চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
শনিবার (৪ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে 'চামড়া শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ করা হয়।
ব্রিফিংয়ে পুরো খাতের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে বেতন গ্রেডিং পদ্ধতি সংশোধনের পক্ষেও মত দেন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।
এসব সুপারিশ তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির জ্যেষ্ঠ গবেষক তামিম আহমেদ।
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা ও ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শাহীন আহমেদসহ শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডাররা আলোচনায় অংশ নেন।
সিপিডির প্রস্তাবিত মজুরি কাঠামোতে মোট মাসিক ব্যয় ৩৩ হাজার ৪৪৫ টাকা ধরা হয়েছে। যার মধ্যে খাদ্য ব্যয় ২০ হাজার ৫৬৪ টাকা এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ১২ হাজার ৮৮১ টাকা। প্রস্তাবিত মজুরি গণনায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের আয়ও বিবেচনা করা হয়েছে। যেখানে বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মজুরি নির্ধারণের একটি বিস্তৃত পদ্ধতির বর্ণণা উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ৪ মাসে ৮৩১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে বাংলাদেশ
তদুপরি, ড. মোয়াজ্জেম চামড়া শিল্পের মধ্যে একটি সরলীকৃত এবং সমন্বিত গ্রেডিং সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন এবং এই খাতের বৈচিত্র্যময় কাজের ভূমিকার কারণে অগ্রগতির সীমিত সুযোগের কথা উল্লেখ করেন।
সিপিডি বলেছে, বর্তমান ব্যবস্থায় পদোন্নতির সুযোগ না থাকায় পঞ্চম গ্রেডের মধ্যে কিছু গ্রেডের (এ, বি ও সি) মধ্যে সাবগ্রেড চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পদোন্নতির সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং কর্মীদের উদ্বুদ্ধ করবে।
বাংলাদেশের একটি প্রধান অর্থনৈতিক খাত হিসেবে পোশাক শিল্পের মতো ট্যানারি শিল্পের গুরুত্বও তুলে ধরে সিপিডি।
ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, সাভার এলাকায় ১২৭টি প্লটে প্রায় ২০০টি সক্রিয় ট্যানারি রয়েছে। যেগুলো ২০২৩ সালে ১২০ কোটি মার্কিন ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে অবদান রেখেছে।