বিশ্ব
নেপালের প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউদেল হাসপাতালে ভর্তি
শারিরীক অসুস্থতার কারণে নেপালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাউদেলকে কাঠমান্ডুর মহারাজগঞ্জের ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি টিচিং হাসপাতালে (টিইউটিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার টিইউটিএইচ কর্তৃপক্ষের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পেটে ব্যথা অনুভব করায় পাউদেলকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ‘শনিবার গভীর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
মাত্র দুই সপ্তাহ আগে নেপালি কংগ্রেস পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাউদেল নেপালের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।
নেপালের নির্বাচন কমিশনের মতে, পাউদেল ৩৩ হাজার ৮০২ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সুবাস চন্দ্র নেমওয়াং ১৫ হাজার ৫১৮ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন।
নেপালের নির্বাচন কমিশনের মতে, ফেডারেল পার্লামেন্টের ৩১৩ জন সদস্য ভোটে অংশ নিয়েছিলেন এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৫১৮ জন সদস্যও পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।
কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে নেপালের সংসদ ভবনে এই ভোটগ্রহণ হয়।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন নেপালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল
নেপালের নির্বাচন কমিশন ফেডারেল পার্লামেন্টারিয়ান ও প্রাদেশিক অ্যাসেম্বলি সদস্যদের জন্য হলটিতে দু’টি পৃথক ভোট কেন্দ্র স্থাপন করেছিল।
নির্বাচনের জন্য সব প্রদেশের আইনপ্রণেতারা কাঠমান্ডুতে পৌঁছেছেন। প্রতিনিধি পরিষদের ২৭৫ জন, জাতীয় পরিষদের ৫৯ জন এবং সাতটি প্রাদেশিক পরিষদের ৫৫০ জনসহ মোট ৮৮৪ জন সদস্য নিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ গঠিত।
পাউদেলকে আটটি দল সমর্থন করেছিল, অন্যদিকে সিপিএন-ইউএমএল এর একমাত্র প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র নেমওয়াং আইনপ্রণেতাদের দ্বারা সমর্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নেপালে ফের ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৪০ লাখ ছুঁইছুঁই
সর্বশেষ বৈশ্বিক পরিসংখ্যান অনুসারে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৯৪ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৯৩৫ জনে।
করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার ২০৫ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছে ১১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮ জন।
বাংলাদেশের প্রতিবেশি দেশ ভারতে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মোট শনাক্ত চার কোটি ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৮১ জন এবং একই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ৮৭৬ জনে।
আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে তিন কোটি ৯৮ লাখ ২৫৫ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৬৫ হাজার ৬৭৮ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ৪ জনের করোনা শনাক্ত
বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬৮ কোটি ২৬ লাখ ছাড়াল
নেপালে ফের ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প
নেপালের কাঠমান্ডুতে শনিবার সকালে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিলেট
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (ইএসই) জানায়, শনিবার সকাল ১১টা ১২ মিনিটে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ এবং ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৭৮ কিলোমিটার।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে নেপাল ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল।
নেপালের ন্যাশনাল আর্থকোয়েক মনিটরিং অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার (এনইএমআরসি) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে বাজুরা জেলার বিছিয়ার আশেপাশে ভূমিকম্পটি ঘটে।
আরও পড়ুন: তুরস্কে ফের ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ১
তাজিকিস্তানের কম জনবহুল এলাকায় ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প
ভারতে মন্দিরে কূপ ঢেকে রাখার কাঠামো ভেঙে নিহত ৩৫
দেবতা রামের জন্য একটি উৎসবে প্রার্থনা করার সময় একটি কূপের ওপর ঢেকে রাখার কাঠামো ভেঙে পড়ার পরে সেনাবাহিনীর সদস্য ও অন্যান্যরা ৩৫টি লাশ উদ্ধার করেছে।
শুক্রবার রাজ্য সরকারের এক আধিকারিক একথা জানিয়েছেন।
প্রায় ১৪০ জন উদ্ধারকর্মী দড়ি ও মই ব্যবহার করে কূপ থেকে পানি বের করে লাশগুলো উদ্ধার করে। কূপের সংকীর্ণ পথ ও ধ্বংসাবশেষ কাজটিকে কঠিন করে তুলেছিল।
পুলিশ কমিশনার মকরন্দ দেওস্কর জানান, মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোরে মন্দির কমপ্লেক্সের একটি কূপে বৃহস্পতিবার কাঠামো ধসে পড়ে এবং ধ্বংসস্তূপে ঢেকে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মন্দিরে আগুন আচার এবং হিন্দু উৎসব উদযাপনের জন্য ভক্তদের বড় আকারের ভিড় ছিল।
আরও পড়ুন: আদানি ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ ভারতের সুপ্রিম কোর্টের
রাজ্যের শীর্ষ নির্বাচিত কর্মকর্তা শিবরাজ সিং চৌহান বলেন, কাঠামোটি বিশাল জনতার ওজন সামলাতে না পেরে দৃশ্যত ধসে পড়ে। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
শুক্রবার জেলা প্রশাসক ইলিয়ারাজা টি. বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩৫টি লাশ উদ্ধার করেছি এবং উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ বৃহস্পতিবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দল অভিযানে যোগ দেয়।
চৌহান বলেন, ১৮ জনকে উদ্ধার করে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মন্দির কর্তৃপক্ষ কয়েক বছর আগে কূপটি ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছিল এবং এটি একটি কাঠামো দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে বিবিসি’র কার্যালয়ে তৃতীয় দিনের মতো অভিযান, কর ফাঁকির অভিযোগ
ফিলিপাইনে ফেরিতে আগুন লেগে নিহত ৩১, নিখোঁজ ৭
দক্ষিণ ফিলিপাইনে বুধবার গভীর রাতে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী ও ক্রু বহনকারী একটি ফেরিতে আগুন লেগে ৩১ জন মারা গেছেন। এসময় ২৩ যাত্রী আহত এবং কমপক্ষে ৭জন নিঁখোজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণের দ্বীপ বাসিলানের প্রাদেশিক গভর্নর জিম হাতমান বলেছেন, নিখোঁজদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
হাতমান জানিয়েছেন, যাত্রীদের অনেকেই আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে ‘এমভি লেডি মেরি জয়-৩’ নামের ফেরিটি থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। উপকূলরক্ষী, নৌবাহিনী, অন্য একটি ফেরির লোকেরা এবং স্থানীয় জেলেরা মিলে পানিতে ভাসমান অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ সাত যাত্রীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহত
হাতামান বলেন, পোড়া ফেরিটি বাসিলানের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে উপকূলরক্ষী কর্মী এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যাত্রী কেবিনের একটি অংশ থেকে ১৮টি লাশ উদ্ধার করেছে।
গভর্নর জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরিটি দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর জাম্বোয়াঙ্গা থেকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের দিকে যাচ্ছিল। মধ্যরাতে বাসিলানের কাছাকাছি এসে এটিতে আগুন ধরে যায়।
হাতমান টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে কেউ কেউ জাহাজ থেকে লাফ দিয়েছিল।’
ঘন ঘন ঝড়, দুর্বল নৌযান, অতিরিক্ত ভিড় এবং বিশেষ করে প্রত্যন্ত প্রদেশে নিরাপত্তা বিধি না মানার কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে সাগরে প্রায়ই নৌযানডুবি হয়।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে ফেরি ‘ডোনা পাজ’ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এই সামুদ্রিক বিপর্যয়ে ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে
সৌদি আরবে সেতুর সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ২০
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত, আহত ৬
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি পুলিশ স্টেশনে জঙ্গিদের হামলায় চার পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে রাস্তার পাশে পুতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও বিদ্রোহীরা।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি শহর লাকি মারওয়াতে একটি পুলিশ স্টেশনে হামলার প্রতিক্রিয়া জানাতে পুলিশের শক্তি বৃদ্ধির জন্য পাঠানো রসদ বহনকারী একটি পুলিশ গাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে চারজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে জঙ্গিরা।এতে পুলিশ স্টেশনের আরও ছয় কর্মকর্তা আহত হন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
স্থানীয় পুলিশ অফিসার আশফাক খান বলেছেন যে জঙ্গি সন্দেহভাজনদের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে যারা লাকি মারওয়াতে পুলিশ স্টেশনে হামলা করেছিল এবং পরে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালিয়েছে।
দুটি হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানি তালেবান। তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপি নামে পরিচিত দলটি আলাদা কিন্তু আফগানিস্তানের তালেবানের সঙ্গে জোটবদ্ধ। পাকিস্তানি তালেবান পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শেষ করার পর পাকিস্তানে হামলার মাত্রা বেড়েছে।
২০২১ সালে আফগান তালেবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের পর থেকে টিটিপির তৎপড়তা বেড়েছে যখন ২০ বছর যুদ্ধের পর মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে। তালেবান দখলের পর থেকে অনেক টিটিপি নেতা ও যোদ্ধা আফগানিস্তানে আশ্রয়স্থল খুঁজে পেয়েছেন।
পাকিস্তান গত দুই দশকে অগণিত জঙ্গি হামলার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু, নভেম্বরের পর থেকে তা বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে টিটিপি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে আফগান তালেবান-মধ্যস্থতায় এক মাসের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জলবায়ু ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে ঐতিহাসিক প্রস্তাব গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের ক্ষেত্রে দায়ী রাষ্ট্রগুলোর আইনগত বাধ্যবাধকতার বিষয়ে পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য বুধবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করে একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
বাংলাদেশসহ ১৭-সদস্য বিশিষ্ট কোর গ্রুপ দ্বারা উত্থাপিত এই প্রস্তাবটি জলবায়ু ন্যায়বিচার এবং ন্যায্যতার পক্ষে সমর্থনকারী দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী অর্জন।
কোর গ্রুপের পক্ষে রেজ্যুলেশনটি সাধারণ পরিষদে উত্থাপন করে ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করার নিমিত্ব এই রেজ্যুলেশনে মানবাধিকার আইনসহ বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সকল আইন, স্বীকৃত নীতিমালার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতার ওপর পরামর্শমূলক মতামত প্রদানের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে অনুরোধ করা হয়।
কার্বন নিঃসরণের ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি পরিণতি সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়ার জন্যও এই রেজ্যুলেশনে অনুরোধ করা হয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের গণহত্যার ওপর প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনী
সাধারণ পরিষদে রেজ্যুলেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণের জন্য আয়োজিত উচ্চ অধিবেশনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব প্রদান করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ধ্বংসাত্মক ও অপরিবর্তনীয় হুমকির বিষয়ে স্পষ্ট সতর্কতা সত্ত্বেও মানবতার বেঁচে থাকার জন্য যে মাত্রায় বৈশ্বিক উদ্যোগ প্রয়োজন, তার ধারে কাছেও নেই বিশ্ব সম্প্রদায়। এই রেজ্যুলেশন এবং এর ফলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কর্তৃক পরামর্শমূলক মতামত ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দায়ী দেশগুলোর আইনি বাধ্যবাধকতা, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার এবং জলবায়ু পরিবর্তন থেকে মানব জাতিকে রক্ষা করার জন্য মানব সভ্যতাকে আরও সম্যক ধারণা দিয়ে তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
আদালতের পরামর্শমূলক মতামতের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব তার বক্তব্যে বলেন যে এই ধরনের পরামর্শমূলক মতামত জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আরও সাহসী এবং শক্তিশালী ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করবে। রেজ্যুলেশনটি সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি জলবায়ু কর্মী এবং যুব সমাজসহ আন্তর্জাতিক সুশীল সংস্থাগুলোর কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছে।
ভানুয়াতুর আহ্বানে প্রতিষ্ঠিত কোর গ্রুপটি রেজ্যুলেশনের খসড়া প্রণয়ন থেকে প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে গ্রহণ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। খসড়া রেজ্যুলেশনের ওপর তারা জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্রের অংশ গ্রহণে উন্মুক্ত এবং স্বচ্ছ পদ্ধতিতে একাধিকবার অনানুষ্ঠানিক সভা করেছে। বাংলাদেশ, কোর গ্রুপের সদস্য হিসেবে, খসড়া প্রণয়ন ও নেগোশিয়েশন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি আউটরিচ প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত ছিল।
‘এটি জলবায়ু ন্যায়বিচারের জন্য একটি কালজয়ী মুহূর্ত। আমরা পুরো প্রক্রিয়া জুড়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অসীম আগ্রহ ও সম্পৃক্ততার জন্য কৃতজ্ঞ, যা জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তাদের গভীর অঙ্গীকারের সাক্ষ্য দেয়।’ - বলেছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহিত, যিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কাছ থেকে সমর্থন অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।
রেজ্যুলেশন গৃহীত হওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র সচিব ভানুয়াতু কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: এসডিজি: বিশ্বকে 'ট্র্যাকে ফিরে' পেতে ইইউকে সহায়তা করার আহ্বান জানাল জাতিসংঘ প্রধান
মেক্সিকোয় অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহত
মেক্সিকোর সীমান্ত শহর সিউদাদ জুয়ারেজের একটি অভিবাসন কেন্দ্রে আগুন লেগে ৩৯ জন অভিবাসী মারা গেছেন। মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশটির একটি সরকারি সংস্থা বলেছে, অভিবাসন কেন্দ্রে হওয়া সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনাগুলোর মধ্যে এটি একটি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরের রাস্তা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৭১ জন অভিবাসীকে তুলে ন্যাশনাল মাইগ্রেশন ইনস্টিটিউটের (আইএনএম) অফিসে নেয়। এরপরই আগুন লাগে। সোমবার গভীর রাতে আগুন লাগার কয়েক ঘন্টা পরে টেক্সাসের এল পাসো থেকে অ্যাম্বুলেন্স, অগ্নিনির্বাপক কর্মী ও ভ্যান ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৬
ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন ইনস্টিটিউটের তথ্যানুসারে, ৩৯ জন মারা গেছে এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের অবস্থা ‘গুরুতর’।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ওই অভিবাসী কেন্দ্রে মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার ৬৮ জন পুরুষ ছিল বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ আগুনের কারণ অনুসন্ধান করছে এবং অভিবাসীদের সাহায্য করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি সিউদাদ জুয়ারেজের কর্তৃপক্ষ ও অভিবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে।
সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় বা যারা সেখানে আশ্রয়ের অনুরোধ করেছে এবং প্রক্রিয়াটির জন্য অপেক্ষা করছে এমন লোকে পূর্ণ।
৩০টিরও বেশি অভিবাসন কেন্দ্র এবং অন্যান্য অ্যাডভোকেসি সংস্থা ৯মার্চ একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে।
যাতে শহরে অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের অপরাধীকরণের অভিযোগ করা হয়েছিল।
চিঠিতে অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের অভিযোগ করা হয়েছে।
তারা আরও অভিযোগ করেছে যে পৌর পুলিশ কারণ ছাড়াই রাস্তায় মানুষকে অভিবাসন সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মার্কিন সরকারের চাপে মার্কিন সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঠেকাতে প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে মেক্সিকো।
দেশটির অভিবাসন কেন্দ্রগুলোতে মাঝে মাঝে বিক্ষোভ ও দাঙ্গা হয়েছে।
গত অক্টোবরে ভেনিজুয়েলার অভিবাসীরা টিজুয়ানার একটি অভিবাসন কেন্দ্রের ভিতরে দাঙ্গা করেছিল। পুলিশ ও ন্যাশনাল গার্ড সৈনারা এসে সে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে বাধ্য হয়।
নভেম্বরে গুয়াতেমালার সীমান্তবর্তী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর তাপাচুলায় মেক্সিকোর বৃহত্তম অভিবাসন কেন্দ্রে কয়েক ডজন অভিবাসী দাঙ্গা করেছিল। তবে এ দুই ঘটনায় কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী শহরে চলমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত ৮
মেক্সিকোর দক্ষিণে সিটি হলে মাদক চক্রের হামলায় ২০ জন নিহত
কলাম্বাইন থেকে ন্যাশভিল: যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে গণবন্দুক হামলায় নিহত ১৭৫
যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস জুড়ে দোকান-বাজার, থিয়েটার ও কর্মক্ষেত্রে দুর্বৃত্তদের গণবন্দুক হামলায় কয়েকশ’ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
তবে দেশটির স্কুল ও কলেজে বন্দুক হামলায় কোমলমতী শিশুদের হত্যার ঘটনাগুলো সবচেয়ে মর্মস্পর্শী।
যদি দুর্বৃত্তের গুলিতে একসঙ্গে চার বা তার বেশি মানুষের মৃত্যু হয় তবে তাকে গণবন্দুক হামলা বলা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৯ সালে কলাম্বাইন হাইস্কুলের গণবন্দুক হামলা থেকে টেনেসির ন্যাশভিলে সোমবারের হামলা পর্যন্ত এ ধরনের ১৫টি ঘটনায় ১৭৫টি শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি), ইউএসএ টুডে এবং নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সংকলিত তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
দ্য কনভেন্ট স্কুলে ২০২৩ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশভিলের একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুলে ২৮ বছর বয়সী এক নারী বন্দুকধারী দুটি রাইফেল এবং একটি পিস্তল নিয়ে তিনজন ছাত্র এবং তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। সন্দেহভাজন নারী পুলিশের গুলিতে মারা যান।
রব এলিমেন্টারি স্কুলে ২০২২ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ২১ জনের মৃত্যু
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেক্সাসের উভালদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মঙ্গলবার একজন ১৮ বছর বয়সী বন্দুকধারীর হামলা চালিয়ে ১৯ শিশু এবং দুইজন প্রাপ্তবয়স্ককে হত্যা করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে হামলাকারীর মৃত্যু হয়েছে।
অক্সফোর্ড হাইস্কুলে ২০২১ সালের নভেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
মিশিগানের অক্সফোর্ড হাই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ওই স্কুলের চারজনকে গুলি করে হত্যা এবং একজনকে আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
সান্তা ফে হাইস্কুলে ২০১৮ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ১০ জনের মৃত্যু
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে একজন বন্দুকধারী হিউস্টন-এলাকার একটি হাইস্কুলে গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করেছে, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের ছাত্র। ১৭ বছর বয়সী সন্দেহভাজন এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে চকলেট কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২, নিখোঁজ ৯
মার্জরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ১৭ জনের মৃত্যু
ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডের স্কুলে এক হামলায় ১৪ জন ছাত্র এবং তিনজন স্টাফ সদস্য নিহত হয়েছে এবং আরও অনেকে আহত হয়েছে। হামলাকারীকে প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিল।
ইউএমপিকিউইউএ কমিউনিটি কলেজে ২০১৫ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
ওরেগনের রোজবার্গের স্কুলে এক ব্যক্তি ৯জনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এসময় ৯জন আহত হয়। এরপর বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।
মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ২০১৪ অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৪ জনের মৃত্যু
ওয়াশিংটন রাজ্যের মেরিসভিল-পিলচাক হাইস্কুলে ১৫ বছর বয়সী এক শিশু চারজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং এরপর সে নিজেও আত্মহত্যা করে।
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায় ২০১৪ সালের মে মাসে গণবন্দুক হামলায় ৬ জনের মৃত্যু
২২ বছর বয়সী এক কলেজছাত্র ক্যালিফোর্নিয়ার ইসলা ভিস্তাতে স্কুলের কাছে ছয়জন ছাত্রকে হত্যা করে এবং আরও অনেক জনকে আহত করে। সবশেষে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
স্যান্ডি হুক এলিমেন্টারি স্কুলে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে গণবন্দুক হামলায় ২৭ জনের মৃত্যু
একজন ১৯ বছর বয়সী তরুণ কানেকটিকাটের নিউটাউনে তাদের বাড়িতে প্রথমে তার মাকে হত্যা করেছিল। তারপরে কাছের স্যান্ডি হুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ২০ জন প্রথম শ্রেণির ছাত্র এবং ছয়জন শিক্ষককে হত্যা করেছিল। এরপর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল ফ্লাইট বিধ্বস্ত, রোগীসহ নিহত ৫
ওইকস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৭ জনের মৃত্যু
ক্যালিফোর্নিয়ার ইস্ট ওকল্যান্ডের একটি ছোট বেসরকারি কলেজে সাবেক নার্সিং ছাত্র সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। ২০১৯ সালে তিনি কারাগারে মারা যান।
উত্তর ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
একজন ২৭ বছর বয়সী প্রাক্তন ছাত্র আত্মহত্যা করার আগে ইলিনয়ের ডিকালবের স্কুলে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা এবং ২০ জনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন।
ভার্জিনিয়া টেকে ২০০৭ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ৩২ জনের মৃত্যু
২০০৭ সালের এপ্রিলে ভার্জিনিয়ার ব্ল্যাকসবার্গে ক্যাম্পাসে ২৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী ৩২ জনকে হত্যা করেছিল এবং আরও দুই ডজনেরও বেশি মানুষকে আহত করেন। এরপর বন্দুকধারী আত্মহত্যা করেন।
ওয়েস্ট নিকেল মাইনস অ্যামিশ স্কুলে ২০০৬ সালের অক্টোবরে গণবন্দুক হামলায় ৫ জনের মৃত্যু
পেনসিলভানিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের কাছে ৩২ বছর বয়সী এক লোক একটি অ্যামিশ স্কুল হাউসে ঢুকে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং পাঁচজনকে আহত করেন। এরপর আত্মহত্যা করেন।
রেড লেক হাইস্কুলে ২০০৫ সালের মার্চে গণবন্দুক হামলায় ৯ জনের মৃত্যু
১৬ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী তার মিনেসোটার বাড়িতে দাদা ও তার বন্ধুকে হত্যা করে। এরপর কাছের রেড লেক হাইস্কুলে গিয়ে পাঁচজন ছাত্র, একজন শিক্ষক এবং একজন নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা করে। এরপর আত্মহত্যা করে।
কলাম্বাইন হাইস্কুলে ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে গণবন্দুক হামলায় ১৩ জনের মৃত্যু
দুই শিক্ষার্থী কলোরাডোর লিটলটনের স্কুলে তাদের ১২ জন সহকর্মী এবং একজন শিক্ষককে হত্যা করে এবং আত্মহত্যা করার আগে আরও অনেককে আহত করে।
মুম্বাইয়ে প্রথম জি-২০ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শুরু
ভারতে জি-২০ এর প্রথম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাইয়ে ভারতের সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল ৭০ জন প্রতিনিধিকে স্বাগত জানিয়েছেন যারা মুম্বাইতে বৈঠকের জন্য সমবেত হন। আঞ্চলিক গ্রুপিং এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে আলোচনায় অংশ নিবেন বলে জানায় ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই।
ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করা। এবং বিদ্যমান সুযোগগুলাকে কীভাবে মানব-কেন্দ্রিক গঠনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং দৃঢ় ফলাফল বয়ে আনা যায়, সেগুলোকে ভাগ করে নেয়া।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
তিন দিনের বৈঠকের আলোচনায় ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অগ্রাধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতার সুবিধা দেবে।
সভার প্রথম দিন একটি সেমিনার দিয়ে শুরু হবে যেখানে প্রতিনিধিরা ক্রমবর্ধমান ট্রেড ফাইন্যান্স ব্যবধান কমানোর জন্য চিন্তাভাবনা করবে এবং সমাধান দিবেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আজ মুম্বাই, ভাইজাগ এবং রামনগরে শুরু হওয়া আরও তিনটি বৈঠক জি-২০ সভার অর্ধশতক পূর্ণ করেছে।এখনও পর্যন্ত ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে যা ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর গৃহীত হয়েছিল। দুটি মন্ত্রী পর্যায়ের, একটি শেরপা, ২৩টি ওয়ার্কিং গ্রুপ, ২০টি এনগেজমেন্ট গ্রুপ এবং একটি কার্টেন রাইজার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রায় ৩০টি ইউনিভার্সিটি কানেক্ট এবং কয়েক ডজন জনভাগীদারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে জি-২০ দেশগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ঢাকার