বাংলাদেশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার হলেন অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো প্রবর্তন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। আর এ পদে মনোনয়ন পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. হারুন-অর-রশিদ।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫২তম সিন্ডিকেট সভায় ড. রশিদকে বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিএসসিতে মেট্রো স্টেশনের জন্য শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাবি ছাত্রলীগ
ড. রশিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে বিএ (অনার্স) ও এমএ উভয় পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে ১৯৮৩ সালে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়, সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের রিউকোকু বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন।
তিনি ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন।
পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তিনি সিলেকশন গ্রেড অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।
ড. হারুন-অর-রশিদ ৪৩ বছরের দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই মেয়াদে সফলভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য ছিলেন তিনি।
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তিনবার নির্বাচিত ডিন, স্যার এ এফ রহমান হলের প্রভোস্টের দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি, সহসভাপতি, কাউন্সিল সদস্য, অধ্যাপক শামসুল হক শিক্ষা কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ তিনি জার্মানির হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ চেয়ারে ‘বঙ্গবন্ধু প্রফেসরিয়াল ফেলো’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. রশিদ বঙ্গবন্ধু গবেষণায় ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১’ অর্জন করেন। ২০১৬ সালে বেস্ট পাবলিকেশনসের জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ স্বর্ণপদক লাভ করেন।
ড. রশিদ এ পর্যন্ত ১৯টি মৌলিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশে-বিদেশে জার্নালে তার ১০০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ছয়টি প্রসিদ্ধ বইয়ের সম্পাদনা করেছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক ৭টি বইয়ের সম্পাদনা করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা গ্রন্থ হচ্ছে- বাংলাদেশের ৫০ বছরের রাজনীতি অনুধাবন: সংগ্রাম, অর্জন ও চ্যালেঞ্জ নামে নতুন বই। বিশ্বখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা রাউটলেজ লন্ডন ও নিউইয়র্ক থেকে একযোগে বইটি প্রকাশ করছে।
এছাড়া তার অন্যান্য গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে-
দ্য ফোরস্যাডোয়িং অব বাংলাদেশ, ফর্ম ১৯৪৭ পার্টিশন টু বাংলাদেশ: বঙ্গবন্ধু এন্ড স্টেট ফর্মেশন ইন পারসপেকটিভ, ইনসাইড বেঙ্গল পলিটিক্স, বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, বাংলাদেশ: রাজনীতি, সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ, ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফার ৫০ বছর’, মূলধারার রাজনীতি: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬, ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পদ: বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, বঙ্গীয় মুসলিম লীগ পাকিস্তান আন্দোলন: বাঙালির রাষ্ট্রভাবনা ও বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ: গভর্ন্যান্স, পলিটিক্স, কনস্টিটিউশনাল ডেভেলপমেন্ট ১৭৫৭-২০১৮, ৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব কী ও কেন, বঙ্গবন্ধুকোষ, সোহরাওয়ার্দী বনাম বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা প্রভৃতি।
ড. রশিদ বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ২০ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
বর্তমানে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ এর ইংরেজি বই রচনা প্রকল্পের প্রধান সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: কলারোয়া সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন
কসোভোকে নিজেদের উচ্চমানের আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার পরামর্শ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কসোভোকে বাংলাদেশ থেকে উচ্চমানের আরএমজি ও ওষুধ আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন।
রবিবার (ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভো প্রজাতন্ত্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুনার উরেজা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করার সময় তিনি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশে কসোভোর রাষ্ট্রদূত হিসেবে চার বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর, গুনার উরেজা শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে চলেছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে রাষ্ট্রদূতের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত কসোভো প্রজাতন্ত্রের প্রতি সমর্থনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
তিনি বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রশংসা করেন। কসোভোর বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উন্নয়নে বাংলাদেশ ও কসোভো দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের আগ্রহ সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান।
তারা নারীর ক্ষমতায়ন এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তির পূর্বশর্ত নিয়েও আলোচনা করেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মানুষ, সংস্কৃতি ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ চিরকাল তার হৃদয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে আছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আছি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রবাসীরা দেশে ১ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
নভেম্বর মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ১৪৪ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছে। দুটি বিশেষায়িত ব্যাংক পেয়েছে ৫৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছে ৫ দশমিক ৯২ মিলিয়ন ডলার।
প্রবাসীরা অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ দশিমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পেয়েছিল। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১৫৪ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার, একটি বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পেয়েছিল ১ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের শাখাগুলো পেয়েছিল ৬ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেন, নভেম্বরে রেমিটেন্স প্রবাহ কিছুটা কমেছে, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথাযথ উদ্যোগের কারণে রেমিটেন্স আসার সামগ্রিক প্রবণতা এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
তিনি বলেন, ব্যাংকগুলোকে তাদের আর্থিক উৎস থেকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা আইনি চ্যানেলে রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
প্রবাসী আয়ে সরকারের ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে ব্যাংকগুলো অতিরিক্ত ২ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি দামে ডলার কিনতে পারবে। মোট প্রেরকদের ৫ শতাংশ প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে আইনি মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স আসছে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর সেলিম রায়হান বলেন, রেমিটেন্স প্রণোদনার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা কোনো কাজে আসবে না।
তিনি বলেন, ডলারের দামের ওপর সরকার অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ দেবে। রেমিটেন্সে মোট ৫ শতাংশ প্রণোদনা সাময়িকভাবে বাড়াবে।
তবে দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান হবে না বলে জানান তিনি।
সেলিম বলেন, রেমিটেন্স বাড়াতে হুন্ডি বন্ধ করতে হবে। হুন্ডি বন্ধ করতে হলে মানি লন্ডারিং বন্ধ করতে হবে। এখনও প্রচুর অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে এবং তা যেকোনো উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
তিনি বলেন, ব্যাংক যত বেশি প্রণোদনা দেবে, হুন্ডি ব্যবসায়ীরা তত বেশি দেবে। তাই যতদিন হুন্ডির প্রচলন থাকবে, ততদিন আইনি মাধ্যমে প্রত্যাশিত রেমিটেন্স আসবে না।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার আশা বাংলাদেশ ব্যাংকের
১৪-১৮ বছর বয়সী নাগরিকরা এনআইডি ছাড়াই এমএফএস অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
৩ দিনে ১১টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে: ফায়ার সার্ভিস
৩০ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত ১১টি গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার উপপরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, অগ্নিসংযোগের শিকার যানবাহনসমূহের মধ্যে ঢাকায় চারটি, গাজীপুরে পাঁচটি এবং সিলেট ও দিনাজপুর জেলায় একটি করে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তিনটি কাভার্ড ভ্যান, পাঁচটি বাস ও তিনটি ট্রাকে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, এই সময়ের মধ্যে ১৯টি ফায়ার ফাইটিং ইউনিটের মোট ৯৬ জন সদস্য আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ২৮ অক্টোবর থেকে অবরোধ ও হরতাল চলাকালে এ পর্যন্ত ২৪৪টি যানবাহন ও প্রতিষ্ঠানে আগুন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৫ ঘণ্টায় ১১ অগ্নিকাণ্ড, পুড়েছে ১২টি যানবাহন: ফায়ার সার্ভিস
ঢাকার মধ্যে মিরপুরে অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
নারায়ণগঞ্জে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি দুর্ঘটনা: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪
৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আগামী ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে দেশে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রবিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টারে থাকা বাংলাদেশিদের পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনা হবে। কাজ চলছে, পর্যায়ক্রমে তা করা হবে। ডিটেনশন সেন্টারে কতজন বাংলাদেশি রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে। সে অনুযায়ী রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ দূতাবাস ত্রিপোলির প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ত্রিপোলির আইনজেরা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৩ জন বাংলাদেশিকে ২৮ নভেম্বর একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
এরপর ৩০ নভেম্বর আরেকটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১১০ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৩জন বাংলাদেশি
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের।
আইওএম তাদের প্রত্যেককে ৫৮৯৬ টাকা পকেট মানি ও কিছু খাবার দিয়েছে।
বিকল্প মুখপাত্র বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রচেষ্টায় এবং আইওএমের আর্থিক সহায়তায় লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
লিবিয়ায় অভিবাসী বিরোধী অভিযানে আটক ৪০০০
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৭৪২
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৩২ জনে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৪২ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৭৭
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৬ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৮৬ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২ হাজার ৯৭০ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকায় ৮৫৫ জন এবং ২ হাজার ১১৫ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ লাখ ১৩ হাজার ৭০৬ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছেন ৩ লাখ ৯ হাজার ১০৪ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০৫
ডেঙ্গুতে আরও ৬ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৬৮
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মোমেন
আগামী ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবিলায় কৌশলগত যোগাযোগ, শান্তিরক্ষীদের মানসিক সুস্থতা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ওপরও জোর দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: ১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
জাতিসংঘ বলেছে, মিশনের কার্যকারিতা এবং তারা যেসব সম্প্রদায়ের সেবা করে তাদের উপর নিজেদের প্রভাব জোরদার করার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদস্য দেশগুলো একত্র হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হলো ইউনাইটেড ন্যাশন্স পিসকিপিং মিনিস্ট্রিয়াল মিটিং।
২০২১ সালে সিউলের অন্তর্ভুক্তিসহ এটি ২০১৪ সাল থেকে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার বা মন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সিরিজের সর্বশেষ বৈঠক।
অ্যাকশন ফর পিসকিপিং, এফোরপি+ এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে চলমান সংস্কারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করা হবে।
পূর্ববর্তী আলোচনার উপর ভিত্তি করে এবং দ্রুত বিকশিত কর্ম পরিবেশকে বিবেচনায় রেখে সদস্য রাষ্ট্রগুলো বিভিন্ন বিষয় যেমন: জাতিসংঘের চাহিদা মেটাতে উচ্চ-কর্মদক্ষতা, বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রজন্ম এবং অন্যান্য অঙ্গীকারের প্রজন্ম; নতুন বা সম্প্রসারিত টেকসই ক্ষমতা উন্নয়ন, প্রশিক্ষণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা।
শান্তিরক্ষা হলো বহুপক্ষীয় সহযোগিতার একটি শক্তিশালী প্রদর্শন।
শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের বিশেষ কমিটিতে প্রতিনিধিত্বকারী সব সদস্য রাষ্ট্রকে এই আয়োজনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা সক্রিয়, মার্কিন শ্রম নীতি নিয়ে খুব উদ্বেগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন
কোয়াত্রার সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে কোনো রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না: মোমেন
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
নয়াদিল্লি মিশন থেকে বাংলাদেশের বিষয়গুলো দেখবে উ. কোরিয়া: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো ভারতের নয়াদিল্লিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে।
সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারও ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে। ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস সম্প্রতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ৫ ডিসেম্বর লিবিয়া থেকে ফিরবেন ২৬৩ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেছেন, বিশ্বব্যাপী কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে কোরিয়ান সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইএমও'র কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ
৯৯৯ এ কল, যৌনপল্লি থেকে তরুণী উদ্ধার
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল করে ময়মনসিংহ শহরের একটি যৌনপল্লি থেকে উদ্ধার পেয়েছেন এক তরুণী। তিন মাস ধরে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হয়েছিল।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯- এর কলটেকার কনস্টেবল ইবনুল ফয়েজ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে স্বামীকে কুপিয়ে খুন করে ৯৯৯-এ স্ত্রীর ফোন
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯- এর কলটেকার কনস্টেবল ইবনুল ফয়েজ জানান, তিন মাস আগে গার্মেন্টসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ঝিনাইদহ থেকে ঢাকার শান্তিনগরে নিয়ে আসে পরিচিত এক ব্যক্তি। পরে ময়মনসিংহে নিয়ে গিয়ে শহরের গাঙ্গিনারপাড় যৌনপল্লিতে তাকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এ সময় তরুণীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন ব্যবসা করতে বাধ্য করা হয়েছে।
এমন তথ্য জানিয়ে শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে ওই তরুণী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে তাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান।
তিনি আরও জানান, সেখানে তাকে বন্দি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। একজন খদ্দেরের মোবাইল থেকে তিনি ফোন করেছেন।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইবনুল ফয়েজ ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় বিষয়টি দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কলার তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরে তার অভিভাবক এসে পৌঁছালে তাদের কাছে তরুণীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
কোতোয়ালী থানা পুলিশ দলের নেতৃত্ব দেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন সজীব ৯৯৯- কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: ৯৯৯-এ ফোন: সুন্দরবনে বিকল নৌকার ১৯ যাত্রী উদ্ধার
৯৯৯ নম্বরে সাকিবের কল, দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা