ক্রিকেট
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন কোচ ফিল সিমন্স ঢাকায়
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নবনিযুক্ত প্রধান কোচ ফিল সিমন্স টাইগারদের সঙ্গে তার প্রথম দায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকায় পৌঁছেছেন। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ দিয়ে শুরু হবে তার দায়িত্ব।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা সিমন্সের সঙ্গে ছয় মাসের জন্য চুক্তি করেছে, যা চলবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ পর্যন্ত।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পূর্ববর্তী কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার পর সিমন্সকে বাংলাদেশের নতুন কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ঢাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। এরপর, টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাবে।
এদিকে, বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলও ঢাকায় পৌঁছেছে।
দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টটি ২১ অক্টোবর ঢাকায় শুরু হবে আর দ্বিতীয় টেস্টটি ২৯ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে খেলা হবে।
আরও পড়ুন: বরখাস্ত হচ্ছেন হাথুরুসিংহে, আসছেন ফিল সিমন্স
১ মাস আগে
রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশকে হারাল ভারত
টি-টোয়েন্টিতে ১২৮ রানের লক্ষ্য যে একেবারেই মামুলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। পাশাপাশি বাংলাদেশি বোলাররা কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারলে সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
গোয়ালিয়রে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে রবিবার বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত।
শুরুতে ব্যাট করে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই ১২৭ রান করে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ১২৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮.১ ওভার বা ৪৯ বল হাতে রেখেই তা টপকে গিয়েছে ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে এটি ভারতের সর্বোচ্চ সংখ্যক বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১০০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটিই ছিল তাদের সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের ঘটনা।
আরও পড়ুন: ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১২৭ রানে গুটিয়ে গেল টাইগাররা
১২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন ভারতীয় ব্যাটাররা। মাঝে তিনটি উইকেট পড়লেও ভারতের রানের ফোয়ারা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারেনি তাসকিন-মোস্তাফিজরা।
দলের হয়ে ১৬ বলে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৪ বলে ২৯ এবং ১৯ বলে ২৯ রান করেন ওপেনার সঞ্জু স্যামসন।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত।
১ মাস আগে
নিজের ‘এক্সপায়ার ডেট’ দেখতে পাচ্ছেন না আনচেলত্তি
বয়স ছাড়িয়েছে ৬৫ বছর, এখনও বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে একের পর এক সফলতা পেয়ে চলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। বয়স বাড়লেও কোচিং থেকে এখনই অবসরে যাওয়ার কথা ভাবছেন না এই ইতালিয়ান।
মঙ্গবার রাতে লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আলাভেসকে আতিথ্য দেবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটির মাধ্যমে ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ কোচিংয়ের মাইলফলক স্পর্শ করবেন আনচেলত্তি।
এই ম্যাচের আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলন করেন রিয়াল মাদ্রিদ বস। সেখানে সাংবাদিকরা তার অবসরে যাওয়ার প্রসঙ্গটি তুললে বিষটি স্পষ্ট করেন তিনি। অবসরের প্রশ্নে মাদ্রিদে আরও অনেক বছর থেকে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানান আনচেলত্তি।
আরও পড়ুন: ভালো খেলার চেয়ে ম্যাচ জেতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ: আনচেলত্তি
তার ভাষ্য, ‘এই কাজটি আমি ভালোবাসি, তাই (নিজের) ভবিষ্যত নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাই না। ক্যারিয়ারে বেশকিছু বড় বড় ক্লাবের কোচ হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। বিশ্বের সেরা ক্লাবে (রিয়াল মাদ্রিদ) আমি ৩০০তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করতে চলেছি। এই ডাগআউটে বসে এমন অর্জন সত্যিই বিশেষ কিছু, অলৌকিক বিষয়ের চেয়ে এটি কম কিছু নয়।’
‘খেলোয়াড়দের ক্লান্তির সঙ্গে আমার ক্লান্তির তুলনা করবেন না। হ্যাঁ, প্রেসার (চাপ) আছে সত্যি, তবে আমি তা উপভোগ করি। এই মুহূর্তে আমি নিজের কোনো এক্সপায়ার ডেট (কোচ হিসেবে) দেখছি না। আসন্ন আরও অনেক বছর আমি এখানেই থাকতে চাই।’
কার্লো আনচেলত্তির তত্ত্বাবধায়নে গত মৌসুমে লা লিগা, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতে রিয়াল মাদ্রিদ। ওই মৌসুম থেকে এখন পর্যন্ত লা লিগায় টানা ৩৮ ম্যাচ অপরাজিত মাদ্রিদ জায়ান্টরা।
গত মৌসুমে মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছিল রিয়াল, দুটিই তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। ৩-১ ব্যবধানে প্রথমবার তারা হারে লা লিগায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় ম্যাচটি কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচটি রিয়াল মাদ্রিদ হেরেছিল ৪-২ ব্যবধানে।
আরও পড়ুন: আক্রমণভাগে পরিবর্তন আসায় দলে ভারসাম্যের অভাব দেখছেন আনচেলত্তি
টানা ৩৮ ম্যাচ জিতে লা লিগায় টানা সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তের রয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৪৩ ম্যাচ জিতে এই রেকর্ড এখন বার্সেলোনার। ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে পরের বছরের মে মাসের মধ্যে কোচ লুইস এনরিকে ও এর্নেস্তো ভালভার্দের তত্ত্বাবধায়নে ওই রেকর্ড গড়ে কাতালান জায়ান্টরা।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, আগামী ২৭ অক্টোবর বার্সেলোনার বিপক্ষেই ওই রেকর্ড স্পর্শ করার সুযোগ রয়েছে লস ব্লাঙ্কোসদের। এরপর ৩ নভেম্বর ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি জিতলে রেকর্ডটি নিজেদের করে নেবে তারা।
অবশ্য এই গৌরব অর্জনে তার আগে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে আনচেলত্তির শিষ্যদের। আলাভেস ম্যাচের পর আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ সেই আতলেতিকো মাদ্রিদ। শুধু তা-ই নয়, চলতি মৌসুমের মাদ্রিদ ডার্বিটি আবার অনুষ্ঠিত হবে আতলেতিকোর সিভিতাস মেত্রোপলিতানোয়। ফলে সেখানে কঠিন পরীক্ষা দিয়েই উৎরাতে হবে ভিনিসিউস-এমবাপ্পেদের।
আরও পড়ুন: আনচেলত্তির ‘কৌতুকে’ ভড়কে গিয়েছিলেন বেলিংহ্যাম
তার পরের দুই প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়াল ও সেল্তা ভিগো। নতুন কোচ মার্সেলিনোর কোচিংয়ে এ মৌসুমের শুরুটা বেশ ভালো করেছে ভিয়ারিয়াল। তাদের খেলায়ও এসেছে যথেষ্ট ধার, গত কয়েক ম্যাচেই তা স্পষ্ট হয়েছে। এছাড়া, গত কয়েক মৌসুম ধরে ভুগতে থাকা সেল্তা ভিগোও এবার দারুণ ছন্দে রয়েছে। ছয় ম্যাচে তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবম স্থানে রয়েছে ক্লাউদিও গিরালদেসের শিষ্যরা। ভিয়ারিয়াল, বার্সেলোনার মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হারলেও ম্যাচজুড়ে তাদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
এই সব বাধা অতিক্রম করে রিয়াল মাদ্রিদ শেষ পর্যন্ত রেকর্ডটি নিজেদের করে নিতে পারে কিনা, তা দেখতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে ক্লাবটির সমর্থকরা।
২ মাস আগে
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এক ওভারে ৩৯ রানের রেকর্ড
রান তোলায় নতুন উচ্চতা দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে সেটি এক ইনিংস বা ম্যাচে নয়, এক ওভারে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে ভানুয়াতুর বিপক্ষে এক ওভারে ৩৯ রান নিয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে সামোয়া।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সামোয়ার এপিয়ায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে ভানুয়াতুর বোলার নালিন নিপিকোর ওভারে ৬টি ছক্কা হাঁকান সামোয়ার ডারিউস ভিসের। ওভারে আরও তিনটি নো বল হওয়ায় মোট ৩৯ রান ওঠে, আর তাতেই হয়ে যায় বিশ্বরেকর্ড।
এটি শুধু আন্তর্জাতিক টি-টেয়েন্টিতেই নয় ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়েই এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
আরও পড়ুন: টেস্টে ইংল্যান্ডের দ্রুততম ফিফটি হাঁকালেন স্টোকস
ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিপিকোর প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা মারেন ভিসের। এর পরের বলটি নো বল হলে পরের বলে ফ্রি হিটে আবারও একটি ছক্কা হাঁকান তিনি। পরের বলে সোজা শট দিলে বল গিয়ে নন স্ট্রাইক এন্ডের স্টাম্পে লাগলে ডট বল হয়। এরপর টানা দুটি নো বল করেন নিপিকো, যার শেষটি লং লেগের ওপর দিয়ে শূন্যে ভাসিয়ে দেন ভিসের। আর ওভারের শেষ ডেলিভারিটিও উড়িয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এক ওভারে ৩৬ রানই ছিল সর্বোচ্চ রান তোলার রেকর্ড। সেটিও হয়েছে পাঁচবার। এর মধ্যে তিনবার ছয়টি ছক্কায়, বাকি দুবারের একবার দুই ব্যাটার এবং আরেকবার এক ব্যাটারের কৃতিত্বে।
৩ মাস আগে
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৪ মাস আগে
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৪ মাস আগে
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৪ মাস আগে
দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও শ্রীলঙ্কা কাঁদায় তাদের। ১৭ বছর পর ফের ফাইনালে কাঁদল ভারত। তবে এবার আর হতাশা নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে কাঁদলেন রোহিত-হার্দিকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসরে এসে অবশেষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এ সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের চেষ্টার পর একেবারে টি-টোয়েন্টির প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া।
টস জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে নাটকের পর নাটক, ম্যাচে একের পর এক পালাবদলের পর মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
দুই দলই তুমূল লড়াইয়ের স্মরণীয় এক ফাইনাল উপহার দিল। তবে প্রথমবার কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলাররা। ফলে সামান্য ব্যবধানে হেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল প্রোটিয়াদের। আর প্রায় দেড় যুগের অপেক্ষা শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।
প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৩৯ এবং ডেভিড মিলার ২১ রান করেন।
অন্যদিকে, বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত চার ওভারে ১৮ ও ২০ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের পর এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে হারিয়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ বড় করে দেয়ায় ফাইনাল ম্যাচের রাজা বিরাট কোহলি। আর আসরজুড়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখানো জসপ্রিত বুমরাহ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।
৪ মাস আগে
ডি ককের ব্যাটে ম্যাচে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যে চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
দলকে স্থিতিশীলতা এনে দিয়ে স্টাবস আউট হয়ে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডি কক ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
শেষ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে তিন উইকেটে ৯৩ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপ জিততে বাকি ৯ ওভারে তখন তাদের প্রয়োজন ৮৪ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট ৯ দশমিক ৪।
২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ডি কক। অন্য প্রান্তে ১০ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
এর আগে, ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে মাচে ফিরতে শুরু করেন ডি কক। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে ৪২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান স্টাবস। ৮.৫তম ওভারে অক্ষরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের মারে ২১ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এর ফলে দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
৪ মাস আগে
ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রানে সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা।
কুইন্টন ডি কক ১০ বলে ১০ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ৪ বলে ২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
৪ মাস আগে