সারাদেশ
বরগুনা গণহত্যা দিবস: জেলখানায় ৭৬ জনকে গুলি করে হত্যা
ঐতিহাসিক ২৯ ও ৩০ মে বরগুনায় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের এই দু’দিনে বরগুনা জেলখানায় ৭৬ জন স্বাধীনতাকামী নিরপরাধ বাঙালিকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।
জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ২৭ মে মেজর নাদের পারভেজের নেতৃত্বে পাক হানাদার বাহিনী বরগুনায় প্রবেশ করে। তৎকালীন গণপূর্ত ডাক বাংলোয় অবস্থান নেয় বর্বর এ বাহিনীর সদস্যরা। ওইদিনই তারা বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ও মুসলিম লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি নিখুঁত গণহত্যার পরিকল্পনা করেন। তাদেরকে দেশীয় রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা সহায়তা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মুক্তিকামী পরিবারে হানা দিয়ে নারী ও পুরুষদের বেঁধে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। সেখান থেকে নারীদের ডাকবাংলোয় আর পুরুষদের জেলখানায় পাঠানো হয়। পৈশাচিক নির্যাতন শেষে মেয়েদের পরের দিন ছেড়ে দেয়া হয়। জানানো হয় পুরুষদের দু’দিন পরে ছাড়া হবে। কিন্তু তাদের আর দেখা পায়নি পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালিত
পরবর্তীতে ২৯ ও ৩০ মে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম জঘন্য এক ঘটনা ঘটে বরগুনার জেলখানায়। কারা অভ্যন্তরে ২৯ মে সকালে সারিবদ্ধ দাঁড় করিয়ে গুলি করা হয় ৪২ জন মুক্তিকামী জনতাকে। পরের দিন সকালে একইভাবে আরও ৩৪ জনকে হত্যা করা হয়। এই শহীদদের লাশও স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। জেলখানার পশ্চিম পাশে গণকবরে মাটি চাপা দেয়া হয় তাদের। মুক্তিযুদ্ধে অনেক নারকীয় ঘটনা ঘটেছে তবে জেলখানার অভ্যন্তরে গণহত্যার ঘটনা বিরল।
বরগুনা-১ আসনের সাংসদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বাবা ধৈর্য্যধর দেবনাথ ছিলেন সেই মহান শহীদদের ভেতরে অন্যতম প্রধান। তাকে ৩০ মে হত্যা করা হয়েছিল।
সেদিনের হত্যাকাণ্ড থেকে ভাগ্যগুণে বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানিয়েছেন, জেলখানা থেকে অনেক লোককে ছেড়ে দেয়া হলেও তখনকার তুখোড় ছাত্রনেতা শম্ভু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে এবং বরগুনা শহরে তাদের বাড়িটি থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হওয়ায় তার বাবাকে ছাড়া হয়নি।
এ কারণে সেসময়ে পটুয়াখালী জেলার সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত, ৬ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের মেজর নাদের পারভেজ প্রকাশ্য জনসভায় তখনকার প্রখ্যাত ছাত্রনেতা শম্ভুসহ ১২ জন ছাত্রনেতা এবং মুক্তিযোদ্ধার মাথার মূল্য এক সের স্বর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বেশ কয়েকবারের চেষ্টাতেও ছাত্রনেতা শম্ভুকে ধরতে না পেরে তার বাবাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: জাতীয় গণহত্যা দিবস আজ
পাক বাহিনীর মেজর নাদের পারভেজ এবং ক্যাপ্টেন শাখাওয়াতের পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হয়েছিল, ‘শম্ভুকে আমাদের হাতে তুলে দিন অথবা তার খোঁজ দিন, আমরা আপনাকে ছেড়ে দেবো।’ একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের বাবা হয়ে সেই শর্ত মেনে নিতে রাজি হননি তিনি। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় তিনি সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। অমানসিক নির্যাতন শেষে তাকে দুটো গুলি করেছিলেন তারা। প্রথম গুলিতে মৃত্যু না হওয়ায় দ্বিতীয় গুলিটি করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বরগুনা সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, মুক্তিযুদ্ধ একাত্তর বরগুনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মনোয়ার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বরগুনা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বরগুনার বাড়িটি মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এ কারণে ধরে নেয়া সব বয়স্ক মানুষকে ছেড়ে দেয়া হলেও সংসদ সদস্যের বাবাকে ছাড়া হয় নি।
এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ১৯৭১ সালের ২৯ ও ৩০ মে বরগুনার ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরতম কালো অধ্যায় রচিত হয়েছিল। মুক্তিকামী সাধারণ জনগণকে ধরে নিয়ে তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলা হয়, গুলির পরেও যারা মারা যায়নি তাদেরকে কোদাল ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছিল। সেদিনের সে মহান শহীদদের ভেতরে আমার বাবাও ছিলেন। তিনি আমাকে বাঁচাতে এবং দেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে নির্ভীক চিত্তে নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস : ৩১ বছরেও বিচার পাননি ভুক্তভোগীরা
এমপি বলেন, এটা আমার জন্য যেমন অত্যন্ত গর্বের তেমনি কষ্টের। সেদিন আমার বাবাসহ দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের প্রতি আমি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
তিনি বলেন, বরগুনা বধ্যভূমির সংস্কার ও উন্নয়নের লক্ষ্য ইতিমধ্যেই আমাদের সরকার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য ভবিষ্যতেও আমি যথাযথ পদক্ষেপ নেবো।
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে তিনটি অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় শনিবার (২৮মে) বিকেলে এ অভিযান পরিচালনার সময় একজনকে আটক করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান।
এসময় জেলা শহরের পাঁচটি ক্লিনিকে তারা অভিযান পরিচালনা করেন। পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও নিবন্ধনহীন ক্লিনিকে কাগজপত্র না থাকায় মেডিনোভা ডক্টরস জোন এন্ড ডায়াগস্টিক সেন্টার, নিউরন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উত্তরা ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টার এই তিনটি প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করা হয়। সে সময় আটক করা হয় একজনকে।
অভিযান চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার রহমান সাংবাদিকদের জানান, নিবন্ধনহীন এবং লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকায় তিনটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স ছাড়াই চলছে রমরমা ব্যবসা। স্বাস্থ্য সেবার নামে গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে রোগীরা। সরকার স্বাস্থ্যখাতে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার তদারকিতে স্বাস্থ্য বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করাসহ বন্ধ করা হবে অবৈধ এসব প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অনিবন্ধিত ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের
উজিরপুরে বাস দুর্ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৮, আহত ২০
বরিশালের উজিরপুরে যমুনা লাইন পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিশুসহ আট যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৫ টায় উপজেলার বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের বামরাইল নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ।
তিনি বলেন, গাড়িটি ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ভান্ডারিয়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পথে উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আটজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ২০ যাত্রী আহত হয়েছেন। নিহত তিনজনের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তাদের কারো নাম পরিচয় জানা যায়নি।
গাড়িটি উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট কাজ করছে।
বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় বেশ কিছু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গাড়িটি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাড়িটি কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে। উদ্ধার অভিযান শেষ করে হতাহতের সংখ্যা বলা যাবে।
উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রণব রায় শুভ বলেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আট জনের লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে। ৫/৬ জনের চিকিৎসা চলছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
সিলেটে গাড়িচাপায় স্কুলছাত্রী নিহত
সিলেটের ওসমানীনগরে গাড়ির চাপায় ষষ্ঠ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। শনিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাগজপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।নিহত বৃষ্টি দাশ (১২) উপজেলার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের ভাগলপুর গ্রামের মদন দাশের মেয়ে এবংবেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো শনিবার সকাল ৭টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কাগজপুর ব্রিজের পাশে অজ্ঞাত গাড়িচাপা দেয় বৃষ্টিকে। এ সময় বৃষ্টির স্কুলব্যাগ ছিটকে এক পাশে পড়ে যায়। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা রাস্তার পাশে বৃষ্টির স্কুলব্যাগ দেখে স্থানীয়দের জানালে রাস্তার পাশে বৃষ্টির লাশ দেখতে পায় তারা।স্থানীয়দের ধারণা, অজ্ঞাত কোনো গাড়ি বৃষ্টি দাশকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শেরপুর হাইওয়ে এবং ওসমানীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।বেগমপুর শরৎ সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃষ্টি দাশ নিহত হয়। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় বিদ্যালয় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।এই বিষয়ে শেরপুর হাইওয়ে থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচর থেকে ২ তরুণের লাশ উদ্ধার
সিরাজগঞ্জে তরুণের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৩৭ দিন পর নারীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজ হওয়ার ৩৭ দিন পর জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত বিউটি বেগম (৩৩) বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের অধিবাসী।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত উজ্জ্বলের সঙ্গে বিউটি বেগমের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। গত ২১ এপ্রিল রাতে সে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালের শিবপুর পূর্বপাড়া গ্রামে উজ্জ্বলের বাড়িতে আসে। রাতে উজ্জ্বল হোসেন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিউটি তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে উজ্জ্বল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ তার বাড়ির টয়লেটে লুকিয়ে রাখে।
আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচর থেকে ২ তরুণের লাশ উদ্ধার
পরিবারের পক্ষ থেকে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানায় বিউটি বেগমের নিখোঁজের কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ নিহতের হারানো মোবাইল ফোনের সিমের সুত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে উজ্জ্বল হোসেনকে বগুড়া শহর থেকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর উজ্জ্বলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার মধ্যরাতে বগুড়া ও ক্ষেতলাল থানা পুলিশ তার বাড়ির টয়লেট থেকে বিউটি বেগমের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানি জানান, শনিবার নিহত বিউটি বেগমের ভাই বাবুল হোসেন বাদী হয়ে ক্ষেতলাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে তরুণের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় ইবি শিক্ষকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার
বরিশালে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে স্বামীর ‘আত্মহত্যা’
বরিশালে ২৮ বছর বয়সী এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আরাফাত হোসন রাজিব (২৮) পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে রাজিব ‘আত্মহত্যা’ করেছে দাবি করে নিহতের ভাই সাকিবুর রহমান জানান, শুক্রবার সকালে রাজিব ও তার স্ত্রীর মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাক-বিতণ্ডা হয়। এ ঘটনায় রাজিবের স্ত্রী অভিমান করে ওইদিন তার বাবার বাড়ি চলে যায়।ওই রাতে রাজিব খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে যায়। শনিবার বেলা ১১টার দিকে ডাকাডাকি করলে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের বেড়া ভেঙে ভিতরে ঢুকে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রাজিবের লাশ দেখতে পান।
এ ব্যাপারে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের কোন পক্ষের অভিযোগ না থাকায় এবং লাশের ময়নাতদন্ত না করার অনুরোধে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাসা বদল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধ, গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’
প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে কলেজছাত্রের আত্মহত্যা!
নরসিংদীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, আটক ২
নরসিংদীতে মেরি স্টোপস ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে শহরের বাসাইল মেরি স্টোপস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সালেহা বেগম শহরের শালিধা এলাকার হান্নান মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বজনেরা জানায়, শুক্রবার সালেহা বেগমকে আলটাসোনোগ্রাম করার জন্য স্বজনেরা মেরিস্টোপস ক্লিনিকে নিয়ে যান। এ সময় কর্মরত চিকিৎসক হেলেনা হালিম সিজার করার পরামর্শ দেন। সালেহা সিজারে রাজি না হলে তাকে বাচ্চার অবস্থা ভালো না বলে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপারেশনের জন্য ওটিতে নিয়ে যান। অপারেশনের টেবিলেই রোগীর অবস্থা বেগতিক দেখে রোগীকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছালে মা ও নবজাতককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী হাসপাতাল ভাংচুর চালায়।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. নুরুল ইসলাম বলন, ঘটনার খবর পেয়ে মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে।
দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রসূতির মৃত্যু: সালিশে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় সমঝোতা!
নওগাঁর সাপাহারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যু!
হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসবে ভক্ত অনুরাগীর ঢল
চিরাচরিত নিয়মানুসারে হযরত শাহজালাল (রহ.) উরস মোবারককে সামনে রেখে সিলেটে লাকড়ি তোড়া উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার লাকড়ি তোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর সংখ্যক ভক্ত অনুরাগীর ঢল নেমেছিলো শাহজালালের দরগা প্রাঙ্গনে।
লাকড়ি তোড়া উৎসব উপলক্ষে ভক্তিমূলক গান ও বাদ্যযন্ত্রের সুরে মুখরিত ছিলো গোটা মাজার এলাকা।এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার জোহরের নামাজের আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত হাজারও ভক্ত-অনুরাগীরা জড়ো হন দরগাহ প্রাঙ্গণে। নামাজের পর দরগাহে মিলাদ শেষে নাগারা বাজার সঙ্গে সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে হাজার হাজার শাহজালাল ভক্তের বর্ণাঢ্য মিছিল লাক্কাতোড়া চা বাগানের নির্দিষ্ট পাহাড়ের দিকে ছুটে যায়। সেখানে গিয়ে আবারও মিলাদ পড়া হয়। এরপরই শুরু হয় লাকড়ি সংগ্রহ। সেই লাকড়ি কাঁধে নিয়ে পুনরায় মিছিল নিয়ে দরগাহ প্রাঙ্গনে ফিরে আসেন ভক্তরা।
আরও পড়ুন: হযরত শাহজালাল (রহ.) এর লাকড়ি তোড়া উৎসব শনিবার
গোলাপগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকায় নিজ বাড়ির গোসলখানা থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানাপুলিশ। শনিবার সকাল ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুজিৎ মালাকার (২২) পৌর এলাকার ছিটাফুলবাড়ীর মনোরঞ্জন মালাকারের ছেলে। তিনি চার মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। সুজিৎ পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট।
পুলিশের ধারণা সুজিৎ মালাকার আত্মহত্যা করেছেন। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ছাত্রাবাস থেকে ইবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারসুজিৎ মালাকারের পারিবারিক সূত্র জানায়, তিনি চার মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে চিকিৎসা করানো হয়েছে, কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। গত শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে মা নিয়তি রঞ্জন মালাকারের কাছে প্রতিদিনের মতো সুজিৎ ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গোসলখানায় তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশে খবর দিলে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে।জানা যায়, সুজিৎ মালাকার অসুস্থতার আগে একটি ওয়ার্কসপে কাজ করতেন। মাঝে-মধ্যে সিএনজি অটোরিকশাও চালাতেন। চার মাস আগে মানসিকভাবে অসুস্থ হলে সেসময় থেকে তিনি বাড়িতেই থাকতেন।গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশীদ এ বিষয়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।
আরও পড়ুন: নাচোলে ইউনিয়ন সমাজকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জয়পুরহাটে নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় শিপন আক্তার (৪৪) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে দুথইল-নয়াপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিপন আক্তার একই গ্রামের তোজাম সরকারের স্ত্রী।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য দিনের মত গতরাতে শিপন আক্তার ঘরের দরজা খোলা রেখে দুই সন্তানসহ একটি বাড়ির একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। শনিবার সকালে উঠে গলা কাটা অবস্থায় শিপনের লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিত ভাবে পরিবারের সদস্যরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ময়নুল হোসেন এ বিষয়ে জানান, তদন্ত করে প্রকৃত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: রৌমারীতে মা ও শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২ আসামি গ্রেপ্তার
ঘুমন্ত স্বামীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে স্ত্রী আটক