������������������������
ডেঙ্গুতে আরও ৮ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে আরও ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১১ জন আক্রান্ত
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ১১ জন ও নারী ১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২ হাজার ১১১ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৩০২ জন ও নারী ৮০৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৩ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আরও ৩৪ জন আক্রান্ত
শনিবার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্যাস সরবরাহ
গ্যাস পাইপলাইনে জরুরি কাজের জন্য শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের জন্য গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জানায়, যেসব এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
আরও পড়ুন: গ্যাস বিতরণে সিস্টেম লস ২২ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে: নসরুল হামিদ
আজ যেসব এলাকায় ৩ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে
পশ্চিমা মূল্যবোধ পরিহার করতে বুয়েটে হিযবুতের প্রচারণা
বুয়েট ক্যাম্পাসে দুই যুবককে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের বার্তা সম্বলিত লিফলেট প্রচার করতে দেখা গেছে। নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজে এই চিত্র ধরা পড়ে। লিফলেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পশ্চিমা মূল্যবোধ পরিত্যাগ করতে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে জিহাদে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীভূত এই ‘চরমপন্থী গোষ্ঠীর’ গোপন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় কিছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে এবং ফোনে বারবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসে।
মার্চ জুড়ে কয়েক দফায় ইমেইলের মাধ্যমে হিযবুতের প্রচারণার পরে এই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ওই প্রচারণায় হিযবুত তাহরীর শিক্ষার্থীদের খিলাফতের আলোকে দেশ পরিচালনার লড়াইয়ে অংশ নিতে বলে এবং ছাত্রলীগকে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারির প্রায় ৩ মিনিটের ওই ফুটেজে দেখা যায়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোর মাঝের গলি দিয়ে দুই যুবক একটি ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর দুজনে ঘুরে দাঁড়ায়, একজন নজরদারির জন্য সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এবং অন্যজন তার ব্যাগ থেকে লিফলেট বের করে বন্ধ শ্রেণিকক্ষগুলোর দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এলেই লিফলেটগুলো দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত: ড. হাছান মাহমুদ
এ সংস্থাগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের ইমেইল অ্যাকাউন্ট পেয়েছে সেটি তদন্ত করতে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়।
ই-মেইল প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণের ভিডিও ছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, অতীতে তারা বুয়েটের আশপাশের দেয়ালে হিযবুতের পোস্টার লাগানো অবস্থায় পেয়েছেন।
ইমেইল পাওয়া ও হিজবুতের বার্তা সম্বলিত কিউআর কোড ছাপানো পোস্টার দেখার কথাও নিশ্চিত করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিল তাদের নিয়ে জামায়াত-ই-ইসলামী সমর্থিত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের ভাড়া করা লবিস্ট এবং আইনজীবীদের ফেসবুক পেজে অপপ্রচার চালাতে দেখা গেছে।
১৯৭১ সালে ‘গণহত্যা’ পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ছাত্রসংঘ থেকে ১৯৭৭ সালে নতুন নাম নিয়ে ছাত্রশিবির দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিপরীতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি মূল লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে।
নিজস্ব ধরনের হত্যা মিশন ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর শিক্ষার্থীদের রগ কেটে ফেলা শিবিরের ট্রেডমার্ক বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক আইএইচএস জেনের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ সূচক অনুযায়ী, এই সংগঠনটি তৃতীয় সবচেয়ে সক্রিয় কোনো রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে স্থান পেয়েছে।
এর আগে গত জুন মাসে দুর্গম হাওর এলাকায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে বুয়েটের ২৪ জন ছাত্র, শিবিরকর্মী ও নেতাকর্মী ধরা পড়েন।
আরও পড়ুন: বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় শিবিরের সঙ্গে আটকদের আনুগত্য নিয়ে গণমাধ্যমের সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। এমনকি শিবিরের একজন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এক সাক্ষাৎকারে গর্ব করে বলেছিলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় বুয়েটে শিবির ও অন্যান্য চরমপন্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি সামনে আসে, যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার ও চরমপন্থি রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ৫ মাসের ব্যবধানে দুই শিক্ষার্থীর ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়।
একজন হলেন- আরিফ রায়হান দীপ। তাকে তারই এক সহপাঠী তাদের ডরমিটরিতে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান। অন্যজন তন্ময় আহমেদ, শিবির কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে গেলেও বেঁচে যান। এখনো বেঁচে আছেন ভয়ংকর ছুরির আক্রমণের ক্ষত নিয়ে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অপরাধ হালকা করতে পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে- যেখানে বলা হচ্ছে চ্যানেলগুলো পুরো ভিডিও সম্প্রচার করছে না এবং ভিডিওতে ভয়েস না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
যাচাই করে দেখা যায়, যে ৬টি চ্যানেল ভিডিও পোস্ট করেছে, সবগুলোতেই দেখা যাচ্ছে যে সিসিটিভি ফুটেজে গোপনে লিফলেট বিতরণের মুহূর্তগুলো ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাগিং: বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কর্মরত এমন একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, 'কেন একই ফুটেজ একাধিক চ্যানেলে প্রচার করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য করতেই ইচ্ছাকৃত এই কাজ করা হচ্ছে। এই ভবন বুয়েটেরই। আর একই সিসিটিভি ফুটেজ চালানো সমস্যা নয়।’
