%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ অর্থনীতির প্রধানদের একটি বৈঠক কোনো ঐক্যমত্য ছাড়াই শেষ হয়েছে। ইউক্রেনের যুদ্ধের বর্ণনার একটি চূড়ান্ত নথিতে রাশিয়া এবং চীন আপত্তি জানিয়েছে।
শনিবার ভারতে ব্যাঙ্গালুরুতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
ভারত আয়োজিত জি-২০ এর বৈঠকটির সভাপতির সারসংক্ষেপ এবং একটি ফলাফলের নথিতে বলা হয় ইউক্রেনে যুদ্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চুক্তি ছিল না। ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের বার্ষিকীর প্রথম দিন বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সাতটি প্রধান শিল্পোন্নত দেশ শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করেছে। ঠিক সেসময় জি-২০ গ্রুপের আলোচনা ভারতীয় প্রযুক্তি কেন্দ্র বেঙ্গালুরুতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন রাশিয়ান কর্মকর্তাদের অংশগ্রহনে একই অধিবেশনে ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বেআইনি এবং অন্যায় যুদ্ধের’ নিন্দা একই সঙ্গে ইউক্রেনকে সমর্থন করার জন্য এবং মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার জন্য জি-২০ দেশগুলোকে আরও কিছু করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে শেষ শীর্ষ জি-২০ বৈঠকে নেতারা যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে সংঘাত বিশ্বের অর্থনীতিতে ভঙ্গুরতাকে তীব্রতর করছে। এই গোষ্ঠীতে রাশিয়া এবং চীন ও ভারতের মতো দেশগুলোও রয়েছে যাদের মস্কোর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য রয়েছে।
ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন সাংবাদিকদের বলেছেন যে বেঙ্গালুরু বৈঠকের জন্য প্রস্তুত করা বিবৃতিতে বালি ঘোষণার দুটি অনুচ্ছেদ রয়েছে। তবে রাশিয়া এবং চীন তাদের মুছে ফেলার দাবি করে বলেছে যে তারা এবার চূড়ান্ত নথির অংশ হতে পারবে না।
সীতারামন বলেছিলেন, তাদের বিরোধ ছিল তারা তখনকার পরিস্থিতিতে বালি ঘোষণা অনুমোদন করেছিল। ‘এখন তারা এটা চায়নি।’ এর বেশি কিছু তিনি জানাননি।
বালি ঘোষণায় বলা হয়েছে যে ‘বেশিরভাগ সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করেছেন এবং জোর দিয়েছিলেন যে এটি বিশাল মানবিক দুর্ভোগের কারণ হচ্ছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বিদ্যমান ভঙ্গুরতাকে বাড়িয়ে তুলছে। এরমধ্যে রয়েছে- প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত করা, জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং আর্থিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি।’
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোতে ৭০ জনের বেশি সেনা হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে: ‘অন্যান্য মতামত এবং পরিস্থিতি এবং নিষেধাজ্ঞার বিভিন্ন মূল্যায়ন ছিল। জি-২০ নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের ফোরাম নয়, আমরা স্বীকার করি যে নিরাপত্তা সমস্যাগুলো বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি হতে পারে।’
ঘোষণার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ বলেছে, এখন রাশিয়া এবং চীনের কাছে অগ্রহণযোগ্য। ‘আন্তর্জাতিক আইন এবং বহুপক্ষীয় ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখা অপরিহার্য যেটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করে। ... পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার বা ব্যবহারের হুমকি অগ্রহণযোগ্য। দ্বন্দ্বের শান্তিপূর্ণ সমাধান, সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টা, সেইসঙ্গে কূটনীতি এবং সংলাপ অত্যাবশ্যক। এই সময় অবশ্যই যুদ্ধের নয়।’
সীতারামন বলেছিলেন যে রাশিয়া এবং চীনের আপত্তির কারণে বৈঠকটি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারেনি এবং একটি সারসংক্ষেপ এবং একটি ফলাফলের নথি বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করলো হংকংয়ের বেইজিং অফিস
মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে সতর্ক করলো হংকংয়ের বেইজিং অফিস
একজন চীনা কূটনীতিক হংকংয়ে নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেলকে বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
তিনি বলেছেন যে, মার্কিন কনসাল জেনারেলের কর্মকাণ্ডে তার শহরের স্বাধীনতা নষ্ট হচ্ছে এবং তিনি তাকে রাজনীতির ‘চূড়ান্ত সীমা’ লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করেছেন।
মার্কিন কনসাল জেনারেল গ্রেগরি মে গত মাসে একটি ভিডিও বক্তৃতা দিয়েছিলেন, যেখানে তিনি হংকং-এর ক্রমহ্রাসমান স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে এর খ্যাতি আন্তর্জাতিক মান ও আইনের শাসন মেনে চলার ওপর নির্ভর করে।
হংকংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে কার্যালয়ের কমিশনার লিউ গুয়াংইয়ুয়ান সম্প্রতি তার ‘অনুপযুক্ত’ কথা ও কাজের বিষয়ে আপত্তি জানাতে মে-এর সঙ্গে দেখা করেছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রশ্নের উত্তরে তার অফিস বলেছে, ‘লিউ হংকংয়ে মার্কিন কনসাল জেনারেল এবং মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেলের জন্য তিনটি চূড়ান্ত সীমাও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এগুলো হলো- চীনের জাতীয় নিরাপত্তাকে বিপন্ন করবে না, হংকংয়ে রাজনৈতিক অনুপ্রবেশে জড়িত হবেনা এবং হংকংয়ের উন্নয়নের সম্ভাবনার বিষয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়াবে না বা ক্ষতি করবে না।’
অফিস আরও বলেছে, লিউ মে-কে কূটনৈতিক নৈতিকতা মেনে চলারও আহ্বান জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মার্কিন কনস্যুলেটের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা সাধারণত ব্যক্তিগত কূটনৈতিক বৈঠকে মন্তব্য না করলেও, হংকংয়ের স্বায়ত্তশাসনের অবক্ষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গভীর উদ্বেগ প্রকাশ্যে বা ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করতে তারা দ্বিধা করবে না।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
মে, ইউএস সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে তার ভাষণে চীনের আইনসভার একটি সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন।
যাতে হংকংয়ের নির্বাহী শাখা সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে বিদেশি আইনজীবীরা শহরের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে জড়িত হতে পারবে কিনা।
শহরের শীর্ষ আদালত গণতন্ত্রপন্থী প্রকাশক জিমি লাইকে তার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য একজন ব্রিটিশ আইনজীবী নিয়োগের অনুমতি দেয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কারণ তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে।
লিউয়ের কার্যালয় মে-কে হংকংয়ে আইনের শাসন এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অপবাদ দেয়ার জন্য অভিযুক্ত করেছে। কেননা তিনি বেইজিংয়ের আইনি সিদ্ধান্ত এবং হংকংয়ের শাসন ব্যবস্থায় অন্যান্য পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য গণতন্ত্র চর্চাকারী দেশগুলো প্রাক্তন এই ব্রিটিশ উপনিবেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতার ওপর চীনের আধিপত্যের সমালোচনা করেছে।
প্রযুক্তি ও বাণিজ্য, মানবাধিকার, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে হুমকি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দাবিসহ যেসব সমস্যা বেইজিং ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ককে চূড়ান্ত খারাপ করে তুলেছে হংকং তার মধ্যে অন্যতম।
আরও পড়ুন: দেশের আকাশসীমায় ১০টিরও বেশি মার্কিন বেলুন উড়েছে: চীন
চীনের বেলুন গোয়েন্দা সংকেত সংগ্রহ করতে সক্ষম: যুক্তরাষ্ট্র
বুরকিনা ফাসোতে ৭০ জনের বেশি সেনা হত্যার দায় স্বীকার আইএসের
উত্তর বুরকিনা ফাসোতে একটি সামরিক কনভয়ে অতর্কিত হামলায় ৭০জনেরও বেশি সৈন্যকে হত্যা, কয়েক ডজন মানুষকে আহত এবং পাঁচজনকে জিম্মি করার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
গ্রুপের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ শুক্রবার পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাহেলের ওদালান প্রদেশের দেউয়ের কাছে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার দিকে অগ্রসরমাণ একটি কনভয়কে আক্রমণ করেছে তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মরুভূমিতে মাইলের পর মাইল পশ্চাদপসরণকারী সেনাদের তাড়া করেছে এবং অস্ত্র জব্দ করেছে।
তাদের প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায় যে সামরিক ইউনিফর্ম পড়া ৫৪জন মানুষের রক্তমাখা লাশ মাটিতে পড়ে আছে।
আরও পড়ুন: জম্মু কাশ্মীরে মসজিদের বাইরে সন্ত্রাসীর গুলি, আহত ১
সেইসঙ্গে ৫০ টিরও বেশি জব্দ করা অ্যাসল্ট রাইফেল এবং বন্দী করা পাঁচজন সেনার ছবিও প্রকাশ করেছে তারা।
আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত সহিংসতায় গত সাত বছরে দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সহিংসতা ঠেকাতে সরকারের অক্ষমতার কারণে সৃষ্ট গণঅসন্তোষ থেকে গত বছর দুটি অভ্যুত্থান ঘটে। যার প্রতিটির আগে সেনাবাহিনীর ওপর বড় হামলা হয়েছিল।
সেপ্টেম্বরে নতুন জান্তা নেতা ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওর ক্ষমতা দখলের পর থেকে এবারের হামলাই সৈন্যদের ওপর সবচেয়ে মারাত্মক হামলা এবং বিশ্লেষকরা বলছেন যে এটি তার ক্ষমতা দখলকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
সংবাদ বিশ্লেষণকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেলনিক্স ইন্টেলিজেন্স অ্যাডভাইজরির সিইও লেইথ আলখোরি বলেছেন, ‘দেশের উত্তরে ধারাবাহিকভাবে জঙ্গি হামলার চলেছে এবং জনসাধারণ নিঃসন্দেহে নিরাপত্তা দিতে তাদের সরকারের অক্ষমতার বিষয়টি লক্ষ্য করছে। এই প্রচণ্ড আক্রমণের ফলে তার সরকার হুমকির মুখে পড়তে পারে এবং এমনকি জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চাপও দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলো চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত: প্রতিবেদন
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় নিহত বেড়ে ৫৩
জম্মু কাশ্মীরে মসজিদের বাইরে সন্ত্রাসীর গুলি, আহত ১
ভারতের জম্মু কাশ্মীরে একটি মসজিদের বাইরে সন্ত্রাসীর গুলিতে একজন আহত হয়েছে।
শুক্রবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারি) জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিজবেহারার হাসানপোরা তাভেলা এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায়।
এতে শহীদ হেড কনস্টেবল আলী মোহাম্মদ গানাইয়ের ছেলে আসিফ গানাই নামে এক ব্যক্তি আহত হন।
আহতকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের ধরতে তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় দুই শিশুসহ নিহত ৪: পুলিশ
আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে সাইকেল চালিয়ে ভারতীয় তরুণী বাংলাদেশে!
জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, প্রধান প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর কৌশলগত বহুপক্ষীয় সংগঠনের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের উচিত বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক মানুষদের সাহায্য করার ব্যাপারে মনোনিবেশ করা।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া এনার্জি উইকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জি-২০ দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের প্রতি এ আহ্বান জানান মোদি।
তিনি বলেন, ‘আপনারা এমন একটি সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থ ও অর্থনীতির নেতৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করছেন, যখন বিশ্ব গুরুতর অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে।’
মোদি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা, আস্থা এবং প্রবৃদ্ধি ফিরিয়ে আনাটা অনেকটাই আপনাদের ওপর নির্ভর করে, কারণ আপনারা নেতৃস্থানীয় অর্থনীতি এবং বাজার ব্যবস্থার তত্ত্বাবধায়ক।’
মোদি বলেন, বিশ্বের দেশগুলো মহামারির পরে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। যার মধ্যে রয়েছে- স্বল্পমেয়াদী ঋণ, যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থা হ্রাস।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের বিশ্বের সবচেয়ে নাজুক মানুষদের প্রতি মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি২০ সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী
ডিজিটাল মুদ্রা ও অর্থপ্রদান, বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিসহ বিস্তৃত বিষয়গুলোতে আলোচনার জন্য বেঙ্গালুরুতে বৈঠকগুলো করা হয়।
মার্কিন ও ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা এবং ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের ফ্রান্স ও ব্রাজিলের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকসহ বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে একাধিক বৈঠকও নির্ধারিত ছিল।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বিস্তৃত বিষয় সকল আলোচনাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন নিশ্চিত করেছেন যে তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জন্য এবং মস্কোর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আরও শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞার জন্য চাপ দেবেন।
জি২০ বৈঠকগুলো নেতাদের তাদের নীতিগুলিকে কীভাবে সমন্বয় করতে হয় তা বিবেচনা করার একটি সুযোগ দেয়।
যুদ্ধ ও অন্যান্য কারণে সৃষ্ট উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে কয়েক দশক ধরে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভসহ অনেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার দ্রুত বাড়িয়ে চলেছে।
করোনা মহামারির পর ভ্রমণ, পণ্য ও পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে।
অন্যদিকে, খাদ্য, বাসস্থান, জ্বালানি ও সারের জন্য ক্রমবর্ধমান খরচের বিশাল বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে সাধারণ জনগণের ওপর। বিশেষ করে দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জাতীয় ও পারিবারিক উভয় স্তরেই ঋণের বোঝা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের জি২০ এজেন্ডা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, উচ্চাভিলাষী, কর্মমুখী ও সিদ্ধান্তমূলক: নরেন্দ্র মোদি
উল্লেখ্য, ভারত ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত জি২০-এর প্রেসিডেন্সি ধরে রেখেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনার আহ্বান চীনের
এবার রাশিয়ার পরিক্ষিত মিত্র চীন; ইউক্রেন ও মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি এবং সংঘাতের অবসানের জন্য ১২-দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার সকালে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিকল্পনায় রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অবসান, পারমাণবিক স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা, বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য মানবিক করিডোর স্থাপন এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় শস্য রপ্তানি নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।
চীন এই সংঘাতে নিরপেক্ষ থাকার দাবি করেছে, তবে রাশিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের ‘হ্রাস’ করতে এবং ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সমালোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এমনকি চীন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে সংঘাতে উসকানি দেয়ার অভিযোগ এনেছে এবং বলেছে তারা মূলত ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে এই সংঘাতকে টিকিয়ে রেখেছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের বিরোধীতা করতে গিয়ে ক্রমেই চীন ও রাশিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পেয়েছে।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এই সপ্তাহে মস্কো সফরের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কগুলো শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে তারা সম্ভবত রাশিয়াকে সামরিক সহায়তা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনও প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
চীনের এই অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে তার দেয়া ১২-দফা প্রস্তাব নিয়ে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেয়ার কোনও আশা আছে কিনা- বা চীনকে নিরপেক্ষ ভাবা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রস্তাবটি প্রকাশের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি স্পেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুক্রবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘চীন যে ইউক্রেনের শান্তির পক্ষে কথা বলা শুরু করেছে, আমি এটিকে খারাপ মনে করি না। আমাদের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত দেশ আমাদের অর্থাৎ ন্যায়বিচারের পক্ষে আসছে।’
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস বৃহস্পতিবার বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়ে আলোচনা করবে, তবে রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ধরনই বলে দেয় যে চীন এ ক্ষেত্রে কোনওভাবেই একটি নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারী নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি ন্যায্য এবং টেকসই শান্তি ছাড়া আর কিছুই চাই না ... তবে এই প্রস্তাবগুলো নিরপেক্ষ ও গঠনমূলক হবে কিনা এ বিষয়ে আমরা সন্দিহান।’
শান্তি প্রস্তাবে প্রধানত সব দেশের ‘সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা কার্যকরভাবে নিশ্চিত করার’- প্রয়োজনীয়তার উল্লেখসহ দীর্ঘকাল ধরে থাকা চীনা অবস্থানের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
এটিকে ‘স্নায়ু যুদ্ধের মানসিকতার’- অবসানও বলা হয়েছে। যেটি মার্কিন আধিপত্য এবং অন্যান্য দেশে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করার জন্য এটি একটি আদর্শ শব্দ।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের খসড়া রেজ্যুলেশন: ইউক্রেনের শান্তি নিশ্চিত করতে হবে
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘একটি দেশের নিরাপত্তার বিনিময়ে অন্য একটি দেশ নিরাপত্তা পেতে পারে না এবং সামরিক ব্লকগুলোকে শক্তিশালী করে বা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষা করা যায় না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সব দেশেরই যৌক্তিকভাবে নিরাপত্তা স্বার্থ ও উদ্বেগগুলোকে গুরুত্ব সহকারে নেয়া উচিত এবং সঠিকভাবে তা সমাধান করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার চীন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং রাশিয়ার প্রতি ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে পাশ হওয়া প্রস্তাবে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকে।
চীন সেই ১৬টি দেশের মধ্যে একটি, যারা জাতিসংঘে ইউক্রেনের পক্ষে তোলা আগের পাঁচটি প্রস্তাবের প্রায় সবকটির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে বা ভোট দেয়ায় বিরত থেকেছে।
ইউক্রেন তার মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবারের প্রস্তাবটির খসড়া তৈরি করেছে। ১৪১টি দেশ এ প্রস্তাবের পক্ষে এবং ৭টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। এসময় ৩২টি দেশ ভোট দেয়ায় বিরত ছিল।
যদিও চীন খোলাখুলি মস্কোর সমালোচনা করেনি, তবে তারা বলেছে যে সংঘাত তাদের ‘কাম্য নয়’ এবং বারবার বলেছে যে কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
এটি মূলত পুতিনের বক্তব্যের প্রতিউত্তরে বলা হয়েছে।
কেননা এর আগে পুতিন তার বক্তব্যে বলেছে, রাশিয়া তার ভূখণ্ড রক্ষা করার জন্য ‘সব ধরনের উপায়’- ব্যবহার করবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘যুদ্ধে কেউই বিজয়ী হয়না।’
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘সকল পক্ষের উচিত যুক্তিবোধ এবং সংযম বজায় রাখা... রাশিয়া ও ইউক্রেনের সমঝোতায় সমর্থন করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুনরায় সরাসরি সংলাপ শুরু করা, ধীরে ধীরে সংঘাতের পরিস্থিতি হ্রাসের চেষ্টা করা এবং যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছানো।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার নিকট যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দাবির জাতিসংঘের প্রস্তাবে ভোট দেয়নি বাংলাদেশ
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাশ: বাংলাদেশসহ ৩২টি দেশ ভোট দেয়নি
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ এবং রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে।
মোট ১৪১টি দেশ এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ ৩২টি দেশ এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল এবং রাশিয়াসহ সাতটি দেশ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়।
প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দেয়া সাতটি দেশ হলো- বেলারুশ, নিকারাগুয়া, রাশিয়া, সিরিয়া, উত্তর কোরিয়া, ইরিত্রিয়া ও মালি। রাশিয়ার সঙ্গে যাদের ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ক রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ নন-বান্ডিং রেজুলেশনটি অনুমোদন করেছে। যাতে রাশিয়াকে ইউক্রেনে হামলা বন্ধ করতে এবং তার বাহিনী প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: তিন দেশের মহড়ায় নতুন হাইপারসনিক মিসাইল পরীক্ষা করবে রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রে গত এক দশকে গুলিবর্ষণের ঘটনাগুলো চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত: প্রতিবেদন
২০২২ সালে চিহ্নিত সমস্ত চরমপন্থী হত্যাকাণ্ড ডানপন্থী চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল। বিশেষ করে ব্যাপকভাবে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের সঙ্গে যুক্ত।
অ্যান্টি-ডেফামেশন লীগের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত মার্কিন গণহত্যার সংখ্যা ১৯৭০ এর দশক থেকে যে কোনো ১০ বছরের সময়ের তুলনায় অন্তত তিনগুণ বেশি ছিল।
প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশের আগে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেয়া হয়েছিল। এছাড়াও দেখা গেছে যে ২০২২ সালে চিহ্নিত সমস্ত চরমপন্থী হত্যাকাণ্ড ডানপন্থী চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত ছিল, বিশেষত উচ্চ সংখ্যায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের সঙ্গে যুক্ত। এর মধ্যে রয়েছে নিউইয়র্কের বাফেলোতে একটি সুপারমার্কেটে একটি বর্ণবাদী নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনা, যাতে ১০ জন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রেতা নিহত হয় এবং কলোরাডো স্প্রিংসে একটি এলজিবিটি নাইটক্লাবে নির্বিচার গুলির ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ভার্জিনিয়ায় ক্লাসরুমে শিক্ষককে গুলি করেছে ৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থী: পুলিশ
গ্রুপের সেন্টার অন এক্সট্রিমিজমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটা বলা অত্যুক্তি নয় যে আমরা চরমপন্থী গণহত্যার যুগে বাস করছি।’
প্রতিবেদনটিতে দেখা গেছে, ১৯৭০ থেকে ২০০০-এর দশকে প্রতি দশকে দুই থেকে সাতটি চরমপন্থা-সম্পর্কিত গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ২০১০-এর দশকে এই সংখ্যা ২১-এ পৌঁছেছে।
নতুন সহস্রাব্দের প্রথম দশকে যতগুলো ছিল তা ২০২১ এবং ২০২২ সালে পাঁচটি চরমপন্থী গণহত্যার সঙ্গে এই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। আদর্শগত চরমপন্থী-সম্পর্কিত গণহত্যায় ১৬৪ জন মারা গেছে। এটি ১৯৯০ এর দশক ছাড়া যেকোনো দশকের চেয়ে অনেক বেশি। ওকলাহোমা সিটিতে একটি ফেডারেল ভবনে বোমা হামলায় ১৬৮ জন নিহত হয়েছিল।
চরমপন্থী হত্যাকাণ্ড হচ্ছে চরম আন্দোলন ও মতাদর্শের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: টেক্সাসের শপিংমলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১, আহত ৩
এডিএল সেন্টার অন এক্সট্রিমিজমের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মার্ক পিটক্যাভেজ বলেছেন, ২০১০ এবং ২০২০ সালের মধ্যে সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি কারণ একত্রিত হয়েছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থানের কারণে গুলির ঘটনা ঘটেছে। সেইসঙ্গে বেসামরিক গুলি চালানোর পরে মুষ্টিমেয় পুলিশ অফিসারকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অন্যান্য শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীদের সহিংসতার ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত।
কেন্দ্রটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন ধরণের চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত হত্যাকাণ্ডের সন্ধান করে এবং তাদের একটি বার্ষিক প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি গত বছর ২৫টি চরমপন্থা-সম্পর্কিত হত্যাকাণ্ড শনাক্ত করেছে, যা আগের বছরের ৩৩টি থেকে হ্রাস পেয়েছে।
২০২২ সালে ৯৩ শতাংশ হত্যাকাণ্ড আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সংঘটিত হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মতো গত বছর কোনো পুলিশ কর্মকর্তা উগ্রবাদীদের হাতে নিহত হয়নি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইসলামিক স্টেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে প্রধান হুমকি হতে পারে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী শ্যুটাররা।
সেন্টার অন এক্সট্রিমিজমের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওরেন সেগাল বলেছেন, ইতোমধ্যে গণহত্যার প্রচেষ্টার সংখ্যা বৃদ্ধি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবচেয়ে উদ্বেগজনক প্রবণতাগুলোর মধ্যে একটি।
সেগাল বলেছিলেন, ‘আমরা অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারি না এবং এটিকে নতুন আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: মিসিসিপিতে বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাক্তন স্ত্রীসহ নিহত ৬: শেরিফ
তাজিকিস্তানে ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে বৃহস্পতিবার ভোরে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, এটির কেন্দ্রস্থল তাজিকিস্তানের মুরঘোব থেকে ৬৭ কিলোমিটার (৪১ মাইল) পশ্চিমে এবং মাটির নিচে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) ছিল।
পামির পর্বতমালায় কয়েক হাজার লোকের জনসংখ্যার জেলা রাজধানী মুগরব।
কাশগার প্রিফেকচার এবং চীনের জিনজিয়াংয়ের কিজিলসু কিরগিজ স্বায়ত্তশাসিত প্রিফেকচারের কিছু এলাকায় ভূমিকম্পটি দৃঢ়ভাবে অনুভূত হয়েছিল।
স্থানীয় তথ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সিসিটিভি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
চায়না আর্থকোয়েক নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ এবং গভীরে ছিল ১০ কিলোমিটার (৬ মাইল)। বিভিন্ন সংস্থার পরিমাপ প্রায়ই ভিন্ন হয়।
তাজিকিস্তানের কম জনবহুল এলাকায় ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
চীনের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের কাছে তাজিকিস্তানের কম জনবহুল প্রত্যন্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ অনুসারে, এটি তাজিকিস্তানের মুরঘব থেকে ৬৭ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং ২০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে।
পামির পর্বতমালায় কয়েক হাজার লোকের জনসংখ্যা নিয়ে মুরঘব হচ্ছে জেলা রাজধানী।
চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক সেন্টার জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ২ এবং এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে রেস্তোরাঁ ধসে ৪ জনের মৃত্যু
তুরস্কে নতুন করে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত ২ শতাধিক