বাংলাদেশ
তৌহিদুল মেধাবী ও বুদ্ধিমান কূটনীতিক, আমি তাকে রক্ষা করব: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে মনোনীত মো. তৌহিদুল ইসলাম একজন ‘মেধাবী ও বুদ্ধিমান’ কূটনীতিক। তার শত্রু থাকতে পারে যারা তাকে নামানোর চেষ্টা করছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি একজন খুব ভালো কর্মকর্তা। তিনি খুব মেধাবী এবং বুদ্ধিমান ও কর্মঠ এবং একজন পারফর্মার।এছাড়া যতদিন আমি এখানে আছি, আমি তাকে রক্ষা করতে থাকব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু লোক সবসময় তৌহিদুলের মতো ভালো লোকদের নামানোর চেষ্টা করে।
মোমেন বলেন, অনেক তদন্ত হয়েছে কিন্তু তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শনিবার ঢাকায় আসছেন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসাবে রাষ্ট্রদূত তৌহিদুল বৈশ্বিক মঞ্চে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার এবং অন্যান্য বিশেষ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধাসহ জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রেজোলিউশনের খসড়া প্রণয়নে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
একটি নতুন উন্নয়ন দৃষ্টান্ত এবং এমডিজি-পরবর্তী উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য একটি জনকেন্দ্রিক মডেল। এছাড়া বর্তমানে চলমান এসডিজি আলোচনার অগ্রদূত হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসার আবেদন করার জন্য দালালের দ্বারস্থ হওয়ার প্রয়োজন নেই: দূতাবাস
তৌহিদুল ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে সিঙ্গাপুরে তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
তিনি চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং ইতালির মিলানে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তৌহিদুল নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাস এবং লস অ্যাঞ্জেলেসে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাষ্ট্রদূত, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কর্মরত অবস্থায়, ইউএনজিএ-এর ৬৭তম অধিবেশনের দ্বিতীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
তৌহিদুল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক শাখায় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সহযোগিতার দ্বার আরও বিস্তৃত: রাষ্ট্রদূত ওয়েন
নওগাঁর মহাদেবপুরে বাসের ধাক্কায় নিহত ১
নওগাঁর মহাদেবপুরে বাসের ধাক্কায় হারুনুর রশিদ (৫০) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে মহাদেবপুর উপজেলার মুকরইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হারুনুর রশিদ মহাদেবপুর উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের মহিনগর এলাকার মৃত হানিফ উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ‘নিহত স্থানীয় বাজার থেকে বাইসাইকেলে নিয়ে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন। এ সময় মহাদেবপুর থেকে পত্নীতলাগামী একটি বাস সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাইকেল আরোহী হারুনুর রশিদ নিহত হন।’
আরও পড়ুন: নাটোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ নিহত ২,আহত ৪
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেছে। কারও অভিযোগ না থাকায় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে দাফনের জন্য লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৮
ফরিদপুরে ২১ দিনব্যাপী জসীম পল্লী মেলা শুরু
পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১২০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুরে ২১ দিনব্যাপী জসীম পল্লী মেলা-২০২৩ শুরু হয়েছে।
শনিবার বিকালে জেলা সদরের অম্বিকাপুরে কবির নিজ বাড়ির সামনে কুমার নদের পাড়ে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন এ মেলা আয়োজন করে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কবির জামাতা ও প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ৫ দিনব্যাপী বৈসাবি মেলা আয়োজন
তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আপনারা যদি কবি জসীমউদ্দিনকে জানতে চান- তবে তার বই পড়তে হবে। তার কৃতকর্মগুলো সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করতে হবে।
তিনি নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রচারের অভাবে পল্লী কবি জসীমউদ্দিনকে নতুন প্রজন্ম ভুলতে বসেছে। নতুন প্রজন্ম আজকাল বই পড়া ভুলে যাচ্ছে। তাই, নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। জসীমউদ্দিনের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে। তা নাহলে একসময় নতুন প্রজন্ম জসীম উদ্দিনকে ভুলে যাবে।
এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন-পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. ইশতিয়াক আরিফ, ফরিদপুর পৌর মেয়র অমিতাভ বোস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা প্রমুখ।
এছাড়া বরেণ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কবিপুত্র ড. জামাল আনোয়ার, খুরশিদ আনোয়ার, কবি কন্যা আসমা জসীম উদ্দীন তৌফিক।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তাসলিমা আলী জানান, এ মেলায় বিভিন্ন স্টলে লোকজ বিভিন্ন চারু ও কারুপণ্যের বিপণনের ব্যবস্থা রয়েছে। মেলায় ১৫০ থেকে ২০০টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতিদিন বিকালে মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে জসীম মঞ্চে গান, নাচ, নাটকসহ বিভিন্ন লোকজ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে। এতে ফরিদপুরের এবং জেলার বাইরের সংস্কৃতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করছে।
তিনি আরও বলেন, মেলায় রয়েছে হস্ত, মৃৎ, বাঁশ ও বেত শিল্পসহ গ্রামীণ মানুষের ব্যবহৃত নিত্যদিনের জিনিসপত্র। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য রয়েছে সার্কাস, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন রকমের রাইডস।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সাল থেকে জসীম মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ওই বছর ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ১ জানুয়ারি পল্লী কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
মেলার ব্যাপ্তিকাল প্রথমে তিন দিন ছিল। পরে ৭, ১৫ ও এক মাসব্যাপী এ মেলার আয়োজন হয়েছে। ১৯৯১ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলে মেলার গুরুত্ব বেড়ে যায়।
পরে জেলা প্রশাসন ও জসীম ফাউন্ডেশন এ মেলা আয়োজন শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার বিকালে এ মেলার উদ্বোধন করা হয়।
আরও পড়ুন: বড়দিন: রাঙামাটির খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
কুড়িগ্রামে শিক্ষককে পেটানো আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(১৯ জানুয়ারি) দুপুরে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
এছাড়া শনিবার বিকালে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান রোকনসহ আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক মো. নুরুন্নবী (৪১)।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
রোকনুজ্জামান রোকন রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকালে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটেছে। পিটানোর এই দৃশ্য ধরা পড়ে সিসি টিভি ক্যামেরায়।
পরে উপস্থিত লোকজন আহতাবস্থায় ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করেন।
ওইদিন রাত ৮টার দিকে নুরুন্নবী বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামানসহ দুই জনের নাম উল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ করেন।
এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজসহ উপজেলায় জুড়ে বইছে সমালাচানার ঝড়।
নির্যাতিত নুরুন্নবী উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অন্যদিক রোকনুজ্জামান সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটির উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
নির্যাতিত প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী অভিযোগ করে বলেন, তার সঙ্গে বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও আসাদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও তার সঙ্গীয় লোকজন জোরপূর্বক তাকে (প্রধান শিক্ষক) তুলে নিয়ে প্রথম পলি বাস কাউন্টারে আটকে রেখে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
পরে প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে নিয়ে যান।
কথাবার্তার এক পর্যায়ে রোকনুজ্জামান প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীকে চড়-থাপ্পর শুরু করলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ার থেকে উঠে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান কথা বলার এক পর্যায়ে হঠাৎ প্রধান শিক্ষককে চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি দেন। এটা মোটেও ঠিক করেননি রোকনুজ্জামান। বড় মাপের অন্যায় করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে অটোরিকশা কিনতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরলেন চালক
কুড়িগ্রামে পাথরবোঝাই ট্রাকের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
আমার মতো পাগলকে একবার ভোট দিয়ে দেখেন: হিরো আলম
জাতীয় সংসদের বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে একতারা হাতে গান বাজিয়ে পিকআপভ্যানে ভোটের মাঠ কাঁপাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ৩টায় শহরের সাতমাথা, জলেশ্বরীতলাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে একতারা প্রতীকে তিনি ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনে উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল
হিরো আলম এসময় সাংবাদিকদের বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে একতারা প্রতীক নিয়ে ভোট করছি। অনেক সংগ্রাম ও লড়াই করে হাইকোর্ট থেকে রায় পেয়ে আমি ভোট করতে পারছি। আমার অনুরোধ, আমাকে শুধু মাত্র ১০ মাসের জন্য সুযোগ দিয়ে দেখুন।
তিনি আরও বলেন, যদি কাজ করতে না পারি তাহলে আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েন। এছাড়া অনেক সুন্দর চেহারা ক্ষমতাবানকে ভোট দিয়েছেন, একবার আমার মতো পাগলকে ভোট দিয়ে দেখেন।
এ সময় পিকআপভ্যানে তার পাঁচ থেকে সাত জন কর্মী-সমর্থক ছিলেন। এছাড়া তার পিকআপ ভ্যানকে বানানো হয়েছে নির্বাচনী প্রচার মঞ্চ। ভ্যানে রাখা হয়েছে মাইক ও দুই পাশে ঝুলছে হিরো আলমের ছবি ও ‘একতারা’ প্রতীকের ব্যানার।
হিরো আলম নিজেই পিকআপ ভ্যানের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান সবাইকে। প্রচারণার সময় হিরো আলম ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সুযোগ চেয়ে পরিবারসহ সবাইকে একতারা মার্কায় ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
এসময় হিরো আলমকে দেখতে ভীড় করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের মানুষ। নিজেরাই আগ্রহ করে খোশগল্প ও সেলফি তোলেন হিরো আলমের সঙ্গে। হিরো আলমও বেশ ফুরফুরেভাবেই সেলফি উঠিয়ে একতারা বাজিয়ে গানের সুরে সবাইকে তার পাশে থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বগুড়া উপনির্বাচনে হিরো আলমের মনোনয়পত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত
উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হিরো আলমের রিট
‘৫৪ শতাংশ গ্রাহককে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত না করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব না’
বাংলাদেশে মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন(এমটব)আয়োজিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ সেবার মানোন্নয়নে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এমটব সেক্রেটারি জেনারেল ব্রিগেডের জেনারেল(অব.) এস এম ফরহাদ বলেন, বর্তমানে মোবাইল অপারেটরদের সম্মিলিত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিকম অপারেটররা এ খাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু এখনও দেশের ৫৪ শতাংশ মানুষ নেটওয়ার্কের বাইরে রয়েছে। যদিও ১৮ কোটির ওপর সক্রিয় সিম রয়েছে যা মোট জনসংখ্যার চাইতেও বেশি। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে না।
আরও পড়ুন: করের বোঝা চাপিয়ে সরকার মোবাইল খাতকে ক্রমেই দুর্বল করে তুলছে: এমটব
তিনি আরও বলেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে টেলিযোগাযোগ সেবায় ইকোসিস্টেম বাস্তবায়ন সহ সবার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা না গেলে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব হবে না।
টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিআইএম নুরুল কবির বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ২০৪১ হলেও সময় খুব বেশি নেই। সরকার এবং রেগুলেটরি কমিশনকে দ্রুত সব পক্ষের সঙ্গে বসে সমস্যা সমাধান করতে হবে। কেবলমাত্র রেগুলেশন আর লাইসেন্স প্রদান করলেই হবে না। চাই সমন্বিত উদ্যোগ।
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার ব্যারিস্টার শাহেদ আলম বলেন, আমরা সরকারের এবং কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি পাশাপাশি প্রতিনিয়তই বিনিয়োগ করে যাচ্ছি। কিন্তু মাঝখানে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণেই গ্রাহকরা মানসম্পন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের কেবল রেগুলেশনের মধ্যে রাখবেন আর প্রতিবন্ধকতা নিরসন না করে সেবা চাইবেন সেটা কিভাবে সম্ভব? উন্নত বিশ্বের ন্যায় আমাদের টেলিকম নেটওয়ার্ক-এর মান উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে দিতে হবে। আমরা গ্রাহকদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে চাই এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই বলেই আজকে নাগরিকদের সামনে আমরা উপস্থিত হয়েছি। আমাদের হাত পা বেঁধে শুধু রেগুলেশন দিয়ে আমাদের হাত পা বেঁধে রেখে কাজকর্ম করতে দিবেন না।
বাংলালিংক লিমিটেডের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স এন্ড কর্পোরেট অফিসার তাইমুর আলম বলেন, আমরা মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ইকো সিস্টেম বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি।
ফাইবার অ্যাট হোম এর চিফ রেগুলেটরি এন্ড গভমেন্ট অ্যাফেয়ার্স আব্বাস ফারুক বলেন, অনেক দেশেই ফাইবার এনটিটিএন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সরকার প্রণোদনা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা এই প্রণোদনা পাই না। ২০০৯ সালে ফাইবার গাইডলাইন চালু হলেও এখন পর্যন্ত এর মূল্য নির্ধারণ করা হয় নাই।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাব এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, আজকে এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় এবং নিয়ন্ত্রণ কমিশনের উপস্থিত থাকা অত্যন্ত জরুরি ছিল। এই আলোচনায় যে সমস্যা এবং সমাধানের বিষয়গুলো উঠে এসেছে এটি সমাধানের জন্য তাদেরকেই কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সরকারের যে লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের, তাতে আমরা অংশীজন হিসেবে সরকারকে সহায়তা করতে চাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় কমিশনের চেয়ারম্যান সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানোর পরেও তারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয় নাই।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর প্রকৌশলী আবু সালেহ, আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট রাশেদা হাসানসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নাগরিক। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক এবং নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: আম্পানে টেলিকম নেটওয়ার্কের অনেক ক্ষতি হয়েছে: এমটব
তদন্ত করতে এসে অভিযুক্তকে নিয়ে দর্শনীয় স্থানে ঘুরে বেড়ালেন তদন্তকারী দল!
প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত করতে এসে খোদ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে দুইদিন ধরে কুষ্টিয়া এবং পাশের মেহেরপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেরিয়েছেন তদন্ত দলের সদস্যরা।
শুধু দুই জেলার দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণই নয়,অভিযুক্ত ব্যক্তি তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিমকে ভূরিভোজও করিয়েছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সংলগ্ন কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটে আলোচিত এই ঘটনাটি ঘটেছে।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইনচার্জ হিসেবে যোগদানের পর থেকেই মোছা. কাঞ্চন মালার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক কেলেংকারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি চলে আসছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ইউপি সদস্য হলেন তৃতীয় লিঙ্গের পায়েল
ইনচার্জ কাঞ্চন মালার স্বেচ্ছাচারিতাসহ নানা দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে ইতোপূর্বে শিক্ষার্থীসহ প্রতিষ্ঠানের স্টাফরা বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
প্রতিষ্ঠানটিতে আর্থিক কেলেংকারিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ইতোপূর্বে দুইবার তদন্ত হলেও অদৃশ্য কারণে বহাল তবিয়তে রয়ে গেছেন ইনচার্জ কাঞ্চন মালা।
ইনচার্জের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সম্প্রতি ইনচার্জ কাঞ্চন মালার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার সামগ্রীসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয়ে ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের শারীরিক লাঞ্ছনাসহ অসদাচরণ, প্রতিষ্ঠানের ৩০ সিটের কোচ ব্যবহার করে নিয়মিত নিজ বাড়ি মেহেরপুরে যাতায়াত, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় নম্বর প্রদান, অবৈধভাবে পরিবার নিয়ে হোস্টেলে বসবাস করা, পছন্দের শিক্ষকদের পরীক্ষার ডিউটি ও পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সুযোগ প্রদান, বিভিন্ন অজুহাতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা, প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জিনিসপত্র নিজ বাড়ি মেহেরপুর নিয়ে যাওয়াসহ ১৩টি অভিযোগ এনে প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষিকা মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেন।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের উপসচিব পরিচালক (শিক্ষা) মো. রশিদুল মান্নাফ কবীর স্বাক্ষরিত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়-সহকারী পরিচালক (সমন্বয়) নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর সুলতানা পারভীন, খুলনা নার্সিং কলেজের প্রভাষক লীলাবতী বিশ্বাস এবং ঢাকা নার্সিং কলেজের নার্সিং ইনস্ট্রাক্টর মো. খোরশেদ আলমকে।
ওই কমিটিকে সরেজমিনে তদন্ত করে সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ইনচার্জ কাঞ্চন মালার অর্থ আত্মসাৎসহ অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম কুষ্টিয়ায় আসে।
প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, তদন্তকালে অভিযোগকারীদের সঙ্গে পৃথক-পৃথকভাবে মৌখিক কথা বলেন তদন্ত দল। দুপুরে প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই তদন্ত টিমের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন অভিযুক্ত ইনচার্জ কাঞ্চন মালা। মধ্যাহ্নভোজ শেষে বিকালে অভিযুক্তকে সঙ্গে নিয়ে তদন্ত দল প্রতিষ্ঠানের কোচে চড়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার বাউল সম্রাট লালন সাঁই’র আখড়া বাড়ি পরিদর্শনে যান এবং লালন একাডেমির শিল্পীদের গান উপভোগ করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কৃষকের ধানের গাদায় আগুন দেয়ার অভিযোগ
বিশ্বনাথে ঐতিহ্যবাহী পলো বাওয়া উৎসব শুরু
সিলেটের বিশ্বনাথে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বার্ষিক ‘পলো বাওয়া উৎসব’- শুরু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের গোয়াহরি গ্রামের দক্ষিণের (বড়) বিলে এই উৎসব শুরু হয়। এতে অংশ নেন গ্রামের কয়েক শতাধিক মানুষ।
এই উৎসব আগামী ১৫ দিন পর্যন্ত চলবে। কেননা গোয়াহরি গ্রামের পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এই ১৫দিন বিলে মাছ ধরায় আটল (নিষেধাজ্ঞা) নেই।
আরও পড়ুন: পর্দা উঠল ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের
এ উৎসবকে কেন্দ্র করে গোয়াহরি গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছিল। পানি ও কচুরিপানা বেশি না থাকায় মাছ নিয়ে ঘরে ফিরছেন গ্রামবাসী।
শিকারকৃত মাছের মধ্যে ছিল- বোয়াল, শোল, মিরকা, কার্পু, বাউশ ও ঘনিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ।
গোয়াহরি গ্রামের ঐতিহ্য অনুযায়ী প্রতি বছরের মাঘ মাসের পহেলা তারিখ এই পলো বাওয়া উৎসব অনুষ্ঠিত হত। কিন্তু এবার বিলে মাছ বেশি থাকায় এলাকাবাসী মিলে এসময় পলো বাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আগামী ১৫ দিন পর দ্বিতীয় ধাপে পলো বাওয়া হবে। এই পনের দিনের ভিতরে বিলে হাত দিয়ে মাছ ধরা হবে এবং কেউ চাইলে পেলান জাল (হাতা জাল) দিয়ে মাছ ধরতে পারবেন।
পলো বাওয়া উৎসবে অংশ নিতে শনিবার সকাল ৮টা থেকে গোয়াহরি গ্রামের সৌখিন মানুষ বিলের পারে এসে জমায়েত হতে থাকেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলের পারে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। পূর্ব নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ১০টা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাই একসঙ্গে বিলে নেমে শুরু করেন পলো বাওয়া। শুরু হয় ঝপঝপ পলো বাওয়া।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী এ উৎসবে গোয়াহরি গ্রামের সব বয়সী পুরুষ অংশ নেন।
সরেজমিনে গোয়াহরি বিলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ শিকার করতে নিজ নিজ পলো নিয়ে বিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন লোকজন। যাদের পলো নেই তারা মাছ ধরার ছোট ছোট বিভিন্ন জাল নিয়ে মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটান।
এসময় মাছ ধরার এ দৃশ্যটি উপভোগ করতে বিলের পাড়ে ছোট ছোট শিশু থেকে বৃদ্ধ বয়সের পুরুষ-মহিলা, দূর থেকে আসা অনেকের আত্মীয়- স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
প্রতিবছরের মতো এবারও ছেলে-বুড়ো মিলিয়ে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ পলো বাওয়া উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। বিল থেকে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি মাছ শিকার হয়েছে।
গোয়াহরি গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, পলো বাওয়া উৎসব আমাদের গ্রামের একটি ঐতিহ্য। আমার কাছে পলো বাওয়া উৎসব খুব মজার বিষয়। শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমি এ উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমাদের গ্রামবাসী যুগ যুগ ধরে এই উৎসব পালন করে আসছে।
মাদরাসা শিক্ষক গোয়াহরি মাওলানা লুৎফুর রহমান বলেন, আমি একটি মাদরাসার শিক্ষক। এই মাছ ধরায় অংশ নিতে পেরেছি তাই আমার খুব আনন্দ লাগছে।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী আশরাফুজামান বলেন, আমি পলো বাওয়ায় অনেক বছর দেখিনি। আমার ভাগ্য ভাল এবার এ উৎসব দেখতে পারলাম। আমার খুবই ভাল লাগছে। পলো দিয়ে মাছ শিকার একটি মজার বিষয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে শিক্ষার্থীদের পিঠার সঙ্গে পরিচয় করাতে ব্যতিক্রমী উৎসব
সারাদেশে পিঠা উৎসবের মতো উৎসব ছড়িয়ে দিতে হবে: কে এম খালিদ
বাংলাদেশ দারিদ্র পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২ উদ্বোধন, নিয়মিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গুরুত্বারোপ
বাংলাদেশ দারিদ্র পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন-২০২২ বলছে, পিছিয়ে থাকা এবং তুলনামূলকভাবে উন্নত জনগোষ্ঠী এবং বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা এবং সচ্ছল অঞ্চলগুলোর মধ্যে অভিন্নতার মাত্রা মূল্যায়নের জন্য অগ্রগতির নিয়মিত পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ।
ইনস্টিটিউট ফর ইনক্লুসিভ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইএনএম) এবং সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ডায়ালগ (সিআইডিডি) যৌথভাবে তৈরি করা প্রতিবেদনটিতে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ' পশ্চাৎপদ’এবং অত্যন্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তৃণমূল কণ্ঠস্বর শোনা যায় এবং এগুলো নীতিতে প্রতিফলিত হয়।
বাংলাদেশ দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সিআইডিডির চেয়ারম্যান ড. মোস্তফা কে. মুজেরি এবং চেয়ারম্যান ইনএম ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমেদ।
আরও পড়ুন: মুদ্রাস্ফীতি ও বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের
দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ২০২২ দারিদ্র্যের কিছু বর্তমান দিককে সংক্ষিপ্ত আকারে সাতটি সমতল ভূমির জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর (সাঁওতাল, মাল পাহাড়িয়া, গারো, হাজং, মান্ডি, ওরাওঁ মুন্ডা) এবং ‘পিছিয়ে পড়া’ ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের নির্বাচিত জনগোষ্ঠীর মানুষের সাক্ষ্য, প্রতিফলন এবং 'গল্প' অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাদের 'গল্পে', অংশগ্রহণকারীরা ও পদ্ধতিগত ত্রুটি এবং কাঠামোগত বৈষম্যের কারণে নিজেদেরকে দারিদ্র্য থেকে মুক্তিতে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের খুঁজে পাওয়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
প্রতিবেদনটি সমাজে তাদের তুলে আনার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করার জন্য বেশ কয়েকটি অগ্রাধিকারমূলক পদক্ষেপের পরামর্শ দেয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, সরকারের বৃহত্তর অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কৌশলগুলোর মধ্যে এই নীতি/ক্রিয়াগুলো তৈরি করা হবে যা ক্রস-কাটিং এবং জাতীয় স্তরের বিষয়গুলোকে সম্পৃক্ত করে, যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি জোরদার করা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা, আয় এবং সামাজিক বৈষম্য হ্রাস করা, মানসম্পন্ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়া, পুষ্টি এবং অন্যান্য মৌলিক পরিষেবা, উপযুক্ত সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণ, পিছিয়ে থাকা সামাজিক গোষ্ঠী/অঞ্চলগুলোর পকেট মোকাবিলা করা এবং মাইক্রো-ম্যাক্রো ট্রান্সমিশনগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনার সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সমস্যা রয়েছে যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে স্থানীয় সরকার এবং স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হবে স্থানীয় পদক্ষেপের সম্ভাব্যতাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্নয়ন চালনা করা এবং যথাযথ আইনি ও আর্থিক কাঠামো তৈরি করা, যাতে স্থানীয় অংশীদারদের সমন্বিত এবং সর্বজনীন অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি অর্জনে তাদের ভূমিকা পালন করতে সহায়তা করা যায়।
সমস্ত স্থানীয় স্টেকহোল্ডারদের চাবিকাঠি হলো বিশেষ করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতায়ন করা, যার লক্ষ্য টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে আরও প্রতিক্রিয়াশীল করে তোলা, এবং সেইজন্য স্থানীয় চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রাসঙ্গিক।
শুধুমাত্র বাস্তবায়নে নয়, কর্মসূচি তৈরি এবং পর্যবেক্ষণ প্রক্রিয়ায়ও, এই পশ্চাৎপদ সম্প্রদায়গুলোসহ স্থানীয়ভাবে ভূমিকা পালনকারীরা সম্পূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করলেই লক্ষ্যে পৌঁছানো হবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে সামগ্রিক অন্তর্ভুক্তি কাঠামোর মধ্যে অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রয়োজনে সমস্ত প্রাসঙ্গিক ব্যক্তিদের পরামর্শমূলক এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় জড়িত করা।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে: মোমেন
মোবাইলে কথা বলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটার সময় ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা-ঈশ্বরদী রেলসড়কের শহীদ এম মনসুর আলী স্টেশনের পাশেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হযরত আলী তুহিন (২৫) রংপুর জেলা সদরের খুটু চাম্পাট গ্রামের মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। এছাড়া তিনি কড্ডার মোড় এলাকায় রবি মোবাইল ফোন টাওয়ারে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ বাজার জিআরপি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মতিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর পৌণে ১টার দিকে হযরত আলী মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মৃত আলী তুহিন। এ সময় ঢাকা থেকে রংপুরগামী আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে উল্লেখিত স্টেশনের সন্নিকটে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে ট্রেনে কাটা পড়ে শিশুসহ নিহত ৩