রবিবার দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে মুশফিকুর রহমানের অপরাজিত ৬০ রানের কল্যাণে প্রতিবেশীদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় টাইগাররা।
১৪৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে প্রথম দুই বলে ৬ রান নিয়ে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ওপেনার লিটন দাস। কিন্তু প্রথম ওভারের শেষ বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। পরে আরেক অভিষিক্ত ওপেনার নাইম শেখ অভিজ্ঞ সৌম্য সরকারের সাথে খেলেন দায়িত্বশীল এক ইনিংস।
নাইম ২৬ রানে ফিরে গেলেও এক প্রান্ত ধরে রেখে মুশফিকুর রহিমকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যান সৌম্য। দেখেশুনে খেলতে থাকা সৌম্য ৩৯ রানে ফিরে গেলেও মুশফিক অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। তার আগে মাহমুদউল্লাহর সাথে মুশফিক জুটিতে আসে ১৫ বলে ৪০ রান।
এর আগে, টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান করে। মূলত বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দেড় শ রান করতেও ব্যর্থ হয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের ভারত।
স্বাগতিকদের পক্ষে শেখর ধাওয়ান সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এছাড়া রিশভ পন্ত ২৭ এবং শ্রেয়াশ আয়ার ২২ রান করেন।
টাইগারদের পক্ষে শফিউল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ২টি করে এবং আফিফ হোসেন ১টি উইকেট লাভ করেন।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৭ নভেম্বর রাজকোটে দ্বিতীয় এবং ১০ নভেম্বর নাগপুরে শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টটি মধ্য প্রদেশের ইন্দুরে এবং দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টটি ২২ নভেম্বর থেকে ইডেন গার্ডেনে অনুষ্ঠিত হবে।
কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেনের ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির। বাংলাদেশ বা ভারত কোনো দলেরই দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই।