আবহাওয়া অধিদপ্তর অফিস সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে বেশ কয়েক দিন থেকে রাত ও দিনের তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। রাতে কমে আসছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধানও।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক দেবল কুমার মৈত্র জানান, গত ১০ জানুয়ারি থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। তবে এ তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক শূণ্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রা বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত আবহাওয়া কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, রাতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসের বলা হয়েছে আগামী ২০ জানুয়ারির পর রাজশাহীসহ দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এরপর থেকে অবস্থার উন্নতি হয়ে দিনে তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে।
এদিকে তীব্র শীত মোকাবেলায় নিম্ন আয়ের মানুষগুলো নগরীর পুরাতন কাপড়ের মার্কেটে ভিড় জমাচ্ছেন। তবে মধ্যবিত্তদের অভিযোগ, শীত একটু বেশি পড়ার কারণে শীতের কাপড়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর কবির জানান, শীত মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষে এবং স্থানীয় প্রতিনিধিগণ প্রায় দিনই শীতার্ত মানুষদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করছেন।