রাজনীতি
লোডশেডিং: ১৩ ও ১৬ জুন মহানগরীগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি
চলমান লোডশেডিংয়ের বিরুদ্ধে সারাদেশে দলের প্রতিবাদ জানানোর পর নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে রাজধানীসহ দেশের মহানগরগুলোতে রোডমার্চ করবে বিএনপি।
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটিসহ বিএনপির সব মহানগর ইউনিট ১৩ জুন মিছিল করবে এবং ১৬ জুন দলের ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিট একই কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
রাজধানীতে দলের ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটগুলো মহাখালী বাসস্টেশন থেকে সোনারগাঁও মোড়ের সার্ক ফাউন্টেন অভিমুখে মিছিল করবে এবং ১৩ জুন দুপুর আড়াইটায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা রোড থেকে রায় সাহেব বাজার মোড়ের দিকে মিছিল করবে।
এছাড়া ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায় বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা পল্লবী সিটি ক্লাব থেকে আগারগাঁও তালতলা এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট আজিমপুরের স্যার সলিমুল্লাহ এতিমখানা থেকে আরমানি টোলা মাঠের দিকে যাত্রা করবে ১৬ জুন দুপুর আড়াইটায়।
রিজভী বলেন, ছয়-সাত ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে আছে। ‘গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। তাই বিদ্যুৎ খাতে অসহনীয় লোডশেডিং ও ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে আমরা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছি।’
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
তিনি বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
পাবনা, ফেনী ও ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবারের অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি জমা দিতে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা । ‘আমরা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
গত বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও 'দুর্নীতির' প্রতিবাদে স্মারকলিপি পেশ করে বিএনপি।
আরও পড়ুন: লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
বরিশাল সিটি নির্বাচন: সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলছে, শেষ হবে শনিবার
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে শনিবারের মধ্যে সকল কেন্দ্র ও কক্ষে ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা স্থাপন শেষ করা হবে।
বুধবার থেকে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন কমিটির আহ্বায়ক ও নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিন শরীফ।
তিনি বলেন, গত বুধবার থেকে বরিশাল সিটি নির্বাচনের ১২৬ কেন্দ্রে সিসিটিভি কামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
শাহিন শরীফ আরও বলেন, আগামী শনিবারের মধ্যে ক্যামেরা স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার ট্রায়াল দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: মেয়র পদে ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
তিনি বলেন, নির্বাচনে ৮৯৪টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ফলে মোট ১ হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা বসানো হবে।
উল্লেখ্য, বরিশাল সিটি নির্বাচনের ভোট আগামী ১২ জুন। এতে সাত মেয়র, ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছে।
মোট ভোটার হচ্ছেন ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী।
প্রথমবারের মতো ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ পরিচালিত হবে। এর আগে গত ২৯ মে দেড় হাজার ইভিএম এসে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বৃহস্পতিবার বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপাতত বিএনপির সঙ্গে কোনো সংলাপের কথা ভাবছে না সরকার।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই মুহূর্তে কোনো সংলাপের কথা ভাবছি না। শেষ বারের কথা মনে আছে? বিএনপির সঙ্গে সংলাপের ফল কী ছিল!’
ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বিএনপির অভিযোগে কোনো ফল হয়নি: কাদের
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।
কাদের বলেন, ‘কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, সেটা সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেব, কাকে দেব না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে।’
নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নীতি প্রয়োগ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা করতে চায় কারা? তারা হলো বিএনপি।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে আ. লীগ বা সরকার ভয় পায় না: ওবায়দুল কাদের
সাম্প্রতিক সময়ের লোডশেডিং বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বিদ্যুৎ দিতে পারেনি, শুধু ‘খাম্বা’ (বৈদ্যুতিক খুঁটি) দিয়েছে। এই সংকট সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও জ্বালানি সংকট রয়েছে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মানুষের কাছে সময় চেয়েছি। ১০-১৫ দিন ধৈর্য ধরুন। শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করেন।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফির সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীর বিক্রম) ও অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়নি আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের
লোডশেডিং: বিপিডিবি চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে, বিদ্যুৎ খাতে চলমান লোডশেডিং ও 'দুর্নীতির' প্রতিবাদে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেছে বিএনপির ঢাকা জেলা শাখা।
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন এলাকার চায়না মার্কেটের সামনে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে অবস্থান নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা বিপিডিবির মতিঝিল কার্যালয়ের দিকে মিছিল বের করে আরামবাগ ক্রসিংয়ে পৌঁছালে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়।
পরে সেখানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে সংক্ষিপ্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করে দলটি।
রিজভী বলেন, জ্বালানির অভাবে অনেক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সারা দেশে মারাত্মক লোডশেডিং হচ্ছে।
তিনি সরকারকে প্রশ্ন করেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের একজন এমপি বলেছেন, রাস্তার হকাররা বিদ্যুৎ বিক্রি করবে, কিন্তু সেই বিদ্যুৎ এখন কোথায়?’
বর্তমান সরকার বাকস্বাধীনতাসহ জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
তিনি আরও বলেন, এই সরকার গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য সকল গণতান্ত্রিক শক্তি এখন ঐক্যবদ্ধ।’
পরে ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়সহ কয়েকজন নেতা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেন।
এক পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে দলটি লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের মানুষ যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তা তুলে ধরে এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানায়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেন, সারা দেশে ‘ভয়ানক’ লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ‘তাই আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি
জমা দিয়েছি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমরা অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছি।’
লোডশেডিং বন্ধে সরকারকে চাপ দিতে সব জেলায় একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
এর আগে মঙ্গলবার বিদ্যুতের চলমান লোডশেডিং ও এ খাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে সারাদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব জেলা কার্যালয়ের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং আজ (বৃহস্পতিবার) স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হয়রানির কোনো মামলা নয়: সংসদে আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সংসদে বলেছেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করায় কোনো সরকারি সংস্থা হয়রানির জন্য মামলা করবে না।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান (সিলেট-২) এর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে। চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
১১ দফা সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে কোনো সরকারি সংস্থার দ্বারা হয়রানির জন্য মামলা দায়ের না করা; প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও সমর্থকদের হামলা প্রতিরোধ করা এবং এ ধরনের হামলা হলে আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: কোনো মতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা যায় না: আইনমন্ত্রী
অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে সরকারের কাছে প্রস্তাবনা যাতে সব রাজনৈতিক দল অবাধে নির্বাচনী কার্যক্রম চালাতে পারে; বিশিষ্ট নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে সংবিধান ও নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠদের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা; যোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ; এবং দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগসহ আইনানুগ প্রয়োজনীয় সব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে এবং তারা যাতে নিষ্ঠার সঙ্গে ও নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া। নির্বাচন; ভোটকেন্দ্র এবং নির্বাচনী এলাকায় অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মোতায়েন করা; নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে কার্যকর করার জন্য নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ; এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিতে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা হচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তাই এ লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন একটি কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আনা হবে: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন দৃঢ়ভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সবার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ, পর্যাপ্ত সংখ্যক দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি সংবাদ তথ্য অবাধে নিতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াকে সুযোগ-সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যেন সব ভোটার এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন সকল প্রার্থীর সঙ্গে সমান আচরণ করবে, নির্বাচন কমিশনের আরও যোগ্য কর্মকর্তাকে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেবে, নিরপেক্ষ প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ করবে যারা পক্ষপাতমূলক নির্বাচন থেকে মুক্তি দেবে এবং কর্মকর্তারা নির্বাচনী আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন: কবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে তা প্রধানমন্ত্রীই ঠিক করবেন: আইনমন্ত্রী
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন ৩০ জুলাই
চট্টগ্রাম-১০ আসনে উপনির্বাচন ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার নির্বাচনটির তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন কমিশনে সভা শেষে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচন ২৭ এপ্রিল
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ৪ জুলাই, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৬ জুলাই। আপিল করা যাবে ৭ থেকে ৯ জুলাই এবং আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১১ জুলাই। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ জুলাই এবং প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন ১৩ জুলাই।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে নির্বাচন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৬টি উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৫% এর বেশি হয়নি: ফখরুল
ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, চট্টগ্রাম-১০ ও ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে সব কেন্দ্রে ক্লোজসার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে এবং ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন ব্যালট পেপারে অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা ডা. আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে ৪ জুন (গত রবিবার) সংসদ সচিবালয় চট্টগ্রাম-১০ আসন (ডবলমুরিং-হালিশহর-খুলশী-কাতালগঞ্জ) ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন: উপনির্বাচন: ৬ আসনে আ.লীগের ৩ প্রার্থীর জয়
কুমিল্লায় শান্তি সমাবেশ করেছে আ. লীগ
বিএনপির সন্ত্রাস নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির প্রতিবাদে কুমিল্লায় শান্তি সমাবেশ করেছে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর কান্দিরপাড় রামঘাটস্থ দলীয় কার্যালয়ে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারোয়ার।
এ সময় বক্তব্য দেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, পার্থ সারথী দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম মজুমদার প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সরকারের আলোচনার ইঙ্গিত আমির হোসেন আমু’র
জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার সিদ্ধান্ত নেবেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেছেন, চলতি সরকারই আগামী নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেট ভবন মিলনায়তনে ৮ জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষে ঢাবি সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ আয়োজিত সেমিনারে সাংবাদিকরা 'বিএনপির পক্ষ থেকে এখন নির্বাচনকালে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি তোলা হয়েছে' এমন প্রসঙ্গ তুললে তিনি এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তো আন্তর্জাতিকভাবে কারও সমর্থন পায়নি। তাই এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দিয়ে 'নিরপেক্ষ' সরকারের কথা বলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা যে সমস্ত দেশের হাতে-পায়ে ধরে, সে সকল দেশে যেভাবে চলতি সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে, আমাদের দেশেও ঠিক তাই হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যে কোনো সময় ১৮ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা সরকারের আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশে ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন দেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের বহুমাত্রিক ব্যবহারে গত ১৪ বছরে মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেছে। মানুষকে এতো বিদ্যুৎ সুবিধা দিয়ে নিশ্চয়ই ভুল করা হয়নি, সবার খানিক ধৈর্যের প্রয়োজন। এখন বিশ্বমন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই অসুবিধাটা সাময়িক, ১৫-২০ দিনের মধ্যে দূর হবে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক এখনও 'অত্যন্ত চমৎকার': তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমু’র বক্তব্যটি ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী
আ.লীগ নেতারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক আলোচনা নিয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।
‘আওয়ামী লীগ জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে খুব ভালো পারে। আওয়ামী লীগের তিন নেতা সংলাপ নিয়ে তিনভাবে কথা বলেছেন। বিদ্যুৎ সংকটে মানুষ যখন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, তখন সেটিকে সরিয়ে নিতে তারা অন্য ইস্যু তৈরি করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু আগামী সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সংলাপের বিষয়ে তার বক্তব্য দিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছেন।
তিনি বলেন, ‘পরে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র বলেন, এটা তাদের বক্তব্য নয়। আবার বিকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সংলাপের বিকল্প নেই। তাদের মূল লক্ষ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করা।’
আরও পড়ুন: পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারাও তাদের দাবি থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন।
এর আগে মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমু বলেন, বিএনপির সঙ্গে সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে।
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের একজন প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসতে চাই এবং দেখতে চাই পার্থক্য কোথায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
ভারত থেকে ফেরার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে সরকার
সরকার বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদের যে কোনো সময় বাংলাদেশে ফেরার অনুমতি দিয়েছে এবং সিদ্ধান্তটি ভারতে দেশের মিশনে পৌঁছে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের পাবলিক কূটনীতি শাখার ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার (বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ) দেশে ফেরার আবেদন অনুমোদন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুয়াহাটিতে আমাদের মিশনে বিষয়টি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শিলংয়ের আদালতে খালাস পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
সালাহউদ্দিন কবে বাংলাদেশে ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তার ওপর নির্ভর করে এবং তিনি যে কোনো সময় আসতে পারেন, তবে কিছু প্রক্রিয়াগত সমস্যা রয়েছে।
ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সালাহউদ্দিনকে ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ চায় বিএনপি