ব্যবসা
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের
বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে ভোগা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ (এসবিআই)। সোমবার দেশটির সর্ববৃহৎ সরকারি ব্যাংকটি তার শাখাগুলোতে দেয়া এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।
এতে প্রতিবেশি দুই দেশের মধ্যকার ব্যবসার ক্ষেত্রে রুপি বা টাকায় চুক্তি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
প্রজ্ঞাপনে এসবিআই জানিয়েছে, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে মার্কিন ডলার/অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মূলত মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি বা টাকায় লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য একটি বিকল্প হলো রুপি-টাকায় লেনদেন।
ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও জ্বালানি সংকটে ভোগা ঢাকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলার বা ইউরোর মতো প্রধান বৈদেশিক মুদ্রায় রপ্তানিকারকদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে নিরুৎসাহিত করার জন্যই এসবিআই এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে মিতালী এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু
বিকিরণ প্রযুক্তির বিনিময় সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও ভারত
রাইডারদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিখো’র সঙ্গে ফুডপ্যান্ডার চুক্তি
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা সম্প্রতি বাংলাদেশের সর্বাধুনিক শিক্ষা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘শিখো’র সঙ্গে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যার ফলে ফুডপ্যান্ডা প্ল্যাটফর্মের রাইডাররা আরও সহজে শিখোর দক্ষতা বৃদ্ধির কোর্সগুলো সম্পন্ন করার সুযোগ পাবেন।
এ চুক্তির আওতায় ফুডপ্যান্ডার রাইডাররা শিখোর বিভিন্ন ধরনের কোর্সে বিশেষ ছাড় পাবেন। এ কোর্সগুলোতে মাইক্রোসফট অফিস, রিজিউমি বিল্ডিং ও ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট এর মতো দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ফলে যেসব শিক্ষার্থী রাইডার হিসেবে খণ্ডকালীন কাজ করেন তাদের জন্য এ কোর্সগুলো প্রাসঙ্গিক হবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আম্বারীন রেজা বলেন, ‘বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ফলে এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য এবং নিজেদের এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রযুক্তি বিপ্লবে বাংলাদেশকে প্রস্তুত করার জন্য আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশের সব শিক্ষার্থী মানসম্মত শিক্ষা এবং রিমোট লার্নিং এর সমান সুযোগ পায় না। দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মানসম্মত শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার- শিখোর এ লক্ষ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য সমর্থন দিতে পারায় আমরা উচ্ছ্বসিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাবস্ক্রিপশন সেবা প্যান্ডাপ্রো চালু করেছে ফুডপ্যান্ডা
বিশেষ ছাড়ে এ কোর্সগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করার পর রাইডারদের সম্মাননা হিসেবে ও স্বীকৃতি স্বরুপ সার্টিফিকেট দেবে শিখো। যা তারা তাদের পরবর্তী কর্মজীবনে ব্যবহার করতে পারবেন।
এ চুক্তি প্রসঙ্গে শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের সিইও শাহির চৌধুরী বলেন,‘ফুডপ্যান্ডার রাইডারদের দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়ার জন্য এ চুক্তির ফলে আমরা উচ্ছ্বসিত এবং গর্বিত।’
শিখো টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের অপারেশনস ডিরেক্টর খন্দকার আন্দালিব হাসান মাসনুন, হেড অব লজিস্টিকস মোহাম্মদ তাবরিজ খান, অপারেশনস ম্যানেজার সাহিদা ফাতেমা, পিআর অ্যান্ড কমিউনিকেশনস এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ আমবিরীন এস জামান, শিখো’র হেড অব বিজনেস স্কিলস প্রফেশনালস ইয়ানুর ইসলাম পিয়াস ও প্রজেক্ট ম্যানেজার জায়েদ রহমান।
আরও পড়ুন: উৎসবের মৌসুমে ফুডপ্যান্ডার করপোরেট ভাউচারে বিশেষ ছাড়
স্বপ্ন ও ফুডপ্যান্ডার গ্রোসারি ডেলিভারি সেবা প্যান্ডামার্ট’র যাত্রা শুরু
চলতি মাসের ১৫ দিনে দেশে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স এসেছে
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স পেয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, রেমিটেন্স প্রবাহের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার অন্যতম কারণ হলো টাকার মানের অবমূল্যায়নের জন্য প্রবাসীরা উৎসাহিত হওয়া। কেননা দেশে প্রতি ডলার ১০৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স প্রবাহ দুই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
বাংলাদেশ জুলাই মাসে ২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন এবং আগস্ট মাসে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন রেমিটেন্স পেয়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যে একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো.সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে আরও রেমিট্যান্স আকৃষ্ট করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন প্রক্রিয়া সহজ করেছে।
সরকার রেমিটেন্স প্রণোদনার পাশাপাশি নীতিগত সহায়তাও দিচ্ছে।
এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিদেশের চাকরির বাজার বৃদ্ধি পাওয়ায় গত অর্থবছরে জনশক্তি রপ্তানি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। আর তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে।
ব্যুরো অব ম্যানপাওয়ার এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং (বিএমইটি) এর তথ্যে দেখা গেছে যে ৯ দশমিক ৮৮ লাখেরও বেশি কর্মী ২২’ অর্থবছরে বিদেশ গিয়েছে, যেখানে ২১’ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৭১ লাখ।
গত সাত বছরের মধ্যে এ বছরেই সর্বোচ্চ মানুষ চাকরি করতে বিদেশ গেছে।
এটি অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
ডিবিএইচের রংপুর শাখার উদ্বোধন
দেশের গৃহঋণ প্রদানকারী সর্ববৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি (ডিবিএইচ) সম্প্রতি রংপুর শহরে তাদের ১৪তম শাখার উদ্বোধন করেছে। ডিবিএইচের নতুন এ শাখাটি শহরের খান বাহাদুর আব্দুর রউফ প্লাজা (৪র্থ তলা) বাড়ি নং-১, সড়ক নং-১, স্টেশন রোডে অবস্থিত।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ডিবিএইচের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন আনুষ্ঠানিকভাবে শাখার উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রংপুর শহরে আবাসন খাতের ব্যাপ্তি বেড়েছে। দেশের গৃহঋণের সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান হিসাবে ডিবিএইচ এ অঞ্চলের মানুষদের যেকোনো আবাসিক চাহিদা পূরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রংপুর শহরের আবাসন খাতের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
এছাড়াও ডিবিএইচের ডিএমডি ও হেড অব ক্রেডিট এ.কে.এম. তানভির কামাল, হেড অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও রিকভারি সাইয়াফ এজাজ, হেড অব লোন অপারেশনস মো. জাকারিয়া ইউসুফ, হেড অব ডিপোজিটস, বিজনেস প্ল্যানিং ও অল্টারনেট চ্যানেলস সাবেদ বিন আহসানসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊধর্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরুর পর গত ২৫ বছর ধরে দেশের আবাসন খাতে ঋণ সুবিধা প্রদান করছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স, যা আগে ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড নামে পরিচিত ছিল। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে বিগত ১৭ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং ‘ট্রিপল এ’ অর্জন করেছে।
ভবিষ্যতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতেও ডিবিএইচ ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চায় বিজিএমইএ
২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট লাগবে না: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট জমা দেয়ার নিয়ম বাতিল নিয়েছে।
রবিবার রাজস্ব বোর্ড এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। যা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: ভ্যাট ফাঁকি রোধে ১০ হাজার ইএফডি বসাবে এনবিআর
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে ৩৮টি বিভাগের অধীনে সেবা পেতে ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট দেখানোর নিয়ম চালু করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৫ লাখ টাকার বেশি ব্যাংক ঋণের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট বাধ্যতামূলক ছিল।
সংশোধিত নির্দেশনা অনুসারে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর সংক্রান্ত নথি দেখাতে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ায় ব্যবসায়ী সংগঠনের অনুরোধের ভিত্তিতে এনবিআর তাদের শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কুটির,ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণের সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু ঋণের জন্য বাধ্যতামূলক ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট এর কারণে গ্রামীণ পর্যায়ে ঋণ বিতরণ ধীর গতিতে হয়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজস্ব বোর্ড ঋণগ্রহীতার করযোগ্য আয় না থাকলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য ট্যাক্স রিটার্ন ডকুমেন্ট দেখানোর শর্ত বাদ দেয়।
আরও পড়ুন: আমদানি নিরুৎসাহিত করতে ১৩৫ পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ এনবিআরের
২০২১-২২ অর্থবছরে কালো টাকা সাদা করায় সাড়া কম: এনবিআর ডাটা
বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতে বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দু’দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ আছে বলে জানিয়েছে বন্দর কৃর্তপক্ষ।
তবে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, শনিবার ভারতে বিশ্বকর্মা পূজায় সরকারি ছুটি থাকায় পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রয়েছে। রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পুনরায় আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় চাল আমদানি শুরু
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে পণ্য খালাস কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম-কমিশনার আব্দুর রশিদ মিয়া জানান, শনিবার দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকছে। তবে আমদানি পণ্য নিয়ে আসা খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার জন্য চেকপোস্ট কার্গো শাখা খোলা রয়েছে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে: চীনা রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বীমা ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
রাষ্ট্রদূত লি বৃহস্পতিবার সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেড ও বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।
বাংলাদেশ বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জয়নুল বারী, প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. কামরুজ্জামান এবং সিনোসফট কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সান জিজি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত লি বলেন, ‘এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের বীমা শিল্পের তথ্যায়ন ও ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে।’
আরও পড়ুন: বীমা সেবায় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনুন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে প্রযুক্তি সহযোগিতার আরেকটি বড় পদক্ষেপ।
রাষ্ট্রদূত আরও উল্লেখ করেন, চীনের জাতীয় পুনর্জাগরণের ‘চীনা স্বপ্ন’ ও বাংলাদেশের ‘সোনার বাংলা’ লক্ষ্যগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও ভিশন ২০৪১ পরিপ্রেক্ষিতে পরিকল্পনা আরও একীভূত হবে।
তিনি এই প্রকল্পের সাফল্য কামনা করেন এবং আশা করেন যে দুই দেশ প্রযুক্তি সহযোগিতা বাড়াতে এবং জনগণকে আরও ভালো সেবা প্রদানে একসঙ্গে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনে চেষ্টা করছে চীন: রাষ্ট্রদূত লি জিমিং
জয়নুল বারী বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বড় প্রকল্প এবং প্রযুক্তিতে চীনের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকায় চীনা দূতাবাস তাকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মাসিক লেনদেন ১.১১ লাখ কোটি টাকার বেশি
কোভিড-১৯ মহামারির পর থেকে মানুষ ক্যাশলেস লেনদেনকে বেশি পছন্দ করছে। যার ফলে দেশে ক্রমবর্ধমান মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কার্যক্রম ও লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ৯৯৪ কোটি টাকা
বিবি জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন।
তবে এখানে নগদের তথ্য যোগ করা হয়নি। এই ক্যাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরও ২২ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে।
সেই অনুযায়ী, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় এক দশমিক ১১ লাখ কোটি টাকা। তাহলে দৈনিক লেনদেন দাঁড়ায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
এ খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত একটি সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সব জায়গায় টাকা পাঠানোর সুবিধার সঙ্গে কেনাকাটা, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, ঋণ বিতরণসহ নতুন নতুন সেবা যুক্ত করা হচ্ছে।
ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি নির্ভরতা বাড়ছে। গ্রাহকদের সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও বাড়ছে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এখন ১৮ কোটিরও বেশি গ্রাহক রয়েছে। দৈনিক লেনদেন হয় প্রায় তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতিদিন এজেন্টদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: মনোপলি নয়, সুস্থ প্রতিযোগিতা চায় সরকার
আগে দৈনিক আমানত ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা দেয়া যেত না। কার্ড থেকে টাকা জমা দেয়ার সীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। এখন একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে মাসে দুই লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।
বিবি’র নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, সুবিধাজনক লেনদেনের সুযোগ বিবেচনা করে এবং ক্যাশলেস সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সহজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শহুরে জীবনে মানুষের বিশেষ প্রয়োজনে দেশে ই-কমার্স ও অনলাইন ট্রেডিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ছে, তাই বিবি লেনদেনের পরিমাণের সীমা বাড়িয়েছে।’
বর্তমানে দেশে ১৩টি ব্যাংক বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওরক্যাশসহ বিভিন্ন নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১১ কোটির বেশি।
তাদের মধ্যে, গ্রামে ১০ দশমিক ৭ কোটি গ্রাহক এবং শহরে ৮ দশমিক ৪ কোটি গ্রাহক রয়েছে। এছাড়াও নিবন্ধিত ১০ দশমিক ৪৩ কোটি পুরুষ এবং ৭ দশমিক ৬৪ কোটি নারী গ্রাহক রয়েছেন। ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৫ দশমিক ২৬ লাখে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিং: সেন্ড মানি ফ্রিসহ সার্ভিস চার্জ কমানোর দাবি
কিস্তিতে ইডিএফ ঋণ পরিশোধ করা যাবে
রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য একটি কিস্তি সুবিধা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এখন থেকে সম্পূর্ণ ঋণ তিন কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে, যা আগে একবারেই পরিশোধ করতে হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট (এফইপিডি) বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত সমস্ত অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, রপ্তানিকারকরা আংশিকভাবে ইডিএফ ঋণের দায় পরিশোধ করতে পারবে। ঋণের মেয়াদে সর্বাধিক দুটি আংশিক পরিশোধ সম্পন্ন করা যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঋণের মেয়াদে অবশিষ্ট দায় একযোগে পরিশোধ করতে হবে। অর্থাৎ রপ্তানিকারকরা তিন কিস্তিতে পুরো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, একই সময়ে রপ্তানি আয় পাওয়া যায় না বলে রপ্তানিকারকদের একবারে পরিশোধ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রবাসীরা ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না: বাংলাদেশ ব্যাংক
এমতাবস্থায় রপ্তানিকারকরা নতুন নির্দেশনায় রপ্তানি আয় পাওয়ার পরই আংশিকভাবে কিস্তিতে ইডিএফ দায় পরিশোধ করতে পারবেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইডিএফের অধীনে কাঁচামাল আমদানির জন্য রপ্তানিকারকদের বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা প্রদান করে। একটি ইডিএফের ঋণের মেয়াদ ১৮০ দিন। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে এই মেয়াদ আরও ৯০ দিন বাড়ানো যাবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
সুইস ব্যাংকের কাছে একাধিকবার অর্থ পাচারের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ: বাংলাদেশ ব্যাংক
অন্যদেশ থেকে পণ্য কিনে তৃতীয় দেশে রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা
এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মতো অন্যদেশ থেকে পণ্য ক্রয় বা সেবা নিতে পারবেন। একই সঙ্গে তারা তৃতীয় দেশে ওই পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। রপ্তানিতে এই বৈচিত্র্য আনতে ‘মার্চেন্ডাইজ ট্রেড’ নীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি নির্ধারক বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা জারি করে তা দ্রুত কার্যকর করতে অনুমোদিত ডিলারদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পড়ুন: চাল রপ্তানিতে ২০ভাগ শুল্ক আরোপ করল ভারত
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, ‘বলবৎ এই রপ্তানি নীতি অনুযায়ী এটি এমন একটি বাণিজ্য যার মাধ্যমে একটি দেশ থেকে পণ্য বা পরিষেবা সংগ্রহ করা হয়, সরাসরি তৃতীয় দেশে পাঠানো বা বিতরণ করা হয় এবং এটিকে 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তাদের 'মার্চেন্ডাইজিং ট্রেড' গ্রাহকদের কাছে এডি’র মাধ্যমে লেনদেনমূলক পরিষেবাগুলো সহজতর করার জন্য, পরিচালনার নির্দেশিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
এ ধরনের ব্যবসা সারাবিশ্বে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। নতুন নীতির মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য প্রসারিত হবে। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা হংকং ও সিঙ্গাপুরের মত বাণিজ্য করতে পারবে। এর মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে।
এই নীতির আলোকে, 'মার্চেন্ডাইজিং, ট্রেড' বলতে 'অন্য দেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবা সংগ্রহ এবং সেই দেশ থেকে সরাসরি তৃতীয় দেশের ক্রেতাদের কাছে পণ্য ও পরিষেবার চালান' হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
পড়ুন:বিবি’র ওয়েব পোর্টালে ডলার ১০৬, ব্যাংকে ৯৬ টাকা!
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, মার্চেন্ডাইজিং ট্রেডের অধীনে রপ্তানি কার্যক্রমের জন্য রপ্তানি ফরমের প্রয়োজন হবে না। একইভাবে, বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে আমদানি ফরমের প্রয়োজন হবে না।
বৈদেশিক উৎস থেকে আয় দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যায়। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে প্রাপ্ত ক্রেতাদের ঋণের আওতায় আমদানি ব্যয় মেটানোর সম্ভাবনাও রাখা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। যাইহোক, এই ক্ষেত্রে, ব্যাংক অর্থ প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রার হার বাজারভিত্তিক করা হবে: অর্থমন্ত্রী