এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই প্রবাসীর স্ত্রী কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে বৃহস্পতিবার বিকালে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন-শহরের স্যার ইকবাল রোডের বাসিন্দা আব্দুল করিমের ছেলে রবিউল ইসলাম সোহাগ (২০) ও আড়ুয়াপাড়া এলাকার আব্দুল সড়কের বাসিন্দা শফিউল ইসলামের ছেলে শাকিল আহমেদ (২২)।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর স্বজনরা জানান, শহরের একটি কোচিং সেন্টারে বড় ছেলেকে সাথে নিয়ে প্রতিদিন পড়াতে যান। বুধবার বিকালে সন্তানকে কোচিংয়ে দিয়ে তিনি বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আগে থেকেই পূর্ব পরিচিত এক নারী তাকে বলেন, এখানে দুই ঘণ্টা শুধু শুধু বসে অপেক্ষা না করে চলেন একটু ঘুরে আসি। পরে ওই নারী তাকে সাথে নিয়ে শহরের এনএস রোডের একটি বাসায় নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ওই নারীর ফোন আসার পর তাকে ঘরের মধ্যে রেখে দরজা আটকে দিয়ে বাইরে চলে যান। এ সময় পাশের কক্ষে অবস্থান করা দুই যুবক হঠাৎ এসে তাকে ও তার চার বছরের শিশু ছেলেকে মারধর করেন। পরে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন।
আরওপড়ুন:সাভারে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
তিনি জানান, ধর্ষণের ভিডিও ওই নারীর ভাসুরের কাছে পাঠানোর কথা বলে যুবকরা হুমকি দেন। এ সময় ভুক্তভোগী তাদের হাত-পা ধরে বারবার ক্ষমা চান। এক পর্যায়ে টাকা দেয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর বাড়িতে ফিরে তিনি বিষয়টি তার স্বজনদের জানান। বাড়িতে আসার পর একটি মোবাইল নাম্বার থেকে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এ সময় তিনি নিজের মোবাইলে কলটি রেকর্ড করে রাখেন। পরে মডেল থানা পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি জানান।
এরপর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ঈদগাহ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:ফেনীতে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত পূর্ব পরিচিত ওই নারী ছাড়া অন্য আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি।