বাংলাদেশ
সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই হাজার মানুষ পানিবন্দি, মেরামত হচ্ছে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ
ঘুর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বাগেরহাটে দুই গ্রামের দুই হাজার মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা এলাকায় ভৈরব নদের বাঁধের একাংশ ভেঙে মাঝিডাঙ্গা ও পোলঘাট গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।
বুধবার সকালে ভৈরব নদের পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে, তিনদিন ধরে ওই দুটি গ্রামের প্রায় দুই হাজার মানুষের বাড়িঘরে পানি জমে আছে। অনেকের বাড়িতে চুলায় পানি জমে থাকায় রান্না বন্ধ রয়েছে।
বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে নিয়ে ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই বাঁধ মেরামত করানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিত্রাং তাণ্ডবে ফরিদপুরে ২ বাসের ওপর ভেঙে পড়ল বিশাল বিলবোর্ড
এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি নামতে শুরু করেছে।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম জানান, জোয়ারের পানি যাতে গ্রামে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য জরুরি ভিত্তিতে ভাঙা বাঁধ মাটি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে।
শিগগিরই টেকসই ভাবে ওই বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গির হাওলাদার জানান, এক বছরে নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে ভৈরব নদের ওই একই এলাকায় তিনবার বাঁধ ভেঙে যায়। ওই ভাঙা স্থান থেকে পানি প্রবেশ করে মাঝিডাঙ্গা ও পোলঘাট গ্রামে। ওই দুই গ্রামের রাস্তাঘাট, ফসল, ধানখেত, মৎস্যঘের ও বাড়িঘর ডুবে থাকে।
মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য তারা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়েছে আসছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ জানান, জেলায় তাদের মোট ৩৪০ কিলোমিটার ভেড়িবাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর ১০০ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে যা, স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলে ওই বাঁধ উপচে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী পাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণের জন্য তারা একটি প্রস্তাবনা উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত তার সম্ভাব্যতা যাচাই হয়নি।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রæত মেরামতের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় সহয়তা দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুই হাজার ১৪০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩২২টি সম্পূর্ণ এবং ১৮১৮টি আংশিক ক্ষতি হয়।
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আজিজুর রহমান জানান, জেলায় এক হাজার ৩৮০ হেক্টর জমির ধানসহ ফসল পানিতে আক্রান্ত হয়। এরইমধ্যে অধিকাংশ জমির পানি নেমে গেছে। ফসলের তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, জেলায় প্রায় এক হাজার মৎস্যঘের এবং ৮০০ পুকুর ডুবে চিংড়িসহ সাদা মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: সিত্রাং তাণ্ডবে কেরানীগঞ্জে দুটি ভবন হেলে পড়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সারাদেশে ২৬ জনের মৃত্যু
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাংবাদিক ফোরামের কোর কমিটির সভা ২ নভেম্বর
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সাংবাদিক ফোরামের সভা জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ সভা হয়।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ফোরামের দীর্ঘদিনের রীতি রেওয়াজ অনুযায়ী আগামী ২ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টায় ফোরামের কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
কোর কমিটির ওই সভায় প্রেস ক্লাবের আসন্ন নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জয়লাভের ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবর রক্ষার দাবি ডিইউজের
সভায় নেতারা বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সকলকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সভায় আরও বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে বিভক্ত করে অন্য কোনও পক্ষের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে যে কোন ব্যক্তির যে কোনও ধরনের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকান্ডকে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার অবিলম্বে মুক্তি এবং হেনস্তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি ডিইউজের
১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিইউজের উদ্বেগ
শিক্ষাকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি বলেছেন, ‘শিক্ষায় গড়বো দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষার আলো জ¦লবে প্রতিটি ঘরে ঘরে।
বুধবার বিকালে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআচড়ায় ডা. মশিউর রহমান মহিলা কলেজের আমেনা খাতুন একাডেমি ভবনের উদ্বোধন শেষে এক সুধী সমাবেশ একথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ইরাবের বার্ষিক প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করলেন শিক্ষামন্ত্রী
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, ড. মশিউর রহমান সহ স্থানীয় নেতারা।
বক্তারা বলেন, নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়ন সুশাসনসহ দেশের সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে শার্শা ঝিকরগাছা, কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজনৈতিক নেতারা ও সাধারণ মানুষের আগমনে শিক্ষা ও মানব মেলায় পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্ক চর্চা শুরু করতে চাই: শিক্ষামন্ত্রী
ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম: শিক্ষামন্ত্রী
মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতির উন্নতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনও হাত থাকেনা। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে, কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়।
বুধবার সকালে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে জাতির পিতার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী ।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের এক হাজার বেড থেকে ৫০০ এবং বিএসএমএমইউ এর নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও লাগলে আরও বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সঙ্গে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশাড়ি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয় ডেঙ্গুর চিকিৎসা দিতে পারবে কিন্তু মশা মারতে পারবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত বর্তমান সরকারের কোনও উন্নয়নই চোখে দেখতে পায়না। তারা শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্যই রাজনীতি করে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতি করে না। ক্ষমতার লোভে তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুরিয়ে মারতেও দ্বিধা করেনা। তারা সামান্য অজুহাতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। সিলেটে বন্যার সময় তারা বন্যার্ত মানুষের জন্য কিচ্ছু করেনি। তাদের সময় বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো, বিদ্যুৎ থাকতোই না। তারা অফিসে, ঘরে এবং কল কারখানায় কোথাও বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কয়েক ঘন্টা লোড শেডিং নিয়েই বিরাট রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধের কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়েছে। ইউকে'তে এখন মানুষ খাবার বাঁচাতে দুই বেলা খাচ্ছে। কই আমাদের দেশে তো এরকম হয়নি। দেশের মানুষ যাতে অর্থনৈতিক চাপে না পড়ে এজন্য বিদ্যুতের কিছু লোড শেডিং হচ্ছে। এগুলো তো সাময়িক সমস্যা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের মতো দেশ এখন কোনও অকার্যকর, ব্যর্থ ও দুর্নীতিতে পরপর চার বার চ্যাম্পিয়ন নয়। করোনার এত বড় ধাক্কার পরও বাংলাদেশের মানুষ অভাবে না খেয়ে নেই। দেশের মানুষকে খাবার বাঁচাতে দু’বেলা খেতে হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভালো থাকা নিয়ে ভাবেন, আর বিএনপি জামায়াত দেশকে লুটেপুটে খাবার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়। এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। আর বোঝে বলেই দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সঙ্গেই আছে। দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় এনে সেটাই প্রমাণ করে দেবে।
শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের ১৮ জন সদস্যের নির্মম হত্যাকাণ্ডে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার যোগসূত্র উল্লেখ করতে গিয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট ভবনে অবস্থিত বহুতল মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর মাহমুদ হাসান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিরাজুল ইসলাম শিশির, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, এবং গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়া সহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাতে এখন সুবাতাস বইছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা ফি নির্ধারণ করবে সরকার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠাবেন
প্রতি বছর ঝড়ের সম্মুখীন হওয়ায় বাংলাদেশিদের জন্য বন্যা মোকাবিলা করা বেশ স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরেও ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কমছে না; বরং বেড়েই চলেছে। প্রতি বছর ঝড়-প্লাবনে প্রাণহানি যেন অগত্যা সাধারণ সংবাদে রূপ নিয়েছে। এ অবস্থার উন্নতির জন্য সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে প্রয়োজন তাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক বন্যা দুর্গত এলাকায় কি ধরনের খাদ্য ও ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানো যায়।
বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য খাদ্য সামগ্রী
বিশুদ্ধ খাবার পানি
ঝড় ও বন্যার সময় নদী, পুকুর এবং ঘরের ভেতরের পানি দূষিত হতে পারে। তাই আশ্রয়কেন্দ্রে সরবরাহকৃত পানি সঞ্চয় করা উত্তম। সাধারণত একজন ব্যক্তির পানীয় এবং খাদ্যের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিদিন গড়ে ন্যূনতম ১ গ্যালন এবং গোসল, দাঁত ব্রাশ ও থালা-বাসন ধোয়ার জন্য দেড় থেকে আড়াই গ্যালন পানি প্রয়োজন হয়৷ অবশ্য টিনজাত ফলের রস, কোমল পানীয় এবং শাকসবজির রস খাবার পানীয়’র কিছু অংশ পূরণ করতে পারে।
এই পানি সরবরাহের সময় টাইট-ফিটিং বা স্ক্রু টপ ঢাকনা সহ পরিষ্কার পাত্র ব্যবহার করা উচিত। হালকা ওজনের প্লাস্টিকের পাত্র এক্ষেত্রে ভালো কাজ দিতে পারে। যদি কাচের জগ বা বোতল ব্যবহার করা হয়, তাদের মধ্যে খবরের কাগজ বা অন্যান্য প্যাকিং সামগ্রী রেখে সেগুলোকে ভেঙ্গে যাওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে। ধাতব পাত্রগুলোতে পানি রাখলে পানির স্বাদ বদলে যায়; আর মরিচা ধরতে পারে।
খুব জরুরি অবস্থায় বাড়ির গরম পানির ট্যাঙ্ক থেকে নিষ্কাশন করা পানি সংগ্রহ করা যেতে পারে। তবে এগুলোতে দূষণের সম্ভাবনা থাকে। তাই এই পানি সরবরাহের আগে বিশুদ্ধ করা উচিত।
প্রায় সময় অনেক বেশি পানি বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে ক্লোরিন ডাই অক্সাইড বা পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ফিটকিরি ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। এতে করে প্লাবিত লোকজন নিজেরাই পানি বিশুদ্ধ করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প
যথাসম্ভব সংরক্ষণ করে রাখার মত বিশুদ্ধ খাবার
যে কোন দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় দুর্যোগ পরবর্তী খাবারের চাহিদা পূরণের জন্য মুড়ি, চিড়া, সবজি খিচুড়ি ইত্যাদি খাদ্য ত্রাণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। জরুরি অবস্থায় ত্রাণ হিসেবে সরবরাহের জন্য আগে প্রয়োজনীয় খাদ্যগুলো সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এখানে খাবারের পরিমাণ এবং ধরণ বিভিন্ন কারণের ওপর নির্ভর করে। যেমন- দুর্গত এলাকার পরিবারের সদস্যদের বয়স এবং বিশেষ খাদ্য চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তি যেমন- শিশু, গর্ভবতী মহিলা, বয়স্ক। এছাড়াও তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং খাদ্য প্রস্তুত করার ক্ষমতার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।
স্বল্পমেয়াদী খাদ্য সরবরাহের জন্য সাধারণত পানীয় এবং বিশেষ খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হয়। কাচের পাত্র ভেঙ্গে যেতে পারে। তাই জরুরি খাদ্য সরবরাহের জন্য টিনজাত পণ্যই সেরা। টিনজাত খাবারের মধ্যে রয়েছে-
শাকসবজি, মটরশুটি, ফল ও ফলের রস, স্যুপ, দুধ এবং বোতলজাত পানি। এছাড়াও তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে চিনি, লবণের মতো প্রধান খাবার, বিস্কুট, চকলেট, উচ্চ শক্তির খাবার যেমন পিনাট বাটার, জেলি, বাদাম, শুকনো ফল, চাল এবং আলু। বাচ্চাদের জন্য সুজি, সেরেলাক নেয়া যেতে পারে।
টিনজাত খাবার প্রায় অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা যেতে পারে, যতক্ষণ না টিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এগুলো সরবরাহের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে তা সংরক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। নতুবা যে কোনও সময় সেগুলো পোকামাকড় এবং ইঁদুরের মতো কীটপতঙ্গের পাশাপাশি বন্যার পানি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আরো পড়ুন ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: ভোলায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিপর্যস্ত
বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরণের জন্য অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী
খাবার ছাড়াও বন্যার্তদের টিকে থাকার জন্য আরও কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। অতিবৃষ্টি অথবা বন্যার কারণে অনেক সময় অসহায় লোকদের এক কাপড়েই কাটিয়ে দিতে হয় দীর্ঘ দিন। তাই নারী-পুরুষ ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য আলাদাভাবে কাপড় নেয়া যেতে পারে। বন্যার পানি থেকে পা বাঁচানোর জন্য দেয়া যেতে পারে গামবুট। এ ব্যাপারে শিশু ও বয়স্কদের ওপর বিশেষ নজর দেয়া যেতে পারে।
স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রীর মধ্যে সাবান, টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট, মশা ও পোকা-মাকড় নিরোধক, মশা স্প্রেয়ার ত্রাণ হিসেবে সঙ্গে নেয়া যেতে পারে।
ওষুধপত্রের মধ্যে খাবার স্যালাইন, জ্বর ও মাথা ব্যথার ওষুধ, কাশির সিরাপ নেয়া যেতে পারে।
বিভিন্ন মাত্রার বর্ষণ থেকে বাঁচার জন্য ছাতা ও রেইন কোট উত্তম। কাপড়ের বিকল্প হিসেবে নয়; বরং আলাদা কাপড়ের তালিকায় এই সামগ্রী রাখা উচিত।
ঝড়ের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট খুব সাধারণ বিষয়। এই লোডশেডিং-এর কথা মাথায় রেখে মোমবাতি, টর্চ লাইট, ম্যাচ দেয়া যেতে পারে।
দুর্যোগ যখন বন্যা তখন এ থেকে বাঁচার জন্য নৌকাই একমাত্র ভরসা। তাই ত্রাণ হিসেবে নৌকার কথাও ভাবা যেতে পারে। স্থানীয় নৌকার দাম সাধারণত সাধ্যের বাইরে থাকে। তাই ত্রাণ হিসেবে কয়েকটি ইনফ্ল্যাটেবল বোট পেলে অসহায় মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারে। গ্যাসে ভরা এসব নৌকা ওজনে বেশ হালকা হয়; আর দামেও সাশ্রয়ী। ৩ জন মানুষের জায়গা সংকুলান হয় এই নৌকায়। ফলে সহজেই তারা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে পারেন।
আরো পড়ুন পাকিস্তানে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণ
শেষাংশ
বন্যা দুর্গত এলাকায় খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ বির্পযস্ত জনজীবনকে কেবল টিকিয়েই রাখে না, এটি ভবিষ্যতের জন্য আর্থিক দিক থেকে পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বজায় রাখে। প্রতিবারের মত এবারো সিত্রাং ঘূর্ণিঝড়ে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে বিভিন্ন রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে। এ সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করে অসহায় মানুষ তীর্থের কাকের মত ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করে। তাই পর্যাপ্ত খাবার ও ওষুধসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী তাদের এই ক্ষতিগুলো অনেকাংশে পুষিয়ে দিতে পারে। প্রত্যেকের সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসা উচিত এই দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে।
করোনা: মৃত্যুশূন্য দিনে শনাক্ত ১৯৬
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এসময়ে নতুন করে ১৯৬ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪১৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৯ জনে পৌঁছেছে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ৯১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৩৯
এ সময়ে শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ০১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৫৮ জন।
এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৬ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৮৫
করোনায় আরও দুইজনের মৃত্যু, শনাক্ত ২০৭
ডেঙ্গু: আরও ২ মৃত্যু, শনাক্ত ৯২৩
দেশে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে আরও দুইজনের। একই সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৩ জন।
এ নিয়ে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৫২০ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং বাকি ৪০৩ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে আরও ৭৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত তিন হাজার ৩৮০ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় দুই হাজার ২০৭ জন এবং এক হাজার ১৭৩ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ অক্টোবর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৩৩ হাজার ৯২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ৬০২ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৩২১ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৩০ হাজার ৪২৩ জন ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
এদের মধ্যে ২১ হাজার ৩২৪ জন ঢাকার এবং বাকি ৯ হাজার ৯৯ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: একদিনে শনাক্ত ৯০৩, মৃত্যু আরও ৫
ডেঙ্গু: একদিনে শনাক্ত হাজার ছাড়াল
প্রফিট শেয়ার করার জন্য হাওয়া ভবন ও পিএমওতে উন্নয়ন উইং নেই: ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদের মুনাফার আগে দেশ ও মানুষের কথা ভাবতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনার লাভের (প্রফিটের) অংশ শেয়ার করার জন্য এখানে কোনো হাওয়া ভবনও নেই, আর পিএমওতে (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে) কোনো উন্নয়ন উইংও নেই।’
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভোগ্যপণ্যের আমদানি-রপ্তানিকারকদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে বিনা বাধায় মুনাফা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইতালির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী মেলোনিকে শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উন্নয়ন শাখার ‘যন্ত্রণা’ ও হাওয়া ভবন থেকে মুক্ত।
‘এখন আপনাদের এই যন্ত্রণায় ভুগতে হচ্ছে না। আপনাদের এটি স্বীকার করতে হবে, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, অতীতে লাভের সিংহভাগই হাওয়া ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন উইংয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘...মনে রাখুন এবং দেশ এবং এর জনগণের কথা চিন্তা করুন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় সরকার ব্যবসায়ীদের তাদের ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছেন, যদিও তারা এটা চায়নি।
তিনি বলেন, তার উদ্যোগের মাধ্যমে একটি দল গঠন করা হয়েছিল এবং এটি অর্থনীতির চাকা চালানোর জন্য ভালোভাবে কাজ করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, মহামারীর সময়ে উন্নত দেশের অনেক কলকারখানা ও শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম আমাদের কারখানা এবং শিল্পগুলো বন্ধ হতে দেব না, আমাদের চালিয়ে যেতে হবে... আমি শ্রমিকদের মজুরি নিশ্চিত করেছি, প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছি।
আরও পড়ুন:যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
দাম নিয়ন্ত্রণে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
ঠাকুরগাঁওয়ে বাবাকে মারপিটের অভিযোগে ছেলের কারাদণ্ড
ঠাকুরগাঁওয়ে নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগে মাদকাসক্ত ছেলেকে ৪৫ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সদর উপজেলার দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও মুন্সিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত আজিজুর রহমান মিঠুন ওই গ্রামের খৈয়বুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ: অস্ত্র মামলায় জামায়াত নেতার ১৭ বছরের কারাদণ্ড
জানা যায়, আজিজুর রহমান মিঠুন তার বাবার কাছে এক হাজার টাকা চায়। ছেলের দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করে খৈয়বুর।
এতে মাদকাসক্ত ছেলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবাকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে বাবার হাত ভেঙে যায়।
এ সময় স্থানীয় লোকজন মিঠুনকে আটক করে পুলিশ কে খবর দেয়।
পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায় এবং বাবাকে পিটিয়ে জখম করার অপরাধে মিঠুনকে ৪৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চাচাকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ভাতিজার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
দুর্নীতি মামলায় বরখাস্ত ডিআইজি বজলুর রশীদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের জন্য ১০টি দেশের সঙ্গে পারস্পারিক আইনগত সহায়তা চুক্তি (এমএলএ) চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে বিএফআইইউ’র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: জজ মিয়াকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের রুল
এর আগে গতকাল (২৫ অক্টোবর) প্রতিবেদন দাখিল করে বিএফআইইউ জানায়, বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের জন্য অন্তত ১০টি দেশের সঙ্গে এমএলএ চুক্তির জন্য অর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
দেশগুলো হলো-যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চীন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা ও পাচার করা অর্থ দেশে ফেরত আনার জন্য প্রস্তাবিত ‘Research Cell’ এ লোকবল পদায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ওই সেলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযুক্ত লোকবল পদায়নের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অর্থ ফেরত আনার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, পাচার করা অর্থ ফেরত আনা সম্পর্কিত মামলায় তথ্য-প্রমাণ বিদেশি রাষ্ট্র থেকে যথাসময়ে না পাওয়ার প্রেক্ষাপটে অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে বিদেশে পাচার করা সম্পদ বাংলাদেশে ফেরত আনার বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের গত ৩ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ উদ্ধারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণের জন্য ৬-৭টি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক আইনগত সহায়তা চুক্তি (এমএলএ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিষয়টি পর্যালোচনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বিএফআইইউ ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অংশগ্রহণে সভা আয়োজন করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সিদ্ধান্তের সূত্রে বিএফআইইউ আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়কে সভা আয়োজনের অনুরোধ করে। পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কোন কোন দেশের সঙ্গে এ পর্যায়ে এমএলএ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে এবং এর যৌক্তিকতা জানানোর জন্য বিএফআইইউকে অনুরোধ করলে বিএফআইইউ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং-চীনের সঙ্গে এমএলএ চুক্তি স্বাক্ষরের যৌক্তিকতা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে অবহিত করে।
আরও পড়ুন: সোর্স প্রকাশ না করতে সাংবাদিককে আইন সুরক্ষা দিয়েছে: হাইকোর্ট
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এডি নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা নেই