সারাদেশ
খুবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
মেস থেকে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কাজল মণ্ডল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই হল রোডের এক মেসে থাকতেন। তার বাড়ি যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায়।
প্রাথমিকভাবে তার বন্ধু ও সহপাঠীদের ধারণা, ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন হাতাশা থেকে কাজল আত্মহত্যা করতে পারেন।
কাজলের আত্মহননের এ ঘটনায় কাজলের কাছের বন্ধুরা জানান, কাজল বেশকিছু দিন যাবৎ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিষণ্ণতায় ভুগছিলেন। এরই জের ধরে আজ তিনি গলায় ধুতি পেচিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন।
খুলনার হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ‘আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা এসে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ কি সেটা জানা যায়নি।’
আরও পড়ুন: বরিশালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
বাসা বদল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ, গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির বেসরকারি একটি কন্টেইনার ডিপোতে স্মরণকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত আরও ১৩০ জনের মত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি আছেন।
ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান ও চমেক পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা থেকে রাসায়নিক পণ্যের কন্টেইনার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছে চিকিৎসকরা। বিস্ফোরণে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ কারখানাটির দুই শতাধিক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং ১৫ জনের নাম পাওয়া গেছে।
তারা হলেন-মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন, হাবিবুর রহমান, রবিউল আলম, তোফায়েল ইসলাম, ফারুক জমাদ্দার, আফজাল হোসেন, মো. সুমন, মো. ইব্রাহিম, হারুন উর রশিদ, মো. নয়ন, শাহাদাত হোসেন, শাকিল তরফদার, শাহাদাত উল্লাহ জমাদার ও ফায়ার সার্ভিস কর্মী মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি, সিলেটে যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদুর রহমান ইনজাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা মামলায় শনিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী কোম্পানীগঞ্জ গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে আহমেদ রেজা রুবেল। তিনি তেলিখাল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২২ মে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ কোম্পানীগঞ্জের বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরদিন মামলার বাদী ফেসবুকে দেখতে পান যে, ত্রাণ বিতরণকে উপহাস করে কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার করে শান্তিকামী জনসাধারণকে উস্কে দিচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ইনজাদ প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রুবেল বাদী হয়ে গত ৩১ মে কোম্পানীগঞ্জ থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। মামলায় ইনজাদসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও ৬ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, এজাহার পাওয়ার পর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে শনিবার রাতে ইনজাদকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তের স্বার্থে এজাহারভুক্ত বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে এমপিকে কটূক্তি, সিরাজগঞ্জে আ'লীগ কর্মী কারাগারে
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি: ছাতকে যুবক গ্রেপ্তার
ফেসবুকে লাইভ করতে গিয়ে প্রাণ গেল অলিউরের
সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভ করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মী অলিউর রহমান। ফেসবুক লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিলেন অলিউর রহমান।এসময় হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়, এতে আশপাশের সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউর রহমানের। সেই লাইভে থাকা অলিউর রহমান ঘটনাস্থল থেকে উড়ে গিয়ে দূরে ছিটকে পড়েন। কিন্তু মুহূর্তে সেই লাইভ ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। সেই ভিডিওতেই দেখা যায় বিস্ফোণের চিত্র।আজ রবিবার দুপুর পর্যন্ত নিখোঁজ ছিল অলিউর। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে অসংখ্য লাশের স্তুপ থেকে সহকর্মীরা শনাক্ত করে অলিউরকে। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার সহকর্মী রুয়েল।রুয়েল জানান, অলিউর ফেসবুকে লাইভ করতে করতেই মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে দেবে শ্রম মন্ত্রণালয়বিএম কন্টেইনার ডিপোর শ্রমিক রুয়েল বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণ ঘটে তখন রাতের খাবারের সময় ছিল। খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি আমরা। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যান।’তিনি আরও বলেন, ‘অলিউর আর বেঁচে নেই। তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রয়েছে। এখন তার মরদেহ নেয়ার জন্য স্বজনরা মেডিকেলে যাচ্ছেন।’এদিকে কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে আহতদের আর্তনাদে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিবেশ। চিৎকার, কান্না আর আহাজারিতে ভারী পুরো হাসপাতাল। হাসপাতালের সামনে হতাহতের স্বজনদের নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো পরিবেশ।জানা গেছে, নিহত অলিউরের বাড়ী সিলেট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে। তিনি ওই এলাকার ফটিগুলি গ্রামের আশিক মিয়ার ছেলে। তিনি ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
ফেনীতে সবজির আড়ালে গাঁজা চাষ, গ্রেপ্তার ১
ফেনীর সোনাগাজীতে বাড়ির পাশে সবজির আড়ালে গাঁজা চাষ করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ওই চাষির বাগান থেকে অন্তত তিনটি বড় গাঁজা গাছসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মো. আবুল কালাম (৪২) সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের মৃত মীর আহম্মদের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) খালেদ হোসেন জানান, কালাম একজন গাঁজাসেবী। গাঁজা সেবনের পাশাপাশি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাই নিজের বাড়ির পাশে খালপাড়ে সবজি চাষের সঙ্গে গাঁজা গাছের বীজ রোপণ করে চাষ শুরু করেন তিনি। স্থানীয়রা এতদিন গাঁজা গাছটিকে ফুলের গাছ ভাবলেও পরে গাঁজা চাষের বিষয়টি খবর পায় পুলিশ। এরপর শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ কালামকে গ্রেপ্তার করে।
ওসি জানান, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আবুল কালামকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা করে। এর আগেও তাঁর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির অভিযোগে থানায় একাধিক মামলা হয়েছে।
পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাঁজা জব্দ,আটক ২
মৃত্যুই যেন চট্টগ্রামে টেনে এনেছে ফায়ারকর্মী মনিরুজ্জামানকে
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার সাতবাড়িয়া এলাকার শামসুল হকের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান মনির (৩২)। আট বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মাত্র দুই মাস আগে তিনি চট্টগ্রামে বদলি হয়ে এসে সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফায়ার স্টেশনে যোগদান করেন।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনারে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৪৩ জনের মধ্যে রয়েছেন মনির। ভয়াবহে আগুন নির্বাপনের সময় স্টেশনের নার্সিং অ্যাটেনডেন্ট কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামানের মৃত্যু হয়।রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিহত মনিরের বড় মামা মীর হোসেন ভাগিনার লাশ শনাক্ত করেন। এসময় তার কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণ নাশকতা কি না, খতিয়ে দেখা হবে: হাছান মাহমুদ
এসময় মীর হোসেনের মুঠোফোনে কুমিল্লা থেকে ফোন আসে। ফোন ধরেই মীর হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘মনির নেই, মনির আর নেই। সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে।’
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে ওই ফোন বিচ্ছিন্ন করতেই মীর হোসেনকে আরও কয়েকটি ফোন ধরতে হয়। প্রতিটি ফোনে তার আহাজারি যেনো শেষ নেই। তাকে ঘিরে ধরেন সংবাদকর্মীরা।মীর হোসেন বলেন, ‘দুদিন আগে কুমিরায় গিয়ে মনিরের সঙ্গে সারাদিন ঘুরেছি। অনেক আড্ডা দিয়েছি। সকালে ফোন করে তাকে পাচ্ছি না। মন সায় দিচ্ছে না। হাসপাতালে ছুটে এসেছি। আমি তাকে চিনতে পেরেছি, সে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। হয়তো এই মৃত্যুই তাকে চট্টগ্রামে টেনে এনেছে। আল্লাহ রে তার পরিবারের কি হবে? তার দুই মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।’এসব কথা বলতেই তিনি আবারও কান্না শুরু করেন। সময় ঘনিয়ে আসতেই দগ্ধ রোগী আর স্বজনদের আহাজারি বাড়ছেই। হাসপাতালে বাড়তি রোগীর চাপ সামলাতে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যসেবীর সঙ্গে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
সিলেটে চা বাগানে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেটে চা বাগানে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর এলাকার মালনীছড়া চা বাগানের বাংলোর রাস্তা সংলগ্ন প্রধান সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মনির হোসেন (৪১)নগরীর খাসদবির এলাকার একটি ওয়ার্কশপের মালিক এবং বিমানবন্দর থানাধীন নয়াবাজার এলাকার নুরুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মনির হোসেন একজন ব্যবসায়ী। নগরীর খাসদবির এলাকায় তার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ রয়েছে। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত আনুমানিক ৯টায় দোকান লাগিয়ে নিজের ব্যবহৃত হিরো হোন্ডা মোটরসাইকেলে চড়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন তিনি। পথে মালিনীছড়া চা বাগান এলাকায় আসার পর তার ওপর কে বা কারা হামলা করে। প্রাণে বাঁচার জন্য রাস্তা থেকে নেমে পূর্ব পাশে চা বাগানের দিকে দৌঁড় দেন মনির। কিন্তু তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল না। রাস্তা থেকে ১০-১২ হাত দূরেই তাকে ধরে ফেলে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা তার লাশ চা বাগানে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। রাত ১০টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এসএমপির উত্তর বিভাগের ডিসি আজবাহার আলী শেখ এবং এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির খান। খবর পেয়ে ছুটে আসেন মনির হোসেনের স্বজনেরা। সিআইডি টিম এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করে। তবে ঘটনাস্থলে ছিলো না মনিরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মুঠোফোন। কিন্তু তার পকেটে টাকা ছিল।
পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরেই হতে পারে এই খুন।
ওসি মাইনুল জানান, নিহতের শরীরের ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা মনিরুলকে কুপিয়ে হত্যা করে। তিনি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। ময়নাতদন্ত শেষে আজ রবিবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জুয়ায় হেরে ব্যবসায়ীকে হত্যা, প্রধান আসামি আটক
প্রেমিকার ঋণ শোধ করতেই নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যা
নাটোরে ব্যবসায়ীকে হত্যার পর ৩ লাখ টাকা ছিনতাই
সাভারে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের ৩ কর্মকর্তা নিহত
সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাস-ট্রাকের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের তিন কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০জন। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রবিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের বলিয়ারপুর এলাকার শ্যামলী সিএনজি প্যাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা প্রকৌশলী কাওছার হোসেন রাব্বি, পরীক্ষণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পুজা সরকার।
পুলিশ জানায়, সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে আশুলিয়ার গণকবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহনকৃত একটি বাস সাভারের গনকবাড়ি অফিসে যাচ্ছিল। এসময় বাসটি বলিয়ারপুর এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের রোড ডিভাইডারের ওপরে উঠিয়ে দিলে বাসটি দুমুড়ে মুচড়ে যায়। একই সময়ে সাভারের দিক থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি গরু বোঝাই ট্রাক ওই বাসটির পিছনে ধাক্কা দেয়। এসময় সাভার থেকে ছেড়ে আসা অপর একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাসও ওই বাস ও ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ দুর্ঘটনায় দুটি বাস ও ট্রাকের ৪০ আরোহী গুরুতর আহত হয়।
খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা প্রকৌশলী কাওছার হোসেন রাব্বি, পরীক্ষণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পুজা সরকারকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত বাস চালক রাজীব ও হেলপার বাবুলসহ কয়েকজনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা সেবা চলছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সবুর খান।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় ২ মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত
দিনাজপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লেগে বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এই কমিটি করেছে। কমিটিকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক শিপন চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) শুভংকর দত্তকে। আরেক সদস্য হলেন শ্রম পরিদর্শক (নিরাপত্তা) মো. শামীম হোসেন।
রবিবার ( ৫ জুন) দুপুরে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (চলতি দায়িত্ব) আব্দুল্লাহ আল সাকিব মুবাররাত তদন্ত কমিটির গঠনের কথা জানান।
গঠিত কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনার তদন্তে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তবে আগে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছে প্রশাসন।
দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, 'মানুষের প্রাণ বাঁচানোর দিকেই এখন আমাদের সর্বোচ্চ মনোযোগ। আমরা আগে উদ্ধার অভিযান শেষ করি। এরপর সব পক্ষকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশপাশি হতাহতদের আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে। কত টাকা করে দেয়া হবে সেটি শিগগির নির্ধারণ করা হবে।'
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপুতে বিস্ফোরণ, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩
সীতাকুণ্ডে হতাহতদের সহায়তায় কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে ত্রাণ মন্ত্রণালয়
পাবনায় চেয়ারম্যানের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের বাড়ির কর্মচারী আব্দুল মতিনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত ১০টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের আওলাঘাটা ভূনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মতিন উপজেলার পশ্চিম সোনাতলা গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদের বাড়িতে কাজ করতেন।
পুলিশের ধারণা, পূর্ব শত্রুতার জেরে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাতে আব্দুল মতিন দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে লাশ উদ্ধার করে।
সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, হত্যার প্রকৃত কারণ এখনও জানা সম্ভব হয়নি। হয়ত পূর্ব শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। রবিবার সকালে ময়নাতদন্ত করতে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গায় শাশুড়িকে কুপিয়ে হত্যা, জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড