বাংলাদেশ
সাঈদীর চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
যুদ্ধাপরাধের আসামি ও জামায়াতের নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর ঠিক আগে চিকিৎসা করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক নারীসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
র্যাব সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত বার্তায় বলা হয়েছে, তাফসিরুল ইসলামকে (২৩) ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে এবং এখন তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকায় আনা হচ্ছে।
এদিকে একই অপরাধে ঢাকার উত্তরা থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) ফারুক হোসেন জানান,আটক ওই নারীর নাম হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টি (৩২)।
আরও পড়ুন: শাহ আমানতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা জব্দ, আটক ১
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কার্ডিওলজিস্ট ডা. মোস্তফা জামান যুদ্ধাপরাধের দোষী সাব্যস্ত এবং জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চিকিৎসা করেছেন। ‘মৃত্যুর হুমকি পাওয়ার’ পর নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম জানান, ফেসবুক মেসেঞ্জারে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে ওই চিকিৎসক জিডি করেছেন।
এর আগে ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউর কার্ডিওলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর গায়েবানা জানাজা: দফায় দফায় সংঘর্ষ, আটক ৩০
আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের যেকোনো চেষ্টা দমনের প্রতিশ্রুতি দিলেন আইজিপি
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টার সঙ্গে জড়িতদের কঠোরভাবে মোকাবিলা করার ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, পুলিশ জঙ্গিসহ এ ধরনের যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকাতে সক্ষম।
বুধবার বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ পুলিশ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে আইজিপি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আরও পড়ুন: বিমানে পাইলট নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ
জঙ্গিদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ সম্পর্কে আরও অনুসন্ধান বিষয়ে দেশের শীর্ষ এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘আমরা জঙ্গিদের দমন করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়েছি। যখনই তারা সংগঠিত হয়েছে এবং তাদের বিদ্যমান বাহিনীকে জানানোর চেষ্টা করেছে.. , যে কোন জায়গায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে, আমরা তথ্য পাই। এ কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে সফল অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গিদের যেকোনো ধরনের অপচেষ্টা আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছি।’
দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর পর কথিত নাশকতার চেষ্টা প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, তাদের জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তারা তা করেননি। এর ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।
আরও পড়ুন: হুমকির আশঙ্কা না থাকলেও শোক দিবসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
আইজিপি বলেন, ‘যখনই নাশকতার চেষ্টা হবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হবে, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
সাঈদীর মৃত্যুর ঘটনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন চিকিৎসককে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশ হুমকিদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মাহবুবউদ্দিন আহমেদ, বীর বিক্রম, যিনি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা হবে না: ডিএমপি প্রধান
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার দীর্ঘসময় কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি তুলে ধরেন। জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার যে উদাত্ত্ব আহ্বান জানিয়েছিলেন তা সে সময়ের তরুণ এই কর্মকর্তাকে কীভাবে সম্মোহিত করেছিল সেই ইতিহাসও তুলে ধরেন তিনি।
আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের মমতা, অ্যাপায়ন ও বঙ্গবন্ধু জেলে থাকা অবস্থায় দল পরিচালনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি শেখ কামালের বন্ধু ছিলাম। বঙ্গমাতা আমাদের মমতা নিয়ে আপ্যায়ন করতেন। খাওয়া শেষ না অবধি কাছে দাঁড়িয়ে থাকতেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন মডেল অন্যদের অনুপ্রাণিত করতে পারে: বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের জাতীয়তাবাদের চেতনা দিয়ে গেছেন। তিনি খুনিদের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে কেন আমরা বাঁচাতে পারলাম না? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অপপ্রচার হয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স এর মহাপিরচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে ১৫ আগস্টের শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিভুক্ত দপ্তর প্রধান, মহাপরিচালক এবং বিভিন্ন উইং এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পারস্পরিক সুবিধার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য (এফডিআই) প্রত্যাশা করেছেন।
বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আরএমজি, ফার্মাসিউটিক্যালস, চামড়া ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, বাইসাইকেল ইত্যাদি আমদানির জন্য একটি উৎস দেশ হিসেবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করার আহ্বান জানান। যা আরো ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলবে।
বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে তৃতীয় ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন এবং পাঁচ সদস্যের সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় স্থায়ী সচিব (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) এবং স্থায়ী সচিব (আইন মন্ত্রণালয়) লুক গোহ।
উভয় পক্ষ প্রস্তাবিত দ্বিপক্ষীয় এফটিএ-এর পরিপ্রেক্ষিতে অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে তার কাঙ্ক্ষিত স্তরে উন্নীত করতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি শেষ করার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
এ বিষয়ে সম্প্রতি সই হওয়া সহযোগিতা স্মারক (এমওসি) এর অধীনে গঠিত বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের নিয়মিত কার্যক্রমের প্রশংসা করেন উভয় পক্ষ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশ এবং সিঙ্গাপুর পারস্পরিক সুবিধার জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতার বর্তমান গতিতে আরও গতি যোগ করার লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করতে এবং বিদ্যমান পরিপূরকগুলোকে সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আট বছরেরও বেশি সময় বিরতির পরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, সংযোগ, সমুদ্র অর্থনীতি, হালাল বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি, সক্ষমতা উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কৃষি, আইসিটি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলো ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করেছে এফওসি।
উভয় পক্ষ চলমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও গতিশীল করতে আরও উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের গুরুত্ব উল্লেখ করেছে। উভয় পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেছে যে এফওসি সামনের দিনগুলোতে এটিকে আরও সহযোগিতামূলক, উল্লেখযোগ্য এবং অর্থবহ করার জন্য বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে আরও জোরালো ও গতি আনতে সাহায্য করবে।
উভয় পক্ষ এফওসি এবং অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়া চলাকালীন গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোতে পর্যাপ্ত ফলোআপের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে।
দুই পক্ষই কৃষি প্রক্রিয়াকরণ এবং কৃষি গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।
উভয় পক্ষই প্রশংসা করেছে যে বর্তমানে সিঙ্গাপুরে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকরা উভয় দেশের অর্থনীতিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখছে। সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে ওয়েল্ডার, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, নিরাপত্তা কর্মী, উদ্যানপালক, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কৃষিকর্মী, গৃহকর্মী ইত্যাদি খাতে কর্মী পাঠানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
প্রশিক্ষণ ও জ্ঞান আদান-প্রদানের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নের ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর থেকে বৃহত্তর সহযোগিতার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ মোমেন বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দ্রুত প্রত্যাবাসন সম্ভব করার জন্য দ্বিপক্ষীয়ভাবে এবং আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য সিঙ্গাপুরকে অনুরোধ করেন।
তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশকে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান।
এর আগে, বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো, সফররত সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি দলের পক্ষে, জাতীয় শোক দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমারে প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এছাড়াও বনানীর কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষায় বসছে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সারাদেশে শুরু হচ্ছে এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা। প্রথম দিনেই হবে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন ছেলে ও ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন ছাত্রীসহ মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন বেশি।
রুটিন অনুযায়ী এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: দীপু মনি
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, ২ হাজার ৬৫৮টি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ৯ হাজার ১৬৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন, মাদরাসা বোর্ডের অধীনে ৯৮ হাজার ৩১ জন এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ১৭ আগস্টেই এইচএসসি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করতে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি শক্তি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করাই কিছু দেশের গোপন উদ্দেশ্য এবং তারা বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করতেই দেশের আসন্ন নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, নির্বাচন, গণতন্ত্র ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে দেশে একটি (অস্থিতিশীল) পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা, যাতে তারা ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করতে পারে। তাদের কারো কারো উদ্দেশ্য এই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা এবং দেশগুলোকে ধ্বংস করা।
জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (আ.লীগ) আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়। ‘তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। এটাই বাস্তবতা।’
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করে। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, ভারত মহাসাগরে অবস্থিত হওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কারণ এটি আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য নৌপথ। তাই তারা ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
বিদেশি শক্তির স্থানীয় সমর্থকদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কিছু নির্বোধ আছে যারা এই বাস্তবতা না বুঝে তাদের সুরে কথা বলে। ‘তারা (স্থানীয় ক্লাউন) শুধুমাত্র কিছু পয়সার জন্য বিভিন্ন উপায়ে এটি করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে।
আরও পড়ুন: বীর উত্তম সুলতান মাহমুদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
ব্রিকসে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি নির্ভর করছে সদস্যদের উপর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিকস সম্প্রসারণ ও গ্রুপে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তটি সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটা তাদের উপর নির্ভর করে। এটা তাদের আলোচনার বিষয়। আমাদের উপর নির্ভর করে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফ্রিকা একটি ‘উদীয়মান রাষ্ট্র’ এবং বাংলাদেশ ওই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায়।
তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ততটা শক্তিশালী নয়। আমরা সেখানে দুটি মিশন খুলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাদের নির্দেশনা দেবেন (বৃহত্তর প্রচেষ্টা করার জন্য)।’
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
এর আগে, ভারত সরকোরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, গত বছর সংশ্লিষ্ট নেতাদের মাধ্যমে বাধ্যতামূলকভাবে ব্রিকস সদস্যরা অভ্যন্তরীণভাবে গ্রুপের সম্প্রসারণের পদ্ধতি, নির্দেশিকা নীতি, বৈশিষ্ট্য ও মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করেছে এবং সম্পূর্ণ একমত হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট একটি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেমন উল্লেখ করেছেন, আমরা খোলা মন এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে অগ্রসর হচ্ছি। আমরা কিছু ভিত্তিহীন গুঞ্জন শুনেছি, আর তা হলো সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ভারতের আপত্তি রয়েছে। এটি একেবারেই অসত্য।’
চীন বলেছে, ব্রিকসের সম্প্রসারণে গ্রুপের পাঁচ সদস্যকে রাজনৈতিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন, ‘চীন ব্রিকস সম্প্রসারণকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদার আনতে প্রস্তুত।’
১৯ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছিলেন ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রুপ ব্রিকসে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)। ব্রিকস নেতারা কিছু উদীয়মান অর্থনীতির দেশ নেওয়ার কথা ভাবছেন। এর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে যাওয়া ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মহামারির পর এটিই হবে সশরীরে আয়োজিত প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন।
আরও পড়ুন: ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুই মার্কিন কংগ্রেসম্যান এড কেস ও রিচার্ড ম্যাককরমিক সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে রোহিঙ্গাদের দক্ষতা বাড়িয়ে এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা (তাদের) না বলেছিলাম। আমরা বলেছি বাংলাদেশ সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। আমাদের অন্য দেশের নাগরিকদের প্রয়োজন নেই।’
মোমেন বলেন, উন্নত জীবনের জন্য রোহিঙ্গাদের নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে হবে। ‘আপনানা (মার্কিন) কিছু রোহিঙ্গাকে নিতে পারেন।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান মোমেন।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল তারা রোহিঙ্গাদের নেবে কিন্তু তারা নেয়নি।
মোমেন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ধারণা হচ্ছে রোহিঙ্গারা যেহেতু এখানে বসবাস করছে বাংলাদেশ তাদের গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যাবাসন অগ্রাধিকার। আপনারা (মার্কিন) মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবর্তনের জন্য চেষ্টা করুন।’ মিয়ানমার বাংলাদেশের শত্রু নয়, তবে তাদের কিছু সমস্যা রয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিতে ইচ্ছুক কিন্তু কিছু বিদেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এই মুহূর্তে তাদের প্রত্যাবাসনে সমর্থন করছে না।
এর আগে ২ আগস্ট মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ তারা (আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) মনে করে যে সেখানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সমর্থনের জন্য ওআইসি-ইউএনএইচসিআরের প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
মোমেন বলেন, প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজ করছে এমন সব স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
মোমেন বলেন, ‘বিদেশি সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরামর্শ দেয়, আমরা যেন প্রত্যাবাসনের চেষ্টা না করি।‘
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরতে ইচ্ছুক এবং মিয়ানমার সরকারও তাদের ফিরিয়ে নিতে ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন: মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে
নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বাংলাদেশের নির্বাচনকে অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানিয়েছেন, চীন কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না।
তিনি বলেন,‘আমাদের নীতি সবসময় একই থাকে। চীন কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। আমি নির্বাচনকে বাংলাদেশের বিষয় বলে মনে করি, বাংলাদেশের জনগণ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এটাই আমাদের অবস্থান।’
বুধবার (১৬ আগস্ট) পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, তারা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
গত পাঁচ থেকে দশ বছরের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতায় বিশ্বাসী।
মান্নান বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিবেচনা করে বাংলাদেশ চীনের উন্নয়নের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে পারে। বাংলাদেশেও এর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস পালন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন
এর আগে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য তাদের প্রত্যাশা জানিয়েছে।
তবে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দেশের জনগণ যেভাবে নির্ধারণ করবে, সেভাবেই নির্বাচন হবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুরো বিশ্ব এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারে, তবে ভারত সেক্ষেত্রে স্বতন্ত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একটি বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’
ভারত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকায় তাদের একটি হাই কমিশন রয়েছে। এ মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা আশা করি শান্তি বজায় থাকবে এবং কোনো সহিংসতা হবে না। নির্বাচন তফসিল অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত: জ্যেষ্ঠ এমইএ কর্মকর্তা
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের সামনে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে কলেজের গেটের কাছে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এ সময়, শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার রাত ৯টার দিকে ওষুধ কেনাকে কেন্দ্র করে ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে খুমেক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ শিক্ষার্থী ও ৯ ওষুধ ব্যবসায়ী আহত হন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এই ঘটনার কারণে মঙ্গলবার ১৫ আগস্ট থেকেই কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে ওষুধ ব্যবসায়ীরাও দোকান দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রেখেছে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, হাসপাতালের সামনের বিপ্লব মেডিসিন কর্নার নামের একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু ওই দোকান থেকে ওষুধটির দ্বিগুণ দাম চাওয়া হয়। এটা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন দোকানের কর্মচারীরা। পরে ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলে গিয়ে অন্যদের বিষয়টা জানান। এরপর কয়েকজন শিক্ষার্থী মারধরের কারণ জানতে ওই দোকানে গেলে অন্য ব্যবসায়ীরা তাদেরও মারধর করেন।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের দাবি, ওই শিক্ষার্থী ৭০ টাকার ওষুধ কেনার পর মোট দামের উপর ১০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন। তবে দোকানদার ওই কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দু’জন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসে ওই দোকানে ভাঙচুর চালান।
আরও পড়ুন: চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষ, নিহত ১