রাজনীতি
বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে: ওবায়দুল কাদের
শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে, অস্তিত্বের জন্যই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে আসবে। তাদের অস্তিত্বের জন্যই তাদের আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদল সংসদে স্বাগত জানাই। বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক। নির্বাচন ইভিএমে হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকলে ভোট নিরপেক্ষ হবে। মির্জা ফখরুলের দুশ্চিন্তার কারণ নেই।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী খোলা মনে বলেছেন সকল দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই আমরা ভোট করতে চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত-অনির্বাচিত বলে লাভ নেই, তাদের লোকও সংসদে আছে। সংসদে বিএনপি তার সদস্যদের পাঠিয়েছে, তারা কি অনির্বাচিত। স্পিকারও তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক। আমরাও গুরুত্ব দিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেব নিজেই গুরুত্বহীন হয়েছেন, তিনি সংসদে থাকলে জোরালোভাবে সংসদে কথা বলতে পারতেন। একদিকে সংসদে বিএনপির এমপিও থাকবে, আবার পুনঃনির্বাচন করে প্রার্থী দেবেন।
বিএনপিকে নির্বাচনে আনার কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদেরকে নির্বাচনে আসতে বলব। যদিও এটি বলা উচিত না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার। এটা সুযোগের ব্যাপার না। তারা দেশের একটি বড় দল হিসেবে রাজনীতির আঙ্গিনায় আছেন। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সঙ্কট হবে, সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না সেটি আমার বিশ্বাস।
আওয়ামী লীগের আসন্ন সম্মেলন প্রসঙ্গে কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে নিয়মিত। তিন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্মেলন করেছি। এবারও ডিসেম্বরে সময় শেষ হবে, সেই বিজয়ের মাসেই সম্মেলন করতে চাই। আগামি নির্বাচন এবং সম্মেলনের দিকে নজর রেখেই তিনি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আগামি ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন করতে বলেছেন। ঘোষণাপত্র আপডেটট করে নির্বাচনী ইশতেহারও প্রস্তুতের জন্য গতকাল মিটিংয়ে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: যথাসময়ে নির্বাচন হবে: কাদের
প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের
সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহারের দাবি ফখরুলের
ক্ষমতাসীন মহলের স্বার্থ রক্ষায় এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে অভিযোগ করে শুক্রবার সয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির সরকারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগী বলেন, ‘বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিল মালিকদের বৈঠকের পর এক লাফে প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৩৮ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের মূল্য ৪৪ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং প্রতি লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ টাকা নির্ধারণ করা সরকারের চরম গণবিরোধী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি বলেন, এই সরকার যে জনগণের শক্রপক্ষ সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধিতে তা আবারও প্রমাণিত হলো।
সয়াবিন তেল এখন সোনার হরিণ উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও এবং গতকাল সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি অভিনব নজীরবিহীন ঘটনা-যা জনগণকে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
আরও পড়ুন: আজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসছে ১৩ হাজার টন ভোজ্যতেল
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন মহলের সিন্ডিকেটের দৌরাত্বেই বাজার থেকে সয়াবিন তেল গায়েব করে এখন চরম দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষকে গচ্চা দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। এ ঘটনায় জনগণকে চরম হয়রানির মুখে ঠেলে দেয়া হয়েছে।
ফখরুল বলেন, ভোজ্যতেল হিসেবে সয়াবিন তেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি পণ্য। প্রতিটি পরিবারে রন্ধন কাজের জন্য এটি একটি অত্যাবশকীয় উপকরণ। সুতরাং নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্যকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়াই প্রধান লক্ষ্য।
সরকারকে জনগণের কাছে কোন জবাবদিহি করতে হয় না বলেই সয়াবিন তেলের মতো একটি প্রয়োজনীয় পণ্যকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সেটি জনগণের ক্রয়ক্ষমতা থেকে দুরে ঠেলে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার নিজেদের গোষ্ঠী স্বার্থে সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি করেছে। অথচ আশেপাশে কোন দেশেই ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি পায়নি।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের দাম নতুন করে বৃদ্ধির অনুমোদন দিলো সরকার
তিনি বলেন, সরকার দেশের জনগণের স্বার্থের তোয়াক্কা না করে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারা নিপীড়ন-নির্যাতনের ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে জনগণকে বন্দী করে রাখতে চায়।
ফখরুল বলেন, ‘আমি সয়াবিন তেলের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধির এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে ভোজ্যতেল সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জোর দাবি করছি।’
দেশবিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচারই বিএনপির রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশবিরোধী অপশক্তিকে সাথে নিয়ে মিথ্যাচার আর গুজব রটানোই বিএনপির রাজনীতি। দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন তারা চোখে দেখে না।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার হিল ডাউন সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালে বিএনপি-জামায়াতকে দেখা যায়নি। অন্য কোন দলকেও দেখা যায়নি। আর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালীন নানা ধরনের সহায়তা দিয়েছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছে। এটি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন নেতা ও জাতীয় সংসদের অনেক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। অন্য কোনো দলের ক্ষেত্রে এ রকম হয়নি।’
আরও পড়ুন: আরএসএফ প্রতিবেদন অগ্রহণযোগ্য: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, এবার মানুষ অত্যন্ত আনন্দ উল্লাসের সঙ্গে নির্বিঘ্নে গ্রামে গিয়ে ঈদ উদযাপন করেছে। এটি অভাবনীয়। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন উল্টো কথা। কারণ তাদের কাজ হচ্ছে মিথ্যাচার করা এবং এর মধ্যেই তাদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ।
দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেভাবে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে তা জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে সম্ভব হয়েছে। সরকারের এই সাফল্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে। বিএনপি জামায়াত যে অপপ্রচার করছে তার বিরুদ্ধে জনগণের কাছে সত্য প্রচার করতে হবে। তাহলে আগামী নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের বিজয় হবে।
দলের প্রতি যাদের ত্যাগ আছে, নিষ্ঠা রয়েছে, দলের দুঃসময়ে যারা দলের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছে তাদের দলীয় নেতৃত্বের আসনে বসাতে হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দলীয় নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কার অর্থ-বিত্ত আছে তা কখনও বিবেচ্য বিষয় নয়। আমাদের দলের সভাপতি তা কখনও বিবেচনায় আনেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুও আনেননি।'
আরও পড়ুন: সুব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্ন ঈদ যাত্রা হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘সবাই এখন আওয়ামী লীগ করতে চায়, সবাই এখন নৌকায় উঠতে চায়। কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সবাইকে আওয়ামী লীগের নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। সমাজে যারা ধিকৃত, মাদক-চোরাকারবার, জায়গা দখলের সাথে জড়িত, চাঁদাবাজি বা অন্যান্য অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদের আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নেই।’
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হক মুকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর, জেলা যুবলীগের সভাপতি বাহাদুর আহমেদ সোহেলসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা যোগ দেন।
বাউফল আ.লীগ কার্যালয়ে ১৪৪ ধারা জারি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় দুই পক্ষ দলটির কার্যালয়ে শুক্রবার একই সময়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিনের নির্দেশ অনুসারে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা কার্যকর থাকবে। ১৪৪ ধারা অনুযায়ী চার বা ততোধিক লোকের জমায়েত নিষিদ্ধ।
চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব হাওলাদার এবং দলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ এ সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার কখনই লবিস্ট নিয়োগ করেনি, করার পরিকল্পনাও নেই: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের এই দুই পক্ষের দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ উপজেলায় একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে দলটির কার্যালয় জনতা ভবনসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, ১৪৪ ধারা জারির কারণে আওয়ামী লীগের দুই নেতা ভিন্ন ভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গত ১৩ বছরে ২৬ বার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এখন বিএনপির আন্দোলনের কথা শুনলে মানুষ হাসে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, গত ১৩ বছরে বিএনপি ২৬বার আন্দোলনের ডাক দিয়ে পারলো না, পারবে কোন বছর? তাদের আন্দোলনে সবার প্রশ্ন, এই বছর না ওই বছর আন্দোলন হবে কোন বছর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের তারিখ পিছানো হয়নি। আগামী জুনেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।তিনি আরও বলেন, এলাকার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কখনো বিচ্ছিন্ন হয়নি। অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর, আইসিইউ প্রতিস্থাপন, খাদ্য সামগ্রী এবং ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছি। বহুদিন মা বাবার কবর জিয়ারত করতে পারিনি তাই মনটা বিষন্ন ছিল। যারা আমার ভোটার, তাদের মাঝে আসতে পেরে ভাল লাগছে। নিজের বাড়িতে এসেছি, নিজের খাবার খেয়েছি, নামাজ পড়েছি। আমার আজকে অনেক ভাল লেগেছে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদেরওবায়দুল কাদেরকে বীর ৭১ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।এর আগে, তিনি নিজ বাড়ির দরজায় পুলিশের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে তাঁর হাতে বীর ৭১ সম্মাননা পদক তুলে দেন তাঁর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পরে, বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন।
এদিকে, বিকাল ৩টায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে উপজেলা ডাক বাংলায় ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ওবায়দুল কাদের।এসময় জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, নোয়াখালী পৌর মেয়র শহিদ উল্ল্যাহ খান সোহেল, ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ আগস্টের পর দীর্ঘ প্রায় ৩৩ মাস পর নিজ নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত এক বছর নানা ঘটনায় সমালোচনায় পড়তে হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের। আলোচনার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাঁর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠছে সংগঠনের ভেতর থেকেই। বড় ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ভাবীর বিরুদ্ধে বিষেদগার করেন কাদের মির্জা। বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বার বার সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। এতে স্থানীয়ভাবে নাজুক অবস্থায় পড়েছে সংগঠন। স্থানীয় রাজনীতিতে কাদের মির্জা বিরোধী অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল। তাঁর খুঁটি হচ্ছে কাদের মির্জার আপন তিন ভাগ্নে। বাদল ও ভাগ্নেদের বিরুদ্ধেও কাদের মির্জা নানা অভিযোগ তুলেন। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে কাদের মির্জার প্রধান প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায় তারই আপন তিন ভাগ্নে। সেই বিরোধের জের ধরে গত কয়েক মাসে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে একজন সাংবাদিকসহ দুই জন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী। পাল্টাপাল্টি ৭২টি মামলা হয়। এতে আসামি হয় উভয় পক্ষের প্রায় সাত হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মী। এখনও বাড়ি ছাড়া রয়েছে হাজারো নেতাকর্মী।
প্রায় ৩ বছর পর নির্বাচনী এলাকায় ওবায়দুল কাদের
প্রায় তিন বছর পর নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জে নির্বাচনী এলাকায় গেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাসভবনে পৌঁছে প্রথমেই তিনি বাবা মায়ের কবর জিয়ারত করেন। সেখানে কিছুক্ষণ নিরবে দাঁড়িয়ে মা ও বাবার আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন।
পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময়ে করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে আ’লীগের বন্ধু আছে, কোনো প্রভু নেই: কাদের
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় যোগ দেবেন।
এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পথে নিজ বাড়ি যাওয়া পথে ফেনীর দাগনভূঁইয়া থেকে বাসভবন পর্যন্ত সড়কপথে বিপুল সংখ্যক মানুষের ফুলের ভালোবাসায় সিক্ত হন।
বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা: হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় বিএনপির কাজই ছিল রাষ্ট্রযন্ত্রকে দলীয়ভাবে ব্যবহার করা।
তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্টে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে জঙ্গিদের দিয়ে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আর এই হামলা পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করেছিল বিএনপি।’
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হানিফ।
আরও পড়ুন: বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠন বন্ধ হবে না: হানিফ
এ সময় বিএনপি নেতাদেরকে উদ্দেশে করে সরকার দলের এই নেতা বলেন, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গকে ক্রীড়ানক (খেলনা) হিসেবে ব্যবহার করেছে। বর্তমান সরকারের সময় দেশের সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিক কাজ করলেও বিএনপি মনে করে তারা সরকারের পক্ষে কাজ করছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, আগামী বছর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে শক্তিশালী করায় এবারের কাউন্সিলের মূল লক্ষ্য। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোট যেন নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারে সেটিই লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হবে না:হানিফ
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে হলে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।
আওয়ামী লীগের কাছে আদালত এখন অসহায়: বিএনপি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত সাংসদ হাজী সেলিমের বিদেশ যাওয়ায় প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন দলের কাছে ‘অসহায়’ আদালত।
তিনি বলেন, হাজী সেলিম দুর্নীতির মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ না করেই দেশ ছেড়েছেন। তার নির্বিঘ্ন বিদেশ সফর প্রমাণ করেছে যে আদালত এখন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে অসহায়।
বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে রাজনীতিকরণ করায় র্যাব-পুলিশ বিরোধীদের যেভাবে হয়রানি করছে আদালতের ভূমিকাও প্রায় একই।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আইনমন্ত্রী তবে হাজী সেলিম কীভাবে সেই সুযোগটি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, আইন যদি সবার জন্য সমান হয় তাহলে হাজী সেলিম কোন আইনে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেলেন? কোন সংবিধানে বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এক আইন এবং হাজী সেলিমের জন্য আরেক আইনের অনুমতি দেয়া আছে এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশের প্রতিটি খাতে এখন মধ্যযুগীয় শাসন বিরাজ করছে। যারা মুজিব কোর্ট পরে এবং প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ ভোগ করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে।
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংসদ হাজী সেলিম সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গেছেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই: বিএনপি
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদ আনন্দ নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঈদে আমরা সব সময়ই আশা করি, দেশের সব মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে এবং ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই ঈদুল ফিতর আনন্দে উদযাপন করা সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রার্থনা করেছি যাতে স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি।’
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের দমন করতে সরকার দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রায় ৩৫ লাখ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে এবং আরও ৬০০ জনকে গুম করা হয়েছে। মানুষ তাদের মৌলিক মানবাধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ব্যাংককে গেলেও সরকার দীর্ঘদিন ধরে শুধু রাজনৈতিক কারণে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাজী সেলিমের বিদেশ ভ্রমণের ঘটনা প্রমাণ করে খালেদাকে রাজনৈতিক কারণে ‘মিথ্যা’ মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ফখরুলের সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নজরুল ইসলাম খানসহ দলের সিনিয়র নেতারা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া পাঠ করেন।
আরও পড়ুন: হারানো অধিকার ফিরে পেতে সোচ্চার হউন: মির্জা ফখরুল
ইলিয়াস আলীর পরিবার অনেক বিপদে আছে: ফখরুল
ঈদে জিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মঙ্গলবার দলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি।
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা বেলা ১১টায় জিয়ার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
তিনি বলেন, তারা সেখানে জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা ও বিশেষ মোনাজাত করবেন।
এছাড়া সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সংকটের জন্য সরকারের নিষ্ক্রিয়তাকে দুষছে বিএনপি
২০১৮ সালে কারাগারে পাঠানোর আগ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া প্রতি বছর ঈদ উপলক্ষে জিয়ার কবরে ফাতেহা পাঠ করতেন। কিন্তু এরপর থেকে তার অনুপস্থিতিতে ঈদের দিন কর্মসূচি পালন করে আসছেন বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতারা।
এদিকে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সকল মুসলমানকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ‘ঈদ মোবারক’ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক বার্তায় তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদ দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর জন্য সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল বয়ে আনবে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, জাতি এমন এক সময়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন তাদের প্রিয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে গৃহবন্দি।
তিনি দেশের জনগণকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানান যাতে তিনি আবারও জেল থেকে মুক্তি পেয়ে এবং অসুস্থতা থেকে সুস্থ হয়ে জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন।