বাংলাদেশ
সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে: আইনমন্ত্রী
দেশে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে, তাই আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার সচিবালয় থেকে ভার্চুয়ালি রাঙ্গামাটির নবনির্মিত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশন দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে। এতে বিএনপি অংশ নেয়নি, আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান কী- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকারের অবস্থান বড় কথা নয়, কমিশনের সঙ্গে দলগুলোর সংলাপ হচ্ছে। আমার মনে হয়, এই সংলাপের পর নির্বাচন কমিশন কী বলবেন, সেটা শোনার জন্য আমরা অপেক্ষা করব।
তিনি বলেন, আমি মনে করি বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের একটা পরিবেশ আছে। সকলেই এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলেই আমি আশা করি।
মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবনের উদ্বোধনের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আজকে বিচার বিভাগের জন্য একটি অত্যন্ত শুভক্ষণ। ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়। কিন্তু সেটি কিছুটা কাগজে পৃথকীকরণের মতোই ছিল। আদালত চালানোর জন্য যে ভৌত-কাঠামো দরকার সেগুলো তখন ছিল না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভৌত-অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেয়।
ইতোমধ্যে ৩৩টি মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত ভবন এবং মুখ্য মহানগর হাকিম ভবন নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেখানে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাঙ্গামাটিতে আমরা ৩৪তম মুখ্য বিচারিক হাকিম ভবন উদ্বোধন করতে যাচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন, এ স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য বিচার বিভাগকে কিছু সুবিধাদি দিতে হয়। এ ভবন নির্মাণ করা হলে বিচার বিভাগ অপরের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের কাজ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
নিয়ন্ত্রণ নয়, সুরক্ষায় ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে: আইনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন ২০৩০ সাল পর্যন্ত বনের কোন গাছ না কাটার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অবৈধভাবে বনের গাছ কাটা বন্ধ না হলে আন্তর্জাতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে না। তিনি এসময় বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং বনরক্ষকদের এই নির্দেশ নিশ্চিতে কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
জাতীয় বৃক্ষমেলা ২০২২ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষ্যে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে মানুষ কম ছিল, বন বেশি ছিল। তবে এখন হিসেব বদলেছে। বনে বসবাস করা আদিবাসীরাও বনের ভেতর বড় জনপদ গড়ে তুলছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের বনের পরিমাণ ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। আমাদের প্রয়োজন ২৫ শতাংশ বনায়ন। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বনায়নের যে লক্ষ্য, তা অর্জনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত পাহাড় ও বনের গাছ কাটা যাবে না।
তিনি এসময় টিলা কাটা ও নদী ভরাট বন্ধ করে অধিক হারে বৃক্ষরোপণের জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, দেশে সবুজ আচ্ছাদন তৈরিপূর্বক টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতিবছর আয়োজিত বৃক্ষমেলা ও বৃক্ষরোপণ অভিযান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, এ বছর শেরে বাংলা নগরস্থ মাঠে আয়োজিত জাতীয় বৃক্ষমেলায় সর্বমোট ১৬ লাখ ৩০ হাজারের বেশি চারা বিক্রি হয়েছে। দেশের সকল বিভাগ ও জেলাতে এবং বেশ কিছু উপজেলাতেও বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হয়েছে। দেশব্যাপী আয়োজিত এ বৃক্ষমেলায় বিক্রয় ও রোপণ করা হচ্ছে কোটি কোটি গাছ।
আরও পড়ুন: জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণে বন সংরক্ষণে সফল হবে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
বনমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লক্ষ্য অর্জনের অংশ হিসেবে বনের জবরদখল উচ্ছেদ, বৃক্ষহীন ও অবক্ষয়িত বনভূমি, প্রান্তিকভূমি এবং উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক বনায়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, ২০০৯-২০১০ থেকে ২০২০-২১ আর্থিক সাল পর্যন্ত ম্যানগ্রোভসহ এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৭৮ হেক্টর ব্লক, ২৬ হাজার ৪৫৩ সিডলিং কিমি. স্ট্রিপ বাগান তৈরি ও বিক্রি বিতরণের ১০ কোটি ৫৯ লাখ চারা বিতরণ ও রোপণ করা হয়েছে। একই সময়ে সামাজিক বনায়নে সম্পৃক্তে এক লাখ ৪১ হাজার ২৩৮ জন উপকারভোগীর মাঝে লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে। বিগত তিন বছরে বন অধিদপ্তর কর্তৃক চার হাজার ৭২৯ হেক্টর বনভূমি জবরদখল মুক্ত করে বনায়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের বন রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৯ ও ২০২০’ এবং সামাজিক বনায়নের ৬ জন উপকারভোগীদের মাঝে লভ্যাংশের ৩৭ লাখ টাকার চেক, নির্বাচিত স্টল মালিকদের এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২২ উপলক্ষ্যে আয়োজিত রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণে আন্তর্জাতিক সমঝোতা জরুরি: পরিবেশমন্ত্রী
ডি-৮ বৈঠকে খাদ্য, জ্বালানি নিরাপত্তা ও বাণিজ্যকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, আগামী ২৭ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮’র এর মন্ত্রী পর্যায়ের ২০তম আলোচনা সভায় খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা, বাণিজ্য, পর্যটন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
রবিবার রাজধানীতে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা একটি বৈশ্বিক সমস্যা; যা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। কারণ এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা খাদ্য নিরাপত্তাকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছি। খাদ্য নিরাপত্তা ইস্যু বহুল আলোচিত হবে। আমরা অন্যান্য বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের দক্ষতা শেয়ার করতে চাই। সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
জ্বালানি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে মোমেন বলেন, এটি সর্বত্র আলোচিত হচ্ছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী একটি আলোচিত বিষয়। ‘আমাদের অবশ্যই জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটা নিয়েও আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, যদিও কিছু ডি-৮ দেশ পর্যটন খাতে পরিপক্কতা দেখিয়েছে, তবে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের আরও বেশি কিছু করার সুযোগ রয়েছে।
মোমেন বলেন, আন্তঃবাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও ডি-৮ দেশগুলো এ বিষয়ে আরও কিছু করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কীভাবে বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করা যায় আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করব।’
তিনি বলেন, ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ)-এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আন্তঃবাণিজ্য বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে৷
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য আসন্ন বছর খুবই প্রতিশ্রুতিশীল: ডাচ রাষ্ট্রদূত
২০০৬ সালের ১৩ মে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে স্বাক্ষরিত ডি-৮ প্রেফারেনশিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) বাণিজ্যে ডি-৮ সহযোগিতার সবচেয়ে বাস্তব উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
চুক্তিটি সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক গভীর করার পারস্পরিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং উচ্চ স্তরে অর্থনৈতিক সংলাপের সূচনা করে।
কয়েক দফা বহুপাক্ষিক আলোচনার পর ২০১১ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পিটিএ কার্যকর হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য ডি-৮ বৈঠকে আজারবাইজানের সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে ডি-৮ দেশের কিছু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও তাদের সহকর্মীরা প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এতে যোগ দিয়ে সভার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ২৫ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ডি-৮ কমিশনের ৪৫তম অধিবেশনের আয়োজন করবে।
অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশনের (ডি-৮) বা ডেভেলপিং-৮ হলো উন্নয়ন সহযোগিতার জন্য গঠিত একটি সংস্থা। এর সদস্য দেশগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
১৯৯৭ সালের ১৫জুন সরকার প্রধানদের ইস্তাম্বুল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ডি-৮ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডি-৮ এর উদ্দেশ্য হল বিশ্ব অর্থনীতিতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অবস্থান উন্নত করা, বাণিজ্য সম্পর্কের বৈচিত্র্য আনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করা এবং নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার
বাংলাদেশ-ব্রাজিলের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষর
দেশে করোনায় শনাক্ত ৪৩০, মৃত্যু ৪
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে ৪৩০ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ২৬৬ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ এক হাজার ৭৭৫ জনে পৌঁছেছে।
রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ছয় হাজার ১০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৩৫ হাজার ৯৬৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৭১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় শনাক্ত ৪৪৬, মৃত্যু ৪
করোনা: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত কমেছে
জরিমানা চেয়ে বাংলালিংক-যমুনা ব্যাংককে সাকিবের লিগ্যাল নোটিশ
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও বেআইনিভাবে ছবি ও ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করার অভিযোগে বেসরকারি যমুনা ব্যাংক ও মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের কাছে জরিমানা চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। নোটিশে দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে মোট পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
রবিবার আইনজীবী আশরাফুল হাদী বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন।
সাত দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের এটিএম বুথসহ বিভিন্ন জায়গায় সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি তুলে নিতে হবে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সাকিব আল হাসানের বিখ্যাত ব্র্যান্ড ইমেজ নিজেদের ব্যবসায়িক কাজে সীমিত ব্যবহারের জন্য বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি চুক্তি হয়। শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২০ জানুয়ারি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়, কিন্তু এরপরও প্রতিষ্ঠানটি সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড, স্বাক্ষর সংবলিত ছবি ব্যবহার করায় এ নোটিশ দেয়া হয়।
যমুনা ব্যাংককে কেন নোটিশ পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে আশরাফুল হাদী বলেন, 'যমুনা ব্যাংকের বুথে সাকিব আল হাসানের ছবি সংবলিত বাংলালিংকের বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। তার মানে বাংলালিংক ও যমুনা ব্যাংকের মধ্যে আন্ত ব্যাবসায়িক সম্পর্ক আছে। পরোক্ষভাবে হলেও যমুনা ব্যাংক সাকিব আল হাসানের ব্র্যান্ড ইমেজ ব্যবহার করছে।’
নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী আশরাফুল হাদী বলেন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও শর্ত ভঙ্গ করে ছবি, ব্র্যান্ড ব্যবহার করায় আইনভঙ্গ হয়েছে। এ জন্য পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবহৃত সাকিব আল হাসানের ছবি, ব্র্যান্ড প্রচার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অনিশ্চিত সাকিব
ফের বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৬৫ জন হাসপাতালে
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ৬৫ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ৪৭টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৯ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ছয়জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৯৯ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ২৩৫ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৬৪ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট দুই হাজার ১৪৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৮৩৭জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৩০৯ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে এক হাজার ৮৪১জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৫৯৯ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ২৪২ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬৭
ডেঙ্গু: আরও ৩৫ রোগী হাসপাতালে
ঢাকার আপত্তির মুখে বিকৃত ছবি সরাল পাকিস্তান হাইকমিশন
ঢাকার আপত্তির মুখে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার বিকৃত সংস্করণ ব্যবহার করা ছবিটি ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজের কভার ফটো থেকে সরিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আপত্তি জানানোর একদিন পর রবিবার পাকিস্তান হাইকমিশন কভার ফটোটি সরিয়ে নেয়।
ডি-৮ এর মন্ত্রী পরিষদের ২০তম অধিবেশন নিয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন,বাংলাদেশের পতাকার সঙ্গে জড়িয়ে পাকিস্তানের পতাকার যে ছবি ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশন তাদের ফেসবুক পেজে ব্যবহার করেছে তা তাদের (ঢাকা) পছন্দ হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, তারা (পাকিস্তান) বিভিন্ন মিশনের পেজে আরও কয়েকটি দেশের পতাকার ছবি আপলোড করেছে।
আরও পড়ুন: কনসার্ট ফর বাংলাদেশ বিশ্বকে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অবহিত করে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ বিষয়ে তিনি শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও তুরস্কের মতো দেশের কূটনৈতিক মিশনের কথা উল্লেখ করেন।
মোমেন বলেন, ‘আমরা তাদের (পাকিস্তানকে) বলেছি এটি আমাদের পছন্দ নয়।’
তারা কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ ছবি আপলোড করেনি বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানায় পাকিস্তান, যোগ করেন মোমেন।
শুক্রবার মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বাংলাদেশের পতাকার বিতর্কিত ছবি পোস্ট করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় চট্টগ্রামে গমের অত্যাধুনিক স্টিলের গুদাম
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও খাদ্য সঙ্কট মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যশস্যের সঠিক সংরক্ষণে অত্যাধুনিক সাইলো বা গুদাম নির্মাণ একটি কার্যকরী পদক্ষেপ। আর এ উদ্দেশ্যেই, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত কংক্রিট গমের সাইলো ক্যাম্পাসে নির্মাণ করা হচ্ছে স্টিলের তৈরি গমের সাইলো।
রবিবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন।
সাইলো নির্মাণের প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশের কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও যুক্তরাস্ট্রের জিএসআই গ্রুপ এলএলসি। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের অংশ হিসেবে নির্মিতব্য এই সাইলোটির নির্মাণকাজের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থাকবে খাদ্য অধিদপ্তর।
সাইলোটিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুই থেকে তিন বছর পর্যন্ত গম সংরক্ষণ করা যাবে। সংরক্ষিত গমের গুণগত মান নিশ্চিতে রাসায় না, যা প্রচলিত নিক দ্রব্য ও কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হবে খাদ্য গুদাম বা সাইলোতে সম্ভব নয়। দেশের স্থানীয় সরবরাহ কেন্দ্রগুলোতে শস্যের আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের সুযোগ না থাকায় গুদামগুলোতে সব মৌসুমে ও দীর্ঘ সময়ব্যাপী শস্য মজুদ করা সম্ভব নয়। এমন পরিস্থিতিতে, দীর্ঘদিন গম সংরক্ষণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে এ সাইলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব নয় – তাই, আমাদের সরকার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক-নির্দেশনায় আমরা আমাদের কৃষি ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই দেশব্যাপী আধুনিক খাদ্যশস্য সংরক্ষণাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে; যাতে যেকোন সময় ও যেকোন অবস্থায় আমাদের দেশের মানুষের জন্য খাবারের যথেষ্ট মজুদ থাকে। সামনের দিনগুলোতেও আমরা আমাদের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।’
বিশেষ অতিথি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন এ সময়োপযোগী পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এমন সব উদ্যোগের ফলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে; বিশেষ করে, দুর্যোগের মুহূর্তে খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা সম্ভব হবে, সে দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়সহ সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৩৫ লাখ মেট্টিক টন খাদ্য মজুদের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন প্রসঙ্গে কনফিডেন্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমান করিম বলেন, ‘উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের অদম্য যাত্রা যেন কোনভাবেই কোনো বাধার সম্মুখীন না হয়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দেশের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এ দায়িত্বেরই একটি অংশ। গুরুত্বপূর্ণ এই সাইলোর নির্মাণে আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সাইলো নির্মাণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করবার লক্ষ্যে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাবো।’
প্রধান এবং বিশেষ অতিথিরা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ড সদস্য রুপম কিশোর বড়ুয়া, ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের পরিচালক মো. রেজাউল করিম শেখসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে কনফিডেন্স গ্রুপের বোর্ড সদস্য রুপম কিশোর বড়ুয়া বলেন, ‘প্রকৌশল ও নির্মাণখাতে আমাদের বিশেষ দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপর আস্থা রাখার জন্য আমরা সরকারকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। খাদ্যশস্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে আধুনিক সাইলো নির্মাণের এ উদ্যোগ আমাদের জন্য বিশেষ কিছু। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবো। সবসময়ের মতো এবারও আমরা আমাদের মেধা এবং অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটিয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করবো।’
