জীবনধারা
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য: গল্প নাকি সত্যি?
বিশ্বের সব থেকে রহস্যময় জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডেভিল্স ট্রায়াঙ্গেল, সবাই যেটাকে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল হিসেবেই জানে। আসলে মিথোলোজি ও সত্যি ঘটনার মাঝের নো ম্যান্স ল্যান্ডে লোক মুখে হাজারো কথা প্রচলিত থাকে, যেগুলো সেই সত্যি ঘটনাটির সামনে ধোয়ার মেঘ তৈরি করে। সব তর্ক-বিতর্কের ঊর্ধ্বে যে ভাবনাটি সময়ের দাবি তা হলো, এই বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের অদ্ভুতুড়ে ব্যাপারগুলো যদি আসলেই নিরঙ্কুশ ঘটনা প্রবাহ হয়ে থাকে, তখন কি হবে! চলুন, নতুন করে হয়ে যাক এই পুরনো রহস্যটির জট ছাড়ানোর চেষ্টা।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের ত্রিভুজ অঞ্চল
মায়ামির সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো এবং বারমুডা। উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের এই তিনটি স্থানে পড়েছে ত্রিভজাকৃতির অঞ্চলটির তিনটি শীর্ষবিন্দু। মাঝের জায়গাটির পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ থেকে ৩৯ লাখ বর্গকিলোমিটার। অবশ্য এটি একদম নির্ধারিত নয়। বিভিন্ন সময় যে অংশে রহস্যময় ঘটনাগুলো ঘটেছে তাকে কেন্দ্র করে বিস্তৃত হয়েছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল।
পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্যময় ঘটনাপ্রবাহের এক ঝলক
১৮৮০ সালের ৩১ জানুয়ারি এলেন অস্টিন নামের একটি জাহাজ ইংল্যান্ডের বারমুডা থেকে ফ্যালমাউথের উদ্দেশে রাজকীয় বন্দর ছেড়ে যায়। ধারণা করা হয়- জাহাজটি পথিমধ্যে ঝড়ের কবলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে বিশাল নাবিকদল নিয়ে হারিয়ে গিয়েছিল বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে। ১৮৮১ সালে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় এবং বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এর মাধ্যমেই শুরু হয় বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের সূত্রপাত।
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সংবাদ পাঠিকা তাসনুভা আনান শিশির এবার ট্রান্স মডেল হিসেবে হেঁটে গেলেন নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকের র্যাম্প ধরে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত এই শো’টিতে অংশগ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন তাসনুভা। তার ক্যারিয়ারের অগ্রগতিটা আর দশটা সফল মানুষের মত নয়। শত শত উপহাসের সয়লাবের পর প্রথম নিউজ রুমের চেয়ারে বসাটা ছিলো স্বপ্নের মত। আর আমেরিকার মত একটি দেশ থেকে এত বড় একটি প্রাপ্তি মহিমান্বিত করেছে তাসনুভা আনানের অস্তিত্বকে। চলুন, তার এই অসামান্য প্রাপ্তির পাশাপাশি জেনে নেই তার জীবনের গল্প।
একজন তাসনুভা আনান শিশির-এর গল্প
১৯৯১ সালের ১৬ জুন; খুলনার বাগেরহাটে জন্ম নেয়া শিশুটির নাম রাখা হয় কামাল হোসেন। উচ্চ-মাধ্যমিকের গন্ডি পেরোনোর আগেই কামাল নিজের চলাফেরা ও বেশভূষার পুরোটা জুড়ে নারীত্বের উপস্থিতি টের পেতে শুরু করেন। এ নিয়ে আশেপাশে অনেক কথাবার্তাও রটতে থাকে। এক সময় বাবা-মার সম্মানের কথা ভেবে ঘর ছাড়তে হয় কামাল হোসেনকে।
বাগেরহাট থেকে নারায়ণগঞ্জে এসে সেখানকার সরকারি তোলারাম কলেজে সমাজকর্ম নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে অনার্স ও মাস্টার্স-এর পর ব্র্যাক জেমস পি গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ের উপর এক বছরের আরও একটি মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। এই পুরো সময়টাতে নারী বেশে নিজেকে সমাজের সামনে মেলে ধরেছেন কামাল হোসেন। অতঃপর ২০১৬ সালের শেষের দিকে চূড়ান্তভাবে মনস্থির করে ফেলেন। কলকাতায় চিকিৎসকের পরামর্শে শারীরিকভাবে কামাল হোসেন থেকে পরিণত হন তাসনুভা আনান শিশিরে।
আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ছবিতে তাসনুভা আনান শিশির
এরপর ক্যারিয়ার নিয়ে সংগ্রাম মুখর জীবনের এক পর্যায়ে পরিচয় হয় প্রখ্যাত নাট্য পরিচালিকা চয়নিকা চৌধুরীর সাথে। আর এই পরিচয়ের রেশ ধরেই তার সুযোগ মেলে বৈশাখী টিভি'র নিউজ রুমে প্রবেশের।
নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে তাসনুভা আনান শিশির
সেরা বাংলাদেশি সংবাদ উপস্থাপিকার পুরস্কার নিতে তাসনুভা উত্তর আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিলেন শো টাইম মিউজিকের আমন্ত্রণে। তখনি খবর পান নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকের। প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি ও সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটন শহরে বসে এই আন্তর্জাতিক আসর।
বিশ্বনন্দিত ইভেন্টটির স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার ওমর চৌধুরী এবং ফোর এএম টিভি ইউএসএ-এর নির্বাহী প্রযোজক আরিফুল ইসলাম তাসনুভা আনানকে আমন্ত্রণ জানান অতিথি হিসেবে র্যাম্পে অংশ নেয়ার জন্য। আমেরিকায় শিশিরের ওয়ার্ক-পারমিট না থাকায় তাকে অতিথি হিসেবে পারফর্ম করার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
তজ, ফোর এএম টিভি ইউএসএ ফ্যাশন এবং মিউজিকপেস আয়োজিত ‘প্লিৎজ নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইক’ শিরোনামের আয়োজনটির প্রযোজনায় ছিলো প্লিৎজ্স্ ফ্যাশন মার্কেটিং। বিভিন্ন দেশের মডেলদের সঙ্গে সেখানে প্রথম বাংলাদেশি ট্রান্স মডেল হিসেবে অংশ নেন তাসনুভা আনান শিশির।
তার পরনে ছিলো বিখ্যাত পোশাক ডিজাইনার অস্কার গঞ্জালেজ মন্টানিজ-এর ডিজাইনকৃত পোশাক।
ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে পোশাকের থিম নির্ধারণ করা হয়েছিলো। রঙের ক্ষেত্রে বাছাই করা হয়েছে সাদা, কালো আর লাল রঙকে। ইভেন্টের দিনে তাসনুভা পড়েছিলেন দুটি পোশাক; একটা গাউন আরেকটা শীতকালের হুডি।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
স্টেরিওটাইপ সমাজের শিকল ভাঙার আদর্শ তাসনুভা শিশির
