"ভবিষ্যতে, যখনই আমরা আমাদের ক্রিকেট দল বিদেশে পাঠাব, সেখানে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থাগুলি পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করার পর তা করব", বলেন তিনি।
গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু, ভুলতায় চার লেনের ফ্লাইওভার (উড়াল সেতু) এবং লতিফপুরে একটি ওভারপাস উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, যেকোনো দেশের ক্রিক্রেট দল আমাদের এখানে সফরে আসলে বাংলাদেশ সব সময় উচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। "আমরা তাদের যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করি এবং আমরা সর্বদা এটি করব", যোগ করেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। যে মসজিদটিতে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে ৪৯ নিহত হয়। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
‘আমাদের ক্রিকেটাররা ওই মসজিদে যাচ্ছিলেন, সেখানে প্রবেশের আগে একজন আহত নারী তাদের মসজিদে প্রবেশে বারণ করেন ও সন্ত্রাসী হামলার কথা বললে তখন তারা আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে ফিরে আসেন’, বলেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নামাজরত অবস্থায় সন্ত্রাসী হামলা করে মানুষ হত্যার মতো জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। ‘আমি আশা করি বিশ্ব সম্প্রদায় কেবল এই ঘটনার নিন্দা করবে না, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে চিরতরে ধ্বংসে পদক্ষেপ নেবে", বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে, জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের কোনো ধর্ম নেই, দেশ নেই ও তারা কোনো জাতির অন্তর্ভুক্ত নয়। তারা শুধুই সন্ত্রাসী, আর তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ। তাদের কোনো ছাড় নয়।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ খারাপ ছাড়া কখনো কোনো ভালো ফল বয়ে আনতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে যখন জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করি তখন কত লোক এ বিষয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও ধর্ম পালনের অধিকার প্রতিষ্ঠিত আছে। সকল ধর্মের লোকেরা এখানে তাদের নিজ নিজ রীতিগুলি অবাধে পালন করতে পারে।
নিউজিল্যান্ডকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ অভিহিত করেন প্রধানমন্ত্রী, তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেখানে মসজিদে যে আক্রমণ হলো এটি একটি ভয়ঙ্কর ঘটনা।