরস্কার পেয়েছি। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মানবাধিকার রক্ষায় বিশেষ করে নারী ও শিশুর অধিকার রক্ষায় কাজ করতে আমাকে আরও উৎসাহ যোগাবে।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের ৮০ হাজার আইনজীবী এবং ১৯০টি বার অ্যাসোসিয়েশন এবং ল’সোসাইটি আন্তর্জাতিক বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক সংগঠনের সদর দপ্তর লন্ডনে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট, দক্ষিণ কোরিয়া এবং ব্রাজিলে আঞ্চলিক অফিস রয়েছে।