প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের কওমি মাদ্রাসার প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থীকে মূলধারায় আনতে বিলটি তৈরি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ সনদকে সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৩ সালের ১৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির ওপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত আইনটি তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের এপ্রিলের পর থেকে যারা দাওরায়ে হাদিস পাস করেছেন তারাই মাস্টার্স ডিগ্রি সমমানের সনদ পাবেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সারা দেশে বিদ্যমান ছয়টি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ে ‘আলহাইয়্যাতুল উলিয়ালিল জামিয়াতুল কওমিয়া বাংলাদেশ’ নামে একটি কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠন করা হবে।
বেফাকুল মাদ্রারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান (ছয়টি বোর্ডের মধ্যে বিদ্যমান একটি বোর্ড) পদাধিকারবলে ১৭ সদস্যের সমন্বিত বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। চেয়ারম্যান ইচ্ছা করলে যে কাউকে কমিটিতে যোগ করে নিতে পারবেন, তবে সব মিলিয়ে সদস্য সংখ্যা ১৫ জনের বেশি হবে না।
শফিউল আলম বলেন, বোর্ড সিলেবাস তৈরি, পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, পরীক্ষা নেয়া এবং কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার সনদ বিতরণ করবে।