বাংলাদেশ
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে মঙ্গলবার গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এক বার্তায় মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ৮১ বছর বয়সে মঙ্গলবার রাতে মারা যান।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান, রাত ১১টার দিকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
মঙ্গলবার ডা. জাফরুল্লাহ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু জানান।
এর আগে সোমবার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ এই চিকিৎসককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. মামুন মুস্তাফিকে প্রধান করে রবিবার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জনিত জটিলতায় ভুগছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী মেডিসিনে স্নাতকোত্তর পড়াশোনার জন্য যুক্তরাজ্যে ছিলেন। মাত্র ৩০ বছর বয়সে তিনি ক্যাপ্টেন আখতার আহমেদের সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।
হাসপাতালটি তখন বাংলাদেশি চিকিৎসক, মেডিকেল শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবক এবং স্বাস্থ্যসেবায় পূর্বে কোনো প্রশিক্ষণ নেই এমন নারীদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। তবে, তাদেরকে রোগীদের সহায়তা করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই প্রশিক্ষিত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি অনন্য। স্বাধীনতার পর যখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্ম হয়, তখন এই বৈপ্লবিক প্রস্তাবের পেছনের ধারণাটি জনস্বাস্থ্য সরবরাহের দর্শনে বিকশিত হয়।
আরও পড়ুন: ডা. জাফরুল্লাহ লাইফ সাপোর্টে
তিনি ১৯৮২ সালে গৃহীত দেশের প্রথম জাতীয় ওষুধ নীতির স্থপতিও ছিলেন। যা এখনও জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেশের সাফল্যের একটি কেন্দ্রীয় হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জনসংখ্যার আকারের বিচারে এটি অবিস্মরণীয় কঠিন কাজ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে কলকাতায় এবং পরে তার পরিবার বাংলাদেশে বসতি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। 'বেসিক হেলথ কেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' (গ্রামীণ বাংলাদেশে মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা) শীর্ষক একটি ধারণাপত্রে এই প্রস্তাব প্রথম উপস্থাপন করা হয়।
জাফরুল্লাহ ছিলেন তার মা-বাবার ১০ম সন্তান। বকশীবাজারের নবকুমার স্কুলে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি কমিউনিস্ট রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পরিচিত হন।
তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং জেনারেল অ্যান্ড ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য যুক্তরাজ্যে যান। তবে যুদ্ধে ফিরে এসে তার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।।
১৯৮৫ সালে তিনি ওষুধ নীতি ১৯৮২ এর ওপর তার কাজের জন্য কমিউনিটি লিডারশিপ বিভাগে র্যামন ম্যাগসেসে পুরষ্কার জিতেছিলেন।
স্বাস্থ্য ও মানব উন্নয়নে তার ব্যতিক্রমী কাজের জন্য তিনি ১৯৯২ সালে রাইট লাইভলিহুড পুরস্কার লাভ করেন।
আরও পড়ুন: রাফসান হত্যার নেপথ্যে কিছু আছে কিনা তদন্ত করতে হবে: কাজী জাফরুল্লাহ
সুযোগ সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র কম ব্যয়বহুল জেনেরিক ওষুধের বিকাশে অগ্রদূত ছিল। জাফরুল্লাহর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র বাংলাদেশে পল্লী স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থা চালু করে।
২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইউসি বার্কলে তাকে আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী অত্যন্ত সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছে নিজেকে আকৃষ্ট করেছেন, তবে জনস্বার্থে নিজের বিবেকের কথা বলতে কখনও পিছপা হননি।
যদিও তিনি কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন না, তবুও তিনি অনিবার্যভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়েছিলেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং শেষ দিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু তার সামগ্রিক জীবনের কাজকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে গণ্য করা যায় না এবং এমন অনেক সময় ছিল যখন তার মতামত বিএনপির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনে ইফতার অনুষ্ঠান
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে সরকার, আইনসভা, রাজনৈতিক দল, সশস্ত্র বাহিনী, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ীমহল, একাডেমিয়া, মিডিয়া ও সাংস্কৃতিকমহলসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা বৃদ্ধিতে ইফতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে চায় সরকার: বিএনপি
তিনি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার গভীর বন্ধনের ওপর জোর দেন এবং ১৯৭১ সালের যৌথ আত্মত্যাগের মূলে নিহিত আমাদের বিশেষ ও বহুমুখী সম্পর্ককে আরও সমৃদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং এবং এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে: বিবি
বাংলাদেশি মালিকানাধীন শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের নামে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব খোলার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
এসব শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলো বিদেশে তাদের সেবা সম্প্রসারণ করছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। এসব হিসাব থেকে কোম্পানিগুলো প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিবির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি ও এয়ারলাইন্সের বৈদেশিক কার্যক্রম সম্প্রসারিত হচ্ছে। এ বিবেচনায় বিদেশ থেকে আয় হিসেবে যে অর্থ আসবে তার ৭৫ শতাংশ বৈদেশিক মুদ্রা হিসেবে জমা করা যাবে।
আরও পড়ুন: এলসি খোলার সংকট শিগগিরই স্বাভাবিক হবে: বিবি গভর্নর
অবশিষ্ট পরিমাণ টাকা নগদ করা হবে। জাহাজ এবং বিমানের পরিচালন ব্যয় বৈদেশিক মুদ্রা অ্যাকাউন্ট স্ট্যাটাস সহ করা যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে বাংলাদেশি শিপিং কোম্পানি এবং এয়ারলাইন্স যারা বিদেশি কোম্পানিকে জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমান ভাড়া দেয় তারাও বৈদেশিক মুদ্রায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। এক্ষেত্রে প্রাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার ৫০ শতাংশ এই হিসাবে জমা করা যেতে পারে। যা জাহাজ, কন্টেইনার বা বিমানের প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিবি কর্মকর্তারা বলছেন, এখন এজেন্টের ওপর নির্ভর করে বিদেশে ব্যবসা করছে শিপিং ও এয়ারক্রাফট কোম্পানিগুলো। নতুন নির্দেশিকা সেই নির্ভরতা কমিয়ে দেবে।
বৈদেশিক মুদ্রার হিসাব শিথিল করার কারণে স্থানীয় শিপিং ও এয়ারলাইন কোম্পানিগুলোর ব্যবসা সম্প্রসারিত হবে।
আরও পড়ুন: এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে উপজেলার সলঙ্গার ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের নলকা সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর রক্তদাতাকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় স্বামীর মৃত্যু
নিহত নজরুল ইসলাম (৩০) উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের গঞ্জের আলীর ছেলে।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এ এম বদরুল কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নজরুল হেঁটে নির্মাণাধীন নলকা সেতু পার হচ্ছিলেন। এসময় দ্রুতগামী একটি ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ট্রাকচাপায় কলেজ শিক্ষক নিহত
একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো শাহরিয়ার আলম বলেছেন, গত একদশকে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ত্রিপুরা সরকারের সহযোগিতা আমাদেরকে আমৃত্যু বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে।
মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলা যাওয়ার পথে বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক সুসংহত করতে কাজ করছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর জনসংখ্যার একটি বাজার তৈরি হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে ভারতের অন্য অঞ্চল থেকে এ রাজ্যগুলো কিছুটা চ্যালেঞ্জিং অবস্থানে থাকলেও তাদের ক্রমবর্ধমান উন্নতি হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটাকে আমরা আমাদের বাজারের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে চাই। এটা করতে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
এছাড়া ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের বাইরে এ ধরনের সহযোগীতা পৃথিবীর আর কোথাও ছিলনা। যখন আমরা সেটি করি। সেটি বাড়তে বাড়তে এখন অনেকটাই বেড়েছে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বিদ্যুৎ আসছে।
এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা, আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম এবং আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ স্বপন চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে 'মৌলিক ত্রুটি ও ভুল’ পেয়েছে ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোতে ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
বগুড়ার শিবগঞ্জে পিকআপ ভ্যানের চাপায় অটোভ্যানের যাত্রী এক স্কুলছাত্রী নিহত এবং এতে চালক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মোকামতলার মালাহারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মানসুরা আক্তার (১৫) উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের মালাহার গ্রামের মুয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে। সে মোকামতলা বালিকা বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: আজিমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোকামতলা ইউনেয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফুল মিয়া।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে মানসুরা মালাহার গ্রাম থেকে অটোভ্যানে মোকামতলায় প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিলো। মহাসড়কে বগুড়াগামী একটি পিকআপ অটোভ্যানটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মানসুরা ছিটকে পড়ে যায়। এসময় সে ওই পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আশিক ইকবাল বলেন, ঘাতক পিকআপ ভ্যান আটক করা যায়নি। এনিয়ে নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগও নেই। অটোভ্যানের চালক আহত অবস্থায় স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মোংলায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ নিহত, সহকর্মী আহত
দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন: প্রধান বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, দেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক ও আইনজীবীরা একসঙ্গে চেষ্টা করছেন।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মাণাধীন ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। অর্থাৎ নিষ্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারিতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলাতে কেস নিষ্পত্তির যত মামলা ফাইল হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই দেশের ৪০ লাখ মামলার জন্য বিচারকের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এটা খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি, নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুলিশি তদন্তে আছেন তারা। আমরা এই বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারবো। এছাড়া আরও ১০০ বিচারক নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আমরা আশাবাদী যে বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীদের আদালতকে সহায়তা করার আহ্বান জানান। যাতে করে সবাই একসঙ্গে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।
তিনি বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা থেকেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই ন্যায়কুঞ্জের কনসেপ্ট।
এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো. তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে: প্রধান বিচারপতি
সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
নোয়াখালীতে অপহৃত স্কুলছাত্রী উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৮
নোয়াখালীর কবিরহাটে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি ব্রিজ এলাকা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি মাইক্রোবাস সহ অপহরণে জড়িত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলো-প্রধান আসামি সুমন (৪০), তার সহযোগী হাছান (২০), আলা উদ্দিন ইমন (২৫), মিজানুর রহমান মিজান (২৮), আব্দুর রহিম (২০), সাবের হোসেন সাব্বির (২১), গাড়িচালক সাগর (২৮) ও চালকের সহযোগী ইয়াছিন আরাফাত সাকিব (২৩)।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে নারীকে বেত্রাঘাত ও পাথর মারার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৪
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত অভিযুক্ত সুমন। সোমবার ইফতারের সময় সুমন তার চার-পাঁচজন সহযোগী নিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে তার মা ও ভাবিকে মারধর করে এবং তাকে অপরহণ করে। অপরহণকারীরা যাওয়ার সময় ঘর থেকে মোবাইল, স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট কর নিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাতে ভুক্তভোগীর মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করেন।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি ব্রিজের ওপর একটি মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে তাতে অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। মূল আসামিসহ তার সাত সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকার হেরোইন জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ডাক্তার-নার্স পরিচয়ে বাড়িতে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৬: ডিএমপি
দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময়ে ছয়জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত
এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকি তিনজন দেশের অন্যান্য জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরমধ্যে ১৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং আট জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ৮৯৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৬০ জন ও ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৪৩৪ জন ডেঙ্গু রোগী।
অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ৮৬৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এদের মধ্যে ৪৪০ জন ঢাকার বাসিন্দা, বাকি ৪২৩ জন ঢাকার বাইরের অন্যান্য জেলার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যক্রম চলবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
দেশে আরও ৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত