%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC
পারমাণবিক যুদ্ধের উত্তেজনার মধ্যেই মুখোমুখি হচ্ছেন জো বাইডেন ও শি জিনপিং
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তাদের প্রথম ব্যক্তিগত বৈঠকে বসবেন। দুই বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরে থেকেই এই দুই পরাশক্তির মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই এই দুই নেতা ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠকে বসবেন।
ইন্দোনেশিয়া আসার আগে কম্বোডিয়ার নম পেনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন।
সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমাদের অল্প কিছু ভুল বোঝাবুঝি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু খুঁজে বের করতে পেরেছি যে লাল রেখাগুলো কোথায় এবং ... আগামী দুই বছরে আমাদের প্রত্যেকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো কী।’
যদিও বাইডেনের মেয়াদকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে বাইডেন বলেছিলেন যে তিনি ইউক্রেনে প্রায় ৯মাস ধরে চলা আগ্রাসনের মধ্যে তাইওয়ানের স্ব-শাসিত দ্বীপ, বাণিজ্য চর্চা এবং মস্কোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্যগুলো শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছেন।
চীনা কর্মকর্তারা মূলত জনসমক্ষে রাশিয়ার ইউক্রেনের ওপর চালানো আগ্রাসনের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তবে বেইজিং রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের মতো সরাসরি সমর্থন এড়িয়ে গেছে।
তাইওয়ান সম্প্রতি ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত ইস্যু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বাইডেন একাধিকবার বলেছেন যে তাইওয়ানের ওপর বেইজিং-এর চালানো আক্রমণ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বীপটিকে রক্ষা করবে। চীন এ বিষয়টিকে কখনোই ভালো চোখে দেখেনি।
উত্তেজনা আরও বেড়ে যায় যখন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি, ডি-ক্যালিফ গত আগস্ট মাসে তাইওয়ান সফর করেন। চীন এ বিষয়টিকে চূড়ান্ত সীমা লঙ্ঘণ হিসেবেই দেখেছে। চীন সেসময় সামরিক মহড়া এবং নিকটবর্তী সমুদ্রে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
ইস্তাম্বুলে বোমা হামলায় নিহত ৬, আহত ৮১
তুরস্কের ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রস্থলে একটি বোমা হামলায় ছয়জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮১ জন মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার মধ্য ইস্তাম্বুলের ইস্তিকলাল অ্যাভিনিউতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
অনলাইনে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি বিকট বিস্ফোরণ শোনা যায় এবং একটি আলোর ঝলকানি দেখা যায়; তখন পথচারীরা ঘুরে দাঁড়ায় এবং পালিয়ে যায়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এই বিস্ফোরণকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন এই হামলাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে।
বিস্তারিত কিছু না বললেও এই হামলা সম্পর্কে এরদোয়ান বলেছেন এতে ‘সন্ত্রাসের গন্ধ’ ছিল।
তিনি আরও বলেছেন, ওই এলাকার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্ত চলছে।
এরদোগান ছয়জন নিহতের কথা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতে পরে আহতদের সংখ্যা ৮১ জন বলে জানিয়েছেন। যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
প্রতিবেশি গ্রিস সহ অনেক দেশ তুরস্কের ওপর এই হামলার ঘটনায় তাদের শোক প্রকাশ করেছে।
গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন যে তিনি ‘জঘন্য হামলার খবরে হতবাক ও দুঃখিত।’
২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তুরস্ক একের পর এক বোমা হামলার শিকার হয়েছিল, যাতে ৫০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক ও নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়। ইসলামিক স্টেট (আইএস) কিছু হামলা করেছিল, বাকি হামলাগুলো কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠী করেছিল।
তুরস্ক বছরের পর বছর ধরে দেশটির দক্ষিণ-পূর্বের পিকেকে নামের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এটি তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচিত।
ধারাবাহিক কয়েকটি হামলার পরে তুরস্ক সিরিয়া ও উত্তর ইরাকে কুর্দি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সামরিক অভিযান শুরু করে। পাশাপাশি কুর্দি রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্টদের বিরুদ্ধে বিস্তৃত সন্ত্রাসী আইনের মাধ্যমে দমন-পীড়ন চালায়। সমালোচকরা যেটিকে ভিন্নমত দমন করার একটি উপায় বলে সমালোচনা করে।
তুরস্কের মিডিয়া ওয়াচডগ রবিবারের হামলার সম্পর্কে রিপোর্ট করার ওপর অস্থায়ী বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে বিস্ফোরণ এবং এর পরবর্তী ঘটনার ক্লোজ-আপ ভিডিও ও ছবি ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রেডিও ও টেলিভিশনের সুপ্রিম কাউন্সিল অতীতেও বিভিন্ন হামলা ও দুর্ঘটনার পর একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার তাঁবু বসতিতে গোলাবর্ষণ, নিহত ৬
মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
মিশরের নীল নদের ডেল্টা অঞ্চলে খালে বাস পড়ে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে।
শনিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা ড. শেরিফ মাকেন বলেছেন, নিহতদের মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজধানী কায়রো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) উত্তর-পূর্বে দাকাহলিয়া প্রদেশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অন্যান্য আহত যাত্রীদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
প্রদেশটির পুলিশের তদন্ত বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার মো. মোহাম্মদ আবদেল হাদি বলেন, চালক হয়তো গাড়ির স্টিয়ারিং-এর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল।
দেশটির পরিবহন নিরাপত্তার রেকর্ড খারাপ হওয়ায় মারাত্মক ট্রাফিক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর মিশরে হাজার হাজার প্রাণ ঝরে যায়। বেশিরভাগ সংঘর্ষ এবং দুর্ঘটনা ঘটে খারাপ রাস্তা বা ট্রাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ এবং দ্রুতগতির কারণে।
জুলাই মাসে, দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনিয়ায় একটি হাইওয়েতে একটি যাত্রীবাহী বাস একটি পার্ক করা ট্রেলার ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ২৩ জন নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, অক্টোবরে ডাকাহলিয়ায় একটি ট্রাক একটি মিনিবাসকে ধাক্কা দেয়। এতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
রোহিঙ্গা নির্যাতন: আন্তর্জাতিক আদালতে মিশরের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ৬ আসামির মুক্তির নির্দেশ
ভারতের শীর্ষ আদালত শুক্রবার ১৯৯১ সালে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ছয়জনকে মুক্তি দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধী হত্যা: ৩১ বছর পর মুক্ত দোষীসাব্যস্ত পেরারিভালান
দোষীরা যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছিল এবং ৩০ বছরেরও বেশি সময় তারা কারাগারে কাটিয়েছে।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ‘অন্য কোন বিষয়ে প্রয়োজন না হলে আপীলকারীদের মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এই বছরের মে মাসে, শীর্ষ আদালত তার বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে সপ্তম দোষীকে মুক্তি দেয়। বাকি আসামিদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ প্রযোজ্য বলে জানিয়েছে আদালত। ১৯৯১ সালের ২১ মে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পিকে হালদারকে বাংলাদেশে আনতে হবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
বিতর্ক এড়াতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না পুতিন
আগামী সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ায় গ্রুপ অব ২০-এর শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে তার যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে সম্ভাব্য মুখোমুখি অবস্থা এড়াতে তার এই সিদ্ধান্ত।
বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার একজন সরকারি কর্মকর্তা এ কথা বলেন।
জানা গেছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বালিতে শুরু হতে যাওয়া দুই দিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও অন্যান্য বিশ্ব নেতারা। গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই প্রথম বাইডেন ও পুতিন কোনও সমাবেশে একসঙ্গে মিলিত হবেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলন: পুতিন ও এমবিএসের সঙ্গে সাক্ষাত হতে পারে বাইডেনের
জি-২০ আয়োজনের প্রধান লুহুত বিনসার পান্দজাইতান ইন্দোনেশিয়ার ডেনপাসারে সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ রাশিয়ান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন।
পান্ডজাইতান বলেন, ‘ইন্দোনেশীয় সরকার রাশিয়ান সরকারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করে। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজেই এর আগে প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডোকে একটি খুব বন্ধুত্বপূর্ণ টেলিফোন কথোপকথনে ব্যাখ্যা করেছিলেন।’
বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি যদি এই সম্মেলনে যোগ দিতেন, তাহলে তিনি রুশ নেতার সঙ্গে একমাত্র আলোচনা করতে পারতেন, তা হবে রাশিয়ায় কারাবন্দী আমেরিকানদের মুক্ত করার চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা।
বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, পুতিন যদি ব্যক্তিগতভাবে বা ভার্চুয়ালি অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে তাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য তারা বৈশ্বিক সমকক্ষদের সঙ্গে সমন্বয় করেছেন। তারা বয়কট বা অন্যান্য নিন্দা প্রদর্শন নিয়েও আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে অনুশোচনা নেই পুতিনের
ক্রিমিয়া সেতুতে বিস্ফোরণ: ইউক্রেনকে দায়ী করলেন পুতিন
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল, ঘুমন্ত ৬ জনের মৃত্যু
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার (২৫০ মাইল) পশ্চিমে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি পর্যন্ত অনুভূত হয়েছিল ভূমিকম্পটি।
ডোটি জেলার প্রধান কর্মকর্তা কল্পনা শ্রেষ্ঠা জানিয়েছেন, দুর্গম, জনবসতিপূর্ণ পাহাড়ি গ্রামে তাদের বাড়িতে পিষ্ট হয়ে ছয়জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরও পাঁচজন।
আরও পড়ুন: চীনের সিচুয়ানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৬৫
তিনি বলেন, স্থানীয় সময় রাত দুইটা ১২ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পের ফলে পাহাড়ি গ্রামের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে তাদের বাড়িঘর থেকে বের হয়ে যায় এবং অনেকে খোলা জায়গায় পুরো রাত কাটায়।
তিনি আরও বলেন, উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য দুর্গম গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। অনেক গ্রামে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও হতাহতের নতুন কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
নেপালের জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র ছয় দশমিক ৬ মাত্রার কম্পন পরিমাপ করেছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ পাঁচ দশমিক ৬ মাত্রার প্রাথমিক রেটিং দিয়েছে যার গভীরতা ১৫দশমিক ৭ কিলোমিটার (৯.৮ মাইল) এবং এর কেন্দ্রস্থল দিপায়ালের ২১ কিলোমিটার (১৩ মাইল) পূর্বে।
২০১৫ সালে একটি সাত দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার লোক মারা গিয়েছিল এবং প্রায় দশ লাখ কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাপুয়া নিউগিনি
শাহরুখ ও সালমানের চেয়ে অনেক ভালো অভিনেতা ইমরান খান: পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ
পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (পিডিএম) নেতা মাওলানা ফজলুর রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে ‘নাটকীয়তার’ অভিযোগ করেছেন।
রবিবার (৬ নভেম্বর) তিনি বন্দুকধারীর হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) -এর প্রধান একটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন যে সাবেক পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলিউডের শাহরুখ খান এবং সালমান খানের তুলনায় ভালো অভিনেতা।
মাওলানা রেহমানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে,‘আমি তার নাটক বুঝি না, ইমরান খানের মিথ্যাচারের বিষয়ে একটি যৌথ তদন্ত দল গঠন করা উচিত।’
আরও পড়ুন: পাক সেনাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১-এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির অভিযোগ ইমরান খানের
তিনি দাবি করেছেন গুলি সম্পর্কে ‘মিথ্যা’ ছড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেছেন যে যদিও তিনি প্রথম ঘটনার নিন্দা করেছিলেন,কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ‘বিষয়গুলো প্রকাশ্যে এসেছিল।
পিডিএম প্রধান মন্তব্য করেছিলেন,‘এক শট, দুই শট, চার শট বা টুকরো; আমরা বোমার টুকরো শুনেছি,কিন্তু বুলেটের টুকরো এই প্রথমবার শুনছি আমরা।’
একটি ক্যান্সার হাসপাতাল কিভাবে হাড়ের চিকিৎসা প্রদান করে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি প্রথমবারের মতো পায়ের মধ্যে গলার ধমনীর শিরার অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন।
তিনি বলেন,লাহোর থেকে গুজরানওয়ালা যেতে মিছিলকারীদের পাঁচ থেকে ছয় দিন লেগেছিল,ইমরানকে আঘাত করার পরে সেখানে মাত্র এক ঘন্টা লেগেছিল।
পিডিএম প্রধান বলেন,পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পিটিআই প্রধান ইমরান খান সবাইকে চোর বলে উল্লেখ করতেন,‘কিন্তু তিনিও তাদের মতো একজন ছিলেন’।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
পাকিস্তানে সরকারবিরোধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ
ভিক্টোরিয়া হ্রদে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
তানজানিয়ার ভিক্টোরিয়া হ্রদে রবিবার সকালে ৪৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ডুবে গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উপকূলীয় শহর দার এস সালাম থেকে প্রিসিসন এয়ারের ফ্লাইটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকিদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
প্রিসিসন এয়ার তানজানিয়ার একটি এয়ারলাইন কোম্পানি।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৭
স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিমানটির বেশিরভাগ অংশই হ্রদে ডুবে গেছে।
কাগেরা প্রদেশের পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম এমওয়াম্পাগালে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বেশ কয়েকজনকে বাঁচাতে পেরেছি।’
তিনি বলেন, ‘যখন বিমানটি হ্রদের প্রায় ১০০ মিটার (৩২৮ ফুট) ওপর দিয়ে যাচ্ছিল, তখন এটি খারাপ আবহাওয়ার মুখোমুখি হয়। সে সময় বৃষ্টি হচ্ছিল এবং বিমানটি পানিতে তলিয়ে যায়। ’
এমওয়াম্পাঝালে আরও বলেন, তবে এখন সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ১৫
নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৩
সিরিয়ার তাঁবু বসতিতে গোলাবর্ষণ, নিহত ৬
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিবের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রবিবার ভোরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘাতে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছেন।
২০২০ সালের মার্চ মাসে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর বিদ্রোহীরা ইদলিবের এই তাঁবু বসতিতে বাস করতে শুরু করে। তাঁবু বসতি ইদলিবের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।
গত দুই বছরে বারবার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং বহু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৩
যুদ্ধের পর্যবেক্ষক ব্রিটেন-ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে যে সরকারি বাহিনী রবিবার সকালে মারাম ক্যাম্পসহ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩০টি রকেট ছুড়েছে, এতে ছয়জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে যে নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু এবং একজন নারী রয়েছে।
অবজারভেটরি জানিয়েছে, বিদ্রোহী দলগুলো ইদলিবের পূর্বে সারাকিব ও আল-গাব সমভূমিতে কামান ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সরকারি বাহিনীর ওপর হামলা চালায়।
বিরোধীরা সিরিয়ান সিভিল ডিফেন্স বা হোয়াইট হেলমেট নামেও পরিচিত।
তারা জানিয়েছে, রাজধানীর পশ্চিমে অন্তত ছয়টি ক্যাম্প লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণে দুই শিশু এবং একজন নারীসহ ছয়জন নিহত এবং ৭৫ জন আহত হয়েছে।
সরকারপন্থী শাম এফএম রেডিও স্টেশন বলেছে যে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ইদলিবের সবচেয়ে শক্তিশালী জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা-সংশ্লিষ্ট হায়াত তাহরির আল-শাম গ্রুপের অবস্থানে গোলাবর্ষণ করেছে।
এতে বলা হয়, সিরিয়া ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানও ওই এলাকায় হামলা চালায়।
২০১১ সালের মার্চ মাসে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে কয়েক লাখ লোককে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে দেশের ২৩ মিলিয়ন প্রাক-যুদ্ধ জনসংখ্যার অর্ধেক বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং সিরিয়ার বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলা
খরায় কেনিয়ায় কয়েকশ’ হাতি ও জেব্রার মৃত্যু
কেনিয়ার ভয়াবহ খরা চলছে। চলতি বছর পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল গত কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহ খরার মুখে পড়েছে। শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে হাতি ও জেব্রার মতো কয়েকশ’ বন্যপ্রাণী মারা গেছে।
শুক্রবার কেনিয়ার বন্যপ্রাণী পরিষেবা এবং অন্যান্য সংস্থা প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নজিরবিহীন খরায় কেনিয়ায় ২০৫টি হাতিসহ বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত হাতি ছাড়াও, ৫১২টি নু-হরিণ, ৩৮১টি জেব্রা, ১২টি জিরাফ ও ৫১টি মহিষসহ আরও অনেক বণ্যপ্রাণী মারা গেছে।
কেনিয়ার কিছু অংশে গত দুই বছরে অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের সঙ্গে পরপর চারবার খরা হয়েছে। যা গবাদি পশু সহ মানুষ ও প্রাণীদের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।এর সঙ্গে পানির ঘাটতির বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার রাজধানীতে দুটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১০০
প্রতিবেদন লেখকদের মতে, দেশটির পর্যটক আকর্ষণের কিছু জাতীয় উদ্যানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে-আম্বোসেলি,সাভো ও লাইকিপিয়া-সাম্বুরু অঞ্চল।
জানা গেছে,সেখানে বন্য প্রাণীদের ওপর খরার প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে সরকারের উদ্দেশে বন্যপ্রাণীদের জন্য জরুরি বায়বীয় আদমশুমারির আহ্বান জানিয়েছে।
অ্যালিফ্যান্ট প্রতিবেশি কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক জিম জাস্টাস নাইমু’র মতে,বিশেষজ্ঞরা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে দ্রুত পানি ও লবণ ছড়ানোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন।
উদাহরণস্বরূপ, হাতিরা প্রতিদিন ২৪০ লিটার (৬৩.৪০ গ্যালন) পানি পান করে।
এছাড়া গ্রেভির জেব্রার জন্য বিশেষজ্ঞরা খড়ের ব্যবস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: চাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৬০
প্রবল বর্ষণে নাইজারে ১৭৯ জন নিহত