রাজনীতি
শেরপুর জেলা আ.লীগের সভাপতি আতিক, সাধারণ সম্পাদক ছানু
সাড়ে সাত বছর পর ৮ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নতুন কমিটির তিনজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সভাপতি পদে হুইপ আতিউর রহমান আতিক এমপি, সাধারণ সম্পাদক পদে ছানুয়ার হোসেন ছানু এবং বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পালকে ১ নং সহ-সভাপতি করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার ভার্চূয়াল বক্তব্যে পুরাতন কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির ওই তিনজনের নাম ঘোষণা করেন। এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এবং ছানুয়ার হোসেন ছানুর নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে তার সমর্থক নেতাকর্মীরা উল্লাসে ফেটে পড়েন। অপরদিকে, চন্দন কুমার পালের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দেয়।
স্থানীয় শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে দুপুরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আ.লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা জেনেছি আগামী বছরের শেষ দিকে কিংবা তার পরের বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনকে ঘিরে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য স্বাধীনতাবিরোধী, আল-বদর-রাজাকাররা বিএনপি’র নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। কিন্তু তাদেরকে সে সুযোগ দেয়া হবে না। তিনি বলেন, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলের নেতৃত্ব আরও সুদৃঢ় হবে, সক্ষমতা বাড়বে এবং দল শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি দেশে সন্ত্রাস শুরু করেছে। বিশ্ঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা আবারও আগুন সন্ত্রাস করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এ ব্যাপারে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অ.লীগ দেশ গঠন করেছে। গণতন্ত্রের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছে। কোনক্রমেই স্বাধীনাতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্রকে সফল হতে দেয়া হবে না। পরে তিনি নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মীসহ ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত ও বহু আহত হওয়ার ঘটনায় ৫৫৩ বিএনপি নেতাকর্মী এবং অজ্ঞাতপরিচয় ২৪০০ জনের বিরুদ্ধে শাহজাহানপুর, মতিঝিল ও পল্টন থানায় তিনটি মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচশ’ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নয়াপল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির ৪৫০ জন, মতিঝিল থানার মামলায় ২০ জন এবং শাহজাহানপুর থানার মামলায় সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক ফারুক হোসেন জানান, ৪২ পুলিশ সদস্যের মধ্যে ১৬ জন রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে এবং একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবারের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পল্টন থানায় ৪৭৩ বিএনপি কর্মী ও ১৫০০-২০০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
সংঘর্ষের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকা থেকে বিএনপির ৪৭৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের নামে এ মামলা হয়।
এছাড়া শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৫২ বিএনপি কর্মী এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের (সংশোধনী ২০০২) বিভিন্ন ধারায় মামলা করেন।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম শিকদার বাদী হয়ে ২৮ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। এসময় এক ব্যক্তি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন, তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় তাদের দলের ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
তবে সংঘর্ষের পর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে বলে জানায় পুলিশ।
আটক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও প্রকাশনা সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে: কাদের
বিএনপি তাদের পরিকল্পনায় কাজ করছে। নয়াপল্টনে গতকালের মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, বিএনপি দেশে আগুন সন্ত্রাস শুরু করে দিয়েছে। দেশের মানুষ আতঙ্কে আছে। মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তারা জঙ্গিদের মাঠে নামিয়েছে। লাশ ফেলার দুরভিসন্ধি তারা গতকাল কার্যকর করেছে।
আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার যৌথসভার উদ্বোধনী অধিবেশনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা সড়কে আহত অবস্থায় পড়ে আছে, কিন্তু গণমাধ্যম সে দৃশ্য দেখায়নি। ‘তারা (বিএনপি কর্মীরা) বিআরটিসি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সরকারি গাড়ি পোড়ানো হবে, সেই দৃশ্য দেখানো হবে না। কেন এই আচরণ?’
মিডিয়া আউটলেটগুলির একটি অংশ কেন ‘পক্ষ নিচ্ছে’ সেতুমন্ত্রী তার কারণ জানতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার অভিযোগ। কক্সবাজারে এত বড় জনসমাবেশ, কিন্তু গণমাধ্যম তা সঠিকভাবে দেখায়নি।
‘আমরা আশা করি মিডিয়া তারা যা দেখবে তা দেখাবে। আমরা সত্য দেখানোর আহ্বান জানাই,’ তিনি যোগ করেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ আমরা করতে দেবো না। আগামীকাল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাবেশ মহানগর নাট্যমঞ্চে হবে। জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।
তিনি বলেন, লন্ডন থেকে ফরমায়েশ আসে। মির্জা ফখরুল চাকরি রক্ষার জন্য তা করে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সকল বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, ওয়ার্ডে সতর্ক অবস্থায় থাকবে জানিয়ে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সরকার পতনের চেষ্টা করছে। আক্রমণ আমরা করবো না, তবে আক্রান্ত হলে সমুচিত জবাব দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমরা দেশকে সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে তুলে দিতে পারি না।
কূটনীতিকদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা তাদের যোগাযোগে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচার নয়।
আরও পড়ুন: অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
জনগণ নির্ধারণ করবে ক্ষমতায় কে থাকবে আর কে থাকবে না: তথ্যমন্ত্রী
নয়াপল্টনে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
বিএনপি আগামী ১০ ডিসেম্বর পল্টনে সমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তারা যেভাবে চেয়েছিল সেভাবেই সমাবেশ করবেন।
বৃহস্পতিবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হয় তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের। সরকার উপযুক্ত বিকল্প স্থানের প্রস্তাব দিলে আমরা বিবেচনা করব।’
আরও পড়ুন: বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
ফখরুল বলেন, বিনা উসকানিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে। এমন কাপুরুষোচিত হামলা অকল্পনীয়। পুলিশ অকারণে ব্যাগে বোমা নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকেছে।’
তিনি বলেন, অফিসের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর করে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢামেক মর্গে মকবুলের মরদেহ দেখতে ফখরুল
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করলে বিএনপির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে দলটির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাভারের সিএনবি এলাকায় বিসিএস লাইভস্টক একাডেমিতে ৪০ তম বিসিএস লাইভস্টক ও বিসিএস মৎস্য ক্যাডার এর নব যোগদানকারীদের অবহিতকরণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন,বিএনপি ক্ষমতায় যাবার যে স্বপ্ন দেখছে তা দিবা স্বপ্নে পরিণত হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে এমন কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ আর অসাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা দখলের সাহস না পায়।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বিএনপি কেন সহিংসতা করছে তা আমরা জানি: কাদের
মন্ত্রী বলেন,টেমস নদীর পাড় থেকে ফখরুল সাহেবদের প্রতি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে। তবে অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং পঁচাত্তরের ঘটনার পুনরাবৃত্তির চেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিএনপি জনগণের মাঝ থেকে জন্ম নেয়নি। ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নেয়া এই দলটির সব সময় বিদেশি শক্তির সহায়তায় ও বন্দুকের নল দেখিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে অবৈধ উপায়ে টেনে হিঁচড়ে ক্ষমতায় যাবার স্বপ্ন দেখার দিন আর নেই বলেও জানান মন্ত্রী।
বিএনপির উদ্দেশ্য ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের মতো পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ মারার রাজনীতির ফিরিয়ে আনা। দেশের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে অসংবিধানিক উপায় ক্ষমতা দখলের পায়তারা করা। তবে সেই স্বপ্ন কোনদিনই বাস্তবায়িত হবে না বলেও জানান তিনি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,মৎস্য প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব,শ্যামল চন্দ্র সরকার,এ টি এম মোস্তফা কামাল,আব্দুল কাইয়ুম,মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাহবুবুল হক,বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড.এস এম জাহাঙ্গীর আলম, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কার্যালয়ে বোমাগুলো পুলিশ রেখেছিল: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন যে পুলিশ দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বোমাগুলো রেখেছিল।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব হয়েও আমাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়নি। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমাদের অফিসে বোমা সম্পর্কে পুলিশ অফিসার যা বলেছেন তা নির্লজ্জ মিথ্যা। তারা (পুলিশ) নিজেরাই বোমাগুলো নিয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে রেখেছিল।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
আরও পড়ুন: বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকালে
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির সিনিয়র এই নেতাকে বলেন যে নিরাপত্তার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না, কারণ তারা সেখান থেকে বোমা উদ্ধার করেছে।
ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ মিথ্যা বলছে... এটা আমাদের অফিস, আমি ভেতরে যাব। সেখানে যাওয়া আমার অধিকার।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব সরকার ফখরুলকে বলেন যে বিএনপি নেতারা গতকাল ওই এলাকায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়ে মারে এবং বিএনপির অফিস নিরাপদ নয়, যা এখন একটি ‘ক্রাইম সিন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।’ ফখরুল উত্তেজিত হয়ে পড়লে বিপ্লব অনুরোধ করেন, ‘অনুগ্রহ করে রাগ করবেন না এবং আমাদের সহযোগিতা করুন।’
জবাবে ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতাদের মতো কথা বলবেন না।’
ফখরুল বলেন, বিএনপির কার্যালয় তাদের সম্পত্তি এবং তাদের ভেতরে যাওয়ার অধিকার রয়েছে।
তিনি সরকারের কাছে বিএনপির কার্যালয় খুলে দেয়ার ও গ্রেপ্তার সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান। স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি যাতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারে সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
১০ ডিসেম্বর তাদের জনসভা কোথায় হবে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন বিকালে
নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এ ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।
বিকাল ৩টায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
গতকাল, বিকাল সাড়ে ৩টায় সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিলেও তা স্থগিত করা হয়।
গতকাল বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত ও শতাধিক আহত এবং প্রায় ৩০০ বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
ফখরুলকে নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে যেতে বাধা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন যে নিরাপত্তার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেবে না, কারণ সেখান থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের অভিযানের পর বুধবার রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফাঁকা থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
বুধবার রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল সংযোগ লাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকার অধিকাংশ অফিস, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়ায় তারা আতঙ্কিত। তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেও জানান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দাবি করেন যে তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এছাড়া দলের কার্যালয় থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার জন্যই অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তারা (বিএনপি) সমাবেশ করার পূর্বানুমতি নেয়নি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
ঢাকার নয়াপল্টনে সংঘর্ষ ও পুলিশের অভিযানের পর বুধবার রাত থেকে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল সংযোগ লাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
এলাকায় সাঁজোয়া ও পুলিশের গাড়িসহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে নিহত ২, শতাধিক আহত, গ্রেপ্তার ৬০০: ফখরুল
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে বলেন, তবে সকালে ঢাকার আদালতে হাজির হয়ে নয়াপল্টন কার্যালয় পরিদর্শন করার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।
আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকার অধিকাংশ অফিস, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়ায় তারা আতঙ্কিত। তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেও জানান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দাবি করেন যে তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এছাড়া দলের কার্যালয় থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার জন্যই অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তারা (বিএনপি) সমাবেশ করার পূর্বানুমতি নেয়নি।’
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
দেশব্যাপী শুরু হওয়া বিশেষ অভিযানে নতুন করে চাপে পড়েছে খুলনা বিএনপি। গত চারদিনে দলটির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিরাতেই বাড়ি বাড়ি অভিযান চলছে। এর মধ্যে ফের শুরু হয়েছে মামলা।
সবমিলিয়ে দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে দলটির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা জানান, অভিযানে বিএনপি নেতাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হবে, এমন আশংকা আগে থেকেই ছিল। কিন্তু অভিযান এতো জোরালো হবে সেটি তারা বুঝতে পারেননি।
এছাড়া গ্রেপ্তার এড়াতে অনেক নেতা এখন এলাকা ছেড়েছেন।
মঙ্গলবার থানায় গেলে দেখা যায়, গ্রেপ্তার করা হয়েছে মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতা শরিফুল ইসলাম টিপুকে।
আরও পড়ুন: এটা পুলিশের অযৌক্তিক পদক্ষেপ: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ নিয়ে ফখরুল
কোন থানায় কে আটক রয়েছে-এই তথ্যও কেউ জানাতে পারছে না।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযান শুরুর প্রথম দিনেই ১৬নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক মো. ইমদাদুল হকসহ ২৬ জনকে আটক করা হয়। পরের দুই দিনে আরও ২৫ জন আটক হয়েছেন।
এছাড়া নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
এরই মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ বিএনপির ৮০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ৪ ডিসেম্বর রাতে মামলা করেছে পুলিশ।
ওই মামলায় নাম উল্লেখ করা অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহম্মেদ, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহম্মেদ সুমন, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবাদুল হক রুবায়েত, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, নগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফি, ২১নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লাকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশ বানচাল করতে বিশেষ অভিযানের নামে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ঢাকায় সমাবেশ অংশ নিলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, তিনদিনে অর্ধশত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ঢাকায় চলে গেছে। সমাবেশ শেষ করে সবাই খুলনায় ফিরবে।
তিনি আরও বলেন, কেন্দ্র থেকে খুলনার নেতাকর্মীদের ঢাকায় যাওয়ার কোনো নির্দেশনা দেয়নি। দল থেকে ঢাকায় যাওয়ারও কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তারপরও নেতাকর্মীরা দল বেধে ঢাকায় যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বিকল্প ভেন্যু না দিলে নয়াপল্টনেই বিএনপির সমাবেশ: আব্বাস
নয়াপল্টনে বিএনপি-পুলিশের সংঘর্ষে নিহত ১, প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মী আটক