বাংলাদেশ
মীরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ আরও এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ আরও এক পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের একটি খাল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবকের নাম তৌফিক আহম্মেদ তারেক (২২)। তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন।
এ নিয়ে তিনদিনে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত রবিবার (১৯ জুন) রাতে উদ্ধার করা হয় তৌফিকের বন্ধু ইশতিয়াকুর রহমান এবং গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উদ্ধার করা হয় তারেকের বড় ভাই ইউএসটিসির ছাত্র মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের লাশ।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে তারেকের লাশ খালে ভেসে যেতে দেখে স্থানীয়রা রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে তারেকের বন্ধুরা খোঁজ পেয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুজনের লাশ উদ্ধার
মীরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা থেকে চার কিলোমিটার দূরে খৈয়াছড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাগল খাইয়া ছড়া থেকে ভাসমান অবস্থায় তারেকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে ইশতিয়াকুর রহমান প্রান্ত ও মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নগরীর হালিশহর থেকে দুই ভাইসহ তিন বন্ধু রবিবার সকালে মীরসরাইয়ের পাহাড়ি এলাকা নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা দেখতে যায়। সেদিন সন্ধ্যার দিকে সেখান থেকে তারা নিখোঁজ হয়। নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা চূড়া থেকে নিচে পড়ে যায় তানভীর, তার ভাই তারেক ও তাদের বন্ধু ইশতিয়াকুর। ওইদিন রাতে ইশতিয়াকুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার দুপুর ১২টা থেকে নিখোঁজ দুই সহোদর তানভীর ও তারেককে উদ্ধার করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধার কাজ চালায়। পরে সোমবার বিকালে স্থানীয় একটি ছড়ার পানিতে নিখোঁজ তানভীরের লাশ পাওয়া যায়। সর্বশেষ মঙ্গলবার একই ছড়ার পানিতে তারেকের লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ইশতিয়াক জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. জাকারিয়ার ছেলে। চট্টগ্রামের হালি শহরের বি-ব্লকে তার বাড়ি। আর তানভীর ও তারেকের বাবার নাম শাহাবুদ্দিন। তাদের গ্রামের বাড়ি মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের হলেও নগরীর হালিশহর বি-ব্লকে থাকেন সপরিবারে।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ট্রেন থেকে পড়ে নিহত ১, আহত ১
জনগণের নিরাপত্তার শেষ অবলম্বন হিসেবে আস্থা অর্জন করুন, পুলিশকে প্রধানমন্ত্রী
জীবন ও মর্যাদার সুরক্ষার জন্য পুলিশের কাছে আসা মানুষের শেষ অবলম্বন হিসেবে বাহিনীটিকে গড়ে উঠতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পুলিশকেও জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে যাতে জনগণ তাদের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় এই বাহিনীকেই তাদের শেষ অবলম্বন বলে মনে করে। জনগণ তাদের আশ্রয় পেতে পারে।’
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে পুলিশকে বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি ও অপরাধের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান সফল হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মাদকের অপব্যবহার, সাইবার অপরাধ, অর্থপাচার, গুজব ছড়ানো, মানব পাচার এবং জনগণ ও দেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সমাজে এ ধরনের অপরাধ রোধে বিশেষ নজর দিতে বলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপনাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে।’
সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা রোধে পুলিশ চমৎকার ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দেশে শান্তি চাই। যদি একটি শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করে, আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হব।’
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি দেশে খাদ্য স্বনির্ভরতা অর্জন ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা ঠেকাতে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ও মূল্যস্ফীতির হার সারা বিশ্বে বাড়ছে এবং তা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
উদ্বোধন করা অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
বিয়ানীবাজারে ১২৯ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি, খোলা হয়েছে ২৮ আশ্রয়কেন্দ্র
সিলেটের বিয়ানীবাজারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
এই উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। উপজেলার ১২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার প্রায় দুই লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
জানা গেছে, বিয়ানীবাজারে প্রতিদিন প্লাবিত এলাকার পরিধি বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে দুর্গত মানুষের সংখ্যা। বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় উপজেলার প্রায় সবকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সার্বক্ষণিক কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিতরণের ধীরগতিতে এখনও অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। কুশিয়ারা ও সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোমান মিয়া বলেন, এখানকার ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৮টিতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে ২৩টিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌলুদুর রহমান জানান, উপজেলার ৬৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসা) মধ্যে ৩১টি বন্যার পানি ওঠেছে। অন্যগুলোর মধ্যে পাঁচটিতে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বন্যায় স্থানীয় মানুষের সঙ্গে গবাদি পশু-পাখিও ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই জানাতে পারছে না স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
আরও পড়ুন: পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজীর ৪ গ্রাম প্লাবিত
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক নূর জানান, বন্যা মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যাদের ঘরবাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে তাদেরকে কাছাকাছি আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা বিদ্যালয় ভবনে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
সিলেট বিভাগে বন্যায় ৭ দিনে ২২ জনের মৃত্যু: বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক
সিলেট বিভাগে সম্প্রতি বন্যায় ১৫ জুন থেকে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হিমাংশু লাল রায়।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘এই পর্যন্ত বন্যায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের মৃত্যুর তথ্য আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে সিলেটে ১৪ জন, মৌলভীবাজারে তিনজন ও সুনামগঞ্জের পাঁচজন মারা গেছেন।’
তাদের মধ্যে ডুবে যাওয়ার তিনদিন পর মঙ্গলবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুরে মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
হিমাংশু বলেন, বজ্রপাত, সাপের কামড়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, ভূমিধস ও পানিতে ডুবে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
এর আগে সোমবার সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান সিলেটে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুশরাত আজমিরী সদর উপজেলায় তিনজনের এবং ছাতক উপজেলায় আরও একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। দুই জেলার প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সোমবার পর্যন্ত অন্তত ৪০ লাখ মানুষ পানিবন্দি ছিলেন।
খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই জেলার বাসিন্দারা।
দেশে করোনায় মৃত্যু ১, শনাক্ত ৮৭৪
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৭৪ জনের এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। দেশে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩৩ জন এবং শনাক্তের সংখ্যা ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪ জনে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮০ পরীক্ষাগারে সাত হাজার ৮৯৩ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অ্যান্টিজেন টেস্টসহ পরীক্ষা করা হয় সাত হাজার ৯২৭ নমুনা।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক তিন শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।
এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ পাঁচ হাজার ৯৮৩ জনে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
বিশ্ব পরিস্থিতি
বৈশ্বিক ডাটা অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪ কোটি ৪৮ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯০ জনে ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ৬৩ লাখ ৪১ হাজার ৮২৭ জন।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা আট কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৮০ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৫ জন।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ৭৬৬
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে মোট চার কোটি ৩৩ লাখ ৯ হাজার ৪৭৩ জনের সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬৯ হাজার ২১৭ জনে।
ব্রাজিল এ পর্যন্ত তিন কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১১৮৩ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ৬৯ হাজার ১০৯ জন।
পদ্মা সেতুর উভয় পাশে ২ থানার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর দুই পাশে নবনির্মিত দুটি থানাসহ-পদ্মা সেতু উত্তর থানা ও পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা- বাংলাদেশ পুলিশের পাঁচটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন করেন।
বহুমুখী রেল-সড়ক সেতু ও এর ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দেশের দীর্ঘতম ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে দুটি আধুনিক থানা নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: শরীয়তপুরে মৎসখাতে সোনালি সম্ভাবনার হাতছানি
উদ্বোধন করা অন্য তিনটি প্রকল্প হলো- ১২টি নবনির্মিত জেলা পর্যায়ের পুলিশ হাসপাতাল, বাংলাদেশ পুলিশের জন্য ছয়টি নারী ব্যারাক, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য অনলাইন জিডি (সাধারণ ডায়েরি) কার্যক্রম এবং গৃহহীন পরিবারের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি ঘর বিতরণ।
৬৪ জেলায় নারী পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক ব্যারাক নির্মাণের সরকারি উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই ছয়টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।
নবনির্মিত ১২০টি ঘরসহ পুলিশ এখন পর্যন্ত গৃহহীন পরিবারের জন্য মোট ৫২০টি ঘর সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে পদ্মা সেতু এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত: ইইউ রাষ্ট্রদূত
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স থেকে অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যৈষ্ঠ সচিব মো. আখতার হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানা, খুলনার কেএমপি নারী ব্যারাক, ময়মনসিংহ পুলিশ হাসপাতাল ও পিরোজপুর পুলিশ লাইন থেকে পুলিশ সদস্য ও সুবিধাভোগীসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।
বাড়ির পেছনে গাঁজা চাষ, মাদক মামলায় কারাগারে চাষি
কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলায় ১০ ফুট দীর্ঘ ২৫ কেজি ওজনের একটি গাঁজা গাছ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ মনোহারপুর গ্রামের নওগাঁ পাড়ায় অভিযান চালিয়ে এটি উদ্ধার করে পুলিশ।
এ সময় উজ্জল হোসেন (৪৩) নামে একজনকে আটক করে পুলিশ। তিনি একই গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে গাঁজার গাছসহ যুবক আটক
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, বসত বাড়ির পেছনে কৌশলে গাঁজার চাষ করছিলেন রাজমিস্ত্রি উজ্জল হোসেন। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে গাছটি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ২০০ গাঁজার গাছ জব্দ, আ‘লীগ নেতা আটক
পরে মঙ্গলবার সকালে তার বিরুদ্ধে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয় এবং দুপরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: বেগুন খেতের আড়ালে গাঁজা চাষ!
বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, স্বাধীনতাত্তোর বাঙালি জাতির অসীম সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন বাঙালি জাতি কারো কাছে মাথা নত করতে পারে না। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সক্ষমতা প্রমাণ করে দিয়েছেন। কোনো ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতুর কাজ বন্ধ করতে পারে নাই।
মঙ্গলবার নওগাঁর নিয়ামতপুরে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অভিযানের ফলে চালের দাম কমেছে: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন বাঙালি জাতির আরেকটি বিজয়ের দিন। এই দিন সারা দেশের মানুষ উৎসব করবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর দেশবাসী যেভাবে আনন্দ করেছিলেন একইভাবে দেশের মানুষ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য আইন প্রণয়ন করেছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
দেশে যখন শান্তি বিরাজ করছে, তখন দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি চক্র পাঁয়তারা করছে। তাই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে কেউ যেন দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সেদিকে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শাহজালাল ও শাহপরানের মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেছেন।
মঙ্গলবার সকালে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও তৎসংলগ্ন এলাকার বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে শেখ হাসিনা প্রথমে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
সেখানে তিনি কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করে কিছু সময় কাটান।
পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন।
সেখানেও তিনি একই প্রার্থণা করেছেন।
আরও পড়ুন: দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বন্যা দুর্গতদের পুনর্বাসন করবে সরকার: সিলেটে প্রধানমন্ত্রী
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ২৭
এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়ছে। সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১০ রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং নতুন আক্রান্ত আরও ২৭ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ২৭ জনই ঢাকা বিভাগের।
ঢাকার ৪৭টি সরকরি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১০৬ জন ভর্তি আছেন। ঢাকার বাইরে ভর্তি আছেন চারজন ডেঙ্গু রোগী।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৮০৮ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৬৯৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। তাছাড়া এই বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত সাড়ে ৫৪ কোটির কাছাকাছি
করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, শনাক্তের হার ১০ শতাংশ ছাড়াল