দক্ষিণ ফিলিপাইনে বুধবার গভীর রাতে প্রায় ২৫০ জন যাত্রী ও ক্রু বহনকারী একটি ফেরিতে আগুন লেগে ৩১ জন মারা গেছেন। এসময় ২৩ যাত্রী আহত এবং কমপক্ষে ৭জন নিঁখোজ হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণের দ্বীপ বাসিলানের প্রাদেশিক গভর্নর জিম হাতমান বলেছেন, নিখোঁজদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
হাতমান জানিয়েছেন, যাত্রীদের অনেকেই আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে ‘এমভি লেডি মেরি জয়-৩’ নামের ফেরিটি থেকে সাগরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। উপকূলরক্ষী, নৌবাহিনী, অন্য একটি ফেরির লোকেরা এবং স্থানীয় জেলেরা মিলে পানিতে ভাসমান অনেক মানুষকে উদ্ধার করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ সাত যাত্রীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান বৃহস্পতিবারও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোয় অভিবাসন কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডে ৩৯ জন নিহত
হাতামান বলেন, পোড়া ফেরিটি বাসিলানের উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে উপকূলরক্ষী কর্মী এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ যাত্রী কেবিনের একটি অংশ থেকে ১৮টি লাশ উদ্ধার করেছে।
গভর্নর জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, ফেরিটি দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর শহর জাম্বোয়াঙ্গা থেকে সুলু প্রদেশের জোলো শহরের দিকে যাচ্ছিল। মধ্যরাতে বাসিলানের কাছাকাছি এসে এটিতে আগুন ধরে যায়।
হাতমান টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের কারণে কেউ কেউ জাহাজ থেকে লাফ দিয়েছিল।’
ঘন ঘন ঝড়, দুর্বল নৌযান, অতিরিক্ত ভিড় এবং বিশেষ করে প্রত্যন্ত প্রদেশে নিরাপত্তা বিধি না মানার কারণে ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে সাগরে প্রায়ই নৌযানডুবি হয়।
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে ফেরি ‘ডোনা পাজ’ একটি জ্বালানি ট্যাঙ্কারের সঙ্গে সংঘর্ষের পরে ডুবে যায়। বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ এই সামুদ্রিক বিপর্যয়ে ৪ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরে ভূমিধসে নিহত ৭, নিখোঁজ অনেকে