বাংলাদেশ
প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ডা. ইউনুস খান তারিমকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার সদস্যরা খুলনা থেকে তাকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে গেছেন।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডা. ইউনুস খান তারিম মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে ১৬ বছর ধরে জড়িত। তিনি থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন।
আরও পড়ুন: এসএসসির প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই: দীপু মনি
একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে এক প্রতিবেদনে বলেছে, খুলনার এই কোচিং সেন্টার ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে ‘মেধাহীন’, ‘অযোগ্য’ ছাত্রছাত্রীদের মেডিকেল ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে জনপ্রতি ৩৫ থেকে ৪০ লাখ টাকা করে নিচ্ছে। এই ভর্তি বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে শতকোটি টাকার বেশি অবৈধ লেনদেন হচ্ছে।
ফলাফল বিবরণীর তথ্য অনুযায়ী, যারা থ্রি ডক্টরসে কোচিং করেছেন। তারা অনেকেই এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ–-৫ পায়নি। তবে ভর্তি পরীক্ষায় ৭৩ নম্বর পেয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, সম্প্রতি সিআইডি প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে সাতজন চিকিৎসক রয়েছে। ডা. তারিমও ওই চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব: প্রতিমন্ত্রী
বেলজিয়ামে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) বাংলাদেশের ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে ব্রাসেলসে এই কার্যক্রম চালু করা হলো।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন করেন। ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক ই-পাসপোর্টের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বলেন ই-পাসপোর্ট বাংলাদেশের জনগণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার।’
তিনি বলেন, ‘যুগের চাহিদা ও উন্নত দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাতীয় অবস্থান ও মর্যাদা সুসংহত করার লক্ষ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট প্রবর্তন ও চালুর উদ্যোগ নেয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম। এমনকি স্বল্পসংখ্যক উন্নত দেশে এটি স্থাপিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তার সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হলো।’
আরও পড়ুন: লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে চালু হলো ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম
আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘বতর্মানে দেশের ৬৪টি জেলার ৭২টি অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। আজকে ৩১তম বৈদেশিক মিশন হিসেবে বেলজিয়ামে ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হয়েছে। শিগগিরই দেশের ৮০টি মিশনে এর কার্যকারিতা শুরু হবে। আমরা আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা দ্রুত ই-ভিসা কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’
অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ডেপুটি ডিরেক্টর এবং বেলজিয়ামে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বেশ কয়েকজন সদস্য বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাহবুব হাসান সালেহ্, বাংলাদেশ দূতাবাস বেলজিয়ামের রাষ্ট্রদূত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মৎ সাহানারা খাতুন এবং বেলজিয়ামে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে চালু হলো ই-পাসপোর্ট
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবা
চাঁদপুরে যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৯ কোটি টাকার কারেন্ট জাল জব্দ
চাঁদপুরে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে ৮ কোটি ৯২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড (বিসিজি) সদস্যরা।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) চাঁদপুর কোস্টগার্ডের স্টেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাশহাদ উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে চাঁদপুর জেলার মেঘনা নদীর মোহনায় বিশেষ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কুরিয়ার সার্ভিস থেকে ২০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার
তিনি বলেন, অভিযানকালে ফতুল্লা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি গাজী সালাউদ্দিনে তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে আড়াই লাখ মিটারের বেশি নতুন কারেন্ট জাল জব্দ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৮ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবে অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।
তিনি আরও জানান, পরে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দ করা কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ কারেন্ট জালসহ ১৭ জেলে গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার
কৃষিই দেশের ব্যবসার সবচেয়ে বড় উপকরণ হতে যাচ্ছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বাংলাদেশে কৃষিই ভবিষ্যতে ব্যবসার সবচেয়ে বড় একটি উপকরণ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মানব সভ্যতার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশে কৃষি বৃহৎ একটি খাত। ভবিষ্যতে কৃষিজাত পণ্য আমাদের ব্যবসার বড় অংশ দখল করে নেবে। সে কারণে আমাদের এখন থেকে কৃষিখাতে উদ্যোগী হতে হবে, উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।
আরও পড়ুন: আটকা পড়া ২৮ বাংলাদেশি নাবিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার নির্বাচনী এলাকা রাজশাহীর চারঘাটের কালুহাটিতে পাদুকা শিল্পের উন্নয়নে একটি কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টারের (সিএফসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যেখানে সরকার সবাইকে চাকরি দিতে পারে। আর এটা সম্ভবও নয়। একজন তরুণ উদ্যোক্তা এখন চেষ্টা করলে অনেক কিছু করতে পারে। সরকার সবসময় উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সহযোগিতা করতে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের তড়িৎ ও যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন। কালুহাটির পাদুকাশিল্পের উদ্যোক্তাদের সমস্যা সম্পর্কে সবসময় ওয়াকিবহাল আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, সুখের দিনে আপনারা আমাকে না পেলেও দুঃখের দিনে অবশ্যই পাবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার উদ্বোধন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার প্রতিবেদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে সরকার: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) সরকার অসীম কুমার বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন।
দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ১২
দেশে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এ সময় নতুন করে ১২ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় ২৯ হাজার ৪৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৪৫ হাজার ১৩২ জনে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১২
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
এ সময়ে শনাক্তের হার ছিল ২ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১২ হাজার ৪১৮ জনে।
শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ২০
দেশে করোনায় মৃত্যু নেই, শনাক্ত ৩৯
সাঈদীকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ বলায় এএইচআরসি প্রতিনিধির সমালোচনা করলেন মুক্তিযোদ্ধারা
জামায়াতে ইসলামী নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের বিষয়টিকে হালকা করে দেখানোর জন্য এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের (এএইচআরসি) একজন প্রতিনিধির সমালোচনা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদরা। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের সবচেয়ে জঘন্যতম মামলার অপরাধীদের রক্ষা করতে এটি উৎসাহিত করে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
তারা বলেন, দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার' হিসেবে চিত্রিত করেছে এইচআরসি। ১৯৭১ সালে তিনি যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন সে সম্পর্কে বিশ্বকে বিভ্রান্ত করার মরিয়া প্রচেষ্টা এটি। একই সঙ্গে তার মৃত্যুর পর জামায়াত-শিবিরের লোকেরা যে সহিংসতা চালিয়েছে সে বিষয়কেও হালকা করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, ২০০৪ সালে মার্কিন সন্ত্রাসী স্ক্রিনিং সেন্টার সাঈদীকে তাদের ‘নো ফ্লাই’ তালিকায় যুক্ত করেছিল। সন্দেহভাজন উগ্রপন্থী ও সন্ত্রাসীদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে সেই তালিকায় নাম দেওয়া হয়।
মার্কিন ভিত্তিক লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাংলাদেশিদের হত্যাকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এএইচআর-এর বিবৃতিটি এই সমর্থনকে অস্বীকার করে।
এএইচআরসি অ্যান্ড এশিয়ান লিগ্যাল রিসোর্স সেন্টারের পক্ষ থেকে লিয়াজোঁ অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে টম ল্যানটোস হিউম্যান রাইটস কমিশন আয়োজিত সাম্প্রতিক এক ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়ে এমন 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত' মন্তব্য করেছেন। তার এক বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোকজন বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও সাঈদীর মতো তাদের দোসরদের হাতে যারা তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন তাদের মানসিক যন্ত্রণাকে উপহাস করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ১৭ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
টম ল্যান্টোস মানবাধিকার কমিশনের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাঈদী একজন ইসলামিক স্কলার…। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে আপনি যদি বিরোধী দল বা ভিন্নমতাবলম্বীদের সঙ্গে থাকেন তাহলে, আপনার জানাজা বা সামাজিক স্বীকৃতির অধিকার পাবেন না। এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়।’
মুক্তিযোদ্ধা অজয় দাশগুপ্ত বলেন, 'আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, সাঈদীকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দেখানোর জন্য পাঁচ সাংবাদিকের উপর হামলা, ব্যস্ততম হাসপাতালের সামনে জামায়াত শিবিরের লোকজন রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ দিনব্যাপী সহিংসতার ঘটনায় নীরব থাকায় তাকে জামায়াতের মুখপাত্র বলে মনে হয়েছে।’
তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের (আইএফজে) আহ্বানের কথা উল্লেখ করে বলেন, 'এই সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলার ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে।’
তারপরও, সাঈদীকে তার পৈতৃক বাড়িতে দাফন করা হয়েছিল এবং তার জানাজায় তার অনুসারীরা অংশ নিয়েছিল। অথচ আশরাফ তার দাফনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলে সরকারকে দোষারোপ করেছেন।
অধ্যাপক মেজবাহ কামাল বলেন, এই বিবৃতি পাকবাহিনী ও সাঈদীর দল লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে এবং তাদের ধর্ষণ ও নির্যাতনসহ ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণার অভাব প্রকাশ করে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের 'ভুক্তভোগী' হিসেবে চিত্রিত করে এ ধরনের আখ্যান আগে পশ্চিমা দেশগুলোতে জামায়াতের ভাড়া করা লবিস্টরা প্রচার করেছিল।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে সাঈদীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করায় ৪ ছাত্রলীগ কর্মী বহিষ্কার
নুরেমবার্গ ও টোকিওর বিচারের সময় যুদ্ধাপরাধের বিচারে পশ্চিমা শক্তিগুলো যে মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে তার উল্লেখ করে তারা বলেন, 'বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড নির্ধারণ করেছে।’
মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষাবিদরা বলেন, পাঁচ দশক ধরে সাঈদীর মতো যুদ্ধাপরাধীদের হাতে স্বজন হারানো লাখ লাখ মানুষের পরিবার ন্যায়বিচার পায়নি। কারণ বিএনপি-জামায়াতের আমলে পরিকল্পিতভাবে এদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে জামায়াত লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যানসহ বেশ কয়েকজন লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এড়াতে এবং কয়েক দশক ধরে এই অপরাধীদের দায়মুক্তির সংস্কৃতি অব্যাহত রাখতে ভুল তথ্য প্রচারণা চালিয়েছিল বলে জানা গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরে হত্যা, ধর্ষণ, জোরপূর্বক ধর্মান্তর, অগ্নিসংযোগ ও অপহরণের দায়ে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে তার সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। ২০১৭ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ আদালত সাঈদীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দণ্ড বহাল রাখেন।
যুদ্ধাপরাধের বিচার চলাকালে পিরোজপুরের গ্রামাঞ্চলে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুটপাট, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের দায়ে 'দেলু রাজাকার' উপাধিপ্রাপ্ত সাঈদীকে দোষী সাব্যস্ত করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে ২০১৫ সালে ল্যান্টোস কমিশন কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটায়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর চিকিৎসককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
ডেঙ্গুতে আরও ৯ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৫৬৫
দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৬৫ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮০৪ জন। আর ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বাকি ৭৬১ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৯৮৪
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ হাজার ৫৭৩ জন রোগী। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬২৩ জন ঢাকায় এবং ৩ হাজার ৯৫০ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯৫ হাজার ৮৭৭ জন।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৭ হাজার ৮৫১ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৫৩ জন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৮ জনের মৃত্যু, এক দিনে সর্বোচ্চ ২৪৮০ রোগী ভর্তি
ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, এক দিনে সর্বোচ্চ ২৯৯১ রোগী ভর্তি
‘হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করতে’ মার্কিন পদক্ষেপ দ. এশিয়ার জন্য ইতিবাচক নয়: ওয়াশিংটনকে দিল্লি
শেখ হাসিনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের এবং দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক নয় বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অজ্ঞাত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমেরিকার বর্তমান ভূমিকায় ভারত খুশি নয় এবং এই বার্তা ওয়াশিংটনকেও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের মতো ভারতও ঢাকায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।
আর তিন সপ্তাহ পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
তার আগে ভারতের এই বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে বলে আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সাউথ ব্লক (ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান) মনে করে, জামায়াতে ইসলামীকে 'রাজনৈতিক ছাড়' দেওয়া হলে অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা মৌলবাদের দখলে চলে যাবে। উদার পরিবেশ যেটুকু রয়েছে, তা-ও আর থাকবে না।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার নিয়ে অত্যন্ত সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিকে হস্তান্তর করা: শাহরিয়ার
নয়াদিল্লি মনে করে বাংলাদেশে হাসিনার সরকার দুর্বল হলে তা ভারত বা আমেরিকার জন্য ভালো হবে না।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, নয়াদিল্লি একাধিক স্তরের বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনকে এ তথ্য জানিয়েছে।
কূটনৈতিক শিবিরের মতে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের পর পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত অঞ্চল একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তালেবান এখন আফগানিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে।
মনে করা হচ্ছে, আফগানিস্তানের নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের কথা বিবেচনা না করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চুক্তি করেছিল এবং এখন যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে কাবুলের পাশাপাশি ভারতের অন্যান্য প্রতিবেশী সম্পর্কে আমেরিকার নীতিও নয়াদিল্লির জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে অস্বস্তি বাড়াচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘতম স্থল সীমান্ত রয়েছে। ফলে সে দেশের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি ভারতেও প্রভাব ফেলে।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছে, জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হলে ভারতের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস বাড়তে পারে এবং বাংলাদেশে চীনের প্রভাব অনেক বেড়ে যাবে; যা ওয়াশিংটনের কাম্য নয়।
মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা জামায়াতকে বরাবর একটি রাজনৈতিক ইসলামিক সংগঠন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামায়াতকে মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে তুলনা করে আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে, জামায়াত যে উগ্র মৌলবাদী সংগঠন এবং পাকিস্তানের হাতে তামাক খায়, এ বিষয়ে নয়াদিল্লি নিঃসন্দেহ।
বাইডেন প্রশাসন শুধু বাংলাদেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। ওই সূত্রের উল্লেখ করে আনন্দবাজার জানায়, নয়াদিল্লি এটাকে মোটেও ন্যায়সঙ্গত মনে করে না।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে গ্রহণ করতে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের পরামর্শকে না বলেছে বাংলাদেশ: মোমেন
নতুন এই ভিসা নীতির ফলে যারা বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তারা আমেরিকায় প্রবেশের অধিকার পাবে না।
কূটনৈতিক শিবির মনে করে, আমেরিকার প্রশাসন সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাতেই নিজের দেশের আইন প্রয়োগ করে সে দেশের জন্য পৃথক ভিসা নীতি গ্রহণ প্রণয়ন করেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নয়াদিল্লি সফর করে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সেখানে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াত জোট বিপজ্জনক বলেও বার্তা দিয়েছেন তারা।
প্রতিনিধিদলের নেতা কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে একটি ইতিবাচক বৈঠক করেছেন।
ওই বৈঠকের পরপরই তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতকে বলেছি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা উভয় রাষ্ট্রের জন্যই জরুরি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার এ ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে বাংলাদেশের মাটিকে ভারতবিরোধী কার্যকলাপে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের ভবিষ্যৎ ও নিরাপত্তা বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত: জ্যেষ্ঠ এমইএ কর্মকর্তা
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে ২ বানর
কুড়িগ্রামে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে এসেছে দুটি বানর। বানর দুটি দেখে ভয় ও আতঙ্কে আছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে টিনের চাল,ঘরের সানসেটে, গাছের ডালে দাপিয়ে বেড়া বানর দুটিকে দেখতে উৎসুক জনতার ভীড় করছে। তবে কেউ বলতে পারছে না বানর দুটি কোন জায়গা থেকে এসেছে।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকালে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পলাশবাড়ী পাঠান এলাকায় বানর দুটি দেখে এলাকাবাসী।
ওই এলাকার বাসিন্দা মো. আলমগীর হোসেন বলেন,সকালে হঠাৎ আমার সুপারি বাগানে পাশাপাশি দুটি বানর চোখে পড়ে।বিভিন্ন গাছে পাতা ধরে টিনের চালে হাঁটাহাঁটি করছে।কখনো ঘরের সানসেটে বসে থাকছে।এর আগে বানর দুটি আমাদের চোখে পড়ে নাই। বানর দেখতে অনেক লোক জড়ো হয়েছে। কেউবা আবার বানর আতঙ্কে আছে।
আরও পড়ুন: খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে বানরের ছুটাছুটি
তবে এখন পর্যন্ত বানর দুটি কারো ক্ষতি করে নাই। এর পরেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা কুড়িগ্রাম বন বিভাগের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বানর দেখে মো. আদনান সিয়াম বলেন,আমি টিভিতে, চিড়িয়াখানায় বানর দেখছি।বানরের খেলা দেখেছি তবে এমন খোলামেলা পরিবেশ টিনের চাল থেকে গাছে, গাছ থেকে ঘরের সানসেটে দৌড়াদৌড়ি করা বানরের চলাফেরা দেখি নাই। দেখে খুব মজা করছি। আবার একটু ভয় লেগেছিল।
কুড়িগ্রাম জেলা সহকারি বন সংরক্ষক মোহাম্মদ রাশিদ আরিফ বলেন,কুড়িগ্রামে আশে পাশে বড় বন না থাকায় এ অঞ্চলে বানর আসার সুযোগ নেই। তবে সীমান্ত পেরিয়ে ফলের ট্রাকে ফল খাওয়ার লোভে আসতে পারে। এ বানরগুলো কোথাও স্থির থাকে না। একটু পর পর স্থান বদল করে। তারপরও আমরা বিষয়টি দেখতেছি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বিপন্ন প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
মাউই দাবানলে প্রাণহানিতে দুঃখ প্রকাশ করে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে ভয়াবহ দাবানলে প্রাণহানি ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে. ব্লিঙ্কেনকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান স্থানীয় সময় বুধবার(১৬ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু-এর নিকট এই চিঠি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘গোপন তথ্য’ কারা ফাঁস করেছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা করছি: মোমেন
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘আমি আপনার প্রতি, ও আপনার মাধ্যমে নিহত ও আহতদের পরিবার এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আমাদের গভীর শোক ও আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আমরা আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা এবং নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
তিনি বলেন মাউয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এবং এই ধরনের দুর্যোগের সময় দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসের গুরুত্ব মনে করিয়ে দেয়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ আপনার এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের পাশে আছি। আপনাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সমর্থন ও সংহতি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতির হাজার বছরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: মোমেন