গত কয়েক দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ সামান্য কমলেও প্রখর রোদ ও গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে বাসিন্দাদের।
বুধবার (১ মে) বিকালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলার ৩৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটি বাংলাদেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলেও রোদের উত্তাপ কমেনি। যে কারণে বিপর্যস্ত সময় পার করছে সব শ্রেণির মানুষ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে ২০০২ সালের পর থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ ছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
আর ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এছাড়া ২০২৩ সালের ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড রয়েছে এই জেলার।