চট্টগ্রামের এ সাইলোটি সহ ‘আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার’ প্রকল্পের আওতায় দেশে ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ আটটি স্থানে একটি করে মোট আটটি অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হবে, যার মধ্যে দু’টিতে গম এবং ছয়টিতে চাল সংরক্ষণ করা হবে। মোট আটটি স্থানের মধ্যে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (বাংলাদেশ) ও জিএসআই গ্রুপ এলএলসি (ইউএসএ) যৌথভাবে তিনটি স্থান যথা-বরিশাল এ ৪৮ হাজার মেট্রিক টন এর চালের সাইলো, নারায়ণগঞ্জ এ ৪৮হাজার মেট্রিক টন এর চালের সাইলো ও চট্টগ্রাম এ এক লাখ ১৪হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এর গমের সাইলো নির্মাণ করছে। প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য দুর্যোগোত্তর জরুরি প্রয়োজনে সরকারি এবং পারিবারিক পর্যায়ে কার্যকর খাদ্য মজুদ ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের এ সাইলো ক্যাম্পাসে ৫ একর অব্যবহৃত নিচু জায়গা উন্নয়ন করে সাইলো নির্মাণ উপযোগী করা হয়েছে। সমগ্র সাইলো নির্মাণাধীন এলাকায় সীমানা প্রাচীর এবং একটি তিনতলা সাইলো সাইট অফিস ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে, প্যাকেজ ডব্লিউ-২৪ এর আওতায় এক লাখ ১৪ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার এ গমের স্টিল সাইলো নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে।
চট্টগ্রামে নির্মিতব্য এ গম সংরক্ষণের সাইলোটি নির্মাণের উদ্দেশ্যে কনফিডেন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এবং জিএসআই গ্রুপ এলএলসির সাথে খাদ্য অধিদপ্তরের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এ বছরের এপ্রিল মাসে। চুক্তি মোতাবেক নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ।
আরও পড়ুন: খাদ্যের অপচয় রোধে সতর্ক হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে রপ্তানিমুখী মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি বা মাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য তৈরি করতে পারি এবং সেগুলো রপ্তানি করতে পারি।’
রবিবার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন প্রজন্ম এমন শিল্প স্থাপনে আরও এগিয়ে আসবে যা বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি আমার কার্যালয় দখল করতে এলে চা দেবো: প্রধানমন্ত্রী
‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ (২৩-২৯ জুলাই) শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প দেশীয় চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এইভাবে আমরা আমাদের দেশকে আরও এগিয়ে নিতে সক্ষম হব।’
কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকায় জাল দিয়ে চিংড়ি পোনা ধরার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। কারণ এতে আরও অনেক জাতের মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী দেশের হাওর অঞ্চলকে মাছ উৎপাদনে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের হাওর এলাকায় শুধু ধান নয়, মাছেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমাদের সারাদেশের হাওরের বিভিন্ন অংশে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: যারা আপনাদের বেতন দেয়, তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নেত্রকোণায় একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিলেট এলাকায় কাজ চলমান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী জাতীয় মৎস্য পুরস্কার প্রাপকদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
নাটোরে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
নাটোরে সিংড়ার শেরকোল এলাকায়‘নাটোর আইটি বা হাই-টেক পার্ক’এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। রবিবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ভারত সরকারের অর্থায়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের অধীনে প্রায় ৯ একর জায়গার ওপর ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে পার্কটি নির্মিত হচ্ছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
পার্কটি চালু হলে প্রতিবছর এক হাজার তরুণ প্রশিক্ষণ নিতে পারবে এবং তিন হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: রংপুরে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হাই-টেক পার্ক নাটোরকে প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জেলায় পরিণত করবে। এটি হবে নাটোরের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা। এছাড়া বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান-নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, নাটোর আইটি পার্কটি উচ্চপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানবসস্পদ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের শুরু থেকেই অভিন্ন ইতিহাস, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বন্ধনে আবদ্ধ। এই বন্ধন আগামী দিনে আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
এই সময় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম,বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা.বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।