বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যেতে বাধা দেয়া হয়।
সকালে ঢাকার একটি আদালতে হাজির হওয়ার পর ফখরুল সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে বিজয়নগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাকে বাধা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন যে নিরাপত্তার কারণে তাদের প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কাউকে বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকতে দেবে না, কারণ সেখান থেকে বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের অভিযানের পর বুধবার রাত থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ফাঁকা থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে যান চলাচল বন্ধ
বুধবার রাত থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিজয়নগর ও ফকিরাপুল সংযোগ লাইটিঙ্গেল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কোনো যানবাহন দেখা যায়নি।
বুধবারের সংঘর্ষের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দলীয় কার্যালয়ে দেখা যায়নি।
সকাল ১০টা পর্যন্ত ওই এলাকার অধিকাংশ অফিস, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়ায় তারা আতঙ্কিত। তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতেও অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে বলেও জানান তারা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার দাবি করেন যে তাদের দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের হামলায় ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতা নিহত ও শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এছাড়া দলের কার্যালয় থেকে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম ও উত্তর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির প্রায় ছয় শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিএনপির লোকজন তাদের দলীয় কার্যালয় থেকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার জন্যই অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশের সংখ্যা বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তারা (বিএনপি) সমাবেশ করার পূর্বানুমতি নেয়নি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় ৪ দিনে বিএনপির প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার