বাংলাদেশ
ডান্ডাবেড়ি-হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধে আইনি নোটিশ
গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বেআইনিভাবে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরানো বন্ধ এবং এ সম্পর্কে একটি নীতিমালা করার জন্য সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন এ নোটিশ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইজিপি এবং কারা মহাপরিদর্শক বরাবরে এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার বন্ধ এবং এ বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যথায় নোটিশদাতারা উচ্চ আদালতের দারস্থ হবেন মর্মে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো আইনজীবীরা হলেন-আসাদ উদ্দিন, মীর এ কে এম নুরুন্নবী, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, আল রেজা মো. আমির, মো. রেজাউল ইসলাম, কে এম মামুনুর রশিদ, মো. আশরাফুল ইসলাম, শাহীনুর রহমান।
আরও পড়ুন: ১ ডিসেম্বর থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ
আইনজীবী আসাদ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় গত ২০ ডিসেম্বরে ছবিসহ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেখানে দেখা যায়, গাজীপুরে একজন আসামি ডান্ডাবেড়ি পরিহিত অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন।
তার পরপরই গত ১৭ জানুয়ারি ছবিসহ আরেকটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানেও দেখা যায়, শরীয়তপুরে আরেকজন আসামি একইভাবে ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় মায়ের জানাজা পড়াচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যেই একজন আইনজীবীসহ কয়েকজনকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে ঢাকা কোর্টে আনা হয়। এসব ঘটনা পত্র-পত্রিকা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
কাছাকাছি সময়ে সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল, তানভীর হাসান তানু, প্রবীর শিকদার, শিল্পী জে কে মজলিস এবং কয়েকজন শিশুসহ অনেক আসামিকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।
কিন্তু তারপরও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ির যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধে কোনও উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
আইনজীবী আসাদ উদ্দিন বলেন, বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশনের প্রবিধান ৩৩০-এ হাতকড়া সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। সেখানে শুধুমাত্র পলায়ন রোধ করতে যতটুকু প্রয়োজন তার বেশি নিয়ন্ত্রণ আরোপে নিষেধ করা হয়েছে।
যদি কোনো শক্তিশালী বন্দি সহিংস অপরাধে অভিযুক্ত হয় বা কুখ্যাত হিসাবে পূর্ব পরিচিত হয় বা অসুবিধা সৃষ্টিতে উন্মুখ থাকে বা রাস্তা দীর্ঘ হয় বা বন্দি সংখ্যা অনেক বেশি হয় সেক্ষত্রে হাতকড়া ব্যবহার করা যেতে পারে।
হাতকড়া না থাকলে দড়ি বা কাপড় ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এ প্রবিধানের কোথাও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহারের কথা নেই।
অন্যদিকে জেলকোড এবং কারা আইনে ‘কারা অপরাধ’ এর বর্ণনার পাশাপাশি শাস্তি হিসাবে অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহারের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা রুশ জাহাজ গ্রহণ করবে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অর্থাৎ কারা অভ্যন্তরে কয়েদিরা সংশ্লিষ্ট ‘কারা অপরাধ’করলে তার শাস্তি হিসাবে এর ব্যবহার করা যাবে।
এছাড়া যেসব কয়েদি পলায়ন করে বা পলায়নে উদ্যত হয় বা ষড়যন্ত্র করে তাদের হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে। এর বাইরে এক কারাগার থেকে আরেক কারাগারে বন্দি স্থানান্তরের সময় ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহার করা যেতে পারে। মূলত ডান্ডাবেড়ির ব্যবহার কেবলমাত্র জেল কোড এবং কারা আইনের আওতাধীন।
আর বেঙ্গল পুলিশ রেগুলেশন অনুযায়ী প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কেবলমাত্র হাতকড়া ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। কোনভাবেই ডান্ডাবেড়ি নয়।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট ইতোমধ্যে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি ব্যবহার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে।
সিটিজেন ফর ডেমোক্রেসি বনাম স্টেট অব আসাম মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পুলিশ বা কারা কর্তৃপক্ষ কোনও আসামিকে হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরাতে পারবে না। কোনও মারত্মক এবং পলায়নের আশঙ্কা আছে এমন আসামিকে এগুলো পরানো অত্যন্ত প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন করতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের বিশেষ অনুমতি ছাড়া কোনও আসামিকে হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানো যাবে না।
ওয়ারেন্ট ব্যতিত কোনও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলে এবং হাতকড়া পরানো আবশ্যক মনে হলে পুলিশ তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে আসা পর্যন্ত হাতকড়া পরাতে পারবে। পরবর্তী সময়ের জন্য অবশ্যই ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিতে হবে।
আমাদের দেশে এমন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা/নীতিমালা না থাকায় ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়ার অপব্যবহার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতির নিয়োগ
জামালপুরে ট্রাকের ধাক্কায় কলেজছাত্র নিহত
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন।
রবিবার দুপুরে উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের আবদুল্লাহ মোড় এলাকায় সরিষাবাড়ী-তারাকান্দি সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত কলেজছাত্রের নাম শিপন মিয়া (১৮)। তিনি উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পাথরবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
এছাড়া শিপন স্থানীয় আলহাজ ফরহাদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিপন মিয়া রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তারাকান্দি যাচ্ছিলেন। আবদুল্লাহ মোড় এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিপন ঘটনাস্থলে মারা যান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে তারাকান্দি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মহব্বত কবীর দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এছাড়া ঘাতক ট্রাকটি আটক করা সম্ভব হলেও চালক পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা চালকসহ নিহত ২
যশোরে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কা, গর্ভবতী নারী নিহত
মোংলা বন্দরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতু ও রূপপুরের মেশিনারি পণ্যবাহী ৩ জাহাজ
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন মেশিনারি পণ্য নিয়ে তিনটি বিদেশি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
বিদেশ থেকে আমদানি করা মালামাল নিয়ে জাহাজ তিনটি রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বন্দরের জেটিতে নোঙর করে।
ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে মালামাল খালাস কাজ শুরু হয়েছে।
বন্দর সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর তিন হাজার ৩৫২ দশমিক ৩৮৯ মেট্রিকটন স্টিল পাইপ নিয়ে পানামা পতাকাবাহী এমভি কি শিয়া সান নামে জাহাজটি রবিবার সকালে বন্দরের সাত নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
একই সময়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য চার হাজার ৭১৬ দশমিক ০২৬ মেট্রিকটন মেশিনারি পণ্য নিয়ে পানামা পতাকাবাহী লিবার্টি হারভেস্ট নামে অপর একটি জাহাজ বন্দরের আট-নং জেটিতে ভিড়েছে।
এদিন দুপুরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরও তিন হাজার ৬৩৩ মেট্রিকটন পণ্য নিয়ে রুশ পতাকাবাহী এমভি কামিল্লা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে নোঙর করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেশিনারি পণ্য নিয়ে আসা জাহাজ লির্বাটি হারভেস্ট এর শিপিং এজেন্ট অবিরত এজেন্সির ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, আট-নং জেটিতে নোঙর করা জাহাজ থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পণ্য খালাস কাজ শুরু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা সফরে দেশে এলো যুক্তরাজ্যের রাজকীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ
দুদকের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া ৪৭৩ নথি আদালতে দাখিলের নির্দেশ
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শেষ পাঁচ মাসে ৪০৮টি দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধানে কোনো তথ্য-প্রমাণ না থাকায় অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ৬৩টি মামলার তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করে।
এদিকে অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষিত ও চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া মোট ৪৭৩টি নথি দুদককে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক সুয়োমটো রুলের শুনানিকালে রবিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর থেকে ২০২১ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত যে ৪০৮টি অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে প্রতিটির ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়েছি।
তিনি বলেন, কেন অনুসন্ধান পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে তা তুলে ধরেছি। তখন আদালত এই ৪০৮টিসহ মোট ৪৭৩টি নথি দেখতে চেয়েছেন।
আমরা বলেছি, আমাদের কোন আপত্তি নেই। ১২ই ফেব্রুয়ারি এই নথিগুলো দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আমরা ওইদিন অনুসন্ধান করে পরিসমাপ্তি ঘোষণা করাও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া মোট ৪৭৩টি নথি দাখিল করবো।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান: চারজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় দুদক ২০২০ থেকে ২০২১ সালে অনুসন্ধান পর্যায়ে ৪১০টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন এবং ৬৩টি মামলায় তদন্ত করে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন।
তিনি বলেন, হাইকোর্ট সেই নথিগুলো দাখিল করতে বলেছেন। পত্রিকায় যে অভিযোগ এসেছে ‘দুদক অনুসন্ধান বাণিজ্য করেছেন’, সেটা জনসম্মুখে এসেছে। এই অভিযোগের একটা সুরাহা হওয়া দরকার।
এজন্য হাইকোর্ট অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘটানো এবং চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়া মোট ৪৭৩টি নথি দুদককে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
২০২১ সালের ১৪ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে ‘দুদকে অনুসন্ধান বাণিজ্য’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদায়ের আগে দুর্নীতির বহু রাঘব-বোয়ালকে ছেড়ে দেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তাদের দায়মুক্তি আড়াল করতে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেন কিছু নিরীহ ও দুর্বল ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে শেষ পাঁচ মাসে তিনি দুই শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘সফার্স’র মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালাসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সোনা এবং হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে রাজস্য ফাঁকিসহ শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। এটি ‘নথিভুক্ত’ করা হয় ২৩ নভেম্বর। এটি স্বাক্ষর করেন মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান। কয়েকবার কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর উপপরিচালক মোশাররফ হোসাইন মৃধার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (এফএফডি) ও সেলস ডাটা কন্ট্রোলারসহ (এসডিসি) ফিসক্যাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) কেনার দরপত্রে অভিজ্ঞতাহীন চীনা কোম্পানি এসজেডজেডটিকে ২৪৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার কার্যাদেশ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এর সঙ্গে ভ্যাট অনলাইন প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর শামীম আরা বেগম, ডেপুটি কমিশনার মো. খায়রুল আলম ও ডেপুটি কমিশনার রাবেয়া খাতুন, এনবিআরের সদস্য ও সিস্টেম ম্যানেজার মো. শফিকুর রহমান, ভ্যাট অনলাইনের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান, আইসিটি ডিভিশনের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্ট মো. নবীর উদ্দীন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সুমন কুমার পাটওয়ারী, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার মোহাম্মদ মুবিনুল কবীর, এনবিআর-এর মূসক ও ভ্যাট নীতি মেম্বার ড. আব্দুল মান্নান শিকদার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন।
এছাড়া ২০২১ সালের ১০ মার্চ তিনি অবসরে যান।
প্রকাশিত এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে হাইকোর্টের উপরোক্ত বেঞ্চ ২০২১ সালের ১৬ মার্চ দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দিয়েছেন তার তালিকা চান হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
ওই আদেশ অনুযায়ী রবিবার দুদক একটি প্রতিবেদন দাখিল করে হাইকোর্টে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শেষ পাঁচ মাসে চার হাজার ৪৮১টি অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন ছিল। এই সময়ে কমিশন নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ১৫৪টি অভিযোগের বিপরীতে মামলা দায়েরের এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের অভাবে ৪০৮টি অভিযোগ পরিসমাপ্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দুটি অভিযোগ কমিশন অন্যভাবে নিষ্পত্তি করে।
এছাড়া একই সময়ে এক হাজার ৫৭৮টি মামলা তদন্তাধীন ছিল, তার মধ্যে ৫৭টি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
১৬৫টি মামলায় চার্জশীট দাখিল করা হয় এবং ছয়টি মামলা অন্যভাবে নিস্পত্তি করা হয়।
এসবের বিস্তারিত বিবরণী তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
আদালত প্রতিবেদন দেখে পরিসমাপ্তি ঘোষণা, অন্যভাবে নিস্পত্তি করা এবং চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া মোট ৪৭৩টি নথি দাখিলের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: ডিবি প্রধান ও আরও ৯জনের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগ আদালতে খারিজ
তারেক-জোবায়দাকে আদালতে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
২০১৪ সাল থেকে ১৯১৮ জন হজযাত্রী সরকারি খরচে হজ করেছেন: প্রতিমন্ত্রী
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান সংসদে বলেছেন, ২০১৪ সাল থেকে সরকারি খরচে পবিত্র হজ পালনের জন্য ১৯৮১ জনকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার বিকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের দিনের অধিবেশন শুরু হলে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই হজ প্যাকেজ ঘোষণা: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী অবশ্য বলেন যে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে সরকার একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক মুসলমানকে সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে হজ পালনের জন্য সৌদি আরবে পাঠানোর একটি কর্মসূচি শুরু করেছিল।
সরকারি খরচে হজ করা ১৯১৮ জনের মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫; ২০১৫ সালে ২৬৮, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ২২৪, ২০১৮ সালে ৩৪০, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে পাঠানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মহানবীর শিক্ষা ও আদর্শ মুসলিম উম্মাহকে উদার ও মানবিক হতে শিক্ষা দেয়: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
নড়াইলের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি হবে: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই রোগী দেখতে পারবেন সরকারি চিকিৎসকরা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, পহেলা মার্চ থেকে নিজ প্রতিষ্ঠানেই চিকিসকরা রোগী দেখতে পারবেন।
তিনি জানান, সরকারি ইন্সটিটিউটের প্র্যাকটিসের কথা বলা হয়েছে, যাতে তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠানে প্র্যাকটিস করতে পারে।
এছাড়া কারা কতক্ষণ, কিভাবে প্র্যাকটিস করবে সেটি বাস্তবায়নে একটি টিম গঠন করেছি, তারা আমাদের অবহিত করবেন।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যখাতের কিছু জরুরি বিষয় নিয়ে মিডিয়া ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, মার্চ মাস থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু হবে। পাইলট প্রকল্প হিসাবে ৫০টি উপজেলা ২০টি জেলা ও পাঁচটি মেডিকেল এর আওতাভুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: দেশের সকল জেলা হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ইমার্জেন্সি সার্ভিস চালু করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এতে রোগীরা বেশি চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া পহেলা মার্চ থেকে ইন্সটিটিউশনাল প্র্যাকটিস শুরু করতে চাচ্ছি।
ফি কি বেশি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে যে ফি তারা নেন, সেক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই কম ফি নেবেন বলে আশা করি। বাইরে যা ফি হয় তার চেয়ে কমই হয়ত গ্রহণ হবে। চেম্বারে বসে যে পরামর্শ দেয়া হয় সেগুলো তারা দেবেন। সেটা অফিসের কর্মঘন্টার পর। সেখানে কাজ করার জন্য আমরা অবশ্যই তাদের তাগিদ দেবো। তারা প্রায়য়োরেটি পাবেন।
তিনি আরও বলেন, নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করবে। যাবতীয় যা কাজ আছে করবে। এর বাইরে যদি সময় পায় তাহলে তারা কাজ করবে। এখানে সময় দিলে সেভাবে বাইরে সময় দিতে পারবে না। এখনও বাইরে প্র্যাকটিস করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা এটি বাস্তবায়ন করতে পারব আশা করি। প্রাইভেট প্র্যাকটিস নতুন কনসেপ্ট না। শুরু করতে গাইডলাইন লাগবে, সেখানে সময়, অর্থ সব নিয়ে কাজ শুরু করব।
এছাড়া কাজ করার মধ্যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটি সমাধান করব।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় আমরা প্রতিনিয়ত কিছু উন্নয়নের চেষ্টা করছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে চোখের কর্ণিয়া ও কিডনি প্রতিস্থাপন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। আমরা সেখানকার সকলকে ধন্যবাদ জানাই। কিছুদিন আগে তারা লিভার প্রতিস্থাপনও করেছেন, যেটি একটি মাইলফলক। মানুষ এসব চিকিৎসার জন্যই বিদেশে যায়। মৃত্যুর পর যদি কিডনিটা দিয়ে যেতে পারেন, সেটা যদি মৃত্যুর আগে বলে যান তাহলে সেটি অন্য একজন মানুষের জীবন রক্ষা পেতে পারে। একজন মৃত ব্যক্তি মারা গেলে কয়েক ঘন্টা পর কিডনি অকেজো হয়ে যাবে, তাই সেটি দান করে একজনের জীবন বাঁচাতে পারেন। আমরা চাচ্ছি কিডনি প্রতিস্থাপন আরও জোরদার হবে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভারে কিডনি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করছি। আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা আছে কিভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা যায় এবং মানুষের বিদেশে যেতে না হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভাগভিত্তিক জায়গাগুলোতে যে সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। বরিশাল বিভাগে গিয়ে যে সমস্যাগুলো দেখেছি, সেগুলো সমাধানের জন্য পরামর্শ দিয়ে এসেছি। তবে সঠিক তদারকি হলে ভালো কাজ হবে। আমাদের দুর্বল জায়গা হলো উপজেলা হাসপাতালগুলো। আমরা ডাক্তার নার্স নিয়োগ দিলেও ঘাটতি কমেনি।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ৫০০ বেডের হাসপাতাল করা হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সবাইকে স্বাস্থ্যকার্ড দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাইলট প্রকল্প শিগগিরই বাস্তবায়নের আশাবাদ শাহরিয়ারের
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ‘পাইলট প্রকল্প’ দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়িত হবে।
তিনি মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তনের জন্য আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের জন্য বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে ‘সক্রিয় ভূমিকার’ জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে চীনের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন রবিবার বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্য বিবৃতি দেয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে: মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারিকে শাহরিয়ার আলম
তিনি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ‘ত্যাগ’ স্বীকার করেছেন এবং তাদের প্রত্যাবাসনে ভূমিকা রাখার আশ্বাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত ওয়েন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আপনারা অনেক অর্থ ব্যয় করেছেন এবং অনেক কষ্ট স্বীকার করেছেন। আপনারা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমাদের লক্ষ্য (প্রত্যাবাসন) অভিন্ন।’
বাংলাদেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আতিথ্য করছে এবং গত ছয় বছরে একটিও রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপনের গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, চীন থেকে শিল্প স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশকে একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচনা করার জন্য চীনা রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
চীনা রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য পিপিপি-তে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) শেষ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতের মেয়াদে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।
উভয় পক্ষই বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সংযোগ ও কোভিড পরিস্থিতিসহ পারস্পরিক স্বার্থের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আন্তরিকভাবে মতামত বিনিময় করেছে।
চীনা নববর্ষ দিবসে নতুন রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে তিনি কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় এবং চীন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রত্যাবাসন এবং পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের চীনে প্রত্যাবর্তনে সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত ইয়াওর সফল মেয়াদ কামনা করেন এবং তার দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা খর্ব করা যাবে না: শাহরিয়ার
সম্পর্ককে আরও গভীর করতে অপশক্তিকে পরাজিত করবে ঢাকা-নয়াদিল্লি: শাহরিয়ার
৯৫৮ মেট্রিক টন রড নিয়ে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে ভারতীয় জাহাজ
৫৮ মেট্রিক টন রড নিয়ে ট্রানজিটের একটি ভারতীয় জাহাজ আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করেছে।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এমভি বালকার-১ নামের জাহাজটি বন্দরে এসে নোঙর করে।
নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় এই পণ্য আসে আশুগঞ্জ নদী বন্দরে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবকের ছুরিকাঘাতে এসআই আহত
এছাড়া সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জাহাজে টাটা স্টিল এর রড রয়েছে।
টাটা স্টিলের এ রড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের আগরতলা যাবে।
এছাড়া ৮ জানুয়ারি ভারতের কলকাতার হলদিয়া বন্দরে ওই জাহাজে রড উঠানো হয়।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী মো. আক্তার হোসেন জানান, তার প্রতিষ্ঠান আদনান এন্টারপ্রাইজের মাধ্যমে সিএন্ডএফ করে রড ভারতে পাঠানো হবে।
এছাড়া সড়ক পথে এসব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া আনা হবে।
আশুগঞ্জ নদী বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম সাদি জানান, নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় ৯৫৮ টন রড নিয়ে ভারতীয় জাহাজ এমভি বলকার-১ আশুগঞ্জ নদী বন্দরে আসে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকতা শেষে সড়ক পথে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে আগরতলা যাবে।
এছাড়া এই পণ্য থেকে বাংলাদেশ ল্যান্ডিং চার্জ হিসেবে প্রতি মেট্রিকটনে পাবে ৩৪ টাকা, প্রতি মেট্রিকটন কার্যবেক্ষণ ফি পাবে ১০ টাকা, প্রতিদিন বার্দিং চার্জ পাবে ৩১৫ টাকা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসের গোডাউনে নকল নিকাহনামা-রেজিস্ট্রার
গণশুনানি ছাড়াই গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের জন্য সংসদে বিল পেশ
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল রবিবার সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। যার লক্ষ্য সরকার গণশুনানি ছাড়াই বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম নির্ধারণের সুযোগ তৈরি করা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো হয়।
কমিটিকে পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ৫ জানুয়ারি সংসদে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২’- উত্থাপন করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আইন-২০০৩ সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেন।
সরকারকে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার অনুমতি দেয়ার সংশোধনী নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় গত ১ ডিসেম্বর গেজেট জারি করে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো শুনানি ছাড়াই ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন ও পেট্রোলসহ জ্বালানির দাম সমন্বয় করলেও বিইআরসি শুনানির মাধ্যমে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) অ্যাক্ট-২০০৩ সংশোধনের ফলে গ্যাস ও বিদ্যুতের নতুন দাম নির্ধারণের জন্য বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে শুনানির প্রয়োজন হবে না।
বিইআরসি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, যা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট ২০০৩ এর ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যার লক্ষ্য বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামো উন্নত করা। এর আগে তিনবার আইনটি সংশোধিত হয়েছে।
কমিশনের গণশুনানি এবং সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজস্বভাবে সরকারকে জ্বালানির শুল্ক নির্ধারণের ক্ষমতা দিতে ২৮ নভেম্বর মন্ত্রিসভা বিইআরসি অধ্যাদেশ ২০২২-এর একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে।
আরও পড়ুন: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে সাড়ে ৩ লাখের অধিক পদ শূন্য: সংসদে প্রতিমন্ত্রী
পিএসসির পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জেল, সংসদে বিল পাস
ডিজিটাল অভিযাত্রায় বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে: এমডি অ্যাক্সেল ভ্যান
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অভূতপূর্ব অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ।
তিনি জানিয়েছেন, আগামীতেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের বিকাশে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
রবিবার আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘সেলিব্রেটিং ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড ব্যাংক পার্টনারশীপ’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অ্যাক্সেল ভ্যান এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৪% কমতে পারে: বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা
এ অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নিয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এবার আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ: আইসিটি ২০৪১ মাস্টারপ্ল্যান’ প্রণয়ন করেছি। এ মাস্টারপ্ল্যান অনুসারে আমরা এর চারটি স্তম্ভ-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট সোসাইটির আলোকে ৪০টির বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছি। তিনি আগামীতে নতুন একটি ডেটা সেন্টার তৈরিতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার, স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি প্রতিষ্ঠার জন্য ৫০ মিলিয়ন ডলার, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব ও স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার জন্য ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং ৩৫টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠার জন্য ৩০০ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে অ্যাক্সেল ভ্যান বলেন, অতীতের মতোই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি স্টার্টআপের বিকাশে সরকারের নানা উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং তরুণদের মেধাকে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ আলাদা পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনকালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ পরিকল্পনায় ২০৪১ সাল নাগাদ ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ কোম্পানি গড়ে তোলা হবে বলে জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সবুজ বিনিয়োগে ২৫ কোটি ডলার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) রণজিৎ কুমার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, এনহেন্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প পরিচালক ড. মুহাম্মদ মেহেদী হাসান, বিশ্বব্যাংকের রিজিওনাল (এসএআর) ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার, আবাসিক প্রতিনিধি (এসএসিবিবি) আবদেললাহি সেক, প্রোগ্রাম লিডার রাজেশ রোহাটগি এবং ডিজিটাল ডেভেল্পমেন্ট স্পেশালিস্ট সুপর্না রায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এলআইসিটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের পক্ষ থেকে তিনজন তাদের জীবনের সফলতার গল্প তুলে ধরেন।
এছাড়াও অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আইবাস প্লাসসহ ডিজিটাইজেশনের ফলে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
পরে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদল বিসিসি ভবনে স্থাপিত ডেটা সেন্টার, আইডিয়া প্রকল্প পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মন্দার ‘খুব কাছাকাছি’ বিশ্ব অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক প্রধান