সারাদেশ
কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ভূমি অফিসের এক কর্মচারী হত্যা মামলার পলাতক তিন আসামিকে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
নিহত আব্দুর রাজ্জাক (৫৫) কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শেরকান্দি গ্রামের ভূমি অফিসের কর্মচারী ছিলেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমরাখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কোমরকান্দী গ্রামের মৃত আকরাম বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল বিশ্বাস(৪৭), মৃত আকবর শেখের ছেলে ছদ্দিন শেখ(৪০) ও লাচেন জোয়াদ্দারের ছেলে রাশেদ জোয়াদ্দার (৩৫)।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস খান জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আব্দুর রাজ্জাককে কুপিয়ে হত্যা করে অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় নিহত রাজ্জাকের স্ত্রী রেবেকা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই মামলার আসামিরা সবাই পালিয়ে ছিল। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য মেহেরপুর ও পাবনাসহ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় র্যাব-১৩ ।
কুষ্টিয়া ইউনিটের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি পলাতক কয়েকজন আসামি ঢাকায় পালিয়ে আছেন। এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহোযোগীতায় শনিবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদে তারা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় র্যাব।
র্যাব আরও জানায়, রবিবার দুপুরে প্রেপ্তার আসামিদের কুমরাখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার১
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
ডাকাতি মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
মেঘনা নদীতে ডাকাতি মামলায় চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ানম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নৌ-পুলিশ।
গ্রেপ্তার সালাহউদ্দিন ওই ইউনিয়নের কামাল সরদারের ছেলে এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ৪নং নীলকমল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি মামলায় খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাই কারাগারে
পুলিশও মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালে ২ জুলাইয়ে ট্রলার মালিক সাদ্দামের অভিযোগের ভিত্তিতে মতলব উত্তরের মোহনপুর নৌ-থানায় একটি ডাকাতি মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ বেপারীকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে করলে তিনি ডাকাতির ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন অন্যতম আসামি বলে স্বাকারোক্তি দেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন: ছেলেসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক বাবুল বালা ও ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার সালাহউদ্দিন সরদারের বিরুদ্ধে মতলব উত্তরে একটি ডাকাতি মামলা রয়েছে। ওই মামলার অন্যতম আসামি সোহাগ বেপারীর স্বীকারোক্তিতে শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ৪নং আসামি হিসেবে সালাহউদ্দীনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউপি নির্বাচনের সহিংসতা: মানিকগঞ্জে আ’লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার
ওসি জানান, আইনগত প্রক্রিয়া শেষে শনিবার বিকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামে মাটি খুঁড়ে ২ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানার শাহমিরপুর বাদামতল এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির মাটি খুঁড়ে দুই লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার দুপুরে র্যাব -৭ চট্টগ্রাম চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী (২৬) ও মো. ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন (৩০)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক আটক
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর পরিচালক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ, বলেন, গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে র্যাবের একটি আভিযানিক দল কর্ণফুলীর শাহমিরপুর বাদামতল এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে মো. আজম উদ্দিন চৌধুরী ও মো. ছৈয়দ নুর প্রকাশ রুবেল হোসেন নামের দুজনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে, বাড়ির পাশের একটি গুদাম ঘরের মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা আনুমানিক দুই লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং পানির নিচে বিশেষ কায়দায় পলিব্যাগে করে লুকিয়ে রাখা ২টি ওয়ান শুটারগান ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এরপর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা দীর্ঘদিন ধরে সাগরপথে মিয়ানমার থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ইয়াবা সংগ্রহ করে এবং তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খুচরা ও পাইকারীভাবে বিক্রি করে।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ছয় কোটি ৬০ লাখ টাকা বলেও জানান র্যাব।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিতু হত্যা: বাবুলসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা
চট্টগ্রামে ৫ শিল্পপতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
এসএসসির বাংলা ১মপত্র খারাপ হওয়ায় খুলনায় পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
খুলনায় পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় আড়ংঘাটা থানা রংপুর শাড়াতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মন্দিরা বৈরাগী (১৬) রংপুর শাড়াতলা গ্রামের রনজিত বৈরাগীর মেয়ে এবং রংপুর মধ্যপাড়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তরুণ-তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যা
মন্দিরার চাচা গোবিন্দ জানান, নিজ বাড়ির শয়ন ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে থাকা অবস্থায় মন্দিরাকে ঘরের লোকজন দেখতে পায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা মন্দিরাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, এসএসসির বাংলা (প্রথম পত্র) পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় হতাশায় ভুগছিল মন্দিরা।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে মন্দিরার লাশ হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে খুলনার ডুমুরিয়ায় শনিবার বিকালে একটি পুকুর থেকে ১২ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মাশরাফি ফকির উপজেলার নোয়াকাটি গ্রামের মফিজুর রহমান ফকিরের ছেলে এবং ডুমুরিয়া ফুলজান্নেছা তাহফিজুল কুরআন বহুমুখী মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: চুরির অপবাদে নির্যাতন, অপমানে তরুণের আত্মহত্যা!
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া জানান, শুক্রবার বিকালে নিহত ছাত্র নিখোঁজ হয়। শনিবার বিকালে মাদরাসার পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। লাশ সুরতহাল প্রতিবেদনের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বালুখালী ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দায়ের কোপে পুলিশ সদস্য আহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র রোহিঙ্গাদের দায়ের কোপে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। শনিবার দুপরে উখিয়ার বালুখালী ৭নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত আবু সাঈদ (২২) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এ কর্মরত।
এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ জুবায়েরকে আটক করতে যায় পুলিশের একটি দল। এসময় জুবায়েরের ভাই সানাউল্লাহ নামের আরেক রোহিঙ্গাসহ ৪/৫ জন যুবক পলিশের আভিযানিক দলের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় সানাউল্লাহ’র ধারালো দার আঘাতে কনেস্টেবল আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।
পরে,আবু সাঈদকে আহত অবস্থায় কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
সাঈদ বর্তমানে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দায়ের কোপে তার ডান হাতের কবজিতে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান,এঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং জুবায়ের সহ বাকিদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
কুতুপালং ২-ইস্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পের হামিদ হোসেনের ছেলে জুবায়েরের বিরুদ্ধে অপহরণ,চাঁদাবাজী ও হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার আসামি জকোরিয়ার কারাগারে মৃত্যু!
কূটনৈতিকভাবে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ সরকার: জিএম কাদের
মিয়ানমার সীমান্তে গোলাবর্ষণে রোহিঙ্গা কিশোর নিহত, আহত ৫
কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে শিশুদের মানববন্ধন
কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও স্কুল ছাত্র স্বপ্নীলের ওপর ছিনতাইকারীর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে স্থানীয় শিশুরা। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়।
জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ঝিনুকমালা খেলাঘর আসর আয়োজিত এ সমাবেশে শিশুরা তাদের বক্তব্যে জানান, কক্সবাজারে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি বেড়ে গেছে। বেড়ে গেছে বখাটেদের উৎপাত ও কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা। তাই স্কুলে ও প্রাইভেট কোচিং এ যেতেও ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
অভিভাকরা বলেন,কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। যার কারণে শিশুরা সকালে এবং বিকালে প্রাইভেট কিংবা কোচিংএ যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সফর শেষ করেছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত
‘আমি বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না’
‘আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পেছনে খুব ভালোমতো লেগেছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।’
খুলনার কয়রায় কলেজছাত্রী তনুশ্রী মাঝি (১৮) তিনজনকে দায়ী করে এই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের হড্ডা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃত তনুশ্রী মাঝি দীপক মাঝির একমাত্র মেয়ে। এছাড়া তনুশ্রী গড়ইখালী আবু মুছা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: মোবাইল গেম খেলতে না দেয়ায় স্কুলছাত্রের ‘আত্মহত্যা’
দীপক মাঝি জানান, দুপুরের খাবার খেয়ে নদীর চরে গাছ থেকে কেওড়া পাড়তে যান। বিকালে সাড়ে ৪টার দিকে জানতে পারেন তার মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে। দ্রæত বাড়ি এসে মেয়ের ঘরে দরজা দেয়া দেখতে পেলে জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন। তিনি মেয়ের পা উঁচু করে ধরেন এবং তার মা দড়ি কেটে দেয়। তখন বেডে শোয়ানোর সময় মোবাইল দিয়ে চাপা দেয়া একটি কাগজ দেখতে পান।
ওই কাগজে তিনজনকে দায়ী করে নোট লেখা ছিল।
মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের মেম্বার চায়না মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে খবর পেয়েই আমি তনুশ্রীদের বাড়ি যাই। সেখানে গিয়ে দেখি সে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
পুলিশ সেখান থেকে একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)এবিএমএস দোহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের সময় একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে।
ওই নোটে মৃত্যুর জন্য তিনজনকে দায়ী করেছেন তনুশ্রী। সুইসাইড নোটের একটি অংশে লেখা ছিল-আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাইছিলাম, কিন্তু পারলাম না। ওরা আমার পেছনে খুব ভালোমতো লেগেছে। আমি না মরা পর্যন্ত শান্তি পাবে না। শুভ, আলিফ, মিহির ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।
তিনি আরও জানান, লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আত্মহত্যার বিষয়ে করো প্ররোচনা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় তরুণ-তরুণীর বিষপানে আত্মহত্যা
ডুমুরিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূর বিষপানে আত্মহত্যার অভিযোগ
নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ ড. কামালের
গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন দেশের রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের কাঠামো গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, অর্থ ও ক্ষমতার লোভ বর্তমান রাজনীতিকে ভয়াবহ ব্যাধিতে আক্রান্ত করেছে। একটি সুস্থ রাজনীতি এই রোগ দূর করে মানুষের আশা-আকাঙ্খা পূরণ করতে পারে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণফোরামের এক সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল এসব কথা বলেন।
ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও মিজানুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে গণফোরামের ১০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা করা হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান ড.কামালের
বেশিরভাগ বিরোধী দলের মতামত উপেক্ষা করে পরবর্তী নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তকে উদ্বেগজনক লক্ষণ উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি নিন্দা জানান তিনি।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ‘আমরা বর্তমান অনিশ্চয়তার অবস্থাকে চলতে দিতে পারি না। সংকট নিরসনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কাঠামো গঠনের দাবিতে নাগরিক, সকল নাগরিক সংগঠন, ছাত্র, কর্মী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিক্ষক, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশাজীবী এবং নারী সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
ড. কামাল বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসির ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জাতি ধ্বংস হওয়া নির্বাচনী ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায়। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে রক্ষা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হলে অবশ্যই দেশ ও অর্থনীতিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। আসুন একতাবদ্ধ হই, আপনাদের কাছে আমার এই আহ্বান। আসুন জনগণের ঐক্য ও নাগরিক ঐক্য গড়ে তুলি।’
ড. কামাল বলেন, ‘আপনারা নিজ এলাকায় যান এবং স্থানীয় জনগণকে বলুন যে এই দেশটি আমাদের সকলের। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে বাঁচাতে হবে। আমি ঐক্যের ওপর জোর দিতে চাই।’
সরকারের অবহেলা থেকে রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ঐক্যের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি সেই ঐক্যের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে হবে।’
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
সরকার রাজনীতিকরণ করে রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বিভক্ত করেছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার অভিযোগ করে বলেছেন, বর্তমান সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বিভক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনি যদি আদালতে যান তাহলে সঠিক বিচার পাবেন না। আপনি যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যান তাহলে আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি বিএনপি না আওয়ামী লীগ করেন। যদি আপনার বিএনপির পরিচয় থাকে তাহলে কোনও সহযোগিতা পাবেন না। বরং আপনার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করবে তারা।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অ্যাডভাইজারি কাউন্সিলের সদস্য গাজী মাজহারুল আনোয়ার স্মরণে একটি আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। ড. খন্দকার মোশাররফ ফাউন্ডেশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ঢাকা
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবদের হৃদয়ে যে পাকিস্তান সেটিই বেরিয়ে এসেছে: তথ্যমন্ত্রী
মহানগর দক্ষিণের তিন নেতা রাতে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন এবং তাদেরকে একটি মামলায় জড়ানো হয়।
ফখরুল বলেন, ‘সরকার ১২-১৫ বছরের মধ্যে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে ফেলেছে। এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে রাজনৈতিক পরিচয়ে বিভাজন করা হয়নি।’
বিএনপি নেতা বলেন, তিনি ব্যথিত, কারণ দেশের মসজিদ, মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানসমূহ বিভক্ত হয়ে গেছে। ‘এই বিভাজন কখনও কোন জাতিকে সামনে এগিয়ে
নেয় না। জাতি কেবল ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগুতে পারে, যা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে করেছিলেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘আমি প্রায়ই বলি আমরা খারাপ পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে সময় পার করছি। সরকার মিথ্যাচার, অপকর্ম ও দুর্নীতির মা্ধ্যমে সবকিছু ধ্বংস করেছে।’
ফখরুল বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মা্ধ্যমে সংসদে সত্যিকার জনপ্রতিনিধি না থাকায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ ধ্বংস হয়েছে, রাজনৈতিক কাঠামো ভেঙে পড়েছে। ‘আমরা কিভাবে এখান থেকে উত্তরণ করব? এখন সেটাই বড় প্রশ্ন।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে শান্তিতে বাঁচতে পারে সেজন্য দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে জনগণকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
দেশের প্রতি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে গাজী মাজহারুল আনোয়ারের অবদানের কথা পুর্নব্যক্ত করে ফখরুল বলেন, তিনি ছিলেন আলোকবর্তিকা। তিনি আমাদের কাছে একজন তারকা। ‘আমরা তার গান, চরিত্র ও কর্ম দিয়ে অনুপ্রাণিত হই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার মোশাররফ হোসেন মাজহারুল আনোয়ারের বর্ণাঢ্য জীবনী ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:এই সরকারের অধীনে আর নির্বাচন নয়: ফখরুল
শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
মিয়ানমারের মর্টারশেল নিক্ষেপ: প্রয়োজনে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবে বাংলাদেশ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মিয়ায়নমারের বিষয়টি কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে সরকার। তবে প্রয়োজন হলে সীমান্তে মর্টারশেলিং বিষয়ে জাতিসংঘে একটি অভিযোগ জানানো হবে।
শনিবার রাজধানীতে আহছানিয়া মিশনের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারকে বার বার সতর্ক করছে। তবুও তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না।
‘তামব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেলিংয়ে হতাহতের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছি,’ তিনি যোগ করেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যেই রাখতে হবে। কিন্তু তাদের বাহিনী বার বার বাংলাদেশিদের আহত করছে।’
তিনি বলেন, মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে আছে যাতে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শুক্রবার রাতে বান্দরবানের তমব্রু’র আন্তর্জাতিক জিরো পয়েন্টে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে মিয়ানমার বাহিনী একটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করলে মোহাম্মদ ইকবাল(১৭) নামে এক কিশোর নিহত হন। এসময় আহত হন আরও পাঁচজন।
আহত ও ক্ষতিগ্রস্তরা সকলে জিরো পয়েন্টের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। ক্যাম্পটি মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টের বা নো ম্যান’স ল্যান্ডে অবস্থিত।
শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাছে চারটি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার।
শুক্রবার বিকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে অংথোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা নামের এক আদিবাসী তরুণ মারাত্মক আহত হন।
কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তে ১২টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন:সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে সমাজকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশের দিকে গুলি চালানোর বিরুদ্ধে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী