রাজনীতি
ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড: নাহিয়ান খান
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, করোনা, বন্যা প্রাকৃতিক যে কোন দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে রয়েছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানগার্ড। এই ভ্যানগার্ড সদস্যদের কারণে দলের বদনাম হয় এমন কিছু করা যাবে না।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মাদকের সাথে সম্পর্ক আছে এমন কেউ ছাত্রলীগের রাজনীতি করতে পারবেন না বলেও ছাত্রলীগ সভাপতি এ সময় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কোরাইশী সুমন, সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ফুয়াদ রহমান খান, তিলোত্তমা শিকদার, কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ইমরান জমাদ্দার, উপপ্রচার সম্পাদক রায়হান রনিসহ জেলা ছাত্রলীগ ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের প্রতি কর্মীদের আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
বিএনপি নেতাদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'মির্জা ফখরুলদের ওপর কর্মীদেরই আস্থা নেই, বিএনপির কর্মীদের দ্বারাই তারা প্রচন্ডভাবে সমালোচিত। যে দলের এই অবস্থা, সেই দলের মহাসচিব হুইসেল বাজালেই আন্দোলনে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে, এমন বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপি কোন একটা অনুষ্ঠান করতে গেলে নিজেরাই মারামারি করে সে অনুষ্ঠান পন্ড করে দেয়।'
শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের গণআন্দোলনের ডাক নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'উনার বক্তব্যে মনে হচ্ছে উনি কিংবা সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হুইসেল বাজাবেন, তাহলেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বে। আসলে মির্জা ফখরুল সাহেব যে জেগে জেগে স্বপ্ন দেখেন এবং প্রতিনিয়ত অবান্তর কথা বলেন, এই বক্তব্য সেটিরই হাস্যকর বহিঃপ্রকাশ।'
আরও পড়ুন: ফখরুল সাহেবের মুখে গণআন্দোলনের ডাক শোভা পায় না: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক কেন্দ্র। কারণ এখান থেকেই ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। পরে ২৭ মার্চ আওয়ামী লীগ নেতারা একজন সেনা অফিসারকে দিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমানকে খুঁজে বের করে। পরে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচারে ব্যবহৃত কালুরঘাটের সেই ট্রান্সমিটারটি এখন চট্টগ্রাম পুরনো সার্কিট হাউসে রাখা হয়েছে। এটি কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীনতা পার্কে ছোট্ট জাদুঘর করে সেখানে রাখা হবে।'
রেডিও যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছে, একইভাবে দেশ গঠনেও অনন্য ভূমিকা পালন করে চলেছে, বলেন তথ্যমন্ত্রী। বেতার যাতে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে আরও জোরালো ভুমিকা রাখতে পারে সেজন্য এর উন্নয়নে অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেতারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস, আঞ্চলিক পরিচালক এস এম মোস্তফা সরোয়ার, উপবার্তা নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
মির্জা ফখরুল কি জিয়ার লাশ দেখেছেন: তথ্যমন্ত্রী
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ফখরুলের
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচন হবে না যেখানে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে না। নির্বাচন অবশ্যই একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে এবং এটি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন দ্বারা পরিচালিত হতে হবে।’
শনিবার জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগে সরকারকে খালেদা জিয়া এবং অন্যান্য সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করতে হবে এবং ৩৫ লাখ বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায়, দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় টিকে থাকতে আ’লীগ আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করছে: ফখরুল
ফখরুল সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আপনি (সরকার) নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন গঠনের কথা বলছেন ... আপনি যদি সংসদে আপনার নিজের সুবিধার জন্য একতরফা আইন পাস করেন এবং এর অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন, তাহলে মানুষ তা গ্রহণ করবে না।’
বিএনপি নেতার অভিযোগ, ‘সরকার সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে রাজনীতিকরণ করেছে। আপনি (সরকার) বিচার বিভাগ, প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রাজনীতিকরণ করছেন। এমনকি, আপনি সেনাবাহিনীকেও রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছেন। আমরা এখন স্বাধীনভাবে বলতে ও লিখতে পারি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সাংবাদিকরাও এখন ভয় ছাড়া কিছু লিখতে পারছেন না। কারণ তাদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ যারা দীর্ঘ যুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করেছে তারা কখনই স্বৈরাচারী ও একদলীয় শাসন মেনে নেবে না।’
আরও পড়ুন: আমলারা দেশ চালাচ্ছেন: মির্জা ফখরুল
ফখরুল গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য জোরালো আন্দোলন করার জন্য মহিলা দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করার জন্য এক দফা আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার জন্য একটি শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টা করছি। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে একজন দেবদূতের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও আমরা কোনো সুবিধা পাব না।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ
কুমিল্লা-৭ উপনির্বাচন: আ’লীগের মনোনয়ন পেলেন ডা. প্রাণ গোপাল
কুমিল্লা-৭ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোয়ন পেয়েছেন ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। আগামী ৮ অক্টোবর এই আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের দলীয় সাংসদ অধ্যাপক আলী আশরাফ গত ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করলে এই আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী এই আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল ১৩ সেপ্টেম্বর, যাচাই-বাছাই ১৪ সেপ্টেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৯ সেপ্টেম্বর।
শনিবার আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় ডা. প্রাণকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
ক্ষমতায় টিকে থাকতে আ’লীগ আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করছে: ফখরুল
জিয়ার মরণোত্তর বিচার হতেই হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মানবাধিকার ইস্যুতে আপস করবে না জাপা: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বুধবার বলেছেন, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ইস্যুতে তাদের দল আপস করবে না।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মূল রাজনীতি হলো সুশাসন নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: জীবন বাঁচাতে ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের বিকল্প নেই: জিএম কাদের
জাতীয় পার্টির প্রধান বলেন, তাদের দল একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য কাজ অব্যাহত রাখবে যেটা কিনা জনগণের আস্থা ও ভালোবাসায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা এইচ এম এরশাদ স্বপ্ন দেখেছিলেন।
সংসদে ডেপুটি বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, ‘এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ে জাতীয় পার্টির শাসনামলে মানুষ আরও ভালো মৌলিক অধিকার ভোগ করেছে। সাধারণ মানুষ এখনও বলছে এরশাদের শাসনামলে তারা আরও ভালো অবস্থায় ছিল।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ আবারও জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতের বাজেট লুট হচ্ছে: জিএম কাদের
এসময় জাতীয় পার্টি নেতা -কর্মীদের ক্ষমতায় ফেরার পথ সুগম করতে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান কাদের।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মেজর (অব) রানা মোহাম্মদ সোহেল, পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হেনা খান পন্নী, দলের দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান এবং যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম তার কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা প্রমুখ।
ক্ষমতায় টিকে থাকতে আ’লীগ আমলাতন্ত্রকে ব্যবহার করছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,‘ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আমলাতন্ত্রকে 'যথেচ্ছভাবে' ব্যবহার করছে। কারণ দলটি রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে, আমলাতন্ত্র এখন 'আমলা লীগ' হয়ে গেছে।’
বুধবার ঠাকুরগাঁও শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির জেলা শাখার বর্ধিত সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
তিনি অভিযোগ করেন, ‘ক্ষমতাসীন দল দীর্ঘদিন ধরে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনমূলক কর্মকাণ্ড দিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে 'ব্যবহার' করে তাদের বিরুদ্ধে 'মিথ্যা' মামলা দায়ের করছে। তারা (সরকার) তাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
ফখরুল বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে ৩৫ লাখ বিরোধী নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা অকল্পনীয়। কিন্তু বর্তমান সরকার এটা করেছে তার বিরোধীদের নির্মূল করতে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের মিটিং এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ‘মিথ্যা মামলায়’ জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। কারণ আড়ালে সরকার একদলীয় শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তি বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ
ফখরুল সরকারকে পদত্যাগ করে বিরোধী নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং তাদের হয়রানি বন্ধ করে একটি বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সরকারকে অবশ্যই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে নির্বাচন করতে হবে।’
ফখরুল বলেন, ‘সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: জিয়ার কবর সরালে পরিণতি হবে ভয়াবহ: বিএনপি
তিনি একটি শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সরকারকে বাধ্য করতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি এলডিপি প্রধানের
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমেদ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াত নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এই দাবি জানান।
এলডিপি নেতা বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকার প্রতিশোধের মনোভাব থেকে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ সিনিয়র নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এটি একটি বেআইনি কাজ।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
তিনি বলেন, জামায়াতের নেতারা একটি বাসায় বসে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের দলের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করছেন। এতে দোষের কিছু নেই।
অলি বলেন, এটা দুঃখজনক যে বর্তমান সরকার দেশে ‘একদলীয় স্বৈরাচারী’ শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। সব ধরনের অন্যায়ের পরিণতি কখনই ভালো হতে পারে না। আমি আশা করি সরকার ঘটনাটি অনুধাবন করবে এবং অবিলম্বে গ্রেপ্তার জামায়াত নেতারাসহ তাদের মহাসচিবকে মুক্তি দেবে।
সোমবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ গোলাম পরওয়ারসহ জামায়াতের আট নেতাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপির সংঘর্ষ, আটক ৭
পরে তাদের রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড সংগঠিত এবং ষড়যন্ত্র করার অপরাধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
যদিও জামায়াত এর অন্যতম প্রধান অংশীদার, ২০ দল বা বিএনপি কেউই জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মুক্তির জন্য সরাসরি কোন বিবৃতি দেয়নি।
মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিরোধী দলের নেতাদের গ্রেপ্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং তাদের মুক্তির দাবি করে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি অবশ্য বিবৃতিতে জামায়াতের নাম বা গ্রেপ্তার নেতাদের নাম উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতা মামলায় বিএনপির ১৫ নেতার জামিন
ওই বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে পাগল হয়ে গেছে।
তিনি বিএনপি এবং অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা 'বানোয়াট' মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আবেদনে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবারের করা আবেদনের বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইউএনবিকে বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি ফাইল পাঠিয়েছে তাঁর আইনি মতামত চেয়ে। আমরা এই বিষয়ে আমাদের মতামত দিয়েছি এবং ফাইলটি আজ সকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠিয়েছি।স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন ফাইলটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে।’
তবে কী মতামত দিয়েছেন, আইনমন্ত্রী তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবার তাঁর শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানোর এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জমা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদাকে অপরাধ স্বীকার করে, ক্ষমা চেয়ে বিদেশে যেতে হবে: আইনমন্ত্রী
এব্যাপারে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘যেহেতু খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের স্থগিতাদেশ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলছে, তাই তাঁর পরিবার এর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে। বিএনপি প্রধানের পরিবার দাবি করেছে যে কোভিড-পরবর্তী জটিলতার কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তাঁরা আবার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারের অনুমতি চেয়েছে।’
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকার গত বছরের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য কারাগার থেকে মুক্তি দেয়। সরকার গত বছরের ২৭ আগস্ট তাঁর মুক্তি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়িয়েছিল এবং গত ১৫ মার্চ এটি আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছিল।
১০ এপ্রিল পরীক্ষায় খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয় এবং ২৭ এপ্রিল তাকে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা-পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য তিনি সেখানে ১৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা নেন। ৫ মে তাঁর পরিবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল, কিন্তু সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিল যে একজন দণ্ডিত ব্যক্তি এ ধরনের সুযোগ পেতে পারে না।
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন না খালেদা জিয়া: আইনমন্ত্রী
খালেদা জিয়া: বিদেশ নেবার অনুমতি দেয়নি সরকার
সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বান বিএনপির
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ৯০ দশকের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলন শুরু করার বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রধান কাজ এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এটা সম্ভব হবে না। সুতরাং, গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে আমাদের অবশ্যই এই স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থাকে উৎখাত করতে হবে।’
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় খন্দকার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ভিন্ন মত ও মতাদর্শ আছে।’ কিন্তু তিনি মনে করেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে তাদের মতভেদ নেই। কারণ জনগণ তা থেকে মুক্তি পেতে চায়। সুতরাং, আসুন আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম গঠন করি অথবা এই সরকারের পতন নিশ্চিত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একযোগে আন্দোলন শুরু করি। এটা এখন সময়ের দাবি। আমাদের অতীতেও এমন আন্দোলন করার ইতিহাস রয়েছে (এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে)।
আরও পড়ুন: সরকারকে ‘ক্ষমতাচ্যুত’ করতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চান ড. কামাল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, ‘বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এখন একটিই লক্ষ্য থাকা উচিত- বর্তমান 'স্বৈরাচারী' সরকারের হাত থেকে মানুষকে মুক্ত করা। আমরা কি এই ইস্যুতে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারি না? জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে 'নির্মমভাবে বিকৃত' করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং সত্যকে চাপা দেয়ার জন্য বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা এবং তার কবর ও মৃতদেহ নিয়ে 'মিথ্যা' মন্তব্য করছে।
‘আমরা বিশ্বাস করি যে দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক চর্চা থাকলে কোন সরকার, দল এবং ব্যক্তি এইভাবে ইতিহাস বিকৃত করতে পারে না’, বিএনপি নেতা বলেন।
অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ঐতিহাসিক সত্যকে দমন করার যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা জিয়াউর রহমানকে কেন্দ্র করে একটি বিতর্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন, যাতে দেশের বাস্তব সমস্যা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে সরিয়ে নেয়া যায়।
আরও পড়ুন: সরকার হটাতে শক্তিশালী জোট চান ফখরুল
ভবিষ্যত প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে সরকার: বিএনপি
ছাত্রলীগ সভাপতিকে নিজ উপজেলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুশিয়ারি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে তার নিজ উপজেলা বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণার হুশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।
১নং বীর শ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস.এম. তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সোমবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে এই হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইয়াবাসহ বানিয়াচঙ্গ ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
সমাবেশে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি হয়ে সংগঠন বিরোধী কাজ করছেন আল নাহিয়ান খান জয়। তার চাচাতো ভাই কামরুল হাসান হিমু বিএনপির নেতা। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় তার চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা কামরুল হাসান হিমুর পক্ষে সহযোগীতা করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হত্যার জন্য একের পর এক হামলার পরিকল্পনায় জয় তার চাচাতো ভাইকে সাহায্য করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ সভাপতি-সম্পাদকের অপসারণ দুর্নীতির প্রমাণ: বিএনপি
জয়ের বাসা থেকেই আওয়ামী লীগ নিধনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বপন বলেন, ‘আপনার ঘর থেকে আওয়ামী লীগ নিধনের যে ষড়যন্ত্র চলছে সেগুলোকে আপনি প্রতিহত করুন। তা যদি আপনি না করেন তাহলে আপনার উপজেলা থেকেই কিন্তু আপনার বিরুদ্ধে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করবো। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি এই ষড়যন্ত্র বন্ধ না করেন তাহলে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।’
এসময় তিনি সাবেক চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম তারেককে হত্যা প্রচেষ্টার সাথে জড়িত সকলের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
সভায় সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, ‘জয়ের নির্দেশে তার চাচাতো ভাই বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান কামরুল হাসান হিমুর সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। আমাকে হত্যার জন্য মজিদ সরদার ও আজহার হোসেন মনুসহ ছয়জনকে বাড়িতে পাঠিয়েছিল। কিন্তু হামলার পূর্বেই তাদের ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে থানায় সপোর্দ করলে জিজ্ঞাসাবাদে তারা চেয়ারম্যান হিমুর লোক বলে স্বীকার করে।’
আরও পড়ুন: পিস্তল ও ইয়াবাসহ ভাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
সমাবেশে আগে বিক্ষোভ মিছিল বাবুগঞ্জ আ’লীগ কার্যালয় থেকে শুরু করে বাবুগঞ্জ থানার সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মোঃ আক্তারুজ্জামান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ, মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দেলোয়ার রাড়ি, জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের সভাপতি ইউসূফ খানসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা।