%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
সিলেট-৩ আসনে ফলাফল প্রত্যাখান দুলালের
নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, সন্ত্রাসী হামলা ও জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনের সতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল।
তিনি রবিবার (৭ জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বিএনপির ৪৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
পাশাপাশি ভোটের দিন বিকাল পৌনে ৪টায় সামগ্রিক অনিয়ম বিবেচনায় তিনি নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রত্যাহার করে নেন বলেও দাবি করেন।
ডা. দুলালের অভিযোগ, তার নির্বাচনি এলাকার প্রায় ৪৭টি ভোটকেন্দ্র থেকে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। বিকাল ৩টার দিকে নৌকার এজেন্টরা নির্বাচন পরিচালনাকারীদের সহায়তায় জাল ভোট প্রদানের উৎসব শুরু করেন।
তাছাড়া ট্রাক প্রতীকের কর্মীদের মারধর, হুমকি প্রদান ও পেশীশক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। এসব বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করলেও তারা তা আমলে নেয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট-২ আসন: পুনঃনির্বাচনের দাবি চার প্রার্থীর
লিখিত বক্তব্যে ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে বলেন, নির্বাচনি প্রচারকালে তার কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। পোস্টার, লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হয়। নির্বাচনের কয়েকদিন আগে নৌকার প্রার্থীর কম্বল বিতরণ, স্কুলে অনুদানের ঘোষণা, তোরণ নির্মাণসহ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।
নির্বাচনের দিন দুপুর থেকেই শুরু হয় সন্ত্রাস আর জাল ভোটের উৎসব। সকাল থেকেই তার বিভিন্ন এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় ও কোনো কোনো জায়গায় ঢুকার পর বের করে দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় বালাগঞ্জের বোয়ালজুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদানে বাধা দিলে তার একজন কর্মীকে নৌকার সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে মারাত্মক জখম করে।
শুধু তাই নয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে আটকে রেখে অন্যান্য এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই সময় বালাগঞ্জের বোয়ালজুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে হামলা, ট্রাক এজেন্টদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও কেন্দ্র্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
সোনাপুর কেন্দ্রে সব এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়। নির্বাচন পরবর্তী এখন পর্যন্ত তার নির্বাচনি এলাকায় বিভিন্ন কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ছাড়া করার ঘটনা ঘটেছে। তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ফলাফল প্রত্যাখান করেন।
তিনি আরও বলেন, কামালবাজার জালালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রটি নৌকার প্রার্থীর জন্য সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উক্ত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কারণ নৌকার প্রার্থী নিজে প্রথম ভোট প্রদানের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শুরু করবেন সেজন্য এই অনিয়ম।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
সিলেট-২ আসন: পুনঃনির্বাচনের দাবি চার প্রার্থীর
ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সিলেট-২ আসনের ফলাফল বাতিল করে পুণরায় নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চার প্রার্থী।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজারের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে তাদের অভিযোগগুলো বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এর আগে রবিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে নিজেদের এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তারা।
আরও পড়ুন: সিলেট-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের আভাস
তারা হলেন, গণফোরামের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (উদীয়মান সূর্য), জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান (ট্রাক) এবং তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ আবদুর রব (সোনালী আঁশ)।
সংবাদ সম্মেলনে এই চার প্রার্থী ভোট বাতিল করে আবারও ভোট গ্রহণের দাবি জানান। না হলে তারা আইনি লড়াইসহ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের দিন রবিবার যেটি হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ একটি প্রহসনের নির্বাচন। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও ইলেকশন কমিশনের কথায় বিশ্বাস করে প্রতারিত হয়েছি। রবিবারের এটি কোনো নির্বাচনই ছিল না। তাই আমরা বর্জন করতে বাধ্য হয়েছি। আমাদের এজেন্টদের মারধর, জোর করে বের করে দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে টেবিল কাস্টসহ ব্যাপক অনিয়মের কারণে আমরা নির্বাচনের দিন দুপুর ১২টার আগেই ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। পরে বেলা ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেই আমরা চারজন। আমরা সবাই রবিবারের সিলেট-২ আসনের সব কেন্দ্রের ভোট ও ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং আবারও নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে দু-এক দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাশাপাশি আমরা আন্দোলনও চালিয়ে যাব।
আরও পড়ুন: সিলেট-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান বলেন, নির্বাচনের দিন আমরা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হয়েছি। সরকারের বিভিন্ন পর্যায় ও ইলেকশন কমিশন থেকে আমাদের বার বার বলা হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে। কিন্তু তাদের কথায়-কাজে মিল পাওয়া যায়নি, প্রহসনের নির্বাচন উপহার দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী বলেন, আমাকে একটি সেন্টারে অবরুদ্ধ করে রেখে নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা টেবিল কাস্ট করেছেন। আমি বার বার ফোন করেও নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমি প্রায় দুই ঘণ্টা তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিলাম। এরপরই আমরা ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেই। আমাদের এজেন্টদের নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অনেক কেন্দ্রে ঢুকতেই দেয়নি, অনেক কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। এই অবস্থায় নির্বাচন বর্জন করা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার ছিলো না। তা ছাড়া প্রহসনের নির্বাচন দেখে আমি নিজেও ভোট দিইনি।
তৃণমূল বিএনপির আব্দুর রব মল্লিক বলেন, আমি একটি সূত্রে জানতে পেরেছি, আগের রাতেই ৩৮টি কেন্দ্রের ব্যালট পেপারে নৌকায় সিল মারা হয়ে গিয়েছিল। আমরা এই চার প্রার্থী দীর্ঘ প্রবাস জীবন কাটিয়েছি। সেখানকার সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা এখানেও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। একটি প্রহসনের নির্বাচন আমাদেরকে উপহার দেওয়া হয়েছে। আমরা এ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনঃভোটের আবেদন করছি। পাশাপাশি আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভোটকেন্দ্রের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আগুন
উল্লেখ্য, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী সিলেট-২ আসনে নৌকা প্রাতীকে ৭৮ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহিবুর রহমান ট্রাক প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৬ হাজার ৬৬১টি।
জাতীয় পার্টির ইয়হইয়া চৌধুরী লাঙল প্রতীকে ৬ হাজার ৮৭৪, গণফোরাম প্রার্থী মোকাব্বির খান উদীয়মান সূর্য প্রতীকে ১ হাজার ৯২২টি এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুর রব মল্লিক সোনালী আঁশ প্রতীকে ৯৪৪টি ভোট পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
নরসিংদীতে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ
নরসিংদীর মাধবদীতে গ্যাস পাইপলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতরা হলেন- শামীম মিয়া (৪০), তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে সানজিদা (১৮) ও রিয়া মনি (৯), শামীমের বড় ভাই গাফফার মিয়া (৪৪) ও ছোট ভাই রশিদ মিয়া (৩২)।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সোমবার (৮ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে সদর উপজেলার নুরালাপুর ইউনিয়নের গদাইরচর এলাকার একটি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, আলগী এলাকার মানিক মিয়া নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে ভোটকেন্দ্রে ককটেল বিস্ফোরণে আনসার কর্মকর্তা আহত
সম্প্রতি মানিক মিয়া শামীম মিয়ার বাড়ির পাশের ড্রেন দিয়ে বিলকিস নামে এক নারীর বাড়িতে অবৈধ সংযোগ দিয়েছেন।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান জানান, পাইপে গ্যাস লিকেজ বিস্ফোরণের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বঙ্গোপসাগরে ১৩ জেলে নিয়ে নিখোঁজ মাছ ধরার ট্রলার
চট্টগ্রামের আনোয়ারার সরেঙ্গা ঘাট থেকে ১৩ জেলে নিয়ে ‘মা জননী’ নামে একটি মাচ ধরার ট্রলার গত পাঁচ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
এরই মধ্যে ট্রলারটি খুঁজতে আনোয়ারার উপকূল থেকে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ট্রলারটির কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে সরেঙ্গা ঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য রওনা দেয় ট্রলারটি।
ট্রলার এর মালিক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ট্রলার রওনা দেওয়ার সময় প্রায় দুই সপ্তাহের মতো খাবার দেওয়া হয়। বুধবার রাতে রওনা দেওয়ার পর শুক্রবার তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
তারা তখন জানিয়েছিলেন, ট্রলারের ইঞ্জিনের সমস্যা হয়েছে ট্রলার চলছে না। তারা এখন পানিতে ভাসছে। তখন তারা সেন্টমার্টিনের বাইরে ও টেকনাফের কাছাকাছি ৩০ ভিউ পানিতে (জেলেদের নিজস্ব ভাষা) নেটওয়ার্কের মধ্যে অবস্থান করছিলেন।
পরে তখনই তাদের উদ্দেশে আমরা আরেকটি ট্রলার পাঠাই। ট্রলারটি তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো খোঁজ পায়নি। বিষয়টি আমরা নৌপুলিশকে জানিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ
এ বিষয়ে নৌপুলিশের কর্তব্যরত মো. ফারুক জানান, বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে। তবে আমরা গত কয়েক দিন ধরে নির্বাচনের ডিউটিতে রয়েছি। এরই মধ্যে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে কেউ খবর পেলে আমাদের জানায়।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ শুরু করবে ডিএসসিসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহৃত পোস্টার, ব্যানারসহ নির্বাচরি প্রচারসংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা থেকে করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই একযোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আরও পড়ুন: ডিএসসিসিতে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি পদে রদবদল
সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। করপোরেশনের প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এ কাজে সম্পৃক্ত থাকবে।
নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানার অপসারণ প্রসঙ্গে করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টা থেকেই আমরা নির্বাচনি পোস্টার-ব্যানারসহ নির্বাচনি প্রচারকাজে ব্যবহৃত সংশ্লিষ্ট সামগ্রী অপসারণ কার্যক্রম শুরু করা হবে। সারা রাত এ কাজ চলবে। আজকের মধ্যে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না হলে ধারাবাহিকভাবে আগামীকাল রাতেও এ কাজ পুনরায় শুরু করা হবে।’
আরও পড়ুন: ডিএসসিসির আওতাধীন ভোটকেন্দ্রে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালিত
তিনি আরও বলেন, এই অপসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নির্বাচন পূর্ববর্তী অবয়বে আমরা ঢাকা শহরকে ফিরিয়ে আনতে চাই। এ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়নে সম্মানিত প্রার্থীদের আমাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে আহ্বান জানাই। এছাড়াও নগরীর সৌন্দর্য রক্ষার্থে নতুন করে কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুন না লাগানোর জন্য নগবাসীকে আন্তরিকভাবে অনুরোধ করছি।’
আরও পড়ুন: একনেকে অনুমোদন পেল ডিএসসিসির ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ প্রকল্প
নাটোরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ৭টি বাড়ি ভাঙচুর
নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় নাটোর-১ আসন থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা সাতটি বাড়ি ও স্থাপনা ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী বাড়ির মালিকরা অভিযোগ করেন, সোমবার সকালে দয়ারামপুর ইউপি সদস্য আক্কাস আলীর নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা ছত্রলীগ নেতা জাকারিয়ার বাড়িতে হামলা চালায়।
তারা বাড়ি থেকে মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: নাটোর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর
একইভাবে নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরপরই চাঁদপুর, ফকির, টুনিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও নাটোর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুলের সমর্থকদের বাড়িঘর ও স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আতঙ্কের মধ্যে বাড়ি ঘর ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
আরও পড়ুন: শিবপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ও সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর, আহত ১০
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নান্নু খান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুলকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: ভোলায় পুলিশ-বিএনপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ল্যাব এইড ক্লিনিক ভাঙচুর
বগুড়ার মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে পিকআপে আগুন
বগুড়া সদরে ব্যারিকেড দিয়ে একটি পিকআপে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে বগুড়া সদর থানার এরুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দু’টি বাস ও পিকআপে আগুন
তবে এ সময় পিকআপ চালক বা কেউ আহত হননি।
পিকআপ চালক রতন হোসেন জানান, আক্কেলপুর থেকে খালি পিকআপ নিয়ে শিবগঞ্জের মোকামতলা কলার হাটে যাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে এরুলিয়া আইডিয়াল স্কুলের সামনে পৌঁছালে সড়কে কাঠের বেঞ্চ দিয়ে ব্যারিকেড দেখতে পান। ধারণা করেন পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ সময় তিনি পিকআপ থামালে সড়কের পাশ থেকে ১০-১২ জন যুবক এসে তাকে নামিয়ে ভাঙচুর করে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: অবরোধ: টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে আগুন
বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম রানা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিভিয়ে ফেলেছেন। আগুনে পোড়া পিকআপটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে কাভার্ডভ্যানে আগুন
ঝিনাইদহে নির্বাচনের পর ৫০টি বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ, আহত ১০
ঝিনাইদহে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া এসব বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও সুরাপাড়া গ্রামে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
স্থানীয়রা জানায়, রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-২ আসনে সতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল নির্বাচিত হন। ফলাফল ঘোষণার পর সদরের ওই তিনটি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এরই জের ধরে সোমবার সকালে মহুলের সমর্থক পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের অনুসারীরা পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির সমর্থক জেলা যুবলীগের সদস্য ইব্রাহিম খলিল রাজার বাড়িসহ তার অনুসারীদের বাড়িতে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা বারইখালী, হীরাডাঙ্গা ও শুরাপাড়া গ্রামের অন্তত ৫০টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে এবং বাধা দেওয়ায় তাদের হামলায় আহত হয় অন্তত ১০ জন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টসহ আহত ৪
সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
প্রজনন মৌসুমের কারণে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার উপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বন বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমতিপত্র) বন্ধ রাখা হয়েছে।
১ জানুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। অবৈধভাবে কেউ যাতে বনে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারেও নেওয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষে থেকে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস প্রাকৃতিক মৎস্য সম্পদ মা কাঁকড়ার প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময়ে প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে সরকারিভাবে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার পাস (অনুমোদন) বন্ধ রাখার নির্দেশনা রয়েছে। এই দুই মাসে ডিমওয়ালা মেদী-মায়া কাঁকড়া বিভিন্ন নদী খালে কোটি কোটি বাচ্চা ছাড়ে। আর বনের উপকূলীয় এলাকার হাজারো জেলে এই কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ ছাড়া এই কাঁকড়া বিদেশে রপ্তানি করে ব্যবসায়ীরাও বছরে কোটি টাকা আয় করেন।
বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জল ভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গ কিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
সুন্দরবনের জল ভাগে ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ, ২৪ প্রজাতির চিংড়ি ও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। বনের এই প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় এবং মা কাঁকড়ার প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষে ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখেন।
আরও পড়ুন: ভারতের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞায় রাতারাতি পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২০০ টাকা ছাড়াল
এদিকে এই দুই মাস কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হাজারো জেলে।
কয়রা উপজেলার ৬ নম্বর কয়রা গ্রামের জেলে শ্যামল কয়াল বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। বন বিভাগ অনুমোদন বন্ধ করে দিয়েছে তাই সুন্দরবন থেকে তিন দিন আগে কাঁকড়া ধরা বন্ধ করে বাড়ি ফিরে এসেছি। শুধু আমি না আমার মতো সব জেলে নৌকা নিয়ে ফিরে এসেছে। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে যায় না। আর যারা যায় তারা অধিকাংশ অতি দরিদ্র পরিবার।
তিনি আরও বলেন, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে এই দুই মাস দরিদ্র পরিবারগুলোর খেয়ে না খেয়ে কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তারপরও সরকারি নিয়ম তো মানতে হবে। তাছাড়া কাঁকড়া ধরা বন্ধের সময়ে সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা থাকলে এমন কষ্ট হতো না। তিনি বন্ধের সময়ে সরকারি সহায়তা দেওয়ার দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি বলেন, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে অনুমোদন বন্ধ থাকায় অসহায় জেলেরা অতি কষ্টে জীবনযাপন করে। তাই এই দুই মাস জেলেদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
কাশিয়াবাদ স্টেশন কর্মকর্তা নির্মল কুমার মন্ডল বলেন, এলাকায় কাঁকড়া ধরা বন্ধের বিষয় মাইকিং করা হয়েছে।
খুলনা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, প্রজনন মৌসুমে সুন্দরবনে কাঁকড়া বৃদ্ধির লক্ষে প্রতি বারের মতো এবারও জেলেদের অনুমোদন বন্ধ রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কাঁকড়ার যখন ডিম হয় তখন কাঁকড়া ধরা খুব সহজ। এই সময়ে কাঁকড়া খুব ক্ষুধার্ত থাকে। এদের সামনে যে খাবার দেওয়া হয় তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। এই সময় যদি কাঁকড়া ধরা না হয় তাহলে পরের বছর বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। যে কারণে কাঁকড়ার প্রজননকাল নির্বিঘ্নে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ট্রাকচাপায় নিহত ৩
তিনি বলেন, এখন শুধু মাছের পাস দেওয়া হচ্ছে। মাছের পাস নিয়ে কেউ কাঁকড়া ধরলে বা কোনো নৌকায় কাঁকড়া ধরা সরঞ্জাম পেলে সেসব জেলের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে বন বিভাগ কঠোর অবস্থা রয়েছে। যাতে করে কেউ কাঁকড়া আহরণ করতে না পারে।
নির্বাচনে টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতে বিটিআরসির গৃহীত পদক্ষেপ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জরুরি সেবা হিসেবে মানসম্মত টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিটিআরসি।
এ উপলক্ষে টেলিকম অপারেটরদের জরুরি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়োজিত যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে বিটিআরসি।
বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট সব মোবাইল, টাওয়ার-কো, এনটিটিএন, আইএসপি, আইআইজি, আইসিএক্স, আইজিডব্লিউ প্রভৃতি অপারেটরগুলোর গুরুত্বপূর্ণ সাইট, পপ, হাব-সাইটসহ অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণসহ স্ব-স্ব টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক নিশ্চিতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। মানসম্মত টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণের অংশ হিসেবে টেলিকম অপারেটর কর্তৃক ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি সার্বক্ষণিক নেটওয়ার্ক মনিটরিয়ের ব্যবস্থাকরণ, বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতকরণে পোর্টেবল ও ডিজেল জেনারেটরের নেটওয়ার্ক সচল রাখার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির ব্যবস্থাকরণ প্রয়োজনীয় মোবাইল বিটিএসের ব্যবস্থাকরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সকল টেলিকম অপারেটরদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রণয়নসহ সার্বিকভাবে সব কার্যক্রম সুচারুরূপে পর্যবেক্ষণের জন্য বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়।
বিটিআরসির মনিটরিং সেলের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সার্বিক পর্যবেক্ষণ, তদারকি ও দিক নির্দেশনা প্রণয়নের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিতকরণ বাস্তবায়ন হয়েছে।