বাংলাদেশ
মাদকের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ২৪ ধরনের মাদক পাচার হয় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক চোরাচালানের বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরও কঠোর হতে হবে।
শুক্রবার রামুতে বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক মাঠে মাদক নির্মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সকল অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে, তারা যেই হোক না কেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদকসেবীর ৫০ শতাংশ হচ্ছে তরুণ। দেশের এই প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া ছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। তাই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে মন্ত্রী বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বিশাল এলাকা রয়েছে এবং এর মধ্যে অনেকগুলো অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় যেখানে সীমান্তরক্ষীরা সহজে সেখানে যেতে পারে না।
তাই বিজিবি হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। সীমান্ত সড়কের কাজও চলছে। যা শিগগিরই শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কক্সবাজারে গত এক বছরে জব্দ করা ৩৯৫.৭৬ কোটি টাকার মাদকও আনুষ্ঠানিকভাবে ধ্বংস করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিজিবি কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে সরকার।
তিনি বলেন, একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। অবশ্যই সুষ্ঠু নির্বাচন করার তাদের সক্ষমতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচনে অঙ্গীকারাবদ্ধ। নারায়ণগঞ্জেও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সারাদেশে ওই নির্বাচন ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তিনদিন ব্যাপী আয়োজনের শেষ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা টাউনহলের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজ এলাকার মানুষের পাশে সাবেক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম বলেন, নজরুল আমাদেরকে পথ দেখিয়েছেন। আমাদের কী করতে হবে। আজ দেশের যে উন্নয়ন সেখানে জাতীয় কবির লেখার অনুপ্রেরণামূলক ভূমিকা রেখেছে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রশাসক রিয়ার এডমিরাল (অব.) আবু তাহের, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজমুল হাসান পাখি, ছড়াকার জহিরুল হক দুলাল ও নজরুল গবেষক শ্যামা প্রসাদ ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়নি: তাজুল ইসলাম
দ্বিতীয় পর্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শতকণ্ঠে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করা হয়।এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
পেট্রোল ঢেলে সাবেক স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরে পেট্রোল ঢেলে এক নারীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ধোপারহাট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত ইতি আক্তার (২৬) ওই এলাকার আবদুল মান্নান খানের মেয়ে।
অভিযুক্ত জলিল (৩২) কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার নুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় সাত বছর আগে ঢাকায় জলিলের সঙ্গে ইতি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জলিল যৌতুকের দাবিতে ইতিকে মারধর করে আসছিল। প্রায় পাঁচ বছর আগে ইতি ঢাকা থেকে তার বাবার বাড়ি চলে আসে। স্বামীর অত্যাচার সইতে না পেরে ইতি কয়েকদিন আগে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয়। পরে গতকাল দিবাগত রাতে জলিল ঢাকা থেকে তার শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে ঘুমন্ত ইতিকে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারে। ইতির পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল সালাম জানান, অভিযুক্ত স্বামী পলাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
রৌমারীতে মা ও শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ২ আসামি গ্রেপ্তার
ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ রোগী হাসপাতালে ভর্তি
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন ছয় জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তের মধ্যে ঢাকায় পাঁচজন এবং ঢাকার বাইরে একজন ভর্তি হয়েছেন।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৩৩ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি আছেন ৩২ জন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২৯৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ২৬২ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এছাড়া এখন পর্যন্ত কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
পড়ুন: দেশে আরও ২৩ জনের করোনা শনাক্ত
পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনুসদের মুখে কথা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ড. ইউনুসসহ আরও অনেকে যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা বিভিন্ন সময় অনেক বড় বড় কথা বলে, বিশ্বমন্দা, করোনা নিয়ে নসিহত করে, কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো কথা নেই।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারে জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
সেতুবিরোধীদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'শুধু বিএনপিরই নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে সিপিডি, টিআইবি এবং আরও যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদেরও গাত্রদাহ হচ্ছে। আমি আমার চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ড. মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি গভীর সম্মান রেখেই বলছি, তিনি নিজেও হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যাতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, সেই অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।'
'কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন' উল্লেখ করে হাছান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের গর্বের সেতু নয়, শুধু পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সেতুই নয়, পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের জনগণ ও সরকারের সক্ষমতার প্রতীক।
সমস্ত ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে যে এটি করা যায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বলেন তিনি।
এসময় পদ্মা সেতুর সমালোচক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।
পড়ুন: জনগণের টাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বিএনপির সহ্য হচ্ছে না: আইনমন্ত্রী
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর সারাদেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে তারেক রহমানের হাত আছে কি না ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এমনকি হাইকোর্টের সামনে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনেও বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত আছে।'
'আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে, তারেক রহমান সারাদেশে বিভিন্ন জায়গায় যতো সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে ফোন করে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বলেছে' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও বলবো, জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'তারেক রহমান দুর্নীতি ও গ্রেনেড হামলার দায়ে একজন শাস্তিপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে। আর প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির বেগম জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য জনগণই দাবি তুলেছে।'
কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নুরুল হুদা, ডেপুটি কমিশনার মো. মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: সেতু প্রকল্পে অর্থ লুটপাটের কারণেই বিএনপির গায়ে জ্বালা হচ্ছে: ফখরুল
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশের উদাহরণ বেমানান: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয়, শ্রীলঙ্কার না। তাই শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ সঙ্কটের সঙ্গে আমাদের দেশের উদাহরণ দেয়া অযৌক্তিক এবং বড়ই বেমানান।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স: ‘ইস্যু এন্ড চ্যালেঞ্জেস অব ইমপ্লিমেন্টেশন’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ও ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বগুণে দেশে অনেক উন্নত দেশ ও বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করছে। তাই কোনো দেশ যদি সে দেশের অভ্যন্তরীণ পলিসির কারণে অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়ে এবং একই অবস্থা অন্য একটি দেশের হবে এটা বলা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক এবং এরকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা’। এই মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। সরকারের ডেল্টা মহাপরিকল্পনা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নেই এবং থাকবেও না। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত করাই ডেল্টা প্ল্যানের মূল লক্ষ্য। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের ফলে আগামী প্রজন্ম একটি উন্নত দেশে পাবে। এই দেশ টেকসই হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের যেকোনো নির্বাচনে সরকারের নজরদারি রয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মন্ত্রী আরও বলেন, নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে সেদেশের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে। ডেল্টা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন।
এ সময় তিনি বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাইকাসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
তিনি জানান, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) নেদারল্যান্ডস সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত লেটার অব ইনটেন্টের মাধ্যমে ডাস সরকার জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের রাউজান এবং যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে শতাধিক পৌরসভায় জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা হবে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সতর্কতা
আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের কর মওকুফ হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে ২ কনস্টেবল নিখোঁজ
নেদারল্যান্ডসে ডগ স্কোয়াডে প্রশিক্ষণে গিয়ে আর দেশে ফিরে আসেনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই কনস্টেবল।
নেদারল্যান্ডসে প্রশিক্ষণে গিয়ে তারা পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিখোঁজ’ কনস্টেবলরা হলেন- শাহ আলম ও রাসেল চন্দ্র দে। এদের মধ্যে রাসেলের বাড়ি কক্সবাজারে এবং শাহ আলমের বাড়ি কুমিল্লায়। তারা সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনস ও মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনসের ব্যারাকে থাকতেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন বিষয়টি শুনেছি, তারা কি পালিয়ে গেছে নাকি কোন ধরণের বিপদের সম্মুখীন হয়েছে আমরা নিশ্চিত নই। আমরা এখনও সে দেশের (নেদারল্যান্ডস) কর্তৃপক্ষের অফিসিয়ালি কোনো বক্তব্য পাইনি। তাই কিছু বলতে পারছি না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসের সঙ্গে পুলিশভ্যানের ধাক্কা, ১৩ শিল্প পুলিশ আহত
জানা গেছে, গত ৯ মে বাংলাদেশ থেকে সিএমপির ৮ সদস্যের একটি দল ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে নেদারল্যান্ডস যায়। চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মোহাম্মদ বেলায়াত হোসেনের নেতৃত্বে যাওয়া টিমটি প্রশিক্ষণ শেষ করে ফিরে আসার আগের দিন ২২ মে থেকে দুই কনস্টেবলের খোঁজ মেলেনি। বাকি ছয় সদস্যের দলটি প্রশিক্ষণ শেষ করে গত ২৪ মে দেশে ফিরেছে।
ঢাকার মেসার্স রিফা এন্টারপ্রাইজ স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে এই প্রশিক্ষণ লিয়াজো করেছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (সদর) আমির জাফর বলেন, গত ৯ মে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮ সদস্যের একটি দল ডগ স্কোয়াড ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা নিয়ে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে যায়। কিন্তু দেশে আসার আগের দিন বিকালে দুই কনস্টেবল ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যান। এরপর থেকে তাদের খোঁজ মিলছে না।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের খোঁজ নেয়ার চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ হওয়া দুজনই পুলিশ কনস্টেবল। ইতোমধ্যে দেশটির দূতাবাস ও পুলিশ সদর দপ্তরকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে।
এদিকে তারা বিদেশ থেকে পালিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নে তারা এখনো নিশ্চিত না বলে জানান।
তিনি বলেন, এমন হলে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: পুলিশের কব্জি কেটে নেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২
গাজীপুরে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ, পুলিশের লাঠিচার্জ
কক্সবাজারে ৩৯৫ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস করল বিজিবি
কক্সবাজারে গত এক বছরে জব্দ করা ৩৯৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
শুক্রবার বিজিবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধ্বংসকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৯০ লাখ ৮০ হাজার ৪৭৭ পিস ইয়াবা, ২৩ কেজি ৭৫২ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস, ছয় হাজার ৭৬৭ ক্যান বিয়ার, এক হাজার ৩৩৯ বোতল অ্যালকোহল, ১৫৪ বোতল ফেনসিডিল, ২০৫ লিটার বাংরা মদ, ১৭ কেজি গাঁজা, ৪৮ হাজার ১৯ পিস বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯৮৪ প্যাকেট সিগারেট ও সাত অ্যামোনিয়াম সালফারের বোতল।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার মাদকসহ দুই রোহিঙ্গা আটক
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আটক এক হাজার ৯৭৯ জন মাদক ব্যবসায়ী ও বিপুল পরিমাণে মাদক পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে বিজিবির অভিযানের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বিজিবি কক্সবাজার আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজাম-উস-সাকিব।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে আটক ২, ফেনসিডিল জব্দ
অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা, সাংবাদিক, বিজিবি কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কর্মসূচি
বাংলাদেশ ২৯ মে (রবিবার) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস পালন করবে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশেষ এই দিনটিতে বেশকিছু কর্মসূচির ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শান্তিরক্ষীদের স্মরণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে আহত ও শহীদ শান্তিরক্ষীদের পরিবার ও স্বজনদের সম্মাননা জানানো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি শান্তিরক্ষী নিতে চায় জাতিসংঘ
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ‘শান্তিরক্ষী দৌড়-২০২২’ এ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ জার্নাল এবং জাতীয় পত্রিকাগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেলে সম্প্রচার হবে। বাংলাদেশের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্রও প্রচারিত হবে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানগণ, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের সামরিক উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), পুলিশের মহাপরিদর্শক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে মাইন বিস্ফোরণে ৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী আহত
জাতিসংঘের ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল ’পেলেন বাংলাদেশি ৮ শান্তিরক্ষী
ইউএনইএসসিএপির আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের চারটি পরিচালনা পরিষদে বাংলাদেশ নির্বাচিত
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন ইউএনইএসসিএপির চারটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে ২০২২-২৫ মেয়াদে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, চলমান ইউএনইএসসিএপির ৭৮তম সভায় যথাক্রমে জাপানের মাকুহারিতে অবস্থিত স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (এসআইএপি), দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চিয়ন সিটিতে অবস্থিত এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক ট্রেনিং সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ফর ডেভেলপমেন্ট (এপিসিআইসিটি), চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল মেকানিজেশন (সিএসএএম) ও ইরানের তেহরানে অবস্থিত এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক সেন্টার ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব ডিজাস্টার ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের (এপিডিআইএম) গভর্নিং কাউন্সিলসমূহের নির্বাচনে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
ভারত ছাড়া বাংলাদেশই একমাত্র দেশ যে ইউএনইএসসিএপির চারটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদেই নির্বাচিত হয়। থাইল্যান্ডের ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে চীনের বেইজিং এ অবস্থিত ইউএন কম্পাউড, ও ফিজির সুভাতে ইএসসিএপি উপ-আঞ্চলিক অফিস থেকেও ভোট দানের ব্যবস্থা ছিল।
জাতিসংঘের এই বৃহত্তম সংস্থায় এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় নেতৃত্ব বাংলাদেশের নেতৃত্বকে যে কতটা মূল্যায়ন করে, এই জয় তার এক উজ্জ্বল প্রমাণ। এই বিজয় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার ‘উন্নয়ন মডেল’ এর প্রতি অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের আস্থার প্রতিফলন।
এই প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনা পরিষদে সদস্যপদ লাভের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মসূচি এবং অর্থ ও অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয়ে পরামর্শ দেয়া সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং আইসিটি, কৃষি, পরিসংখ্যান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি বিনিময়, দক্ষতা উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ গুরুত্ব পাবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিবিনির্মাণ কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত
প্রসঙ্গত, ইউএনইএসসিএপির পাঁচটি আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে । প্রতিটি আঞ্চলিক ইনস্টিটিউটের একটি গভর্নিং কাউন্সিল থাকে এবং তারা প্রতিষ্ঠানের প্রশাসন ও আর্থিক অবস্থা পর্যালোচনা করার পাশাপাশি কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ইনস্টিটিউট পরিচালকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকে।