বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, আওয়ামী লীগ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও বাড়িঘরে অবিরাম হামলা চালিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।
সোমবার নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্যাডাররা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে তাদের
সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নতুন ধরন চালু করেছে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি, দলীয় কার্যালয়, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।’
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকারের জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে
বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামকে ভয় পেয়ে দমননীতি শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমদের প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি, লাখো মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেছে।’
বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক এমন মন্তব্যের জবাবে ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার বলে একটা করে আরেকটা।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা এখন যা বলে করে তার উল্টো। এটিই আওয়ামী লীগের চরিত্র। সারাদেশের ঘটনাগুলোর মধ্য দিয়ে তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র আবারও জনগণের কাছে প্রকাশ পেয়েছে।
পড়ুন: ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ এড়াতে রামগড়ে ১৪৪ ধারা জারি
এভাবেই তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।’
আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থানা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভায় তাদের চলমান প্রতিবাদ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে তারা।
ফখরুল বলেন, যশোর, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফেনি, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, ঠাকুরগাঁও, লক্ষ্মীপুর, ময়মনসিংহ, মাগুড়া, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, রাজশাহী, নোয়াখালী, ভোলা, নাটোর, কুমিল্লা এবং নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় তাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে শাসকদলের ক্যাডার বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আ’লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি: পেকুয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
নোয়াখালীতে বিএনপির প্রতিবাদ সভার মঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে