রাজনীতি
বিরোধীদের ওপর লাগাতার হামলা করে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে সরকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও বাড়িঘরে অবিরাম হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
সোমবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাদের
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নতুন ধরন চালু করেছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি, দলীয় কার্যালয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামকে ভয় পেয়ে দমননীতি শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমদের প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, লাখো মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে।’
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বলে একটা করে আরেকটা।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এখন যা বলে করে তার উল্টো। এটিই আওয়ামী লীগের চরিত্র। সারাদেশের ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র আবারও জনগণের কাছে প্রকাশ পেয়েছে।
পড়ুন: ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ এড়াতে রামগড়ে ১৪৪ ধারা জারি
এভাবেই তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তাদের চলমান প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে তারা।
ফখরুল বলেন, যশোর, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফেনি, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, ঠাকুরগাঁও, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, মাগুড়া, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, রাজশাহী, নোয়াখালী, ভোলা, নাটোর, কুমিল্লা এবং নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শাসকদলের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
ফের খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি ফখরুলের
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম আলমগীর দলীয় চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টির (জাফর) এর প্রয়াত চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফর আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল (রবিবার) তাকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে আমাদের দল দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে, কিন্তু ‘অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ সরকার তাকে ক্ষমতায় থাকার প্রধান বাধা বলে মনে করে তাতে কর্ণপাত করছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। এই কর্মসূচি থেকে আমিও তার (নিঃশর্ত) মুক্তি দাবি করছি।’
এর আগে রবিবার রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা ও কিছু মেডিকেল টেস্টের জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড তার পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছে। ‘তার পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য তার আরও কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।’
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
তার পরিবার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে একটি উন্নত কেন্দ্রে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা দিয়েছে। কিন্তু সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। কারণ তিনি দুটি মামলায় দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
সরকার জনগণের ঐক্যে ভীত
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের ‘দুঃশাসনের’ কারণে জাতি এক সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে গণতন্ত্র ও সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেশকে ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদীতে পরিণত করেছে।
ফখরুল বলেন, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করেছে এবং সর্বত্র জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে এতে অংশ নিচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আন্দোলনকে ভয় পেয়ে সরকার আওয়ামী লীগ ক্যাডারদের আমাদের নেতাকর্মীদের ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালাতে দিয়েছে।’
এছাড়া বিএনপি নেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে, হামলা চালাচ্ছে, বহু মানুষ আহত হচ্ছে। ‘এটি আবারো সরকারের ভয়ানক সন্ত্রাসী চেহারা উন্মোচিত করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘সরকারের সবচেয়ে বড় ভয় হচ্ছে জনগণ একটি দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলেছে। জনগণের এই ঐক্য সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে।’
আরও পড়ুন: বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে শোক সভা চলাকালে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১০ জনকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার বিকালে গোস্বামী দুর্গাপুরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোকসভায় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা। পুলিশ ও তার সামনেই দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আগস্ট মাস উপলক্ষে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আয়োজনে পর্যায়ক্রমে শোক সভার কর্মসূচি পালন করে আসছে। সে হিসেবে রবিবার গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নে শোক সভার নির্ধারিত দিন ছিল।
জানা গেছে, আসরের নামাজের পর গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজনে শংকরদিয়া বাজারের ওপর শোকসভার আয়োজন করা হয়। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় যোগ দেন। তার সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সামনেই দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আওয়ামীলীগ নেতারা বারবার থামানোর চেষ্টা করলেও নেতা-কর্মীরা একে অন্যের ওপর হামলা করতে থাকে। ভাংচুর করা হয় বসার চেয়ার। সংঘর্ষ চলাকালে শোকসভায় আসা লোকজন ভয়ে পালিয়ে যান। প্রায় ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে দুই পক্ষের কমপক্ষে ২০ জনের বেশি আহত হন। আহতদের মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ঝেন্টুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এছাড়া আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দবির উদ্দিন জানান, ‘ বিকালে অতিথিরা আসার পর শোক সভা শুরু হয়। আমি দুই হাজার মানুষের জন্য খাবার রান্না করি। বর্তমান চেয়ারম্যান লাল্টুর রহমান শতাধিক লোকজন নিয়ে মিছিল নিয়ে আসেন। তাদের অনেকের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল। আমরা আগে থেকে বুঝতে পারিনি। তারা এসেই আমার সমর্থক ও সাধারণ নেতাকর্মীর ওপর হামলা করে। কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। আমার কয়েকজন কর্মীর অবস্থা আশংকাজনক।
হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা লাল্টু রহমান দাবি করেন তার লোকজনের ওপর দবিরের লোকজন হামলা চালিয়েছে। এতে পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছেন। আমার তিন ভাইয়ের মাথা ফেটে গেছে। নেতাদের সামনেই হামলা করেছে। আমরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেছি মাত্র।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ সভা শুরু হওয়ার পর স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। আমাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হলে সভা শেষ করা হয়। বিষয়টি আমাদের জন্য বিব্রতকর। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ বলেন, ‘ আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা
খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে তিনি হাসপাতালে পৌঁছান। এরপরই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার গণমাধ্যম শাখার সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কিছু মেডিকেল টেস্ট করতে পরামর্শ দিয়েছে তার মেডিকেল বোর্ড।
পড়ুন: খালেদা জিয়াকে আরও কিছুদিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে
জাহিদ বলেন, মেডিকেল বোর্ড আশা করছে সোমবার তার পরীক্ষার ফলাফল দেখে পরবর্তী চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিবেন।
খালেদা জিয়া হাসপাতালের কেবিনে আছেন বলেও জানান জাহিদ।
ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে করোনায় এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
কক্সবাজারের পেকুয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি কারণে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় রবিবার ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে উপজেলায় মাইকিং করা হয়।
উপজেলার সিকদার পাড়া স্টেডিয়াম থেকে চৌমুহনী হয়ে পেকুয়া আলহাজ্বব কবির চৌধুরী বাজার পর্যন্ত সকল ধরনের সভা সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রসাশন।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, রবিবার পেকুয়া উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। অপরদিকে, একইদিন পেকুয়া চৌমুহনী চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি শোক সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। এই প্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মহড়া দিতে পেকুয়া চৌমুহনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও স্টেডিয়াম এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিলে পুলিশ সবাইকে সরিয়ে দেয়।
পরে রাত ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবিবার ১৪৪ ধারা জারি করে মাইকিং করা হয় বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, 'রবিবার দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে রবিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকল ধরনের রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
খুলনায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, নেতাদের বাড়িতে হামলা
খুলনা নগরীর খালিশপুরে সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সময় হামলাকারীরা বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতার বাড়িতে হামলা, দলের খুলনা অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এই সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীদের দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
শনিবার রাতে খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযোগ করেন, খালিশপুর বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপি নেতাদের বাড়িও ভাঙচুর করে।
তিনি জানান, হামলায় বিএনপির প্রায় ৫০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার বিকালে বৈকালী মোড়ে একই স্থানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে পুলিশ। তবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খালিশপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মিছিল করে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বিএনপির ১২ নেতা-কর্মী আটক
তিনি জানান, বিএনপির মিছিল এগিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
বিকালে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে খালেদা জিয়াকে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে রবিবার আবারও রাজনাধীর এভারকেয়ার হাসপাতালে কিছু মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নেয়া হবে। ছয়দিন আগেও তাকে একই হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ইউএনবিকে বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে আজ (রবিবার) বিকালে ম্যাডামকে কিছু পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হবে। এ বিষয়ে হাসপাতালে সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
এর আগে ২২ আগস্ট করোনারি এনজিওপ্লাস্টির পর ফলোআপ হিসেবে খালেদা জিয়ার ইকো, ইসিজি, ইউএসজি, এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষা করানো হয়।
ওইসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপার্সনকে আরও কিছু পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড।
আরও পড়ুন: এভারকেয়ারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
৭৭ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা লিভার সিরোসিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
এর আগে ১০ জুন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাম ধমনীতে ৯৫ শতাংশ ব্লকের কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। ব্লক সরিয়ে সেখানে একটি স্টেন্ট (রিং) বসানো হয়।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিলে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে একই বছর আরেকটি দুর্নীতির মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার খালেদা জিয়াকে তার গুলশানের বাড়িতে থাকার এবং দেশ না ছাড়ার শর্তে সাজা স্থগিত করে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে সাময়িকভাবে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়।
২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে ছয়বার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার একাধিক স্বাস্থ্য জটিলতার চিকিৎসার জন্য বিদেশে একটি উন্নত হাসপাতালে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে একাধিক আবেদন জমা দিয়েছিল, তবে দুটি মামলায় আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় সরকার প্রতিবারই তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিকালে হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
ইউএনকপে আইজিপি’র নাম অন্তর্ভুক্তি: ফখরুলের সমালোচনা
জাতিসংঘের চিফ অব পুলিশ সামিটে (ইউএনকপ) বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজির আহমেদের নাম অন্তর্ভূক্তির সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সম্মেলনে আইজিপিকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি করে সরকার সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছে।
শনিবার গুলশানে দলের চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের দায়িত্বহীন, অহংকারী আচরণ দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ঠেলে দিচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বেনজির আহমেদ যিনি গুমের মত ভয়ানক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন, বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন তাকে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সদস্য করে সকল
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করছেন অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুমের মতো মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত বেনজির আহমেদসহ র্যাবের সাতজন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও আগামী ৩১
আগস্ট শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের পুলিশ প্রধান সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি করা হয়েছে আইজিপিকে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পুলিশ সম্মেলনে অংশগ্রহণে আইজিপিকে শর্তাধীন দুই দিনের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে। বাংলাদেশ এরকম প্রতিনিধি জাতিসংঘে পাঠিয়ে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে।’
তিনি বলেন, আইজিপির শর্তযুক্ত ভিসা দিয়ে জাতিসংঘের সম্মেলন ছাড়া আর কোনও কর্মকাণ্ডে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।
ফখরুল বলেন,‘ আমরা মনে করি এরূপ শর্তযুক্ত ভিসা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অপমান করা হয়েছে।’
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে বেনজির বৃহস্পতিবার(২৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেয়েছেন। তারা রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ‘জাতিসংঘ পুলিশ প্রধান সম্মেলন(ইউএনকপ)-২০২২’ এ মন্ত্রী, পুলিশ প্রধান, আঞ্চলিক এবং পেশাদার পুলিশ সংস্থাগুলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধিরা একত্রিত হবেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বেনজির আহমেদসহ র্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বেনজির আহমেদ পুলিশের মহাপরিদর্শক নিযুক্ত হওয়ার আগে র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন।
আরও পড়ুন:সরকারের পতনই এখন বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য: ফখরুল
অন্যের সহায়তায় যারা ক্ষমতায় আছে তারা বাংলাদেশকে শাসন করতে পারে না: ফখরুল
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়াই আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা (স্যাংশন) দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
শনিবার দুপুরে হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ইনার হুইল ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘পঞ্চম দক্ষিণ এশিয়া সম্মেলন’ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন:বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘অনেকেই অনেক কথা বলেন। আমি সব সময় বলে থাকি তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া কিছু বললে তা কেউ বিশ্বাস করে না। জনগণও তাতে আস্থা রাখে না ।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছেন। আমাদেরকে কিছু প্রশ্ন আগেই দিয়েছিলেন। তার প্রশ্নের ৭৬ জন গুমসহ অন্যান্য বিষয় আমরা ভিডিও প্রেজেন্টেশন তাকে দেখিয়েছিলাম এবং কোনদিন কী হয়েছে বিস্তারিত বিষয় তার কাছে তুলে ধরেছি। এসব দেখে তিনি কোনো প্রশ্ন আমাদেরকে করেননি।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় বলে আসছি তারা (বিএনপি) একটা অবস্থার সৃষ্টির জন্য বিভিন্নভাবে রটনা করে যাচ্ছে। যেগুলোর কোনো ভিত্তি নেই এবং সত্যতা দেখাতে পারেনি। ভিত্তি না থাকার কারণে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শিগগিরই দেশে আনা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের কোনো স্থান নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করুন: তথ্যমন্ত্রী
বিদেশের মাটিতে বসে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়, বিদ্বেষ ছড়ায়, তাদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করতে প্রবাসী জনগোষ্ঠী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জেনেভায় সফররত তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বদলে গেছে। বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে নিজের এলাকা আর সহজে চেনা যায় না। গ্রাম ও শহরের পার্থক্য প্রায় ঘুচে গেছে। কুঁড়েঘর, মেঠোপথ বা খালি পায়ে মানুষ দেখা যায় না। দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। কিন্তু এ উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না, তাদের অনেকে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিদ্বেষ ছড়ায়, নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের বলবো, এদেরকে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষকে জানান।'
আরও পড়ুন: বেগম জিয়াকে বিদেশে নেয়ার দাবি উদ্দেশ্য প্রণোদিত: তথ্যমন্ত্রী
স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মশিউর রহমানের রেস্তোরাঁ কারি হাউজে স্থানীয় বাংলাদেশ কমিউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এই সব কথা বলেন।
প্রবাসী আওয়ামী নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে এবং জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ার আমলে যে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে, হাজার হাজার সেনাসদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা ও নির্যাতন করা হয়েছে, সেই সত্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর কাছে তুলে ধরতে হবে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামাতের হরতাল-অবরোধের নামে যেভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেই চিত্র তাদের জানাতে হবে।'
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী যে মহানুভবতা দেখিয়েছেন, খালেদা জিয়া কি তা পারতেন: তথ্যমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল জমাদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খানের সঞ্চালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন কমিউনিটি প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক, পলাশ বড়ুয়া প্রমুখ।