বাংলাদেশ
নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের একচেটিয়া ব্যবসা গ্রহণযোগ্য নয়: হাইকোর্ট
সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের একচেটিয়া ব্যবসা এবং বাড়তি মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য মজুদ করা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। বাজারে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য মনিটরিং সেল গঠনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনের শুনানির সময় রবিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, কিছু ব্যক্তি তাদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সয়াবিন তেল ক্রয় করেন, যা বাজারে দাম বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। সয়াবিন তেলসহ নিত্যপণ্যের ক্ষেত্রে কোনো সিন্ডিকেটের একচেটিয়া ব্যবসা এবং বাড়তি মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্য মজুদ করা গ্রহণযোগ্য নয়।
রিট আবেদনকারী আইনজীবীদের রিট আবেদনটিকে সংশোধন করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানান, সামনে রমজান মাস আসছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে। শুধু সয়াবিন তেল নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের কথা রিটে অন্তর্ভুক্ত করুন। এমন আদেশ দিতে হবে যেন দেশের প্রত্যেকটা নাগরিকের উপকার হয়। টিসিবির নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিতরণে নীতিমালা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন আদালত। একইসঙ্গে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না: হাইকোর্ট
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতিকার চাকমা।
রবিবার সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ এ রিট দায়ের করেন। বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন এ তিন আইনজীবী। তারা সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা চলবে
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হাইকোর্টে রিট
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নাপা সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও সাইন্টিফিক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জ্বরের সিরাপ খেয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি তদন্তে আমরা কমিটি করে দিয়েছি। ইতোমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যা যা ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন সেই সব ব্যবস্থা নিয়েছে। ওষুধ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
এর আগে গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
নিহতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, দুদিন ধরে ছোট ছেলে মোরসালিনের জ্বর উঠে। এর আগ থেকেই বড় ছেলে ইয়াসিন খানেরও জ্বর ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের মা লিমা বেগম তাদের দাদিকে দিয়ে মাঈন উদ্দিনের ওষুধের দোকান ‘মা ফার্মেসি’ থেকে নাপা সিরাপ আনান। এ সময় তাদের দুজনকেই নাপা সিরাপ খাওয়ানো হলে কিছুক্ষণ পর দুই শিশুই বমি করা শুরু করে।
আরও পড়ুন: ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
অবস্থার অবনতি হলে তাদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর উন্নত চিকিৎসা জন্য জেলা সদর হাসাপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৯টায় বড় ভাই ইয়াসিনের মৃত্যু হয় এবং রাত সাড়ে ১০টায় ছোট ভাই মোরসালিনের মৃত্যু হয়েছে।
বাঁচানো যায়নি ভারতীয় হরিণটি
অবশেষে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসা হরিণটি মারা গেছে। বনবিভাগ মৃত হরিণটিকে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দিয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম সিকটিহারিতে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা হরিণটিকে ধরতে প্রানপণ চেষ্টা করেও ধরতে পারেনি। দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বনবিভাগ এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুল আলম হালিম ও সামাজিক বন বিভাগ পঞ্চগড়ের রেঞ্জ কর্মকর্তা ঋষিকেষ রায় জানান, খাবারের খোঁজে পথ ভুলে ভারতীয় সীমান্ত অতিক্রম করে হরিণটি বাংলাদেশের সিকটিহারি গ্রামে প্রবেশ করে। উৎসুক জনতার ধাওয়ায় হরিণটির পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে আহত হয়। হরিণ দেখতে সেখানে শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণটিকে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে আমাদের সামনেই হরিণটি মারা যায়। রাতে হরিণটিকে আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে নিয়ে এসে ময়নাতদন্ত শেষে মাটি চাপা দেয়া হয়।
আটোয়ারী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শামীমা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হরিণটিকে ধরার জন্য স্থানীয়রা ধাওয়া করায় পা কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ভয়ে হরিণটি মারা যায়।
আটোয়ারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুশফিকুল আলাম হালিম জানান, হরিণটির পা থেকে অনবরত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। বনবিভাগ ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মিলে হরিণটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রাণীটিকে বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় ২ হরিণের চামড়া উদ্ধার
কয়রায় হরিণ ধরার ফাঁদসহ গ্রেপ্তার ৪
বাগেরহাটে হরিণের ৫ চামড়াসহ পাচারকারি আটক
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বাসা-বাড়ি এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজস্ব সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।
সুয়ারেজ লাইন কোনভাবে সরাসরি লেক অথবা খালে দেয়া যাবে না।রবিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে আয়োজিত 'নিরাপদ পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আমাদের করণীয় শীর্ষক কর্মশালা'-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ঢাকা শহরে আইন ও বিধি-বিধান লংঘন করে অপরিকল্পিতভাবে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরের ৯৯ শতাংশ অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে নিয়ম অমান্য করে। রাজধানীর অধিকাংশ বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক নেই। আর এই সেপটিক ট্যাংক না থাকায় সুয়ারেজ লাইন খাল ও লেকে সরাসরি দিয়ে দেন। এতে করে খাল ও লেকের পানি দূষিত হয়ে মাছসহ অন্যান্য প্রাণী বাঁচে না।পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেপটিক ট্যাংক না রেখে কোনো বাসা-বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই। নকশা অনুমোদন দেয়ার পূর্বে এসব বিষয়ে আরও সতর্ক থাকার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউককে নির্দেশ দেন মো. তাজুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: রাজধানীর সকল খাল দখলমুক্ত করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
প্রধান অতিথি আরও বলেন, মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ার কারণে ভোগ বেড়েছে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে ময়লা-আবর্জনা। আগে একটি ব্যাগে অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেয়া হতো। এখন প্রতিটি উপকরণের সঙ্গে একটি ব্যাগ দেয়া হয় যার ফলে বাসা-বাড়িতে ময়লা বেশি হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ময়লা আবর্জনা একটি ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনা চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। আর এই চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের দেশে নয় পৃথিবীর অন্য দেশেও রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে সরকার। খুব শিগগিরই ময়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।তিনি জানান, রাজধানী ঢাকাকে একটি আধুনিক, দৃষ্টি নন্দন ও বসবাসযোগ্য নগরী গড়তে উভয় সিটি করপোরেশন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক দখল হওয়া খাল উদ্ধার করা হয়েছে। খালগুলো সংস্কার ও পুনঃখনন করে নৌ চলাচলের উপযোগী করার কাজ চলছে। গৃহীত কাজ সমাপ্ত হলে শহরের অনেক পরিবর্তন আসবে।মন্ত্রী বলেন, সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। আইনই মানুষকে সভ্য করেছে। আইন সবার জন্য সমান। মন্ত্রী-এমপি, মেয়র এবং ক্ষমতাবানদের জন্য আলাদা কোনো আইন নেই। কাউকে ছাড় দিবেন আর কাউকে ধরবেন এটা হবে না। রাষ্ট্রকর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যদি অর্পিত দায়িত্ব সাহসিকতার সঙ্গে পালন করে তাহলে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সেলডন ইয়েট।এর আগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যা নিরসনে সিলেট ওয়াসা প্রতিষ্ঠা করা হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ সহোদরের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি। রবিবার দুপুর সোয়া ১২টায় উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে গিয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই শিশুদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক ডা.আকিব হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে অধিদপ্তরের দু’জন উপ-পরিচালক ও দু’জন সহকারী পরিচালক এবং একজন পরিদর্শক ছিলেন।
তদন্ত কমিটি মৃত দুই শিশুর মা লিমা বেগম ও চাচা উজ্জ্বল মিয়া ও দাদি লিলুফা বেগমের সাক্ষ্য নেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ তদন্ত কমিটির প্রধান ডা.আকিব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, যে সিরাপটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। একই ওষুধের অন্যান্য ব্যাচের ওষুধ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশুগঞ্জে ‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ২ ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
তিনি জানান, শিশুদের স্বজনরা জানিয়েছে ওষুধ খাওয়ানোর পরই তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ওষুধটিতে কী এমন উপাদান ছিল- যেটি খাওয়ার ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে রিঅ্যাকশন করল- এটি আসলে রহস্যজনক বিষয়। এই রহস্য উদঘাটন করতে হয়তো সময় লাগবে।
উল্ল্যেখ্য, গত ১০ মার্চ রাতে আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে ‘নাপা সিরাপ খেয়ে’ ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন স্বজনরা।
মৃতরা দুর্গাপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ইসমাঈল হোসেন ওরফে সুজন খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় পিকআপের ধাক্কায় ৪ সহোদর ভাই নিহত
জয়পুরহাটে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ২ সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
নেত্রকোণায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে রিয়াদ মিয়া (১৩) নামে এক মাদরাসা ছাত্র মারা গেছে। রবিবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।
রিয়াদ উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের বয়রা গ্রামের ফজুল হকের ছেলে এবং পাঁচহাট গ্রামের একটি মাদরাসার শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে খালিয়াজুরী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রিয়াজুল হক জানান, শনিবার দুপুরে গ্রামের রাস্তায় বাইসাইকেল চালিয়ে রিয়াদ পাশের একটি ট্রলিকে অতিক্রম করে। এসময় একই গ্রামের মিরাজ আলীর ছেলে ট্রলি চালক রামিম মিয়া (১৮) রিয়াদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে রামিম লাঠি দিয়ে রিয়াদের ঘাড়ে আঘাত করলে সে গুরুতর আহত হয়।
তিনি আরও জানান, স্বজনরা রিয়াদকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে খালিয়াজুরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে সেখানকার চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে রিয়াদ মারা যায়।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
মাগুরায় কলেজছাত্র হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার ৪
টঙ্গীতে এএসআই স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা, পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে
মানব পাচার প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান কেবল একক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। রবিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে মানব পাচার সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো এবং তা অনুশীলনে উদ্ভূত সমস্যা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালায় মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২২ জন বিচারক অংশ নেয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।আইনমন্ত্রী বলেন, মানব পাচারকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এই অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে এর অধীনে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছে। পাশাপাশি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ - ২০২২ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাও উক্ত আইন বাস্তবায়নে যথাযথভাবে কাজ করছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মানব পাচারকে একটি ভয়ানক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে আগত বিচারক মিশেল ব্রুয়ার এবং বিচারক হিনা রাই, ইউএনওডিসি'র মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান শাখার গ্লো-অ্যাক্ট পলিসি প্রধান সামান্থা মুনোদাওয়াফা, গ্লো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি
বাংলাদেশের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য (এফ-১ ও জে-১ ডিগ্রি প্রার্থী আবেদনকারী) চার বছর বা আট সেমিস্টার পর্যন্ত স্কলারশিপের সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটি (এফএইউ)।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আসন্ন স্প্রিং এবং ফল টার্মের জন্য এ স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের যেসব শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক শিক্ষা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টাডি গ্রুপের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হয়েছেন, তারাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এই স্কলারশিপ পেতে চাইলে আবেদনকারীকে অবশ্যই আবেদনের মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জনে আগ্রহী এমন শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচিত হতে হবে। পাশাপাশি, ক্লাস শুরুর প্রথম দিনের পূর্বে তার একটি হাই স্কুল ডিপ্লোমা বা এর সমমানের ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর জন্য এই বৃত্তির পরিমাণ প্রতি বছর মোট ৫ লাখ ১৫ হাজার ৩১ টাকা পর্যন্ত (প্রথম বছরের আবেদনকারীদের জন্য সর্বোচ্চ মোট ২০ লাখ ৫৯ হাজার ৫৯২ টাকা এবং ট্রান্সফার হওয়া আবেদনকারীদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ লাখ ২৯ হাজার ৭৪৬ টাকা)। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ১লা মে’র মধ্যে সম্পূর্ণ আবেদন সম্পন্ন করতে হবে, ৪.০ ইউএস গ্রেডিং স্কেলে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে এবং তাদের এসএটি বা এসিটি স্কোর জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে পিটার হোর-মোস্তাক রহমান স্কলারশিপ পেলেন ৬ শিক্ষার্থী
নীতিমালা মেনেই স্কুল এমপিওভুক্ত হবে: শিক্ষামন্ত্রী
নীতিমালা মেনেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারের মাসিক পেমেন্ট অর্ডারের (এমপিও) আওতায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বলেছেন, নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যরাই কোন ধরনের সুপারিশ ছাড়াই এমপিওভুক্ত হবে। আর যারা নীতিমালার শর্তপূরণে ব্যর্থ তারা কোনভাবেই এমপিওভুক্ত হবে না।
রবিবার দুপুরে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা উত্তরবাংলা কলেজে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপুমনি বলেন, গবেষণা ছাড়া সকল মাধ্যমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। গবেষণায় শিক্ষার মান উন্নয়নে জাতীয়করণের ইতিবাচক ফল এলে আর্থিক সক্ষমতা বুঝে জাতীয়করণ করা হবে। অন্যথায় সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা সম্ভব নয়। কারণ শিক্ষার মান উন্নয়নই এ সরকারের প্রধান লক্ষ্য। শেখ হাসিনা সরকার, শিক্ষা বান্ধব সরকার।
ডা. দীপুমনি আরও বলেন, ঝরে পড়ার হার অনেক কমে গেছে। আমরা সবাইকে শিক্ষায় নিয়ে আসতে পেরেছি। আমরা শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা চাইছি শুধু শিক্ষা নয়, শিক্ষার্থীদের মাঝে সকল বিষয়ে দক্ষতা বাড়িয়ে দক্ষ ও ভাল মানুষ হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে। বঙ্গবন্ধু যেমন সোনার বাংলায় সোনার মানুষ চেয়েছেন। আমরা সেই সোনার মানুষ তৈরি করছি।
আরও পড়ুন: ১৫ মার্চ থেকে সব বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত শিক্ষায় পরীক্ষার সংখ্যা অনেক কম। পরীক্ষা কম মানে অবমুল্যায়ন নয়। সারাক্ষণ পড়া, কোচিং আর পরীক্ষা নয়। শিক্ষার্থীদের মানবিক ও সকল বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। উন্নত দেশেও শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সংখ্যা কম। কম পড়িয়ে কম পরীক্ষার মধ্যেই দক্ষতা বাড়ে। সীমিত সম্পদে সর্বোচ্চ কিভাবে ব্যবহার করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সেই ভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে। তাই শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করা হচ্ছে। বক্তব্য শেষে নুরুল দীনের জেলা লালমনিরহাটে নুরুল দীনের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান শিক্ষামন্ত্রী।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোজাম্মেল হক, কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ সরকার প্রমুখ।
উত্তর বাংলা কলেজের গুরু নানক লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাবসহ কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। এর আগে সকালে একদিনের সফরে লালমনিরহাট আসেন শিক্ষামন্ত্রী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী। এরপর সড়ক পথে দিনাজপুর হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে লালমনিরহাট ত্যাগ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ২৮ বছরে মেয়েদের পাসের হার বেড়েছে আড়াই গুণ: শিক্ষামন্ত্রী
এ মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা: শিক্ষামন্ত্রী
শ্রমিককে মারধর, বেনাপোল বন্দরে লোড-আনলোড বন্ধ
বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বন্দর হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের এক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগে বন্দরে লোড আনলোডসহ সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা।
সঠিক তদন্তপূর্বক বিচারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে থানার সামনে অবস্থান নেয় শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: দু’দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের হ্যান্ডলিংক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ জানান, সাজেল নামে আমাদের এক সর্দার গত শুক্রবার রাতে পুটখালী ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। এসময় পুটখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল গফফারের ছেলে ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন পাশের হাটখোলা বাজারে সাজেলকে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বন্দরে লোড আনলোড কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। এছাড়া এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন।
অভিযোগের বিষয়ে বেনাপোল পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল গফফার বলেন, গেল ইউপি নির্বাচনের আগে শ্রমিক সাজেল আমার ছেলেকে মারধর করে আহত করে। এর জের ধরে শুক্রবার রাতে আমার ছেলে সাজেলকে বাজারে ডেকে নিয়ে চড় থাপ্পড় কিলঘুসি মারে। পরে এ নিয়ে আলোচনা করে মীমাংসা করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: পরিচয়পত্র জটিলতায় বেনাপোল বন্দরে ২য় দিনের মতো আমদানি বন্ধ
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভুঁইয়া জানান, গফফার চেয়ারম্যানের লোকজন বন্দরের সাজেল নামে এক শ্রমিককে মারধর করার অভিযোগে শ্রমিকরা বন্দরে কাজ বন্ধ রেখেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় বন্দর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।