সম্প্রতি এক পোস্টে তন্ময় বলেন, 'বুয়েট ক্যাম্পাসে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ছিল পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এ নিয়ে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় সুবিধা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, 'কোনো শিক্ষার্থী যেন এই দুষ্টচক্রের মগজ ধোলাইয়ের শিকার না হয়, সেজন্য ক্যাম্পাসে এ ধরনের উগ্রবাদী চক্রের কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পূর্ণ সহযোগিতা নেওয়া জরুরি। সব মহলের সহযোগিতা না পেলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করা কঠিন।’
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে: সিমিন হোসেন
নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
তিনি বলেন, নারী পুরুষের সমতা আনা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারীর প্রতি বৈষম্য দূর করতে সরকার নিরন্তর কাজ করছে।
শুক্রবার পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত জাতীয় পরিষদ সভা-২০২৪ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের আইসিটিতে দক্ষ করে তুলতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা যে রূপে নারীদের অবস্থান দেখছি আগে এমনটা ছিল না। ২০০৮ সালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীবান্ধব নীতি গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত হয়েছে।
সিমিন হোসেন আরও বলেন, নারীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি, গবেষণা, খেলাধুলা, বিনোদনসহ সব ক্ষেত্রে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং দেশের সুনাম বয়ে আনছে।
নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য সরকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০২০, যৌতুক নিরোধ আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, নারীদের অনলাইন প্লাটফর্মে সাইবার বুলিং থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়।
বর্তমান সরকার নারীদের গৃহস্থালী কাজের সুনির্দিষ্ট মূল্য নির্ধারণসহ একে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে কাজ করছে বলে জানান মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করে স্থিতিস্থাপক সমাজ গড়ে তুলতে নারীরা শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে: পরিবেশমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু
ঢাকা থেকে সরাসরি কলম্বো ফ্লাইট চালু করেছে শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ার।
প্রাথমিকভাবে কলম্বো থেকে ঢাকায় সপ্তাহে ২ দিন মঙ্গলবার ও শনিবার আসবে এই এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইট। আবার ঢাকা থেকে বুধবার ও রবিবার ফিটসএয়ারের ফ্লাইট কলম্বো যাবে।
সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: বিমানে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাবিষয়ক প্রশিক্ষণ
এ সময় ছিলেন- ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল ওয়েরাক্কোডি, ফিটসএয়ারের বাংলাদেশ জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া, পরিচালক ফাইকা নাসের, চিফ অপারেটিং অফিসার সুমায়েয ইকবাল ও ঢাকায় নিযুক্ত শ্রীলঙ্কান হাই কমিশনের ডেপুটি হাই কমিশনার রুয়ানথি ডেলপিটিয়া।
ফিটসএয়ারের জিএসএ বেঙ্গল এয়ারলিফট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন মিয়া জানান, ফিটসএয়ার ঢাকা-কলম্বো রিটার্ন টিকিটে সর্বনিম্ন ভাড়া ধরা হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। যাত্রীরা ৩০ কেজি চেক-ইন লাগেজ এবং ৭ কেজি হ্যান্ড লাগেজ সুবিধা পাবেন।
এয়ারবাসের এ-৩২০ এয়ারক্রাফট দিয়ে এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার।
বর্তমানে শুধু শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স ঢাকা-কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বর্তমানে কলম্বো থেকে ঢাকার পাশাপাশি দুবাই, মালে, চেন্নাই রুটে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করছে ফিটসএয়ার। শিগগিরই এয়ারলাইন্সটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সৌদি আরবের জেদ্দা, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর এবং সিঙ্গাপুরে ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে।
এয়ারলাইন্সটির বহরে বর্তমানে তিনটি এয়ারবাস এ৩২০-২০০, একটি এটিআর ৭২-২০০, একটি সেসনা-২০৮বি গ্র্যান্ড ক্যারাভান, দুইটি সেসনা-১৫২ এবং একটি সেসনা-১৫০ এয়ারক্রাফট রয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে বিমানে ৮৪ জন গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ
রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া দুই দেশ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের গভর্নমেন্ট হাউজে প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
‘এই বোঝার কারণে উভয় দেশই ভুগছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সমস্যা সমাধানে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের জন্য সমস্যা তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দুই নেতা এই সম্পর্ক গভীর, সম্প্রসারিত ও জোরদার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা যদি আগ্রহ প্রকাশ করে তবে বাংলাদেশ তাদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল দিতে প্রস্তুত।
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসামুক্ত প্রবেশ, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই হয়।
নথিগুলো হলো সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত চুক্তি; জ্বালানি সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক; কাস্টমস সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতাপত্র; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাপত্র; এবং এলওআই এই বছরের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৫ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৩ জনের করোনা শনাক্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৩৭৪ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১২ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে আরও ২২ জনের করোনা শনাক্ত
৫টি দ্বিপক্ষীয় নথিতে সই করেছে ঢাকা-ব্যাংকক
বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়েছে।
নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের উপস্থিতিতে তাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এই নথিগুলো সই করা হয়।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
নথিগুলো যেসব বিষয়ে- অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি; জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; শুল্ক সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে এলওআই।
বাংলাদেশের পক্ষে জ্বালানি সহযোগিতা ও পর্যটন সহযোগিতা সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের ভিসা অব্যাহতি নিয়ে চুক্তিতে সই করেন। এলওআইয়ে সই করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং অপর সমঝোতা স্মারকে সই করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে এবং দুই দেশ এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছে।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগ সহজতর করতে দুই দেশ অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক সই করা হয় এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সেরা পর্যটন অনুশীলনগুলো বিনিময় করার জন্য শেষ সমঝোতা স্মারকটি সই করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আশাবাদ ব্যক্ত করছে- লেটার অব ইনটেন্ট আলোচনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে ভ্রমণে আরও সুবিধা দেবে; জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত এই সমঝোতা স্মারক জ্বালানি সহযোগিতা থেকে দু'দেশের প্রকৃত সম্ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে; শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার সমঝোতা স্মারক কার্যকর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেবে এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকটি দুই দেশকে এই ক্ষেত্রে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সর্বোত্তম অনুশীলনের আদান-প্রদান করার সুযোগ তৈরি করবে।
এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
গভর্নমেন্ট হাউসে থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শনকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
থাইল্যান্ড সফরকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বললেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা জোরদারের সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে অনুভব করি- বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যটন, জনস্বাস্থ্য, জ্বালানি, আইসিটি, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগের ক্ষেত্রে এবং বিমসটেকের অধীনে আমাদের সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ রয়েছে।’
আজ শুক্রবার (২৬ এপিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে গভর্নমেন্ট হাউজে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
এর আগে দুই নেতা সেখানে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে ১৫ মিনিটের জন্য একান্ত বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি- ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), সই করা হয়।
মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, টেকসই উন্নয়ন, জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগ ও সংযোগসহ সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী থাভিসিন ও তিনি পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা করতে এবং দু'দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনাকে উৎসাহিত করতে সম্মত হয়েছি। একইভাবে, দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগের প্রসার ও সুবিধার্থে আমাদের সবরকম প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।’
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
তিনি বলেন, শুক্রবার ঢাকা ও ব্যাংকক যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি দৃঢ় কাঠামো প্রদান করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই সফরটি 'প্রতিবেশী' নীতির বৃহত্তর ফোকাসের অংশ, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের গতি আরও নবায়নের জন্য দুই দেশকে চমৎকার সুযোগ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে এই সফর আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে সাহায্য করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন- এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পূর্ণ সম্ভাবনায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় গতি সঞ্চার করবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের এক নতুন যুগের সূচনা করেছে। আগামীর দিনগুলোয় আমাদের জনগণ ও দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য আমাদের সম্পর্কের নতুন গতি বজায় রাখতে হবে।’
মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা এবং বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে 'না' বলুন: ইউএনএসকাপ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসায় বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে থাইল্যান্ডের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণেরও প্রস্তাবও দিয়েছি।’
আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি- ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই), সই করা হয়।
তিনি বলেন, ‘নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দু'দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।’
বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সুস্থ দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধুমাত্র থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।’
আরও পড়ুন: সংলাপের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করুন, যুদ্ধকে 'না' বলুন: ইউএনএসকাপ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী
উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু'দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছেন।
কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের একটি চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা ও ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাময় অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সই করা জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হচ্ছে দ্বিতীয় নথি।’
শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।’
তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।
সামুদ্রপথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষ রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ 'ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প' বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি থাই পক্ষকে দুই দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।’
দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।
চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিমস্টেক ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।’
তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে বুধবার ব্যাংককে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: ৬ দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা