রাজনীতি
বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ না নিয়ে বিএনপি আসলে নির্বাচন বানচাল করতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করার লক্ষ্যে সংলাপের আয়োজন করেছেন যা বিএনপি কখনো করেনি। বিএনপি সেই সংলাপে যাবে না এবং সংলাপের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। কারণ আসলে বিএনপির উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করা। তারা যেভাবে ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিল, ২০১৮ সালে নির্বাচনে ষড়যন্ত্র করেছিল একইভাবে তারা আগামী নির্বাচনটাকে বানচাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু দেশের মানুষ তাদেরকে সেই সুযোগ দেবে না।’রবিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র টিএসসি সড়কদ্বীপে পোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ ও বজ্রকণ্ঠ সংগঠনদ্বয় আয়োজিত দিন বদলের মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চলের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের আহ্বান তথ্যমন্ত্রীরপোস্টার সাংস্কৃতিক সংসদ সভাপতি এস এম জামাল উদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান উদ্বোধক হিসেবে, আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বিশেষ অতিথি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহে আলম মুরাদ সম্মানিত আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে দিন বদল হয়েছে। কিন্তু এই দিন বদল অনেকের পছন্দ নয়। দেশের মানুষ ভালো আছে এটি অনেকের পছন্দ নয়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা যখন পদ্মা সেতু নির্মাণ শুরু করলাম, তখন বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি নেতারা বললেন, আওয়ামী লীগ করতে পারবে না, তারা ক্ষমতায় গেলে একসঙ্গে দু’টা পদ্মা সেতু করবে। এখন তো পদ্মা সেতু হয়েই গেছে। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ক’দিন আগে গাড়ি চালিয়ে এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে গেছেন। আবার ওই প্রান্ত থেকে গাড়ি চালিয়ে এ প্রান্তে ফেরত এসেছেন। এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। আর আমরা অপেক্ষায় আছি, যারা পদ্মা সেতু হবে না বলেছিল, তারা গাড়ি চালিয়ে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে যায়, না কি আওয়ামী লীগের মার্কা নৌকায় এপার থেকে ওপার যায় সেটা দেখার জন্য।’ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ফ্লাইওভার দিয়ে বিমানবন্দরে যায় আর গিয়ে বলে দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই হঠকারি রাজনীতি বন্ধ হওয়া আবশ্যক। গত ১৩ বছরে দেশ আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতো যদি বিএনপি-জামাত এবং তাদের দোসরদের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার রাজনীতি, দিনের পর দিন মানুষকে অবরোধ করার রাজনীতি না থাকতো এবং দেশের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালানোর অপরাজনীতি যদি তারা না করতো। আজ থেকে ১০ বছর পর বাংলাদেশ ২০৩১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা রচনা করতে চাই, সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছুতে হলে এই অপরাজনীতির অবসান হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রীদেশকে এগিয়ে নিতে রাজনীতি স্থিতিশীলতা প্রয়োজন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার চেতনাকে যদি সমুন্নত রাখতে হয় একইসাথে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকে এই কবিতা পাঠের আসর, সংস্কৃতির চর্চা ভবিষ্যতে হবে কি না সন্দেহ আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্বে না থাকেন তাহলে দেশের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর গলা চেপে ধরা হবে। কারণ বিএনপি-জামাত তাদের সঙ্গে জোট করেছে, যারা এই দেশটাকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চায়। এই অপশক্তির যাতে বিনাশ হয় ও চিরতরে দূরীভূত হয় সেই চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সারাদেশে একটি সাংস্কৃতিক গণজোয়ার তৈরির জন্য আমি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে অনুরোধ জানাবো। তাহলে নতুন প্রজন্মকে আমাদের আবহমান সংস্কৃতির সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারবো, একইসঙ্গে মাদকাসক্তি এবং মৌলবাদ-আসক্তি থেকে তাদেরকে মুক্ত রাখা সম্ভব হবে।আলোচক হিসেবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কামাল চৌধুরী, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবিএম আশরাফুল ইসলাম মারুফ, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফোরকান মিঞা, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ সদস্য সুজন হালদার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা এবং মেলা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকার আলী আসগর স্বাগত বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। কবি ও সাহিত্যিকদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন ড. শাহাদৎ হোসেন নিপু, অসীম সাহা, আসলাম সানি, অঞ্জনা সাহা, তপন বাগচী, রহিম শাহ, বাপ্পি রহমান, ইউসুফ রেজা প্রমুখ।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
বিরোধী ও ভিন্নমত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে: বিএনপি
সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বিরোধীদলের নেতাকর্মী ও ভিন্নমত দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি নিপীড়নমূলক আইন। কেউ সরকারের বিরোধীতা করলে বা ভিন্নমত পোষণ করলে, পরের দিন সকালেই তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটা মামলা করা হয়; সন্ধ্যায়ই আবার সে মামলা তুলে নেয়া হয়।
রবিবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সহযোদ্ধা সহমর্মী জাতীয়তাবাদী অনলাইন অ্যাকটিভিস্টবৃন্দ নামক সংগঠন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন। সভায় এমএম ওবায়দুর রহমান, কামরুল হাসান শাহীন, তানিমা সোমা ও শান্ত ইসলামসহ বিএনপির অন্যান্য প্রয়াত নেতাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এ সময় রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো নেতা বিএনপির কোনো নেতার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা করলে, প্রথম থেকেই আইনি প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলতে থাকে। ওই বিএনপি নেতাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় বিএনপি নেতাদের কারাগারে পাঠানো হলে দীর্ঘদিনের আগে জামিন পাওয়া যায় না। এভাবেই দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ শ্বাসরুদ্ধকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, আমরা এমন একটি সমাজে বাস করি, যেখানে বাক স্বাধীনতা নেই। কেউ আমাদের অনুসরণ করছে কিনা তা দেখার জন্য, সবসময় ডানে-বামে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার বিভিন্ন 'ভয়ানক ও ঘৃণ্য' আইন ব্যবহার করে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং মুক্তচিন্তাকারীদের 'দমন' করছে।
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের বিরুদ্ধে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতিকে উৎসাহিত করছে।
২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটি মাইলফলক হবে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মন্তব্যের কথা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, উন্নয়নের নামে জনগণকে আরও প্রতারিত করা হবে।
তিনি বলেন, দেশে চাকরির সুযোগ না থাকায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারীরা এখন পিয়ন পদে আবেদন করেন। এটাই শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: বৃহত্তর ঐক্য গড়তে সরকারবিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা বিএনপির
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ইসি নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বিএনপি
বিএনপি নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনা করতে কোথাও যাবে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘চলমান সংলাপ অর্থহীন মহড়ায় পরিণত হবে, কারণ এটি ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য সরকারের নতুন কৌশলের অংশ হিসেবে করা হচ্ছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির নারী মঞ্চ ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতাকালে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আবারও ক্ষমতায় বসতে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। রাষ্ট্রপতি আলোচনা করছেন...তবে ইতোমধ্যেই অনেক রাজনৈতিক দল এই আলোচনা বয়কট করে স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে যে এই আলোচনায় কোনো ফল হবে না বলেই সবাই মনে করছে।
এসময় তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির বর্তমান সংলাপ অর্থহীন, কারণ নির্বাচনের সময় নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে বিশ্বাসযোগ্য ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের কিছুই করার নেই।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ‘পুনরুদ্ধার’ এবং দেশের রাজনৈতিক ‘সংকট’ কাটিয়ে উঠতে সরকারকে অবশ্যই খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মুক্ত করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য একটি নিরপেক্ষ ইসি গঠন করা হবে বলে মন্তব্য করে তিনি জানান, এটাই আমাদের স্পষ্ট কথা এবং এটাই সংকট সমাধানের একমাত্র উপায়।
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই দেশের নিবন্ধিত ২৮টি রাজনৈতিক দলকে বঙ্গভবনে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
তবে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি-রব) আলোচনায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, আমি সকল রাজনৈতিক দল ও রাজনীতিবিদদের দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাতে চাই। আসুন জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি এবং জনগণের সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ি।
দারিদ্র্যসীমার অবনতি
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, সারাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। অথচ ক্ষমতাসীনরা বিপুল অর্থ উপার্জন করে ধনী হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন তার শাসনামলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো তার এই ১৩ বছরের শাসনামলে সাধারণ মানুষ দরিদ্র হয়েছে এবং দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছে।
এসময় বিএনপি নেতা আরও বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে চার কোটি মানুষ বেকার এবং নয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা বিভিন্ন সুযোগ - সুযোগ নিয়ে অবৈধভাবে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন মন্তব্য করে তিনি জানান, তারা এখন তাদের অবৈধ পথে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করছে।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
গণমানুষের দাবি
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসাকে দেশের গণমানুষের দাবি আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, সরকারকে এই দাবি মেনে নিতেই হবে।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার গণদাবি অস্বীকার করলে সরকারকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে প্রায় দুই মাস ধরে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে আন্দোলন করছি আমরা। সারাদেশে অনেক সমাবেশ করেছি আমরা এবং সেসব কর্মসূচি থেকে লাখ লাখ মানুষ তার (খালেদা জিয়ার) মুক্তির স্লোগান দিয়েছে।
এসময় খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
ইসি নিয়ে সংলাপে অংশ নেবে না জেএসডি
‘অর্থহীন’ আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে চলমান সংলাপে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আ স ম আবদুর রবের নেতৃত্বাধীন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।
শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সভাপতি আ স ম আবদুর রব এ ঘোষণা দেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন গঠন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমাধান নয়। সঙ্গত কারণেই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল সংলাপে অংশ নিচ্ছে না।’
রব বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা ও দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন কমিশনের ওপর নয়, 'জাতীয় সরকার' গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সংলাপ হতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংবিধানের চেতনা ও সংকল্পের প্রতিনিধিত্ব না করায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের এবং পুরনো মামলায় আবারও গ্রেপ্তার শুরু করেছে। তাই শুধু নির্বাচন কমিশন গঠনই নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা নয়।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসলামী ফ্রন্ট ও জমিয়তে উলামায়ের বৈঠক
সোমবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেয়ার কথা ছিল জেএসডি (রব)।
জ্যেষ্ঠ এই নেতার অভিযোগ, ‘নির্বাচন প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি, সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। যারা সংবিধান লঙ্ঘন করেছে তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
বর্তমান নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই পক্ষপাতমূলক আচরণের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
জাসদ সভাপতি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অপসারণ চেয়ে ২০১৯ সালে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দলীয় সরকারের অধীনে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সুতরাং, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নিশ্চয়তা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে আমরা ইতোমধ্যে জাতীয় সরকারের প্রস্তাবনা পেশ করেছি। ’
গত ২০ ডিসেম্বর নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যেই বঙ্গভবনে ২৮টি দলকে আলোচনায় যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: ৩ দফা দাবি গণফোরাম ও বিকল্পধারার
এর আগে বিএনপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) আলোচনায় না আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি।
সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সংলাপ বর্জন করলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না: গণ ফ্রন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে। তাই ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় বিধান মোতাবেক ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হল।
একই সাথে ৪ জনের অধিক ব্যাক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বেগম জিয়ার কিছু হলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া এখন বিএনপি এবং তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের যদি কোনো হানি হয় তাহলে বিএনপি নেতারাই আসামি হবেন।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারের সবাই আসামি হবে’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
বুধবার বিএনপি’র গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপি গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, পারে নাই। তারা ৫শ’ ভোট কেন্দ্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। পাঁচশ’ স্কুলের ভোট কেন্দ্রে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বিতরণের জন্য যে বই সংরক্ষিত ছিল সেগুলোও জ্বালিয়ে দিয়েছিল। ঐ দিন তারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চেয়েছিল, যাতে নির্বাচন না হয়। নির্বাচন না হওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে একটি গণতন্ত্রহীন পরিবেশ তৈরি হয় এবং অন্যকিছু ঘটে, তারা সেই চেষ্টা করেছিলো কিন্তু সফল হয়নি।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হলে দায় বিএনপিরই: তথ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্র হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। জিয়াউর রহমান বন্দুকের নল উঁচিয়ে মানুষের লাশের ওপর দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল, মানুষের লাশের ওপর দিয়েই ক্ষমতায় টিকে ছিল।’
বিএনপি’র বুধবারের মানববন্ধনসহ বিভিন্ন সমাবেশে নিজেদের মধ্যে মারামারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মির্জা ফখরুলের মতো মহাসচিবের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জাকর যে তার সামনে নেতাকর্মীদের মারামারি, বাকবিতণ্ডা হয় এবং তা থামানোর জন্য তাকে উচ্চস্বরে চিৎকার করতে হয়। এটি বিএনপির জন্য সত্যিই লজ্জাকর এবং যারা নিজেদের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, একটি সমাবেশের শৃঙ্খলা রাখতে পারে না, সারাদেশে সমাবেশ করতে গিয়ে নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, তারা কিভাবে দেশ চালাবার স্বপ্ন দেখে, এটিই হচ্ছে প্রশ্ন।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যে চিঠি গ্রহণ করেছে, সেটি ভালো দিক। আমি আশা করবো বিএনপি সংলাপে অংশগ্রহণ করবে। তাদের যে ওজর আপত্তি কিংবা সংলাপ প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের যে প্রশ্ন সেগুলো তারা সেখানে বলে আসতে পারে। তাহলেই সেটি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের আচরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নিজেদের বিশৃঙ্খলা আড়াল করতে সরকারকে দোষারোপ করছে: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪
চট্টগ্রাম বিএনপির মানবনবন্ধনে নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ ৪৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছ।
বুধবার (০৫ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর জামালখান প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মানববন্ধন পালন করতে গেলে পুলিশের বাঁধা দিলে এ সংর্ঘষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, বিএনপির মানববন্ধন থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপে চার জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফুটপাতে মানববন্ধন করতে একশত জনের অনুমতি নিয়েছিল বিএনপি।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা বক্তব্য দেয়ার সময় রাস্তায় বসে পড়েন, এতে যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তা ছেড়ে ফুটপাতে উঠার অনুরোধ করেন। এসময় তারা রাস্তা না ছেড়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে বিএনপির কর্মীরা।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
কক্সবাজারে বিএনপি-যুবলীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে দ্বিতীয় দফায় ৮ জানুয়ারি থেকে আরও ৪০টি সাংগঠনিক জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি জানানো হয়।
কর্মসূচি অনুযায়ী, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ৮, ১২, ১৫, ১৭, ২২ ও ২৪ জানুয়ারি ছয়দিন ধরে সমাবেশ করবে দলটি।
আগামী ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবে দলটি।
অন্যান্য জেলার মধ্যে রয়েছে- রাজশাহী, চাঁদপুর, রংপুর, বরিশাল দক্ষিণ, খুলনা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ, সিলেট, নীলফামারী, ফেনী, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, বরগুনা, শেরপুর, বাগেরহাট, রাঙামাটি, নেত্রকোণা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজবাড়ী, নড়াইল, পিরোজপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ দক্ষিণ, নাটোর, বরিশাল উত্তর, চট্টগ্রাম উত্তর, সৈয়দপুর, শরীয়তপুর, ময়মনসিংহ উত্তর, ঝালকাঠি, মাগুরা, মাদারীপুর, বান্দরবান, মৌলভীবাজার ও পঞ্চগড়।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান ও দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ সিনিয়র নেতারা বক্তব্য দেবেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
প্রথম দফায় একই দাবিতে ২২ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩২টি জেলায় সমাবেশ করেছে দলটি।
এর আগে সারাদেশে মানববন্ধন, গণঅনশন, সমাবেশ ও ডিসি অফিসে স্মারকলিপি দিয়েছে বিএনপি।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিএনপি ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বার বার খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন ও আহ্বান জানানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তবে কয়েকজন মন্ত্রী বলছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাগারে ফিরে নতুন আবেদন না করা পর্যন্ত তার বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আইনগত সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অভাবে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামির অভিযোগ আনা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেনেশুনে পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হত্যার চক্রান্ত করছে। তারা আমাদের নেত্রীকে হত্যা করতে চায়।’
২০১৪ সালের এই দিনে অনুষ্ঠিত ‘একতরফা’ দশম সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি শাখা আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের নিয়েই বিএনপির রাজনীতি: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, দলমত নির্বিশেষে মানুষ যখন খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে চায়, তখন বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যেতে দিচ্ছেন না।
বিএনপি নেতা বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি উন্নত চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তাদের প্রত্যেককে (সরকারের) হত্যা মামলার আসামি করে বিচার করা হবে।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাজনীতি ও বিএনপি প্রধানকে অপসারণের নীলনকশা' হিসেবে 'মিথ্যা' মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে গণতন্ত্র ‘পুনরুদ্ধার’ হবে: বিএনপি
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
বিএনপি নেতা বলেন, চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়াকে এখনই বিদেশে পাঠানো জরুরি, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা আইনের অজুহাতে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। মানুষের জীবনের চেয়ে কোনো আইন বড় হতে পারে না।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশ, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে অবিলম্বে খালেদাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: ইসি নিয়ে সংলাপ: যাবে না বিএনপি
ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্রলীগের সমাবেশ চলাকালে জসিমউদ্দিন হল ও ঢাকা কলেজের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশে সামনে থাকা নিয়ে তারা প্রথমে হাতাহাতি করে এবং পরে বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে গেলে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আহত হন।
আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে সেখানকার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মিশে আছে ছাত্রলীগ: খাদ্যমন্ত্রী
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ৮১ বছরের পুরনো স্কুলের নাম পরিবর্তনের অভিযোগ