দিনাজপুরের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালকে এ আদেশ বাস্তবায়ন করে প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
রবিবার এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বত-প্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন।
এছাড়া মামলা নিষ্পত্তিতে প্রসিকিউশনের গাফিলতি পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। একই সাথে দিনাজপুরের সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও নারী ও শিশু বিষয়ক কর্মকর্তাকে ভিকটিমের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।
আদালতে এই শিশু ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘ সূত্রিতার বিষয়টি নজরে আনেন আইনজীবী মো. আতাউল্লাহ নুরুল কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
আতাউল্লাহ নুরুল কবির বলেন, ‘এই শিশুটি ধর্ষণ মামলার বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছেন ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’নামক একটি মানবাধিকার সংগঠন। তারাই এই মামলাটির বিচার বিলম্বের বিষয়টি আমাকে জানায়। এরপর এই সংগঠনের সার্বিক সহযোগিতায় আমি একটি স্বত:প্রণোতিক আবেদন করি। আদালত মামলাটির বিচার ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করে প্রতিবেদন দাখিলসহ চারদফা নির্দেশনা দিয়েছেন।’
জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ অক্টোবর দুপুরে ভিকটিম শিশু বাড়ির সামনে কাঁচা রাস্তায় কয়েকজন ছেলে-মেয়ের সাথে খেলা করছিল। সেখান থেকে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি শিশুটিকে ফুসলিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করে আফজাল হোসেন কবিরাজ।
এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা পার্বতীপুর থানায় একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। আইন অনুযায়ী এ মামলাটির তদন্ত শেষে ৬ মাসের মধ্যেই বিচার শেষ হওয়ার কথা।