বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর উদ্বোধনী দিনে শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরব ও চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ একটি চুক্তি এবং ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) ভিত্তিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের জন্য সৌদি কোম্পানির সঙ্গে একটি চুক্তি সই হয়েছে এবং রংপুর চিনিকল ও পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনালের উন্নয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে দুটি এমওইউ সই হয়।
অন্যদিকে, অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের সঙ্গে আরেকটি এমওইউ সই হয়।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) চীন কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (সিসিপিইটি) সঙ্গে একটি এমওইউ সই করেছে।
এফবিসিসিআই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ৩ দিনব্যাপী বিজনেস সামিটের আয়োজন করছে, যা আগামী সোমবার শেষ হবে।
সামিটের কারিগরি উপদেষ্টা ড.এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই সামিট; বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ বিজনেস প্রমোশন ইভেন্টে পরিণত হওয়ার পরিকল্পনা করে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাজারের সক্ষমতা এবং বাংলাদেশে সুনির্দিষ্ট বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরতে চায়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়িক আস্থা সমীক্ষা: ব্যবসাগুলো সম্প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখছে
তিনি বলেন, শীর্ষ সম্মেলনটি জাতীয় ও বৈশ্বিক ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী, নীতিনির্ধারক, অনুশীলনকারী, নীতি ও বাজার বিশ্লেষক, একাডেমিয়া এবং উদ্ভাবকদের সঙ্গে ব্যবসায়-টু-ব্যবসায় নেতাদের মিথস্ক্রিয়া করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
সৌদি আরব, চীন ও ভুটানের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সৌদি আরব, চীন ও ভুটান বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে জ্বালানি, কৃষিভিত্তিক শিল্প, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
মুন্সি আরও বলেন, চীন বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, সৌদি আরব একটি বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ, যারা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ ছাড়া সৌদি আরব কৃষিভিত্তিক শিল্প ও খাদ্য খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
ভুটানও বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। এ জন্য তারা সমুদ্র ও স্থলবন্দরের নানা সমস্যা দূর করে দ্রুত বাণিজ্য বাড়াতে চায় বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মুন্সী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান এবং অর্থনীতি আগের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে আসছে।’
রবিবার, বিআিইসিসি-এর সামিট সেন্টারে মূল সেক্টর, কনজিউমার গুডস, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, লং টার্ম ফাইন্যান্স, অ্যাপারেল ও টেক্সটাইল, ডিজিটাল ইকোনমি, এনার্জি সিকিউরিটি, জাপান বাংলাদেশ বিজনেস এবং এগ্রো বিজনেস-এ বিনিয়োগের সুযোগের ওপর ৯টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বিকাশমান সমুদ্র অর্থনীতির সফলতা নির্ভর করছে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ওপর