আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান কেবল একক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা দ্বারা প্রতিরোধ করা যাবে না। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
রবিবার রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে মানব পাচার সম্পর্কিত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো এবং তা অনুশীলনে উদ্ভূত সমস্যা বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনদিনব্যাপী এই কর্মশালায় মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ২২ জন বিচারক অংশ নেয়। জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক সংস্থা (ইউএনওডিসি) এবং বাংলাদেশ সরকারের আইন ও বিচার বিভাগ যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, মানব পাচারকে একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে এবং এই অপরাধকে মোকাবিলা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ প্রণয়ন এবং ২০১৭ সালে এর অধীনে বিধিমালা প্রণয়ন করেছে। সাত বিভাগীয় শহরে সাতটি মানব পাচার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছে। পাশাপাশি মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমনের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ২০১৮ - ২০২২ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থাও উক্ত আইন বাস্তবায়নে যথাযথভাবে কাজ করছে। যার সুফল জনগণ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: মামলাজট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ওপর জোর দিতে হবে: আইনমন্ত্রী
মানব পাচারকে একটি ভয়ানক অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের হেড অব কো-অপারেশন মাউরিজিও সিয়ান বলেন, বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য থেকে আগত বিচারক মিশেল ব্রুয়ার এবং বিচারক হিনা রাই, ইউএনওডিসি'র মানব পাচার এবং অভিবাসী চোরাচালান শাখার গ্লো-অ্যাক্ট পলিসি প্রধান সামান্থা মুনোদাওয়াফা, গ্লো-অ্যাক্ট বাংলাদেশ প্রকল্পের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মাহদী হাসান বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতার সম্মুখীন নারীদের সহায়তা খুবই জরুরি: আইনমন্ত্রী
সরকার বিশ্বাস করে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি নির্বাচন: আইনমন্ত্রী