ট্রান্স নারীতে রূপান্তরের পর জীবনটা আরও বেশি সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছিলো তাসনুভার জন্য। কৈশোরে ছেলেদের মতো চলাফেরা করে টিউশনি ও নৃত্য সহ অন্যান্য কাজ চালিয়ে নেয়া যেতো। কিন্তু এখন আর সে সুবিধা নেই। কিছুদিন ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করেছিলেন। এবার সেটিও বন্ধ হয়ে যায়। এক সময় এমন হয় যে, কোন প্রোগ্রাম থেকেই আর ডাক পাওয়া যাচ্ছে না।
এরপরেও তীব্র পরিশ্রম আর অধ্যবসায়-এ নতুন সূর্যোদয় ঘটে তাসনুভার জীবনে। দেখা না হলেও অসুস্থ বাবা-মার ভরণপোষন করছেন তাসনুভাই। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বাড়িতে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও আশেপাশের মানুষের কটুকথার ভয়ে এখনও তিনি বাড়িমুখী হন না।
তার অন্য চার বোন আর এক ভাইয়ের সাথে ঠিকমত কথা হয় না। বোনেরা সবাই সংসার-বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত। তাদের সঙ্গে বছরে দুয়েক মিনিট কথা হলেও এড়িয়ে যেতে হয় পরস্পরের ঠিকানা ভাগ করে নেয়ার ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন: বাঁধাধরা নিয়ম ভেঙে নতুন উচ্চতায় তাসনুভা আনান শিশির
ছেলেবেলায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নৃত্য চর্চা এখন আবার শুরু করেছেন। অভিনয় করেছেন ‘কসাই’ নামক একটি সিনেমায়। বিভিন্ন স্বনামধন্য ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করছেন। নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছেন সকল প্রতিবন্ধকতাকে ডিঙিয়ে সময়কে জয় করার লক্ষ্যে।
এখন তাসনুভা আনান শিশির-এর দেখানো পথ ধরে ভাগ্য ফিরছে আরও ট্রান্সজেন্ডারদের। নতুন করে জীবন নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন যুগ যুগ ধরে হাজারো অবজ্ঞায় অবদমিত হয়ে থাকা মানুষগুলো। তাসনুভার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি শুধু এই নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্যই আশার আলো দেখাচ্ছে না, গোটা দেশের জন্য এক বিপুল অর্জন হিসেবে প্রতীয়মান হচ্ছে। সেই নিরিখে যে যুগান্তকারি বিষয়টি উঠে আসে, তা হলো- শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ, ও গোষ্ঠী কোন মানুষের পরিচয় ও সম্মানের নির্ণায়ক হতে পারে না।
আরও পড়ুন: ‘মাসুদ রানা’র লেখক-প্রকাশক কাজী আনোয়ার হোসেন আর নেই
রন্ধন পাঠশালা: ঢাকায় কোথায় রান্না শেখার কোর্স করতে পারবেন?
নিজের প্রিয় কাজটি করার পাশাপাশি কর্ম জগতে নিজের আলাদা একটি পরিচয় তৈরি করার সেরা উপায় হলো শিল্পচর্চা। আর যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে বর্তমানের সর্বাধিক পরিশীলিত শিল্পগুলোর দিকে আলোকপাত করতে গেলে অকপটেই বলা যায় রন্ধনশিল্পের কথা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকেই এখন নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনে বেছে নিচ্ছে এই প্রাচীন শিল্পটিকে। যাদের মধ্যে ইতোমধ্যে এর অঙ্কুর রয়েছে তাদের জন্য রীতিমত আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা জায়গার যোগান দিচ্ছে এই সার্বজনীন পেশাটি। ফলশ্রুতিতে দেশ জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অনেক রান্নার স্কুল। চলুন, জেনে নেয়া যাক ঢাকার কয়েকটি সেরা রন্ধন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যাপারে।
ঢাকায় রান্না শেখার ১০টি স্কুল
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি আর্টস (আইটিআইসিএ)
রন্ধনশিল্পে অধ্যয়নের নিমিত্তে প্রথমেই বলা যেতে পারে এই প্রতিষ্ঠানটির কথা। বনানীর নাম ভিলেজে অবস্থিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে সুযোগ আছে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন বিভাগের উপর বিশদ প্রশিক্ষণের। আছে স্বল্পমেয়াদি কোর্স মাল্টি ক্যুজিন ছাড়াও আছে স্বল্প পরিসরে বিভিন্ন মেয়াদের সার্টিফিকেট কোর্স। এগুলোর মধ্যে ‘বেকিং ও পেস্ট্রি প্রোডাকশন-এর তিন মাসের সার্টিফিকেট কোর্সটি অন্যতম। এছাড়াও ৯ মাসের প্রফেশনাল শেফ কোর্সটি পেশাদার শেফ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে সহায়ক হতে পারে। পরিসরের উপর নির্ভর করে কোর্সগুলোর খরচ পড়তে পারে ১০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
বাংলাদেশ হোটেল ম্যানেজমেন্ট এ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট (বিএইচএমটিটিআই)
নূন্যতম ১ মাস থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩ বছরের রান্না প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আছে এই রন্ধন বিদ্যাপীঠে। পান্থপথের নিকটেই গ্রীন রোডে অবস্থিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সুযোগ আছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সার্টিফিকেট কোর্স। সেগুলোর মধ্যে ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রোডাকশন শেফ এবং বেকারি কোর্স নামের জয়েন্ট প্রোগ্রামটি রন্ধন শিল্পে আগত নতুনদের জন্য উপযুক্ত হতে পারে। তাছাড়া খুব সময়ের মধ্যে ছোট-খাট রান্নায় হাতেখড়ি নেয়ার জন্য করে নেয়া যেতে পারে এক মাসের বেকারি এবং পেস্ট্রি কোর্সটি। যারা রান্না নিয়ে বেশ সিরিয়াস তাদের জন্য অ্যাডভান্সড ডিপ্লোমা ইন কালিনারি, বেকিং এবং পেস্ট্রি আর্টস অথবা ফুড প্রিপারেশন এবং কালিনারি শেফ কোর্সটি উৎকৃষ্ট হতে পারে।
এই প্রোগ্রামগুলোতে খরচ পড়তে পারে নিম্নে ৯০ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। স্বল্প মেয়াদি সার্টিফিকেট কোর্সগুলোর ফি ১২ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
রিজেন্সি হসপিটালিটি ট্রেইনিং ইন্সটিটিউট (আরএইচটিআই)
রিজেন্সির ১ বছর মেয়াদি পেশাদার কুকারি প্রোগ্রামটি বেশ জনপ্রিয়। ক্ষিলক্ষেতের নিকুঞ্জে অবস্থিত এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির স্পেশাল কোর্সের মধ্যে আছে বাটলারের প্রশিক্ষণ ও প্রফেশনাল বারিস্তা। এছাড়া
স্কিল টেস্ট সার্টিফিকেশন প্রোগ্রামটির মাধ্যমে রন্ধনশিল্পীরা নিজেদের দক্ষতাকে যাচাই করে নিতে পারেন। সার্টিফিকেট কোর্সগুলোতে রন্ধনশিল্পে আগ্রহীদের জন্য আছে পেস্ট্রি ও বেকারি এবং ফুড প্রোডাকশন কোর্স। আর প্রফেশনাল কুকারির ডিপ্লোমা কোর্সটি উন্নত ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিভিন্ন মেয়াদের উপর ভিত্তি করে এখানকার প্রোগ্রামগুলোতে খরচ পড়তে পারে ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা।
পড়ুন: অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে কেমন হতে পারে
শুরু হয়ে গেছে ২০২২ এর ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ! এখনো যারা ‘দ্যা রাইট ওয়ান’-এর জন্য অপেক্ষা করছেন এমন সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে ক্যামন হতে পারে! অবশ্য যেখানে দ্বিতীয় কোন পক্ষের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করতে হয় না, সেখানে দিন রচনার ব্যাপারটি সম্পূর্ণ নিজের খেয়াল-খুশির ওপরই বর্তায়। এর সঙ্গে একীভূত হয় সবার নিকট নিজেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেলে ধরা অথবা নিজের তৈরি আলাদা জগতটাকে আরও কারুকার্যমন্ডিত করার বিষয়টি। চলুন জেনে নিই এমন কিছু উদযাপন, যা যে কোন ধরনের সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন্স ডে কে বিশেষ দিনে পরিণত করতে পারে।
শহরের বাইরে ঘুরতে যাওয়া
প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহটি ঘুরাঘুরির জন্য শুধুমাত্র একটি ভনিতা হতে পারে। সঙ্গী হিসেবে বন্ধু-বান্ধব, পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন যে কেউ হতে পারে। অবশ্য এক্ষেত্রে সিঙ্গেলদেরই খুঁজে বের করতে হতে পারে। তবে সবকিছুকে উপেক্ষা করে ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভোরবেলা একা একাই বেরিয়ে যাওয়া যায় ট্রাভেল ব্যাগ কাঁধে করে। দূর পাল্লার বাসে উঠে ফোনে প্রিয় গানগুলো নিয়ে তৈরি প্লেলিস্টটা ছেড়ে দিয়ে কানে এয়ারফোন লাগিয়ে দৃষ্টি রাখা যায় জানালার ওপাশে ছুটতে থাকা শহরে। দূরের কোন অজ-পাড়া গাঁ, বিলের বুকে নৌকায় ভেসে থাকা অথবা পাহাড় চূড়া থেকে পাখির চোখে নিচের লোকালয় দেখা নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে দিনক্ষণ।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
বন্ধুদের সাথে জম্পেশ আড্ডা
সিঙ্গেলদের ভ্যালেন্টাইন ডে মানেই প্রিয় কোন জায়গায় বসে বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা। হতে পারে সেটা পাড়ার টঙের দোকান অথবা বাসার ছাদে বা টিএসসির মোড়ে কিংবা চিত্রশালার খোলা উদ্যানে। ঝালমুড়ি, চা খাওয়ার ছুতোয় বেহিসাবি ঘণ্টাগুলো ভুলিয়ে দিতে পারে চারপাশের সবকিছুকে। যারা ইতোমধ্যে পড়াশোনার জীবন পার করে কর্মজীবনে প্রবেশ করে ফেলেছেন তারা প্রায়ই দুঃখ করেন ফেলে আসা বন্ধু-আড্ডার দিনগুলোর জন্য। কেননা বন্ধুরা সব কাছাকাছি থাকলেও ব্যস্ততার জন্য সবাইকে একই সময় পাওয়া যায় না। আর যারা দূরে চলে গেছে তাদের অবস্থা তো আরো করূণ। তাই সিঙ্গেল বন্ধুদের একত্রিত হওয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে টা হতে পারে সেরা উপলক্ষ।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
নতুন বা প্রিয় কোন মুভি বা টিভি সিরিজ অথবা কমেডি শো দেখা
পরিবার বা আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মুভি দেখার সময়টি হতে পারে শ্রেষ্ঠ একটি কোয়ালিটি টাইম। আর ব্যস্ততার জন্য কাউকেই পাওয়া না গেলে নতুন বা প্রিয় কোন মুভি ছেড়ে দিয়ে একা একাই বসে যাওয়া যেতে পারে কফি ভর্তি মগ হাতে নিয়ে। গত কয়েক যুগ ধরে চলচ্চিত্রগুলোর পাশাপাশি টিভি সিরিজগুলো বিভিন্ন ধরনের দর্শকদের চাহিদার ভিত্তিতে কন্টেন্ট তৈরি করে আসছে। সব মুভি বা টিভি সিরিজের পটভূমিতেই রোমান্টিক আবহ থাকে না। আর কমেডি শো হলে ভ্যালেন্টাইনের মত হাজারো সপ্তাহ অকপটেই কাটিয়ে দেয়া যায়। এই মাধ্যমটি বিশেষত অফিস পাড়ার সিঙ্গেলদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে উদযাপনের সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
পরিবারের সাথে সময় কাটানো
ভ্যালেন্টাইন ডে’কে কেন্দ্র করে বাবা-মা, ভাইবোনদের জন্য গিফ্ট কিনে সেগুলো দেয়ার জন্য ছোট্ট করে মজার একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যেতে পারে বাসার মধ্যেই। এখানে পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকে তাদের নিজ নিজ প্রিয় গান গাইতে পারে বা কবিতা আবৃত্তি করতে পারে অথবা শেয়ার করতে পারে নিজের জীবনে প্রিয় কোন মূহুর্ত। বড় পরিবারের ক্ষেত্রে এই আনন্দগুলো আরো বড় হতে পারে। চাচাতো ভাইবোনরা সব একসাথে হয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলা করা, বাড়ি সাজানো, রান্না-বান্না সব মিলিয়ে ক্রিস্টমাস বা ঈদের মতই এক দারুণ সময়ের অবতারণা করা যেতে পারে।
পড়ুন: বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
নতুন কোন খাবার রান্না করা
যারা রাধতে ভালবাসেন তাদের জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে নিঃসন্দেহে একটি চমৎকার দিন। শুধু পরিবারের লোকদেরই নয়; বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-পড়শি অথবা আত্মীয়-স্বজনদের ডেকে ছোট-খাট একটা পার্টির আয়োজন করে পরিবেশন করা যেতে পারে নিজের সেরা রান্নাটা। তাছাড়া নতুন কোন সময়সাধ্য রান্নার জন্য কাজের পর বাকি পুরো দিনটিই নিজের জন্য রেখে দেয়া যেতে পারে। ভ্যালেন্টাইনের আগের দিনেই পরিকল্পনার করে পরের দিন কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় মনের মত বাজার করে নেয়া যেতে পারে। অতঃপর সন্ধ্যার পর থেকে নিজের বিশাল সাম্রাজ্যটাতে যথারীতি আয়োজন করে শুরু করা যেতে পারে প্রিয় রান্নাটি।
পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
নতুন ব্লগ তৈরি
যারা নিজের কাজটি করতে প্রচন্ড ভালবাসেন তাদের আসল ভ্যালেন্টাইন তো সেই কাজটিই। তাই যে কাজে পারদর্শিতা আছে সেরকম কোন কাজ করে তা রেকর্ড করার জন্য ভ্যালেন্টাইন ডে’টা সেরা। হতে পারে সেটা গিটার বাজানো, গান গাওয়া, রান্না, প্রযুক্তি বিষয়ক কোন ভিডিও, এমনকি ঘুরতে যেয়েও ভ্রমণটাকে ভিডিও করে আনা যেতে পারে। অতঃপর ফুটেজগুলোকে মনের মত করে সম্পাদনা করে আপলোড করা যেতে পারে ইউটিউব ও ফেসবুকে। এটি শুধু তৃপ্তির কাজ-ই করা হবে না; পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্যারিয়ার গড়ার জন্যও একটি সুদূরপ্রসারি ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: মধু কি সত্যি অমৃত?
সিঙ্গেল নামের স্টেরিওটাইপটি ম্লান হয়ে যেতে পারে বছরের অন্যান্য বিশেষ দিনগুলোর মত ভ্যালেন্টাইন্স ডে’টাও শুরু করলে। মুলত মানসিক প্রশান্তি দিনের ধরনের ওপর নির্ভর করে না। যে কোন অর্জন অথবা নিছক ভালো লাগার উদয় বিশেষায়িত করতে পারে যে কোন সাধারণ দিনকে। শুধু ভ্যালেন্টাইন ডে নয়, এটি যে কোন তথাকথিত বিশেষ দিন এমনকি সপ্তাহের শেষ দিনটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
আরও পড়ুন: ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সারিকা
বিদেশি ভাষা শিক্ষা: যে ভাষাগুলো উন্নত ক্যারিয়ারে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে
২১ শতকে বিদেশি ভাষা শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। বিশ্বায়নের গতিশীলতায় বহুজাতি সংস্কৃতিগুলো পরস্পরের সাথে মিশে একাকার হয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে সম্প্রদায়গুলো অভ্যস্ত হয়ে উঠছে একে অপরের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগে। উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো ভবিষ্যত বিশ্ব নেতাদের চিহ্নিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের যাচাই-বাছাই করছে। নিয়োগকর্তারা এমন লোক খুঁজছে যারা বহির্বিশ্বের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। ফলে নির্দিষ্ট দেশের ভাষা আয়ত্ত্বের মাধ্যমে সে দেশে বৃহত্তর একাডেমিক অর্জনের পাশাপাশি চাকরি ক্ষেত্রেও মিলছে বিস্তর সুযোগ। তাই আজকের ফিচারে থাকছে উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক তেমনি কয়েকটি প্রয়োজনীয় বিদেশি ভাষার কথা।
উন্নত ক্যারিয়ারের জন্য সহায়ক ১০টি বিদেশি ভাষা
ম্যান্ডারিন চাইনিজ
গত দুই দশকে চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে ম্যান্ডারিন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষায় পরিণত হয়েছে। উৎপাদন এবং রপ্তানি শিল্পে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগের উদ্ভব হওয়ায় ম্যান্ডারিনে দক্ষতার চাহিদা বেড়েছে। এছাড়া অন্যান্য অভাবনীয় শিল্পের মধ্যে আছে ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিনান্স এবং লজিস্টিকস।
ম্যান্ডারিন চাইনিজ চীন এবং তাইওয়ানের ৮০০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষের মাতৃভাষা। এছাড়াও ভাষাটি ইন্দোনেশিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, মঙ্গোলিয়া এবং ফিলিপাইনেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সেই সূত্রে সিভিতে ম্যান্ডারিন ভাষার সংযোজন যে কোন প্রার্থীর মান উন্নত করতে পারে।
বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ ম্যান্ডারিন চাইনিজ ভাষা শেখানো হয়।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
জাপানিজ
১২০ মিলিয়নেরও বেশি জাপানিজ ভাষাভাষি মানুষের দেশ জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন, ইলেকট্রনিক্স এবং অটোমোবাইল শিল্পের অত্যন্ত উন্নত স্তরের অধিষ্ঠিত। সুতরাং গ্যাজেট সম্পর্কিত যে কোন ব্যবসার জন্য জাপানি ভাষা শেখা অবধারিত। রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ম্যানুফ্যাকচার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং লজিস্টিকসে চাকরির সুযোগের জন্য প্রাসঙ্গিক শিল্প-মান দক্ষতার সাথে জাপানিজ ভাষা দক্ষতার অগ্রাধিকার দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং থ্যানেক্স জাপানিজ স্কুল জাপানিজ ভাষা শেখার জন্য সেরা জায়গা।
আরও পড়ুন: ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
জার্মান
ইউরোপকেন্দ্রিক ক্যারিয়ারে সাফল্যের চাবিকাঠি হচ্ছে জার্মান শেখা। জার্মান ১০০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথিত ভাষা। এছাড়াও অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, হল্যান্ড, লিচেনস্টাইন, লুক্সেমবার্গ এবং সুইজারল্যান্ডেও ব্যাপকভাবে জার্মান বলা হয়। ইউরোপের অর্থনীতিতে চতুর্থ বৃহত্তম অবস্থানে রয়েছে জার্মানি। এখানে ফিনান্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, ম্যানুফ্যাকচার, ডিজাইন বা ফার্মাসিউটিক্যাল্স ক্ষেত্রগুলোতে পেশাদারের চাহিদা প্রচুর।
বাংলাদেশে ইতোমধ্যে জার্মান শেখার বিস্তর সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশের জার্মান দূতাবাস স্বীকৃত গোথ ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
তুর্কী
বিশ্ব জুড়ে আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন মানুষের মাতৃভাষা তুর্কি যা এটিকে বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি সর্বাধিক কথ্য মাতৃভাষায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। তুরস্ক ছাড়াও, তুর্কি-ভাষী আছে বলকান, ককেশাস এবং পশ্চিম ইউরোপে। তুর্কি অভিবাসীদের বৃহত্তম অংশটি বাস করেন জার্মানিতে, যেখানে জার্মানির পরে তুর্কি দ্বিতীয় সর্বাধিক কথ্য ভাষা।
এখানে প্রযুক্তি, সাইবার নিরাপত্তা, এনার্জি, ট্যুরিজম, ফিন্যান্স, আইন, ব্যবসার মতো বৈচিত্র্যময় সেক্টরে অসংখ্য ক্যারিয়ারের সুযোগ বিদ্যমান। পাবলিক সেক্টরে কর্মজীবনে আগ্রহীদের জন্য কূটনীতি, বুদ্ধিমত্তা এবং সামরিক ক্ষেত্রগুলোতে সক্রিয়ভাবে নিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেইসাথে শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি এবং ফেলোশিপেরও ব্যবস্থা আছে।
বাংলাদেশে তুর্কী শেখার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
স্প্যানিশ
বিশ্বব্যাপী ৪৮০ মিলিয়নেরও বেশি স্থানীয় ভাষাভাষীদের মধ্যে স্প্যানিশ ২১টি দেশের রাষ্ট্রিয় ভাষা। এটি মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার ক্রমবর্ধমান বাজারে কর্মসংস্থানের সুযোগের গেটওয়ে।
এখানে মানব সম্পদের সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে মিডিয়া, এবং ব্যাংকিংয়ে। পাশাপাশি চিকিৎসা, সামাজিক, শিক্ষা এবং বিপণনেও বেশ ভালো সুযোগ আছে।
শতকরা ৮৫ ভাগ আমেরিকান নিয়োগকর্তা স্প্যানিশকে সবচেয়ে বেশি চাহিদাযুক্ত বিদেশি ভাষা হিসাবে তালিকাভুক্ত করেছেন।
অনেকটা ইংরেজির মত হওয়ায় সহজে যে কেউ স্প্যানিশ রপ্ত করতে পারে। বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট খন্ডকালীন ও দীর্ঘ মেয়াদে স্প্যানিশ ভাষা শেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
কোরিয়ান
দক্ষিণ কোরিয়া হল বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি। প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এবং আন্তর্জাতিক কোম্পানির চমৎকার মিলনমেলা এই দেশটি। এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম রপ্তানিকারক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।
গত দশ বছরে কোরিয়া এশিয়ায় অধ্যায়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। কোরিয়ান-পপ, কোরিয়ান-ড্রামা এবং কোরিয়ান ফ্যাশনের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার সাথে উত্থান হয়েছে কোরিয়ান ওয়েভ-এর। এছাড়াও কোরিয়া ডিজিটাল প্রযুক্তি শিল্পের নেতৃস্থানীয় শক্তি এবং ইন্টারনেট-সংযুক্ত সমাজের সাথে সবচেয়ে উদ্ভাবনী দেশগুলোর মধ্যে একটি।
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং বাংলাদেশ কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার-এ কোরিয়ান শেখার সুযোগ আছে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
ফরাসি
বিশ্ব রাজনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং কূটনীতির পরিমণ্ডলে প্রবেশ করতে হলে বা আফ্রিকা ভিত্তিক শিল্পে কাজ করতে আগ্রহীদের জন্য ফরাসি ভাষা অবশ্যই প্রথম পছন্দ হতে হবে।
ফরাসি ভাষা ২৯টি দেশের মোট ২২০ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কথ্য ভাষা। আফ্রিকাতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই ভাষাটির দ্রুত প্রসার লাভ করছে। কানাডাতেও এর ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
ফরাসি গুরুত্বপূর্ণ কতক কূটনৈতিক সংস্থা এবং গভর্নিং বডি যেমন জাতিসংঘ, উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা (ন্যাটো), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু), এবং ফুটবল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) দ্বারা গৃহীত ভাষা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেস প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরাসি ভাষা শেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
আরবি
তৈল শিল্প, এনার্জি সেক্টর বা হাই-এন্ড কনস্ট্রাকশনের কর্মীদের জন্য আরবি ভাষা দক্ষতা আবশ্যক। বিশ্বের ২৭টি দেশে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন আরবি ভাষাভাষি লোক আছে। এই একটি ভাষা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ক্যারিয়ার তৈরির সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মধ্যপ্রাচ্যের ব্যবসায়িক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই ইংরেজির পাশাপাশি আরবি ভাষা শিক্ষা হতে পারে উন্নত ক্যারিয়ারের সেরা মাধ্যম।
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে মসজিদ-মাদ্রাসার আধিক্য থাকায় প্রচুর সুযোগ আছে আরবি শেখার। ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট ভালো মানের দুটি আরবি ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
ইতালিয়ান
ইতালিয়ান ইতালিসহ সান মারিনো, সুইজারল্যান্ড এবং ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রীয় ভাষা। এটি ৬৫ মিলিয়ন লোকের মাতৃভাষা। এছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ইতালীয় অভিবাসী এবং তাদের বংশধরদের সংখ্যা প্রায় কয়েক মিলিয়ন।
ফ্যাশন, ডিজাইন, চারুকলা ও সংস্কৃতি, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন এবং বিতরণ, ফুটবল, বিলাসবহুল গাড়ি শিল্প, এমনকি ভ্যাটিকান ক্যারিয়ারের জন্য ইতালিয়ান শ্রেষ্ঠ ভাষা।
এখানে ইতালিয়ান ভাষা বলা সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে ফিয়াট, ফেরারি, ল্যাম্বোর্গিনি, ও আর্মানি’র মতো বিশ্ব বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোতে।
বাংলাদেশে ইতালিয়ান ভাষা শেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং ঢাকা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব-এ।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে করণীয়
রাশিয়ান
বিশ্বব্যাপী ২৫০ মিলিয়ন রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারকারিদের মধ্যে বেশিরভাগই বাস করে রাশিয়ায়। বাকিরা সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র যেমন ইউক্রেন, লাটভিয়া এবং কাজাখাস্তানের বাসিন্দা।
রাশিয়ার ক্রমবিকশিত অর্থনীতির নেপথ্যে রয়েছে এর শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, সরবরাহ, খনি এবং তৈল ও এনার্জি সেক্টর।
জার্মানির মতো রাশিয়াও বৈজ্ঞানিক এবং প্রযুক্তিগত পেশাগুলোতে জনপ্রিয়, তাই যে কোনও উদীয়মান বিজ্ঞানী বা প্রযুক্তিবিদের জন্য রাশিয়া স্বর্গ হতে পারে।
রাশিয়ান ভাষার জন্য উপযুক্ত জায়গা হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট এবং রুশ বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গড়তে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পদক্ষেপ
পরিশেষে
পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতা শিক্ষা ক্ষেত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রত্যাশিত বিষয়। আর এই দক্ষতার মূলে থাকে ভাষা। কেননা কোন গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের কাছাকাছি পৌঁছার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম হলো তাদের মানুষগুলো যে ভাষায় কথা বলে তাদের সাথে সে ভাষাতেই কথা বলা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিনা দ্বিধায় বিচরণের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষা উৎকৃষ্ট হাতিয়ার। এর মাধ্যমেই কোন একটি নির্দিষ্ট দেশের মানুষ পুরোদস্তুর পরিণত হতে পারে বিশ্বের নাগরিকে।
ফের বিয়ে করলেন অভিনেত্রী সারিকা
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল সারিকা সাবরিন সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই শুভ কাজ সম্পন্ন হয়।
তার স্বামীর নাম বি. আহমেদ রাহি। তিনি পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
সারিকা গণমাধ্যমে তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিবারের সবার উপস্থিতিতে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সবাইকে আসলে ঘটা করে জানাতে চাইনি। দোয়া চাই সকলের। নতুন জীবন যেন সুন্দর করে কাটাতের পারি।’
আরও পড়ুন: গুঞ্জন সত্যি করে বিয়ে করলেন বিদ্যা সিনহা মিম
বিয়ের জন্য বেশ কয়েকদিন শুটিংয়ের বিরতিতে রয়েছেন সারিকা। তবে অভিনেত্রী জানান, ১২ ফেব্রুয়ারি আবারও তার ব্যস্ততা শুরু হবে। সামনে বিশেষ দিবসের কাজ নিয়েই তিনি এখন বেশি ব্যস্ত।
উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকার সময় ২০১৪ সালে মাহিম করিমকে বিয়ে করেন সারিকা। এরপর থেকে পর্দায় অনিয়মিত তিনি। ২০১৬ সালে বিচ্ছেদ হয় তাদের। এরপর একমাত্র মেয়ে সেহরিশ আনায়াকেই সময় দিতেই ব্যস্ত হয়ে যান সারিকা। পরবর্তীতে আবারও নাটক ও বিজ্ঞাপনে নিয়মিত হন।
আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন মালালা ইউসুফ
ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২২: কয়েকটি সেরা ডিজিটাল উপহার
প্রাণবন্ত প্রকৃতির এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে ভ্যালেন্টাইন ডে’র সাথে। তা না হলে কেনই বা বসন্ত বরণের সাথেই সময়রেখায় পদচিহ্ন রাখতে হবে! ঝরা পাতার ধুসর বিসর্জনের মুক্তি মেলে গাছে গাছে সবুজ পাতার হৈচৈ-এ। যেন দুঃখময় স্মৃতিগুলোকে চোখ রাঙিয়ে নতুন এক ভালবাসার দিন শুরুতে তৃপ্ত বাতাসে নৌকার পাল ছেড়ে দেয়া। তাতে বৈঠা হাতে হাজারো মানব-মানবীর পরিণয়ের উপাখ্যান। এমনি বিশেষ দিনটিকে চির স্মরণীয় করে রাখতে পারে প্রাণখোলা হাসি, শুভকামনা আর উপহার। ভাবনার রাজপথ জুড়ে প্রিয় মানুষটির অবিরাম পদচারণার টোটেম হিসেবে কাজ করা সেরকমি কয়েকটি ডিজিটাল উপহার নিয়ে আজকের ফিচার।
ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার ২০২২
ডিজিটাল সাবস্ক্রিপশন
ইন্টারনেটের বদৌলতে টিভি-রেডিওর জায়গাটি এখন দখল করে নিয়েছে অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো। এখন নিজের পছন্দ মতই বেছে বেছে উপভোগ করা যাচ্ছে সাম্প্রতিক মুভি ও সিরিজগুলো।
মুভি ও নাটক পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নিদেনপক্ষে প্রতিটি স্ট্রিমিং সাইট এখন সব ধরনের দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই সম্প্রচার করছে তাদের নিজ নিজ অরিজিনাল কন্টেন্টগুলো।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
বিশ্ববিখ্যাত ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) সাইট নেটফ্লিক্সের কন্টেন্টগুলোর জন্য প্রত্যেকেই মুখিয়ে থাকে। এর ৭.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৬৮৭ টাকার বেসিক প্যাকেজটি এক মাসের জন্য একটি যুগোপযোগী উপহার হতে পারে। আর ৯.৯৯ মার্কিন ডলার বা ৮৫৯ টাকার স্ট্যান্ডার্ড প্ল্যানটিতে পুরো মাস জুড়ে এমনকি অনেক দূরে থাকলেও দুজনেই উপভোগ করা যাবে নিজ নিজ কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে।
এছাড়া বাংলাদেশ ও ভারতের কন্টেন্ট-এর জন্য হৈচৈ-এর গিফ্ট কার্ড দেয়া যেতে পারে। এর ৬ মাসের প্যাকেজটি ৩১৭ টাকা।
ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক
বিভিন্ন উপলক্ষে কার্ড পেতে সবাই ভালবাসে। ভ্যালেন্টাইন ডে তে নানা গিফ্ট শপগুলো আকর্ষণীয় নকশায় তৈরি করে থাকে কার্ডগুলো। কিন্তু স্ক্র্যাপবুক এই কার্ডের ধারণাকে দিয়েছে এক অভাবনীয় মাত্রা। কার্ডের নকশা ছাড়াও এখানে জুড়ে দেয়া যায় ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে তোলা বিভিন্ন আকারের ছবি। আর এর ডিজিটাল ভার্সনটির নয়নাভিরাম কন্টেন্টগুলো গ্রাহকদের মধ্যে রীতিমত মন্ত্রমুগ্ধতা সৃষ্টি করে। ফটোশপ সহ ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ফটো ইডিটরগুলোর জন্য দারুণ স্ক্র্যাপবুকগুলো এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহারকারিদের অনেকেই সেই গ্রাফিক্যাল কন্টেন্টগুলো রীতিমত নিয়ম করে কালেকশানে রাখে। তাই ভ্যালেন্টাইন ডে’র উপহার হিসেবে এটি একটি সেরা উপায় হতে পারে।
আরও পড়ুন: সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
এগুলো কেনা যেতে পারে বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স সাইট অ্যামাজন থেকে। তবে একটু সৃজনশীলতা খাটালে নিজে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায় মনোমুগ্ধকর কিছু স্ক্র্যাপবুক। ইন্টারনেটের যে কোন একটি ইমেজ ইডিটর দিয়ে খুব সহজেই বানিয়ে ফেলা যায় ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুক। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় একটি সাইট হচ্ছে ক্যানভা। এর স্যাম্পল টেমপ্লেটগুলো ইডিট করে প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহুর্তের ছবিগুলো একত্রিত করে অনায়াসেই বানিয়ে ফেলা যায় স্ক্র্যাপবুক। সাথে সাথে শেয়ারও করে দেয়া যায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
অনলাইন জুকবক্স
শুধুমাত্র একটি স্থির চিত্র দিয়ে পটভূমিতে একসাথে অনেক গুলো গান বাজতে দেখা যায় জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সামাজিক মাধ্যম ইউটিউবে। এটি ক্যাসেট প্লেয়ারের যুগের এ্যালবামে গান শোনার নস্টালজিয়া দেয়। মূলত অনলাইনে বিভিন্ন সাইট বা ইউটিউবেরই বিভিন্ন চ্যানেল থেকে সংগৃহীত গানের প্লেলিস্ট দিয়ে সাজানো হয় এই ডিজিটাল জুকবক্সগুলো।
ইউটিউবে এরকম প্লেলিস্ট তৈরি করা খুবই সহজ। যে কোন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও ঠিক নিচেই সেভ বাটনে ক্লিক করে নতুন প্রদর্শিত ছোট্ট স্ক্রিণটি থেকে ক্রিয়েট নিউ প্লেলিস্টে ক্লিক করলেই তৈরি হয়ে যাবে প্লেলিস্ট। অতঃপর একে একে প্রিয় গানগুলোর ভিডিওতে যেয়ে সেগুলোকে এই প্লেলিস্টে অন্তর্ভূক্ত করা যাবে। তারপর ইউটিউবের হোম পেজ থেকে বা দিকে প্রদর্শিত সদ্য তৈরিকৃত প্লেলিস্টে ক্লিক করলে প্লেলিস্টটির নিজস্ব পেজ প্রদর্শিত হবে। আর ব্রাউজারের একদম উপর থেকে এই পেজটির ঠিকানা কপি করে নিয়ে শেয়ার করা যাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
ভিডিও ডায়েরি
এটাকে বলা যেতে পারে ভার্চুয়াল স্ক্র্যাপবুকের ভিডিও ভার্সন। প্রিয় মানুষটির সাথে কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর ফুটেজ নিয়ে বানানো যেতে পারে এই ভিডিও ডায়েরি। ছোট-খাট একটা ফিল্মে পরিণত হবে ভিডিও ডায়েরিটা। ভিডিও ইডিটিং-এর মত বড় কাজ মনে হলেও এই ভিডিও তৈরি মোটেই তা নয়। ভিডিও বানানোর কারিগরি জ্ঞান থাকলে ভালো, তবে না থাকলেও তৈরি করা যাবে একদম নিখুঁত মানের ভিডিও। অনলাইনে খুঁজলে এমন অনেক ভিডিও ইডিটর পাওয়া যাবে, যেখানে ক্যামেরা দিয়ে তোলা ফুটেজগুলো পরপর বসিয়ে বানানো যাবে দারুণ একটি ভিডিও। জলছাপকে ঝামেলা মনে হলে কিনে ফেলতে হবে সেই ভিডিও ইডিটরটির সাবস্ক্রিপশন। তবে এক্ষেত্রে জলছাপ উপেক্ষা করে কন্টেন্টে জোর দেয়াটাই উত্তম। এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ভিডিও টেমপ্লেট পাওয়া যায় রেন্ডারফরেস্ট-এ। এত উন্নত মানের, প্রোফেশনাল এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ টেমপ্লেট অনলাইনে নেই বললেই চলে। এখানকার স্লাইডশোগুলোও বেশ চমৎকার। এর প্রোফেশনাল ইন্ট্রো ও ইন্ডিং ভিডিও সংযোজন করার পর তৈরিকৃত ভিডিও ডায়েরিটিকে মনে হতে পারে পরিপূর্ণ একটি শর্টফিল্ম।
পরিশেষে
প্রযুক্তির ক্রমবিকাশে সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে মানুষের মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। একই পাত্রে রঙ বদলেছে প্রয়োজনীয়তাগুলো। এর মাঝেও মানুষ আগলে রেখেছে তাদের আদিম ও অকৃত্রিম অনুভূতিগুলোকে। ডিজিটাল ভ্যালেন্টাইন ডে উপহার দেয়ার মাধ্যমগুলো যেন তারই জানান দিচ্ছে। হাত দ্বারা স্পর্শনীয় বস্তুগুলো বর্তমানে শুধু দর্শনেন্দ্রিয় ও শ্রবণেন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করা বস্তুতে রূপান্তর হলেও, শুভকামনা দেয়ার ছলে অটুট রয়েছে যত্ন নেয়ার ভনিতাটি।
লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়ল
দর্শকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর সময় বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রদর্শনী উপভোগ করা যাবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দেশে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত ছোটকাগজ নিয়ে প্রদর্শনী আয়োজনসহ গুরুত্বপূর্ণ ছোটকাগজকে সম্মাননা জানানোর জন্য, ‘লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনী ও সম্মাননা- ২০২২’ আয়োজন করেছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে লিটল ম্যাগাজিন সম্মননা প্রদান ও সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: লিটল ম্যাগাজিন প্রদর্শনীর উদ্বোধন
এবারের সম্মাননা প্রাপ্ত নির্বাচিত লিটল ম্যাগাজিন হলো: শহীদ ইকবাল সম্পাদিত ‘চিহ্ন’; আবদুল মান্নান স্বপন সম্পাদিত ‘ধমনি’; এজাজ ইউসুফী সম্পাদিত ‘লিরিক’; মিজানুর রহমান নাসিম সম্পাদিত ‘মননরেখা’ এবং ওবায়েদ আকাশ সম্পাদিত ‘শালুক’। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তিনটি লিটল ম্যাগাজিনকে সম্মাননার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে, জেলা শিল্পকলা একাডেমি রাজশাহী থেকে প্রকাশিত আসাদ সরকার সম্পাদিত ‘মহাকালগড়’; জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেট থেকে প্রকাশিত অসিত বরণ দাশ গুপ্ত সম্পাদিত ‘সুরমাকপোত’ এবং মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ‘আরণ্যক’।
সম্মাননার জন্য লিটল ম্যাগাজিন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট লেখক-গবেষক জনাব মফিদুল হক, বিশিষ্ট অনুবাদক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক আবদুস সেলিম এবং কবি ও অধ্যাপক খালেদ হোসাইন ।
উল্লেখ্য শিল্প-সাহিত্য চর্চার বিকাশে লিটল ম্যাগাজিন তথা ছোটকাগজ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সৃজনশীল চর্চার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন বা গোষ্ঠীর মুখপত্র হিসেবেও লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশ পেয়ে থাকে। দেশে ষাটের দশক থেকে একুশের চেতনাকে ধারণ করে লিটল ম্যাগাজিন চর্চা প্রসার লাভ করে। বিশিষ্ট কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবীরা কোন না কোনোভাবে একসময় ছোটকাগজের সাথে যুক্ত ছিলেন। পাড়া-মহল্লা থেকেও বিভিন্ন দিবসে ও আয়োজনে একসময় ম্যাগাজিন প্রকাশিত হতো। আশির দশকে বাংলাদেশে লিটল ম্যাগাজিন চর্চা জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার নিয়ম
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ করার উপায় প্রবর্তনের ফলে সমাপ্তি ঘটেছে প্রতি মাসের গ্যাস বিল নিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ঝামেলার। গ্যাস বিল পরিশোধের সময় প্রতিবার-ই বিলের বই নিয়ে ব্যাংকে দৌড়াদৌড়িতে আলাদা সময় বেঁধে রাখতে হোতো। প্রযুক্তির ক্রমবিকাশের দৌলতে মোবাইল ব্যাংকিং-এর অগ্রযাত্রা গ্যাস বিল পরিশোধকে সহজীকরণে এনেছে যুগান্তকারী সাফল্য। মোবাইল অ্যাপগুলোর সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস রেহাই দিয়েছে গ্যাস বিলের বই হাতে ব্যাংক পর্যন্ত হেটে গিয়ে শত মানুষের ভীড়ে দাড়িয়ে থাকার হয়রানি থেকে। চলুন, জেনে নেয়া যাক অনলাইনে গ্যাস বিল জমা দেয়ার সেই পদ্ধতিগুলি।
অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধ-এর নিয়ম
বিকাশ-এ গ্যাস বিল পরিশোধ
ব্র্যাক ব্যাংকের এই পেমেন্ট গেটওয়েটি দেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম যা দিয়ে খুব সহজেই গ্যাস বিল জমা দেয়া যায়। শুধু তাই নয়, বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্যাস বিল পরিশোধ করলে সাথে সাথেই বিলের জমা রশিদটি সরাসরি মোবাইলে চলে আসে।
বিকাশের মাধ্যমে যে গ্যাস পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল জমা দেয়া যাবে সেগুলো হলো-
কর্ণফুলী গ্যাস, জালালাবাদ গ্যাস, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস, সুন্দরবন গ্যাস ও তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল। এখানে উল্লেখ্য যে তিতাস গ্যাসের প্রিপেইড কার্ডের বিল বর্তমানে বিকাশ দিয়ে পরিশোধ করা যায় না।
আরও পড়ুন: অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার নিয়ম
বিকাশ-এ বিনামূল্যে সর্বোচ্চ দুটি বিল পরিশোধ করা যায়। তাই গ্রাহকরা তাদের যে কোন মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় বিল হিসেবে গ্যাস বিল জমা দিতে পারবেন কোন চার্জ ছাড়াই।
তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল, ২০২২ পর্যন্ত নতুন সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তা হলো- মাসের প্রথম পাঁচটি বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে কোনো রকম চার্জ প্রযোজ্য হবে না। সুযোগটি *২৪৭# ডায়াল করে কিংবা অ্যাপ দিয়ে উভয় মাধ্যমেই পাওয়া যাবে। এমনকি এক্ষেত্রে বিলের পরিমাণের ক্ষেত্রে কোনো লিমিট প্রযোজ্য হবে না।
চলুন জেনে নেয়া যাক ধাপে ধাপে বিকাশ অ্যাপ দিয়ে গ্যাস বিল পরিশোধ করার পদ্ধতি।
বিকাশ অ্যাপ না থাকলে গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইন্স্টল করে নিতে হবে। অতঃপর মোবাইল নাম্বার ও পাঁচ অঙ্কের পিন দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার গ্যাস বিল জমা দেয়ার সময় পর্যায়ক্রমিক ভাবে যে ধাপগুলো অনুসরণ করতে হবে তা হলো-
১/ পিন দিয়ে বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিণে প্রবেশ করতে হবে।
২/ পে বিল-এ গিয়ে নতুন স্ক্রিণে গ্যাস-এ ক্লিক করতে হবে। এ সময় নিচের দিকে গ্যাসের সকল পরিষেবাগুলো দেখাবে। সেখান থেকে গ্রাহক নিজের পরিষেবা প্রতিষ্ঠানটি বাছাই করে নিতে পারবে।
> কর্ণফুলী গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। তারপর দিতে হবে গ্রাহকের মোবাইল নম্বর। সবশেষে পরবর্তী বিল পেমেন্টের জন্য এ্যাকাউন্টটি সেভ করে রাখুন অপশনটিতে টিক মার্ক দিয়ে রাখলে পরের মাসে বিল পরিশোধের সময় নতুন করে এই তথ্যগুলো প্রবেশ করাতে হবে না।
আরও পড়ুন: কান পেতে রই: দেশের প্রথম মানসিক সহায়তা হেলপলাইন
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> জালালাবাদ ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোডটি দিতে হবে। এ অংশে পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> সুন্দরবন গ্যাস-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা এবং বিল এ্যাকাউন্ট নাম্বার হিসেবে বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত নতুন গ্রাহক সংকেত নাম্বারটি দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
> তিতাস নন মিটার্ড গ্যাস বিল-এর ক্ষেত্রে
→ বিল প্রদানের সময়সীমা, বিলের বইয়ে সরবরাহকৃত গ্রাহক কোড ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে। যথারীতি পরের মাসে বিল দেয়ার জন্য তথ্যগুলো সেভ করে রাখা যাবে।
→ পরের স্ক্রিণে নির্দিষ্ট সময়সীমায় ধার্যকৃত বিল দেখাবে।
৩/ এবার বিকাশের পিন নাম্বার দিতে হবে।
৪/ পরের স্ক্রিণে বিল পরিশোধ নিশ্চিত করতে নিচের নির্দেশিত অংশটিতে ট্যাপ করে ধরে রাখলে কিছুক্ষণের মধ্যেই বিল জমা সম্পন্ন হবে।
৫/ চূড়ান্ত ভাবে একটি ডিজিটাল জমা রশিদ দেয়া হবে যেটি পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করে রাখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা সমূহ
বিকাশের পাশাপাশি অনলাইনে গ্যাস বিল পরিশোধের জন্য সহজ মাধ্যমগুলোর মধ্যে আছে সরকারি পেমেন্ট গেটওয়ে নগদ এবং ডিবিবিএল(ডাচ বাংলা ব্যাংক)-এর রকেট। এছাড়াও আছে রূপালি ব্যাংকের শিওর ক্যাশ, সাউথইষ্ট ব্যাংকের টেলিক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ইউক্যাশ, এটুআই(অ্যাক্সেস টু ইনফর্মেশন প্রোগ্রাম)-এর একপে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাইকেশ, রবি আজিয়াটার রবিক্যাশ, অগ্রণী ব্যাংকের দুয়ার এবং গ্রামীণফোনের জিপে।
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর: ভারতীয় সংগীতের জগতে অবিস্মরণীয় উজ্জ্বল নক্ষত্র
“ফুরালো প্রাণের মেলা, শেষ হয়ে এলো বেলা” যেন গানটির এই কথার পথ ধরেই ফিরে গেলেন আপন নীড়ে গানটির শিল্পী কোকিলকোন্ঠী লতা মঙ্গেশকর। দীর্ঘ ২৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই সুরসম্রাজ্ঞী। শত পার্থিব পুরস্কারের ম্লান তেপান্তরে তাঁর সব থেকে অমূল্য বিষয়টি হচ্ছে, এখনো কোটি সঙ্গীতপ্রেমিদের কানে গুনগুন করে বাজে তাঁর কন্ঠটি। ভারতের নাইটিঙ্গেল খ্যাত এই বৈচিত্রপূর্ণ গানের পাখির বর্ণাঢ্য সঙ্গীত জীবনকে উদ্দেশ্য করেই আজকের ফিচার।
ব্যক্তি জীবনে একজন লতা মঙ্গেশকর
মারাঠি সঙ্গীত পরিবারে মেয়ে লতা মঙ্গেশকরের জন্ম ১৯২৯ এর ২৮ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ-অধীন ভারতের ইন্দো প্রদেশে, যেটি বর্তমানে মধ্য প্রদেশ হিসেবে পরিচিত। বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকর ছিলেন মারাঠি এবং কোঙ্কনি সঙ্গীতের ধ্রুপদী গায়ক এবং থিয়েটার অভিনেতা। মা শেবন্তী ছিলেন একজন গুজরাটি মেয়ে।
জন্মের সময় লতার নাম রাখা হয়েছিল ‘হেমা’। তার বাবা-মা পরে তাঁর বাবার একটি নাটকের নারী চরিত্র লতিকার নামানুসারে তাঁর নাম পরিবর্তন করে লতা রাখেন।
পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে লতা সবার বড় এবং তাঁর ভাইবোন মীনা, আশা, ঊষা এবং হৃদয়নাথ, প্রত্যেকেই দক্ষ গায়ক এবং সঙ্গীতজ্ঞ।
লতা তাঁর প্রথম সঙ্গীত শিক্ষা লাভ করেন বাবার কাছ থেকে। পাঁচ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবার সঙ্গীত নাটকে অভিনেত্রী হিসেবে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর
লতা মঙ্গেশকর-এর সঙ্গীত শিল্পী হয়ে ওঠার গল্প
১৯৪২ সালে লতার বয়স যখন মাত্র ১৩, তখন তার বাবা হৃদরোগে মারা যান। নবযুগ চিত্রপট সিনেমা কোম্পানির মালিক এবং মঙ্গেশকর পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাস্টার বিনায়ক দামোদর কর্ণাটকি তাদের দেখাশোনা করতেন। মুলত তাঁর হাত ধরেই লতার প্রথমে অভিনয় এবং পরবর্তীতে সঙ্গীত জগতে পদার্পন ঘটে।
১৯৪৮ সালে বিনায়কের মৃত্যুর পর, তৎকালীন প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক গোলাম হায়দার তাকে শিল্পী হওয়ার জন্য দিক-নির্দেশনা দিতেন। তিনি লতাকে প্রযোজক শশধর মুখার্জির কাছে নিয়ে আসেন। মুখার্জি তখন শহীদ (১৯৪৮) চলচ্চিত্রের জন্য শিল্পী খুঁজছিলেন। তিনি লতার কণ্ঠকে "খুব চিকন" বলে উড়িয়ে দেন। এতে হায়দার বিরক্ত হয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন যে আগামী দিনে প্রযোজক এবং পরিচালকরা "লতার পায়ে পড়ে তাদের চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার জন্য ভিক্ষা করবেন"।
হায়দার লতাকে মজবুর (১৯৪৮) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন, যেখানে তাঁর "দিল মেরা তোড়া, মুঝে কাহিন কা না ছোরা" গানটি ছিলো তাঁর জীবনের প্রথম সফল চলচ্চিত্রের গান।
পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে সঙ্গীতাঙ্গনে বিশাল শূন্যতা সৃষ্টি হলো: প্রধানমন্ত্রী
লতা মঙ্গেশকর-এর সঙ্গীত জীবন: সঙ্গীতের সোনালী অধ্যায়
বাংলা গানে লতার আত্মপ্রকাশ হয়েছিল ১৯৫৬ সালে "আকাশ প্রদীপ জ্বলে" হিট গানের মাধ্যমে। ১৯৫০-এর দশকের শেষের দিকে প্রকাশিত হয় "যারে উড়ে যারে পাখি", "না যেওনা" এবং "ওগো আর কিছু তো নয়"-এর মতো তাঁর কয়েকটি হিট গান।
১৯৫৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মধুমতি সিনেমার গান "আজা রে পরদেশী" এর জন্য শ্রেষ্ঠ মহিলা প্লে-ব্যাক শিল্পী হিসেবে জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন লতা মঙ্গেশকর।
১৯৬০-এর দশকে তাঁর সেরা বাংলা গানগুলো ছিল "একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি", "সাত ভাই চম্পা", "কে প্রথম দেখেছি", "নিঝুম সন্ধ্যা", "চঞ্চল মন আনমোনা," "আষাঢ় শ্রাবণ," "বলছি তোমার কানে কানে", এবং "আজ মন চেয়েছে"।
১৯৬০-এর ছবি মুঘল-ই-আজম-এ লতার গাওয়া "পিয়ার কিয়া তো ডারনা কিয়া" গানটি এখনও বিখ্যাত।
১৯৬২ সালে "কাহিন দীপ জালে কাহিন দিল" গানের জন্য তিনি তাঁর দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কারে ভূষিত হন।