%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত
বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে চায় ভারত।
সোমবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়ী সংগঠন ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা জানান ভারত চেম্বার অব কমার্সের নেতারা।
বিডা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়াঁ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জ্বালানি ও বন্দর খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী সৌদি আরব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সভায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিনিয়োগের বিভিন্ন খাত, বিনিয়োগ সুযোগ-সুবিধা এবং বিডা’র সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন বিডা’র মহাপরিচালক জনাব শাহ মোহম্মদ মাহাবুব।
এ সময়ে সভাপতির বক্তব্যে, বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, গত একযুগে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, দারুণ সফলভাবে কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের অন্যতম সেরা গন্তব্যে পরিণত করেছে। বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের বৃহৎ এবং ক্রমবর্ধমান বাজার এবং আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণির সংখ্যা ও দিন দিন বাড়ছে।
এছাড়াও আমরা ইতোমধ্য ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল, ২৭টি হাইটেক পার্ক স্থাপনসহ নানাবিধ বিনিয়োগের ক্ষেত্র সম্প্রসারণ কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।
যার ফলে বাংলাদেশ এক দশক পরেই একটি উচ্চ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হবে, তাই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার এখনই সেরা সময়।
এসময়ে ভারত চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট এন জি খইতান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ভারত বাংলাদেশ সবসময়ে বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। গত দশ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে পড়ার মত, ভারতীয় বিনীয়গকারীগণ সব সময়েই বাংলাদেশের এই উন্নয়নের সহযোগী হতে আগ্রহী।
সভায় ভারত চেম্বার অব কমার্সের সেক্রেটারি অভিক রয় বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রগুলো যাচাইয়ের জন্য আমরা চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছি।
এছাড়া বিনিয়োগের জন্য বিভিন্ন খাত যাচাই করব। আমাদের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনয়োগ করতে আগ্রহী।
এ সময়ে বিডা’র উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির প্রকোপ কমলে বাংলাদেশে বিনিয়োগ আরও বাড়বে: পিটার হাস
পর্তুগালের এআইসিইপি’র সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সমঝোতা স্মারক সই করল ইপিবি
৪৮টি পদে ঢাকা কাস্টম হাউজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কাস্টম হাউস, ঢাকা একাধিক পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এ প্রতিষ্ঠানে ১১টি ক্যাটাগরির পদে ১২ থেকে ২০ শ্রেণি পর্যন্ত ৪৮ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পিএসসির নন-ক্যাডারে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: ২৯৫৩ শূন্য পদে চাকরি
১. পদের নাম: পরিসংখ্যান গবেষক
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত/পরিসংখ্যান/অর্থনীতিতে দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি (সম্মান) বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি।
বেতন স্কেল: ১১,৩০০ টাকা থেকে ২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: টাইপিস্ট কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএ সহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া কম্পিউটারে দক্ষতা এবং ন্যূনতম ট্রান্সক্রিপশন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৮০ শব্দ এবং বাংলায় ৫০।
এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: সিনিয়র সহকারী
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়।
কম্পিউটার দক্ষতা এবং ন্যূনতম কম্পিউটার টাইপিং গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: ক্যাশিয়ার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদ সংখ্যা: দুই
যোগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি বা সিজিপিএসহ দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়। কম্পিউটার দক্ষতা এবং ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৭০ শব্দ এবং বাংলায় ৪৫ শব্দের ন্যূনতম প্রতিলিপি গতি; কম্পিউটার টাইপিংয়ের সর্বনিম্ন গতি ইংরেজিতে প্রতি মিনিটে ৩০ শব্দ এবং বাংলায় ২৫ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম: অফিস ক্লার্ক কাম কম্পিউটার টাইপিস্ট
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগ বা সমমানের জিপিএসহ এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটার দক্ষতা এবং কম্পিউটার টাইপিংয়ের ন্যূনতম গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজিতে ২০ শব্দ এবং বাংলায় ২০ শব্দ হতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৬. পদের নাম: ড্রাইভার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পাস। হালকা গাড়ি চালানোর বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহন অভিজ্ঞ চালকদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
৭. পদের নাম: টেলিফোন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। সংশ্লিষ্ট কাজে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০ থেকে ২২,৪৯০ (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুন: নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি: বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৬৯ পদে বেসামরিক লোকবল নিয়োগ দেবে
৮. পদের নাম: সিপাহী
পদ সংখ্যা: ৩৫
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। পুরুষদের জন্য উচ্চতা নূন্যতম পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি, মহিলাদের জন্য ন্যূনতম পাঁচ ফুট দুই ইঞ্চি। বুকের মাপ সর্বনিম্ন ৩০ থেকে ৩২ ইঞ্চি (উভয় ক্ষেত্রেই)।
বেতন স্কেল: ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ (গ্রেড-১৭)
৯. পদের নাম: ডেসপ্যাচ রাইডার
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: দ্বিতীয় বিভাগের সমমানের জিপিএ সহ এসএসসি বা সমমানের পাস। মোটরসাইকেল চালানোর জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা বৈধ লাইসেন্সধারী হতে হবে। কম্পিউটারে দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১০. পদের নাম: নকল মেশিন অপারেটর
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। নকল পরিচালনায় দুই বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৮,৮০০ থেকে ২১,৩১০ (গ্রেড-১৮)
১১. পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদ সংখ্যা: এক
যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস।
বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ (গ্রেড-২০)
যেসব জেলায় প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন:
মানিকগঞ্জ, চাঁদপুর, ফেনী, জয়পুরহাট এবং গাইবান্ধা ছাড়া সব জেলায় এক থেকে ১০ নম্বরের পদের জন্য।
ঢাকা, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, নোয়াখালী, নওগাঁ ও বরগুনা জেলা ব্যতীত ১১ নম্বর পদের জন্য।
তবে, এতিম ও সকল জেলার শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
বয়স সীমা:
সাধারণ প্রার্থী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, এতিম, আনসার-ভিডিপি প্রার্থী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধ/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধের নাতি-নাতনিদের জন্য ১লা মার্চ ২০২৩ তারিখে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩২ বছর।
যদি আবেদনকারীর বয়স ২৫ মার্চ, ২০২০ তারিখে সর্বোচ্চ বয়সসীমার মধ্যে হয় তবে প্রার্থী আবেদন করার যোগ্য হবেন।
ক্লার্ক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, নিউমিসম্যাটিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার নিউমেরোলজিস্ট পদের জন্য বিভাগীয় প্রার্থীদের মেয়াদ ৪০ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
ঢাকা কাস্টমস চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে কীভাবে আবেদন করবেন:
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http://dch.teletalk.com.bd/) ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হবে।
আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে টেলিটক নম্বর থেকে ১২১ নম্বরে ডায়াল করতে পারেন অথবা [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।
এছাড়া টেলিটকের জব পোর্টালের ফেসবুক পেজে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করতে পারবেন।
মেইল এবং মেসেজের বিষয় উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিষ্ঠান এবং অবস্থানের নাম, ব্যবহারকারী আইডি এবং যোগাযোগ নম্বর। একজন প্রার্থী শুধুমাত্র একটি পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
নিয়োগ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ঢাকা কাস্টম হাউসের ওয়েবসাইটে (https://www.dch.gov.bd/) জানা যাবে।
ঢাকা কাস্টমস হাউসের চাকরির জন্য আবেদন ফি:
অনলাইনে ফর্ম পূরণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে, এক নম্বর পোস্টের জন্য ৩০০ টাকা এবং টেলিটকের ৩৪ টাকা সার্ভিস চার্জ সহ মোট আবেদন ফি ৩৩৪ টাকা।
টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে ২০০ টাকাসহ মোট ২২৩ টাকা এবং দুই থেকে সাত নম্বর পদের জন্য ২৩ টাকা এবং আট থেকে ১১ নম্বরের জন্য ১০০ টাকা এবং টেলিটক সার্ভিস চার্জ টাকা ১২ সহ মোট ২২৩ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: ২৩ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল, বিকাল ৪টা।
আরও পড়ুন: ১৬০ টাকায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেলেন ৯৩ জন
এমএফএসের দৈনিক লেনদেন ৩২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে: বিবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) গড় দৈনিক লেনদেন তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে এবং এটির পরিমাণ ক্রমবর্ধমান।
দেশের ১৩টি এমএফএস -এর তথ্য বিশ্লেষণ করে বিবি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সুবিধাজনক লেনদেনের সুযোগ এবং অর্থ প্রদানের সুবিধার কারণে এমএফএস বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বিবি ১৩টি পরিষেবা প্রদানকারীর তথ্যসহ এমএফএস -এর হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
এতে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম মাসে গ্রাহকরা এক লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। এই সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত মোবাইলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করা লেনদেন।
বিবির প্রাক্তন গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে কোনো ফি নেই। তাৎক্ষণিকভাবে সব জায়গায় টাকা পাঠানো যাবে। একই সঙ্গে কেনাকাটার বিল পরিশোধ, ঋণ সুবিধাসহ অনেক নতুন সেবা যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, এমএফএসের মাধ্যমেও রেমিট্যান্স আসছে। ফলে এমএফএসের প্রতি মানুষের আগ্রহ ও নির্ভরতা বাড়ছে। এই পরিষেবার বহুগুণ ব্যবহারের কারণে গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে।
বিবি’র অনুসারে, মোবাইল ফাইন্যান্স অপারেটর নগদ ছাড়াই জানুয়ারিতে এমএফএস-এর মাধ্যমে গড়ে দৈনিক লেনদেন ছিল তিন হাজার ২৪৫ কোটি টাকা। কারণ নগদ এমএফএস প্রদানকারী হিসেবে বিবি’র আর্থিক প্রতিবেদনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত নয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগ প্রতিবেদন দ্রুত পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে বিবি’র নির্দেশ
যদি নগদ-এর লেনদেন যোগ করা হয়, তাহলে এমএফএস-এর দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ চার হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
বিবি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে যে লেনদেনের ৬০ শতাংশ অর্থ জমা এবং উত্তোলন ছিল এবং ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডিজিটাল পেমেন্ট ছিল ৪০ শতাংশ।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
বর্তমানে, ১৩টি ব্যাংক- বিকাশ, রকেট, ইউ ক্যাশ, মাই ক্যাশ এবং শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা প্রদান করছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারির শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৪১ কোটি। জানুয়ারি পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৫ দশমিক ৬৯ লাখে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে: বিবিএস
রমজানে সামান্য মুনাফা করুন, ব্যবসায়ীদেরকে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী
জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রমজান মাসে সামান্য মুনাফা করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী সাধারণ মানুষকে লোভনীয় বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা না দিয়ে ক্রস চেক এবং কেনাকাটা করার পরামর্শ দেন।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর (ডিএনসিআরপি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুন্সী এসব কথা বলেন।
জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন উৎসবে নানা রকম ছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে, এতে সামান্যই (লাভ) হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে পরিস্থিতি ভিন্ন, সামনে পবিত্র রমজান মাস। একটু বেশি সংযমী হোন। এই মাসে দাম যুক্তিসঙ্গত রাখুন, কম লাভ করুন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার মানবাধিকার। আমরা যখন ভোক্তাদের তাদের সমস্ত অধিকার সম্পর্কে জানাতে পারি, তখন আমাদের অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। ভোক্তাদের সচেতনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রমজানে ডিসিদের কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ সরকারের
টিপু মুনশি রমজানে জনগণকে তাড়াহুড়ো করে পণ্য না কেনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা একবার একটি পণ্য প্রচুর পরিমাণে কিনলে, এটি বাজারকে প্রভাবিত করে এবং তারপরে ব্যবসায়ীরা এটিকে অস্বাভাবিকভাবে দাম বাড়ানোর সুযোগ হিসাবে নেয়।’
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান তার বক্তব্যে বাজারে অসম প্রতিযোগিতা কমাতে সরকারের পদক্ষেপ জোরদার করার পাশাপাশি আইনি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং তা বাস্তবায়নে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান।
এ সময় অনুষ্ঠানে সিনিয়র বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ডিএনসিআরপির মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান, টিসিবি চেয়ারম্যান আরিফুল হাসান, ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রথম মহাপরিচালক আবুল হোসেন মিয়া, প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবসে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন মুনশি।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে।
সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আরও পড়ুন: বেক্সিমকোর সাথে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে যাচ্ছে সরকার
শনিবার বিকালে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের আস্থা তৈরি হয়েছে।
তারা বলছেন যে বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এ যোগ দিতে শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে বিকালে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদি মন্ত্রী।
এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।
বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতি কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে।
আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে।
বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানির হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আরও পড়ুন: মলনুপিরাভির জরুরি বাজারজাতকরণের অনুমোদন পেল বেক্সিমকো ও এসকেএফ
বেক্সিমকোর তৈরি ৬৫ লাখ পিপিইর প্রথম চালান যুক্তরাষ্ট্রে প্রেরণ
বিজনেস সামিট: প্রথম দিনেই সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি ও এমওইউ সই
বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরব ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি চুক্তি এবং ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে এবং রংপুর চিনিকল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে দুটি এমওইউ সই হয়।
অন্যদিকে, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সঙ্গে আরেকটি এমওইউ সই হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিইটি) সঙ্গে একটি এমওইউ সই করেছে।
এফবিসিসিআই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৩ দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের আয়োজন করছে, যা আগামী সোমবার শেষ হবে।
সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড.এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই সামিট; বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস প্রমোশন ইভেন্টে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাজারের সক্ষমতা এবং বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে চায়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনটি জাতীয় ও বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, অনুশীলনকারী, নীতি ও বাজার বিশ্লেষক, একাডেমিয়া এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গে ব্যবসায়-টু-ব্যবসায় নেতাদের মিথস্ক্রিয়া করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
সৌদি আরব, চীন ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব, চীন ও ভুটান বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে জ্বালানি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মুন্সি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, যারা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরব কৃষিভিত্তিক শিল্প ও খাদ্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ভুটানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সমুদ্র ও স্থলবন্দরের নানা সমস্যা দূর করে দ্রুত বাণিজ্য বাড়াতে চায় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মুন্সী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান এবং অর্থনীতি আগের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসছে।’
রবিবার, বিআিইসিসি-এর সামিট সেন্টারে মূল সেক্টর, কনজিউমার গুডস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লং টার্ম ফাইন্যান্স, অ্যাপারেল ও টেক্সটাইল, ডিজিটাল ইকোনমি, এনার্জি সিকিউরিটি, জাপান বাংলাদেশ বিজনেস এবং এগ্রো বিজনেস-এ বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ৯টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর
বিজিএমইএ’র আরও দুটি সবুজ কারখানার স্বীকৃতি ইউএসজিবিসি’র
আদানি প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুত সঞ্চালন শুরু
ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যে আদানির এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলক সরবরাহ শুরু হয়েছে। যদিও বিদ্যুতের শুল্কের সমস্যাগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৮মিনিটে এটি শুরু হয়।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ফেসবুক স্ট্যাটাস অনুযায়ী, পরীক্ষার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে একই সময়ে চালু করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে 'রাষ্ট্রবিরোধী' বিদ্যুৎ চুক্তি বাতিলের দাবি ডা. জাফরুল্লাহর
পিজিসিবি বলেছে, ‘আদানি প্ল্যান্ট থেকে কমবেশি ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নবনির্মিত ট্রান্সমিশন লাইন এবং সাবস্টেশনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের জন্য রাত ৯টায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।’
সংস্থাটি বলেছে যে তারা সীমান্তবর্তী মানকাশা এলাকা থেকে রোহনপুর হয়ে বগুড়া পর্যন্ত ১৩৪ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করেছে। ‘এছাড়াও, বিদ্যুৎ সরানোর সুবিধার্থে বগুড়ায় একটি ৪০০/২৩০কেভি সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের চুক্তি বাতিলের দাবি বিএনপির
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন দারাজ বাংলাদেশের
আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২৩ উদযাপন করল দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড.সুতপা ভট্টাচার্য, ম্যারিকো বাংলাদেশের ডিরেক্টর এইচআর শ্যামল কিশোর এবং ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিস ফাহমিদা।
এবারের উদযাপনের বিশেষত্ব ছিলো প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৬ জন নারী উদ্যোক্তাকে নিয়ে আসে যারা তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য দারাজ বাংলাদেশ অফিস প্রাঙ্গণে আসার সুযোগ পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: দারাজের নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন নিশো ও মেহজাবীন
দারাজ মাস্টারকার্ড ‘সেভ স্পেন্ড অ্যান্ড উইন’ ক্যাম্পেইন ২০২৩ শুরু
দারাজ নিয়ে আসছে বছরের সবচেয়ে বড় সেল ক্যাম্পেইন
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিসিবি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) থেকে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করবে।
এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দুটি ধাপে বিক্রি করা হবে। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কার্ডধারীরা টিসিবির নির্দিষ্ট সেলস পয়েন্ট এবং ডিলারের আউটলেট থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছয়টি পণ্য কিনতে পারবেন।
একজন কার্ডধারী একবারে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, চিনি, ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
কার্ডধারীরা প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটারে কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
বাংলাদেশ বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২-২০২৩ অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই) ৭৪ দশমিক চারে এ দাঁড়িয়েছে। এটি পরবর্তী ছয় মাসের ব্যবসায়িক অবস্থার জন্য একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ইঙ্গিত
বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সংস্থাগুলো নিশ্চিত যে আগামী ছয় মাসে উৎপাদন খাতের জন্য অর্ডারের পরিমাণ, পরিষেবা খাতে পরিষেবার চাহিদা, বিক্রয় মূল্য এবং ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বাড়বে।
ফলস্বরূপ, ব্যবসাগুলো একই সময়ের মধ্যে তাদের কর্মসংস্থান এবং বিনিয়োগ প্রসারিত করতে ইচ্ছুক।
এছাড়া, ব্যবসায়িক সত্তা, বিশেষ করে উৎপাদন খাতে, খরচের প্রতি কম আস্থা রয়েছে, যা বিদ্যুৎ,পানি, গ্যাস, ভাড়া এবং উপকরণের খরচসহ ব্যবসার খরচের বোঝা মোকাবিলায় অবিলম্বে পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
রবিবার ঢাকার একটি হোটেলে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) এবং ইউএসএআইডি-র অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটি যৌথভাবে ‘৫ম বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে রিপোর্ট ২০২২’ চালু করেছে।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২- আগস্ট ২০২২) বিদ্যমান ব্যবসায়িক অবস্থা বিশ্লেষণ করতে এবং পরবর্তী ছয় মাসের জন্য (ডিসেম্বর ২০২২ –জুন ২০২৩) অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে টার্নিং পয়েন্টের পূর্বাভাস দেয়ার জন্য ৫৬৭টি ব্যবসায়িক সংস্থাকে কভার করে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর ২০২২-এর মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ঝুঁকি কমানোর জন্য ব্যবসাগুলোকে প্রস্তুত করতে এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে সক্ষম করা।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ৫ম বিজনেস কনফিডেন্স জরিপ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এতে অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পরিসংখ্যান অধিদপ্তরের সুপারিশকৃত সামঞ্জস্যপূর্ণ ব্যবসায়িক আস্থা জরিপের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে নিউইয়র্কে বিসিআইইউয়ের বাণিজ্যবিষয়ক বৈঠক
তিনি বলেন, ‘আমরা জেনে আনন্দিত যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশ বর্তমানে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে তা সত্ত্বেও ব্যবসায়িক অবস্থার একটি আশাবাদী ধারণা দিয়েছে বিল্ড পরিচালিত সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা সূচক (বিসিআই)।’
‘জরিপের অন্যান্য স্কোরগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং উদীয়মান ব্যবসায়িক আত্মবিশ্বাসের কিছু দৃশ্যমান পুনরুদ্ধার দেখায়৷
এছাড়াও, আগামী ছয় মাসে ব্যয়ের আস্থা ২২ দশমিক চার-এর মতো নিচে নেমে গেছে এবং সরকারকে অবশ্যই আর্থিক ও আর্থিক ব্যবস্থায় এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে৷’
বিল্ডের সিইও ফেরদৌস আরা বেগম বলেন, বিসিআই-এর সাতটি উপাদানের মধ্যে ছয়টি বিষয়, যেমন, কর্মসংস্থান, সেবার চাহিদা, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ, বিক্রয়মূল্য এবং বিনিয়োগের অনুভূতির উন্নতির কারণে বিসিআই-এর ঊর্ধ্বমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে।
সাতটি উপাদানের মধ্যে কেবলমাত্র সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচকটি একটি হতাশাবাদী প্রদান করে। এই গবেষণায় ৫০ এর মধ্যবিন্দুর সঙ্গে শূন্য থেকে ১০০ পর্যন্ত বিস্তৃতি সূচক যেখানে ৫০ এর কম মানে সংকোচন বা কম আশাবাদ এবং ৫০ এর বেশি মানে সম্প্রসারণ বা আশাবাদ।
গত ছয় মাসে (মার্চ ২০২২ - আগস্ট ২০২২) সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় সূচক ৩৫ দশমিক আট-এ দাঁড়িয়েছে এবং পরবর্তী ছয় মাসে (ডিসেম্বর ২০২২ - জুন ২০২৩) ২২ দশমিক চার -এ পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সমীক্ষায় প্রায় 72 শতাংশ ব্যবসায়িক সংস্থা জানিয়েছে যে আগামী ছয় মাসে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ব্যয় বাড়বে।
বাংলাদেশ, ভুটান এবং নেপালের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স কর্পোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মার্টিন হোল্টম্যান বলেছেন, ‘ব্যবসায়িক আস্থার সমীক্ষা হলো ব্যবসাগুলো কেমন চলছে তার সংক্ষিপ্ত সূচক। এটি বাংলাদেশের সামগ্রিক ব্যবসার অবস্থার একটি পৃথক পরিমাপ।’
‘বিসিএস হলো সকালের কয়েকটি চিহ্ন। আমরা আশা করি যে এই লক্ষণগুলো ব্যবসায়িকদের সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। তবে, স্থিতাবস্থার পক্ষপাতিত্বের বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আমাদের প্রবণতাগুলো দেখতে হবে। আমাদের কণ্ঠস্বরহীনদের কথা বলতে হবে। এই ক্ষেত্রে, তারা সিএমএসএমই, বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তা। এটা ভালোভাবে স্বীকৃত যে বাংলাদেশ প্রতিটি সূচকে ভালো করছে।’
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সমীর সাত্তার বলেন, বিজনেস কনফিডেন্স সার্ভে ২০২২-২৩ থেকে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উঠে এসেছে।
‘এই সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আমাদের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় আস্থা এবং স্থিতিস্থাপকতা দেখাচ্ছে। সরকারকে বিবেচনা করতে হবে এমন একটি প্রধান সুপারিশ হলো যে ব্যবসা করার খরচ কমানো দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সিএমএসএমইগুলো একাধিক সমস্যায় ভুগছে৷ সিএমএসএমইগুলোর জন্য অর্থ পাওয়া অন্যতম চ্যালেঞ্জ৷ আমরা সিএমএসএমই বিভাগ থেকে মাধ্যমটিকে সরানোর সুপারিশ করব৷ একটি ধারণা হলো যে এই সমীক্ষাটি আরও অন্তর্ভুক্ত হতে পারে৷ আরও কোম্পানি এবং সেক্টরকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন৷ জরিপটিকে আরও অন্তর্ভুক্ত করুন।’
আরও পড়ুন: বিসিআই সভাপতি হিসেবে আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পুননির্বাচিত