ব্যবসা
ডলারের অভিন্ন দাম নির্ধারণে ফের বৈঠকে বসবে এবিবি ও বাফেদা
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) দেশে মার্কিন ডলারের অভিন্ন বিনিময় হার নির্ধারণের জন্য আগামীকাল রবিবার আবার বৈঠকে বসবে।
এবিবি ও বাফেদা এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে ডলারের একক হার কার্যকর করার বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবে।
ডলারের বাজারে করণীয় নির্ধারণে বৃহস্পতিবার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামালের সভাপতিত্বে এবিবি ও বাফেদা নেতাদের সঙ্গে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এতে যোগ দেন। কিন্তু ডলারের জন্য একক হারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে পারেনি তারা।
উভয় সংস্থাই ডলারের সমন্বিত হার নির্ধারণের আগে ডলারের বাজার পর্যবেক্ষণ এবং আমদানি-রপ্তানি পরিস্থিতি বোঝার জন্য সময় চেয়েছে।
দেশে বেশ কয়েক মাস ধরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। ডলারের বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসেইন ইউএনবিকে বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন ঘাটতি কমে যাওয়ায় আগামী দুই মাসে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হবে।
সিঙ্গাপুরের ৪২তম শীর্ষ ধনী সামিটের আজিজ খান
আবারও মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় নাম উঠেছে বাংলাদেশি নাগরিক মুহাম্মদ আজিজ খানের। এবার সিঙ্গাপুরের ৪২তম শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হিসেবে তাঁর নাম স্থান পেয়েছে। তিনি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
শুক্রবার পর্যন্ত করা ফোর্বসের তালিকায় তার মোট সম্পদের পরিমাণ বলা হয়েছে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার ।
আজিজ খান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামিট শুরু করলেও পরবর্তীতে অবকাঠামোতে মনোযোগ দেন। সামিট বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিক্স ও রিয়েল এস্টেট খাত নিয়ে কাজ করে।
ফোর্বসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে , ২০১৯ সালে আজিজ খান সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের ২২ শতাংশ অংশীদারিত্ব ৩৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে জাপানের জেইআরএ-এর কাছে বিক্রি করেন। ফলে কোম্পানির মূল্য ১৫০ কোটি ডলারে দাঁড়ায়।
২০১৮ সালেও সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনী হিসাবে তাকে তালিকাভূক্ত করেছিল ফোর্বস।
তাকে স্বপ্নদ্রষ্টা এবং জীবন্ত কিংবদন্তি বলা হয়, তাঁর ব্যবসায়িক বুদ্ধিমত্তা শুধুমাত্র অন্যদের জীবনকে উন্নত করার জন্য উৎসর্গিত, তিনি একজন সমাজসেবী এবং শিল্পের উৎসাহী ও অনুরাগী মানুষ।
২০১৯ সালে এই সেক্টরে তার অবদানের জন্য ‘এশিয়ান ওয়ান’ ম্যাগাজিনের পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি বিভাগের অধীনে তিনি 'গ্লোবাল এশিয়ান অব দ্য ইয়ার ২০১৮' হিসাবে স্বীকৃত হন।
ইতিমধ্যে, ১৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের সঙ্গে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারী শেনজেন মিন্ডরে বায়ো-মেডিকেল ইলেকট্রনিক্সের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লি শিটিং সিঙ্গাপুরের ৫০ ধনী নাগরিকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন।
চাল রপ্তানিতে ২০ভাগ শুল্ক আরোপ করল ভারত
বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ না করলেও রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের উদ্ধৃতি দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে এই শুল্ক কার্যকর হবে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, আমরা এতদিন ভারত থেকে শুল্কমুক্ত চাল আমদানি করছিলাম। ভারতও বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত চাল রপ্তানি করে আসছিল। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চাল রপ্তানিতেতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের বিষয়টি আমাদের জানান। নতুন এই শুল্ক শুক্রবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে চালের আমদানি মুল্য বেড়ে যাবে। যার কারণে দেশের বাজারে চালের দাম আরও বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রæপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত সরকারের শুল্ক বসানোর পরও যদি দামে পড়তা হয় তাহলে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করা হবে। না হলে চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কা আছে। তবে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। শনিবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলে বিষয়টি বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। সেই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি দিলে গত ২৩ জুলাই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়। অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা হিলিসহ দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু করেন। ২৮ আগস্ট চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে চালের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি ৪-৫ টাকা করে দাম কমে আসছিল। কিন্তু এরমধ্যেই ভারত সরকার নতুন ঘোষণা দিল।
‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল প্রাণ-আরএফএল
ব্যবসা ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ পেয়েছে দেশের শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী আহসান খান চৌধুরীর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শুক্রবার সকালে প্রাণ গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,এই বছর তিন শ্রেণিতে দুই প্রতিষ্ঠান ও এক ব্যক্তিকে ‘বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’দেয়া হয়। ‘এন্টারপ্রাইজ অব দ্য ইয়ার’ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী দিলো প্রাণ-আরএফএল
প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের লক্ষ্য হচ্ছে ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিপূর্বক মানুষের মর্যাদা ও আত্মসম্মান বৃদ্ধি করা। আমরা এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে অবিরামভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ স্বীকৃতি আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।
আরও পড়ুন: সেরা ভ্যাটদাতা সম্মাননা পেল প্রাণ-আরএফএলের ৪ প্রতিষ্ঠান
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম, ডিএইচএল এক্সপ্রেস ইন্ডিয়া’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরএস সুব্রামানিয়ান, ডিএইচএল এক্সপ্রেস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিয়ারুল হকসহ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে প্রাণ-আরএফএলের বরেন্দ্র ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে
দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ২০০০ সাল থেকে আন্তর্জাতিক লজিস্টিক প্রতিষ্ঠান ডিএইচএল ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার যৌথভাবে এ সম্মাননা দিয়ে আসছে।
ব্রোকার সেবা প্রদানে এশিয়া সিকিউরিটিস ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটালের সমঝোতা স্মারক সই
টি এশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড -এর মধ্যে ব্রোকার সেবা প্রদানের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে।
বৃহস্পতিবার বনানীর তাশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড এর প্রধান কার্যালয়ে এ চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
এই চুক্তির অধীনে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর পরিচালিত সকল মিউচ্যুয়াল ফান্ড তাশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড থেকে সব ধরনের ব্রোকারেজ পরিষেবা পাবে।
তাশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আনোয়ার হোসেন এবং এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনজুরুল আলম এ চুক্তিতে সাক্ষর করেছেন।
এ চুক্তি দু’পক্ষের মধ্যে একটি সুদৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করবে। পুঁজিবাজারে ধারাবাহিকতা রক্ষায় তাশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড -এর মধ্যকার চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্তিত ছিলেন নগদ লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক , নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল হক , তাশিয়া সিকিউরিটিস লিমিটেড -এর পক্ষে চেয়ারম্যান আসওয়াদ আকসির মুজিব ওয়াসি, এফআইএসডিএস ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন ।
অপরদিকে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড-এর পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন শাহরিয়ার হাসান চৌধুরী উদয় (ম্যানেজার ফান্ড অপারেশন)।
চট্টগ্রামে বিডিজবস চাকরি মেলায় ৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ
চট্টগ্রামে তিন হাজারের বেশি সেলসম্যান নিয়োগের লক্ষ্যে সেলস্ চাকরি মেলা, চট্টগ্রাম’ আয়োজন করেছে বিডিজবস ডটকম। বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্রগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হবে দিনব্যাপী এ মেলা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে বিডিজবস ডটকমের মার্কেটিং ডিরেক্টর প্রকাশ রায় চৌধুরী।
প্রতিষ্ঠানটির শোয়েব হাসান সবুজ এবং মেলার সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলী ফিরোজ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশের ক্রমবর্ধমান রিটেইল সেক্টর, ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সমূহে ফিল্ড সেলসম্যান, শো-রুম সেলসম্যানের বিপুল চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে বিডিজবস ডটকম মেলার আয়োজন করছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী এবং রিটেইল প্রতিষ্ঠান সমূহ তিন হাজার সেলসম্যান নিয়োগের লক্ষ্যে মেলায় অংশগ্রহণ করছে। কোম্পানিগুলো আগ্রহী প্রার্থীর বায়োডাটা সংগ্রহের পাশাপাশি তাদেরকে সরাসরি ইন্টারভিউ করবে। মেলায় অংশগ্রহণ করতে চাকরিপ্রার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে (www.bdjobs.com/jobfair) ঠিকানায়।
প্রকাশ রায় চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে কয়েক লাখ লোক সেলসম্যান হিসেবে কাজ করছে। দেশে ভোগ্যপণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এবং রিটেইল সেক্টর খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ফিল্ড সেলস ফোর্সের চাহিদা। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশে প্রচুর বেকার থাকা সত্ত্বেও এই খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের সংখ্যা কম। এই খাতে কাজ করতে আগ্রহীদের সঙ্গে কোম্পানিগুলোর সংযোগ তৈরি করতে বিডিজবস এই মেলার আয়োজন করছে।
আরও পড়ুন:চট্টগ্রামে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনীতে যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, সেলস্ চাকরি মেলায় মেঘনা গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, সুপার স্টার গ্রুপ, পারটেক্স স্টার গ্রুপ, নিটল-নিলয় গ্রুপ, বিএসআরএম, এসএ গ্রুপ, কেডিএস গ্রুপ, কনফিডেন্স সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত, দি পেনিনসুলা চট্রগ্রাম, ডেলিভারি টাইগারসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করছে। সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম এটুআই এবং ব্রাক স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এই চাকরি মেলায় সার্বিক সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন:রাঙামাটিতে ৩২ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ
চট্টগ্রাম বন্দরে এক কন্টেইনার বিদেশি সিগারেট জব্দ
আমদানিতে কড়াকড়ি সত্ত্বেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে
বর্তমানে দেশে কম আমদানি সত্ত্বেও বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
এলসি কেনার জন্য মার্কিন ডলার বিক্রির চাপ, ভ্রমণ, চিকিৎসার খরচ এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মেটাতে ব্যক্তিগত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এটি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ২ বছরের মধ্যে প্রথম ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নামলো রিজার্ভ
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ)-এর জুলাই-আগস্টের জন্য বকেয়া এক দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নামবে।
তিনি বলেন, ‘আগামীকালের মধ্যে এই ঋণ পরিশোধ করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়াবে ৩৭ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে।’
গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত (১ সেপ্টেম্বর ২০২২) বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে ‘স্থিতিশীলতা’ আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে। বৃহস্পতিবারও কয়েকটি ব্যাংকের কাছে ৭৬ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
সর্বমোট, দুই মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।
আরও পড়ুন: দেশে রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেই: ফখরুল
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, রেমিট্যান্স বাড়লেও ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে রিজার্ভ ৩৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে গেলেও কোনো সমস্যা নেই। কারণ, এই রিজার্ভ দিয়ে ছয় মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমদানি কমছে; রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। এ অবস্থায় মনে হচ্ছে আগামী দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজারকে স্থিতিশীল করতে ২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে। বাংলাদেশ এর আগে কোনো এক অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে এত বেশি পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি।
এছাড়া আগের অর্থবছরে (২০২০-২১), বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক রেকর্ড আট বিলিয়ন ডলার কিনেছিল।
আরও পড়ুন: রিজার্ভ দিয়ে ৯ মাসের খাবার আমদানি করতে পারবো: শেখ হাসিনা
‘সেপা বাংলাদেশ ও ভারতের জন্য লাভজনক’
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশদারিত্ব চুক্তিটি(সেপা) বর্তমানে আলোচনাধীন, যার মাধ্যমে উভয় দেশের লাভ হবে।
এটিতে উভয় পক্ষের লাভ হবে উল্লেখ করে শনিবার তিনি ইউএনবিকে বলেন, এরূপ একটি কাঠামোগত চুক্তি ভবিষ্যতের বাণিজ্যকে এগিয়ে নিবে। বাংলাদেশ ও ভারত সেপা সমঝোতা সাক্ষরের জন্য প্রয়োজনীয় আলোচনা শুরু করতে চায়।
এ সপ্তাহে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফরের সময় এই বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হবে।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা থাকবেন।
আরও পড়ুন: ২৫ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৭২ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ও ভারত দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বন্ধনের অপার সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দেয়।
গতবছরের ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মুদি বাংলাদেশ সফরকালে উভয় পক্ষই সেপা’য় প্রবেশের বিষয়ে আলোচনা করেছিল।
দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে উভয় প্রধানমন্ত্রী অশুল্ক প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই -এর সাবেক সভাপতি মাতলুব বলেন, বাংলাদেশ যদি কোন সংকটের মুখোমুখি হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন গম, পেঁয়াজ, চিনি, তুলা ইত্যাদি তাৎক্ষণিক সরবরাহের বিষয়ে উভয় পক্ষেরই আলোচনা করা উচিৎ।
‘এটি পারস্পরিক হতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারত যদি প্রয়োজনীয় কোন পণ্য সংকটের মুখোমুখি হয় এবং বাংলাদেশে তা সহজলভ্য থাকে তাহলে বাংলাদেশও সহযোগিতার হাত বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, বেসরকারি খাত এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারে সেক্ষেত্রে দু’দেশের সরকারকে সেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে।
আরও পড়ুন: অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম: বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
আগস্টে রেমিটেন্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে
অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যম: বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন?
জীবনে স্বচ্ছলতা আনার জন্য অর্থ বিনিয়োগ একটি জরুরি বিষয়। মধ্যম আয় থেকে শুরু করে উচ্চ আয়ের কর্মজীবীরা বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে নানা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে থাকেন। দেখা গেছে যে বেশিরভাগ বাংলাদেশিই তাদের উপার্জিত অর্থের একটা অংশ ব্যাংকে জমা রাখেন। নির্দিষ্ট সুদের হারের সঙ্গে বিনিয়োগের স্কিমগুলো দিন দিন বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। তবে সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত বিনিয়োগ ভবিষ্যতে আর্থিক সুরক্ষায় সম্পদ গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারে। সদূরপ্রসারী বিনিয়োগের প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অধিকাংশ ক্ষেত্রে এতোটাই লাভজনক যে তা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গেও পাল্লা দিতে পারে। গড়পড়তায় যে কোনো আয়ের লোকদের জন্য ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করাটা নিরাপদ। আসুন জেনে নেয়া যাক বৈধভাবে অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করলে লাভবান হতে পারেন।
অর্থ বিনিয়োগের সেরা কয়েকটি মাধ্যম
ফিক্সড ডিপোজিট (এফডি)
ব্যাংকিংয়ের এই মাধ্যমের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম খেয়াল রাখতে হয় দীর্ঘ মেয়াদে অর্থ জমা রাখার ব্যাপারে। কম বেশি যে রকমেরই সুদের হার হোক না কেন, উপার্জনের বড় সংখ্যক অর্থটি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পড়ে থাকবে লম্বা সময় ধরে। মূলত এই ধরনের অ্যাকাউন্টে অ্যাকাউন্টধারী ব্যক্তি সাধারণ সঞ্চয় ভিত্তিক অ্যাকাউন্ট থেকে অপেক্ষাকৃত বেশি সুদ পেয়ে থাকেন।
শুধু ব্যাংকিই নয়; যেকোনো ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকেও ফিক্সড ডিপোজিটের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক সুদের হার কম বেশি হয়ে থাকে। নিশ্চিত রিটার্নস পাওয়ার জন্য ফিক্সড ডিপোজিট বিনিয়োগের একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এখানে সুদের পরিমাণ মার্কেটে সুদের হারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানটি যে হারে সুদ নির্ধারণ করেছিল সেই হারেই বিনিয়োগকারি রিটার্নস পেয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন: ধনী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে প্রিমিয়াম ভিসা চালু করছে মালয়েশিয়া
যেকোনো সময় ডিপোজিটের মেয়াদ নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধতায় পরিবর্তন করা যায়। সুদের হার পে-আউট, মাসিক ও ত্রৈমাসিক হিসেবে নির্বাচন করা যায়। পুনঃবিনিয়োগের ব্যবস্থা তো থাকছেই, সেই সঙ্গে আছে পাঁচ বছর মেয়াদের এফডির জন্য কর মুক্তির সুবিধা।
সঞ্চয়পত্র
বাংলাদেশ জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ঝুঁকিমুক্তভাবে জনগণের বিনিয়োগের পথ তৈরি করে সঞ্চয়পত্র। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সঞ্চয় স্কিমে জনগণকে সংযুক্ত করার মাধ্যমে এখানে বিনিয়োগ নেয়া হয়ে থাকে। স্থানীয় ও প্রবাসী; এই দুই ধরনের বাংলাদেশিদের জন্য আলাদা আলাদা সঞ্চয়পত্র গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদের এই সঞ্চয়পত্রগুলো অর্থ বিনিয়োগের বিনিয়োগে সর্বোচ্চ মুনাফা দিয়ে থাকে। সেই সূত্রে, এটি নিঃসন্দেহে বৈধভাবে টাকা বিনিয়োগের একটি উপযুক্ত মাধ্যম।
বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করে তৈরি করা সঞ্চয়পত্রে ভিন্ন মেয়াদের সুদের হার পরিচালনা করে। ১৮ বছরের ওপরে যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক সঞ্চয়পত্র কেনার যোগ্যতা সম্পন্ন। এই মাধ্যমে একক বা যৌথভাবেও অর্থ বিনিয়োগ করা যায়। সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত একজন ব্যক্তি সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে এতে লাভ থাকে কমপক্ষে ৯ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
শেয়ার বাজার
বিনিয়োগকারিদের জন্য রীতিমত স্বর্গ বলা যেতে পারে শেয়ার বাজারকে। এখানে কেবল অর্থই না; সেই সঙ্গে দরকার হয় নানা ধরনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য, শিক্ষা, বুদ্ধি ও সুদূরপ্রসারি দৃষ্টিভঙ্গি।
এই দক্ষতা কারণেই প্রায়ই সময় দেখা যায় যে একদিকে কেউ শেয়ার বাজারে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে। আর অন্যদিকে কেউ নিজের সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসছে। তাই বলে শেয়ার বাজার কিন্তু কোনো জুয়া নয়। এখানে যে ব্যাপারটি দিন শেষে ফলাফল নির্ধারণ করে দেয়, সেটি হচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণের জ্ঞান ও মেধা। উপযুক্ত শেয়ার সঠিক সময়ে যারা ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারছে তাদের কাছে পুরো ব্যাপারটি বেশ লাভজনক হয়ে ওঠে। আর এক্ষেত্রে অপারগরাই দিন শেষে ক্ষতির সম্মুখীন হন।
শেয়ার বাজারে সাফল্য লাভের নিদিষ্ট কোনো ফর্মুলা নেই, তবে তুখোড় ব্যক্তিরা বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারেন যে কোনো কোম্পানির শেয়ার কেনা ঠিক আর কোনটা ভুল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বৈধভাবে রেমিটেন্স পাঠানোর সেরা কয়েকটি মাধ্যম: বিদেশ থেকে টাকা পাঠাবেন যেভাবে
মিউচুয়াল ফান্ড
বিনিয়োগ থেকে উচ্চ হারে রিটার্নপ্রাপ্তি মানেই মিউচুয়াল ফান্ড। বিনিয়োগকারীর টাকাটা এখানে বিনিয়োগ হয় ঋণ তহবিলে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত দীর্ঘমেয়াদে, তবে এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাজারের ওঠানামা। তাই স্বাভাবিকভাবেই বড় পরিমাণে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কিন্তু ডেট ফান্ডের ক্ষেত্রে এই ঝামেলা কম।
অনেকেই ভাবেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের প্রথম শর্ত ভারতীয় হওয়া। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, শুধু বাংলাদেশই নয়; বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে নির্দিষ্ট ব্যাংক শাখা কিংবা বুকারের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এই ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। বর্তমানে এর প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এটাই বোঝায় যে, মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা বিনিয়োগ করার মাধ্যমে আসলেই ভালো পরিমাণ লাভের মুখ দেখা যায়। বাংলাদেশে অনেক ব্যাংকের মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে গ্রাহকরা বিনিয়োগ করে থাকে।
গোল্ড বা স্বর্ণ
বর্তমানে মুদ্রাস্ফিতির এক বিভীষিকাময় অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ববাসী। আজকের ১০০ টাকায় যা ক্রয় করা সম্ভব, আগামী ১০ বছর পরের ১০০ টাকায় তা কল্পনাও করা যাবে না। আর অর্থের এই সময় মূল্যের যখন ভয়াবহ হারে অধঃগমন ঘটে তখনি অর্থনীতির খারাপ সময় শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বিনিয়োগে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড
এটা খুবই স্বাভাবিক যে মূল্য কমে যাওয়া থেকে টাকাকে বাঁচাতে হলে কোনো না কোনো খাতে অবশ্যই বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু এই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দুঃসাহসের চর্চায় যারা ভয় করেন তাদের একমাত্র গন্তব্য স্বর্ণ মজুদ। স্বর্ণের দাম ক্রমাগত বেড়েই চলে; বিশেষত দীর্ঘ মেয়াদে মূল্য অনেক বেশি বেড়ে যাবার সমূহ সম্ভাবনা থাকে। স্বর্ণ ক্রয় করে মজুদ রাখাটা অর্থ বিনিয়োগের বৈধ একটি উপায়।
এখন ডিজিটাল গোল্ড ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই যেকোনো অর্থের ওপর কিংবা যেকোনো পরিস্থিতিতে স্বর্ণ বিনিয়োগ করা যায়। এই ইনভেস্টমেন্ট হলো প্রকৃত স্বর্ণ না কিনেও তার মালিক হওয়া, যা সেই মালিকের নামে মজুদ থাকবে নিদিষ্ট একটি কোম্পানির ভল্টে।
রিয়েল এস্টেট
টাকা বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় খাত হচ্ছে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা। রিয়েল এস্টেট হলো আবাসিক ও অনাবাসিক প্লট বা বাড়ি ক্রয় ও বিক্রয়, ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, ভাড়া দেয়া বা নেয়া ইত্যাদি। আবাসন একজন নাগরিকের মৌলিক চাহিদা। স্বভাবতই বসবাস ভিত্তিক আবাসিক স্থানের চাহিদা যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে। সেই সঙ্গে বেড়ে চলেছে জায়গা বা বাড়িগুলোর দাম।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আবুধাবির বিনিয়োগকারীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
তাছাড়া এই লেনদেনে অর্থের পরিমাণ থাকে প্রচুর। একদিকে যেমন খরচ হয় আরেক দিকে পাল্লা দিয়ে উপার্জনও হয় অত্যাধিক। তাই রিটার্নের কথা ভাবলে রিয়েল এস্টেটের অবস্থান শীর্ষস্থানীয় ব্যবসার তালিকায় থাকবে। এমনকি যখন দেশের মুদ্রাস্ফিতির প্রভাব পরে, তখনও এই ব্যবসার বাজার ভালো থাকে। সঠিন জ্ঞান ও মূলধনের সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই ব্যবসায় বিনিয়োগ হতে পারে দীর্ঘ মেয়াদি আয়ের উৎস।
বীমা
বীমা মানেই কিন্তু শুধুমাত্র ঝুঁকি কমানোর কোন স্কিম নয়। ঝুঁকির হ্রাস পাওয়া একটা সুবিধা; আর এর সঙ্গে সঙ্গে মেয়াদান্তে যথেষ্ট পরিমাণে মুনাফাও লাভ করা যায়। বাংলাদেশে অনেকগুলো বীমা প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে লাভ সরবরাহ করে আসছে।
এই খাতটিও বিনিয়োগের একটি ভালো পছন্দ হতে পারে। তবে অবশ্যই এর আগে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে। শুধুমাত্র এই একটি খাতকে কেন্দ্র করে সমুদয় বিনিয়োগ ঢেলে দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। একজন সুবিবেচক ততটুকুই ঝুঁকি নেন, যতটুকু তিনি পুষিয়ে নিতে সক্ষম থাকেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বহুমুখী বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
পরিশেষে
সবশেষে বলা যেতে পারে যে চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই আয় বাড়ানোর সেরা উপায় অর্থ বিনিয়োগ। কর্মজীবনের প্রথম দিক থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করলে বৈধভাবে টাকা কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা নিয়ে যাবতীয় দ্বিধা দ্বন্দ্ব ধীরে ধীরে কেটে যায়। ফলশ্রুতিতে অবসর গ্রহণের বেশ আগেই হাতে মোটা অঙ্কের টাকা চলে আসে। অর্থাৎ অভিজ্ঞতা একজন বিনিয়োগকারিকে অর্থায়নের নানা খাত সম্বন্ধে জ্ঞানী করে তোলে। তাছাড়া মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হলেও বিনিয়োগ করাতে অভ্যস্ত হতে হবে। নতুবা অভাবের নিষ্পেষনে বেঁচে থাকাটাই দায় হয়ে দাঁড়াবে। বিনিয়োগ কিন্তু যে কোনো বয়স থেকেই শুরু করা যায়। শুধু প্রয়োজন বাজেট অনুযায়ী পরিকল্পনা করে সেরা বিকল্পটা বেছে নেয়া।
চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করেছে ‘এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড’
চট্টগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে দেশের স্বনামধন্য চার্টার্ড একাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার নগরী হোটেল আগ্রাবাদে ইছামতি হলে চট্টগ্রাম শাখার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেডের পরিচিতি তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ফার্ম স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং এর সাথে সংশ্লিষ্ট একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যারা তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি মাধ্যমে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বেতন ব্যবস্থাপনা এবং তহবিল ব্যবস্থাপনা বিভাগ দ্বারা একটি সম্পূর্ণমানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সমাধান সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু
তিনি বলেন, স্নেহাশীষ মাহমুদএন্ড কোং, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস ৩৫০ এরও অধিকস্থানীয় এবং বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানকে সেবা দিয়ে আসছে। বিগত ৯ বছর ধরে তাদের সেবার ব্যপক গ্রহণযোগ্যতার কারণে ফার্মের অংশীদারগণ তাদের সেবা গ্রাহকদের মানবসম্পদ সেবা ও সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যে এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড গঠন করেন যেখানে তাদের সেবাগ্রাহকরা এইসেবা গ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানের সময় ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা দ্বারা তারা নিজেরা তাদের ব্যবসায় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এতে করে তাদের সেবা গ্রাহকদের নিজেদের মূল ব্যবসায়ে মনযোগ দিতে সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে অতিথিগরা চট্টগ্রামে মানব সম্পদ সমাধান নিয়ে এরকম একটা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড এর প্রতিষ্ঠা তাদের অভিনন্দন জানান। এবং বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ব্যবসা বাণিজ্যের সহযোগী হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: সিলেটে দেশের প্রথম আর্টস কলেজের যাত্রা শুরু
এসএমএসিএইচ আরএস লিমিটেড, মানব সম্পদ সমাধানে প্রতিপালন নিশ্চয়তার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শিল্পের দিকে এগিয়ে আসবেন। চট্টগ্রামে তাদের প্রতিষ্ঠানকিভাবে তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছেন সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন এসএমএসি এইচআরএস লিমিটেড এর পরিচালক ও একই সাথে স্নেহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোং, চার্টার্ড একাউন্ট্যান্টস এর প্রতিষ্ঠাতা পার্টনার স্নেহাশীষবড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের (সিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ভাইস চ্যান্সেলর, ড. রুবানা হক, ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানী এবং ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ডিবিএইচ’র যাত্রা শুরু