%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6
২৯ বছরেও বাংলাদেশ কেন উন্নয়নের মুখ দেখেনি: প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেছেন, কেন বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল পরবর্তী ২১ বছর ও ২০০১ সাল থেকে ৮ বছর, মোট ২৯ বছরে উন্নয়নের সাক্ষী হয়নি।
তিনি বলেন, ‘... এই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না এবং সে কারণেই তারা দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করেনি।’
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে শনিবার প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে টানেলের দক্ষিণ দিকের কাজ শেষ করার ঘোষণা দেন।
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে চট্টগ্রামে সেতু বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সম্ভাব্য সব কিছু করছে।
আরও পড়ুন: ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
তার সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কাজের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তারা দেশে দারিদ্র্য উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে এবং এখন মানুষ খাদ্যের জন্য ভিক্ষা করে না।
কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ব ভুগছে ও অনেক দেশ মন্দা ঘোষণা করেছে, যদিও বাংলাদেশ এখনও এগিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনি খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে ও প্রতি ইঞ্চি জমিতে সাধ্যমতো উৎপাদন করতে জনগণের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কারও কাছে না চেয়ে নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব।’
তিনি আবারও করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়েছে এবং মুদ্রাস্ফীতি যে একটি বড়ধরনের সমস্যা তা উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর বিরূপ প্রভাবের বাইরে নই, বরং ইতোমধ্যে মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু, আমরা এখনও আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম।’
প্রধানমন্ত্রী আবারও দেশবাসীকে সতর্ক, সচেতন ও মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা করতে পারলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ পাশের কাজ শেষ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে যাওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের সাধারণ কাজ সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছেন।
শনিবার এ উপলক্ষে সেতু বিভাগের একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরকারি বাসভবন (গণভবন) থেকে যোগ দিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন।
কর্ণফুলী টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে এবং টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নদীর তলদেশের টানেল, যা কর্মসংস্থান, পর্যটন এবং শিল্পায়ন বৃদ্ধির সঙ্গে জাতীয় অর্থনীতি বৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। কর্ণফুলী টানেল চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দুটি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় এটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে কর্ণফুলী টানেল। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের (জি টু জি) যৌথ অর্থায়নে টানেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে এবং বাকি অর্থ দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরী দুই শহর’ মডেল অনুসরণ করে নির্মিত এই টানেলটি উত্তরের বন্দর শহরটিকে দক্ষিণে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করবে।চীন এই প্রকল্পে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষাকালে পানির স্তর বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দুটি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তনের সাক্ষী হতে শুরু করেছে।
কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যমতে, কর্নফুলীর দক্ষিণ তীরে অন্তত ১০টি বড় শিল্প গ্রুপ এবং ১৫০ জন ব্যবসায়ী বিভিন্ন সেক্টরে - বিদ্যুৎ, পেট্রোলিয়াম, পোশাক, জাহাজ নির্মাণ, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্ট এবং তেল শোধনাগার - কারখানা স্থাপনের জন্য অগ্রিম জমি কিনেছে।
টানেলটি কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
২০১৫ সালের নভেম্বরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আট হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মাল্টি-লেন রোড টানেল প্রকল্পটি অনুমোদন করে এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে নির্ধারণ করা হয়েছিল।পরবর্তীতে খরচ বাড়িয়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকা করা হয় এবং প্রকল্পের মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
প্রকল্পের সর্বশেষ সংশোধনীতে ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে এবং ব্যয় ১৬৪ কোটি টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
২০১৩ সালে পরিচালিত জরিপ অনুসারে টানেল নির্মাণের আগে বছরে ৬৩ লাখ যানবাহন টানেল দিয়ে চলাচল করতে সক্ষম হবে। সে হিসাবে দিনে প্রায় ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি চলতে পারে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন কর্ণফুলী টানেল দিয়ে যাতায়াত করবে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
ফোসা'র উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’ অনুষ্ঠিত
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কল্যাণমূলক সংগঠন ফরেন অফিস স্পাউসেস এসোসিয়েশন (ফোসা) এর উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল চ্যারিটি বাজার’অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে চ্যারিটি বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী এবং ফোসা’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক সেলিনা মোমেন।
এসময় পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, ফোসা’র সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সহধর্মিণী ফাহমিদা জেবিন সোমা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার এডমিরাল (অব:) খোরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, ফোসা'র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফোসা পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং দর্শনার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও বুটিক পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হয়। বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহের মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পায়। ঢাকাস্থ বিদেশি দূতাবাসগুলোর মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, প্যালেস্টাইন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দূতাবাসও এই চ্যারিটি বাজারে অংশগ্রহণ করে।
ফোসা'র সামাজিক ও কল্যাণমূলক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চ্যারিটি বাজার থেকে অর্জিত আয় আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে।
আরও পড়ুন: ফোসা'র উদ্যোগে রাজধানীতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
ফোসা’র উদ্যোগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঈদ চ্যারিটি মেলা
বর্ণিল আয়োজনে নববর্ষ বরণ করে নিল ফোসা
গুসি শান্তি পুরস্কার পেলেন ডা. দীপু মনি
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ‘জনসেবা ও কূটনীতি’ ক্ষেত্রে তার ‘অনুকরণীয় সাফল্যের’ জন্য গুসি শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ম্যানিলায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন তিনি।
গুসি শান্তি পুরস্কারটি ফিলিপাইনের ম্যানিলার ‘গুসি পিস প্রাইজ ফাউন্ডেশন’ দিয়ে থাকে, যা প্রেসিডেন্সিয়াল প্রক্লেমেশন নং ১৪৭৬ দ্বারা বাধ্যতামূলক। এটি এমন ব্যক্তি এবং সংস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখেন।
প্রতি বছর নভেম্বরের চতুর্থ বুধবার আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবসে গুসি শান্তি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানগুলো অনুষ্ঠিত হয়। এটি ফিলিপিনো ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং ১৪টি দেশের (অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, জাপান, লিথুয়ানিয়া, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নরওয়ে, সৌদি আরব, স্পেন এবং ফিলিপাইন) থেকে ২০২২ সালে ১৪জন এই পুরস্কারটি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের শিকার হলে নারীর মর্যাদা কমে না: দীপু মনি
দীপু মনি ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী এবং ২০০৯ সাল থেকে চাঁদপুর-৩ আসনের প্রতিনিধিত্বকারী সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সর্বদলীয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে চেয়ারপার্সনও ছিলেন।
তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস করেছেন। পরে জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ পাবলিক হেলথ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স করেন। ২০১৮ সালে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ বছরের নারী শিক্ষার ইতিহাসে ১৫০ জন নেতৃস্থানীয় নারীর একজন হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
তার বাবা এমএ ওয়াদুদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। যিনি প্রথম কাউন্সিল ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
তিনি দেশের অক্সফোর্ড শিক্ষিত সিনিয়র অ্যাডভোকেট তৌফিক নওয়াজের স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান তৌকির রাশাদ নওয়াজ এবং তানি দীপাবলি নওয়াজের মা।
আরও পড়ুন: পাঠ্যবই ছাপার কাজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: দীপু মনি
কর্ণফুলী টানেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বা কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণ কাজের আংশিক সমাপ্তি উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। ঘোষণা দেবেন টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের কাজ শেষ করার।
টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। আর টানেলের উত্তর প্রান্তের ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে সেতু বিভাগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শুক্রবার(২৫ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘সেতু বিভাগ টানেলের দক্ষিণ অংশের সমাপ্তি উপলক্ষে একটি প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী এই কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। আমরা আশা করি যে আগামী জানুয়ারির শেষ নাগাদ পুরো টানেলটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।’
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দু’টি পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণ করা হচ্ছে।
টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার।
কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ। বাকি কাজ শেষ করতে আরও দুই মাস সময় লাগবে।’
১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে টানেলটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল যা নদীর তলদেশে নির্মিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
সরকারের লক্ষ্য হলো কর্ণফুলী টানেলের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের মতো ‘এক নগরীর দুই শহর’করা।
এ প্রকল্পে সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে চীন। বর্তমানে, টানেলের ভিতরে অগ্নিনির্বাপণ, আলো এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়াও, ৫২টি সেচ পাম্পও স্থাপন করা হচ্ছে যাতে বর্ষা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে টানেলটি আটকে না যায়, প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ)।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল সংলগ্ন দু’টি টিউব নির্মাণ করা হয়েছে। টানেলে একই সঙ্গে লাইট, পাম্প এবং ড্রেনেজ সিস্টেম স্থাপন করা হচ্ছে এবং একটি ৭৭২ মিটার ফ্লাইওভারও নির্মিত হয়েছে।
বর্তমানে টানেলের আনোয়ারা প্রান্তে টোল প্লাজা নির্মাণের কাজ পুরোদমে চলছে।
কর্ণফুলী টানেল ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে আশা করছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় টানেলের অ্যাপ্রোচ রোডের দুই পাশে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মধ্য দিয়ে এরই মধ্যে ভাগ্যের পরিবর্তন হতে শুরু করেছে।
প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী টানেল দেশের পর্যটন ও শিল্প খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এ টানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে পাইপলাইনে ভারত থেকে জ্বালানি তেল আমদানি শুরু: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে শুক্রবার সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী সাবরি।
সাক্ষাতে মন্ত্রী বাণিজ্য সম্পর্ক ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে দুই দেশের মধ্যে নৌ ও বিমান যোগাযোগের ওপর জোর দেন।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) ২২তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা শ্রীলঙ্কার সৌভাগ্য ও দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কামনা করেন।
আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার সময় শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন যে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতি বাংলাদেশ ও সমগ্র অঞ্চলের সামগ্রিক সামাজিক-অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা স্থাপত্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সরাসরি শিপিং সংযোগ ও পিটিএ চায় বাংলাদেশ
তিনি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের পৈতৃক ভূমিতে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের টেকসই, নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য শ্রীলঙ্কার সমর্থন চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি ও আঞ্চলিক অর্থনীতিতে এর প্রভাব নিয়েও আলোচনা করেন।
শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতারও প্রশংসা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন যে শ্রীলঙ্কানরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী এবং বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানায়।
আলী সাবরি তার সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে কলম্বো সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে বৈঠকটি ইতিবাচকভাবে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
গাজীপুরে পরীক্ষার হল থেকে উত্তরপত্র নিখোঁজ, দুই পরিদর্শক সাময়িক বরখাস্ত
গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিখোঁজ হওয়ায় দুই পরিদর্শককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
পরীক্ষাকেন্দ্রের সূত্র থেকে জানা গেছে যে বৃহস্পতিবার টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজ কেন্দ্রে রসায়ন বিভাগের দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়ায় টঙ্গীর সাহাজ উদ্দিন সরকার স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রকে এ ঘটনায় জড়ানো হয়।
আরও পড়ুন: পেপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনতাই: আদালতের ৫ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
পরীক্ষাকেন্দ্র সচিব ও টঙ্গী পাইলট স্কুল অ্যান্ড গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘যদিও আমার কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭৮০ জন, আমরা গণনার সময় ৭৭৯টি উত্তরপত্র পেয়েছি। আমরা ওই পরীক্ষার্থীকে ডেকে তাকে অনুপস্থিত উত্তরপত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করি, যার উত্তরে সে বলে যে তার কক্ষের পরিদর্শকদের কাছে উত্তরপত্র জমা দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কর্মকর্তাদের ঘটনাটি জানিয়েছি।’
গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা জানান, দুই পরিদর্শক আতিউর রহমান ও মনিরা খানমকে তাদের দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
রেবেকা বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। তারা নিখোঁজ উত্তরপত্র ও পরিদর্শকদের ক্ষেত্রে কী করা যায় তা নির্ধারণ করবেন।’
আরও পড়ুন: খুবির ৩ শিক্ষকের বরখাস্ত-অপসারণ অবৈধ: হাইকোর্ট
বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা স্থগিত
ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকটের আশঙ্কা করছেন না প্রধানমন্ত্রী
দেশে ভোগ্যপণ্যের কোনো সংকট হবে না বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ভোগ্যপণ্য নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া থেকেও (পণ্য) আমদানি শুরু করেছি।’শুক্রবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের (স্বাচিপ) পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যদিও (রাশিয়ার ওপর) নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলারের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের সমস্যা রয়েছে, সরকার একটি বিকল্প (পরিশোধ) ব্যবস্থার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমকে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
শেখ হাসিনা বলেন, পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো পর্যাপ্ত রিজার্ভ এখনও বাংলাদেশের কাছে রয়েছে।
রিজার্ভ ইস্যুতে সরকারের সমালোচকদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন, এখন সবাই রিজার্ভ ও অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ হয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সময় রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়, যা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি।
তিনি বলেন যে মহামারি মোকাবিলায় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন, টেস্টিং কিট ও অন্যান্য সম্পর্কিত উপকরণ সংগ্রহ করতে রিজার্ভ থেকে বিপুল অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। যুদ্ধ ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পর সরকারকে এখন উচ্চমূল্যে ভোজ্যতেল, গম ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করতে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (সরকার) ভোগ্যপণ্য নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন এবং জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই রিজার্ভ কমেছে।
তিনি আরও বলেন যে এখন একটি গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে ব্যাংকে টাকা নেই এবং গ্রাহকরা তাদের আমানত ফেরত পাবেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই গুজবের কারণে অনেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে রেখে দিচ্ছেন। ঘরে টাকা রাখলে চোরের জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তাই না?... এখন এটা মালিকদের ব্যাপার যে তারা এটা ব্যাংকে রাখবে নাকি চোরদের হাতে তুলে দেবে।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক থেকে টাকা তুলে বাড়িতে রাখলে চোরেরা উৎসাহিত হবে: প্রধানমন্ত্রী
শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর অনুষ্ঠিত হবে: শাহরিয়ার আলম
দেশে ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২২১
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ২২১জন।
এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মোট ২৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।আক্রান্তদের মধ্যে ১৪১ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৮০জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৫১৯
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৯৬৯জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এক হাজার ১৩৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালগুলোতে ৮৩৪ জন রোগী ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৫ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৫৫ হাজার ১৪৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ৩৫ হাজার ২৮৭জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১৯ হাজার ৮৫৮জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৫২ হাজার ৯৩৪ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ৩৪ হাজার পাঁচ জন ঢাকার এবং বাকি ১৮ হাজার ৯২৯ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: দেশে ৩ মৃত্যু ,শনাক্ত ৪৭৭
ডেঙ্গু: প্রাণ গেলো আরও ৩ জনের
রাঙ্গুনিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে হোটেলে রেখে ধর্ষণ, অটোচালক গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মো. শোয়াইব (১৯) নামের এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।
রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলায় আসামি মো. শোয়াইবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আরেক আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা: ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। ২০ নভেম্বর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে জোর করে অটোরিকশায় তুলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর ২১ নভেম্বর তার বাবা রাঙ্গুনিয়া থানায় জিডি করেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে অটোরিকশা চালক শোয়াইবসহ দুই জনকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন ওই শিশুর মা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে স্কুলছাত্রীকে শোয়াইব ও তার সহযোগী জোর করে অটোরিকশায় তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় এবং শহরের একটি হোটেলে তারা দুজন তাকে ধর্ষণ করে। এরপর ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম শহরে ও পরে কক্সবাজারের রামুতে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই শিশুর পরিবার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে অবস্থান জেনে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
নির্যাতিত শিশুকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২০১২ সালে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মাগুরায় ৭বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